আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

জরায়ু ক্যানসার: নকল ভ্যাকসিনের ভয়ংকর বাণিজ্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

একটি ভ্যাকসিনের তিন ডোজ নিলে কখনোই হবে না জরায়ু ক্যানসার- এমন প্রচারণা চালিয়ে গাজীপুরে ছয় হাজারের বেশি নারীর দেহে তিনটি করে নকল ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিনটি বানানো হয়েছে আমদানি নিষিদ্ধ হেপাটাইটিস-বি'র ভ্যাকসিন থেকে।

গত তিন বছর ধরে জরায়ু ক্যানসারের ভ্যাকসিন সেরাভিক্স বাংলাদেশে আমদানি বন্ধ রয়েছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে হেপাটাইটিস-বির ভ্যাকসিনের অ্যাম্পল খুলে অন্তত ১০টি জরায়ু ক্যানসারের নকল ভ্যাকসিন বানিয়ে বিক্রি করছে একটি অসাধু চক্র। সেগুলোর একেকটি বিক্রি হতো আড়াই হাজার টাকায়। ফলে ৩৫০ টাকায় কেনা একটি নিষিদ্ধ টিকা ভিন্ন নামে বিক্রি করে মেলে ২৫ হাজার টাকা। এ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে ভয়ংকর এসব তথ্য।

শুধু তাই নয়, ঢাকা ও গাজীপুরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রচারণা ও বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে প্রকাশ্যেই এমন কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল চক্রটি। এই প্রচারণা ও বাজারজাতকরণে ডা. এ আর খান ফাউন্ডেশন, আল নূর ফাউন্ডেশন ও পপুলার ভ্যাকসিনেশন সেন্টারের মতো প্রতিষ্ঠানের নামও এসেছে। গত দুই বছরে এই চক্র শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৬ হাজার নারীকে নকল ভ্যাকসিন দিয়েছে। তিন ডোজের মধ্যে প্রত্যেকে গড়ে দুই ডোজ নিয়ে থাকলেও প্রতারকদের পকেটে গেছে অন্তত ৩ কোটি টাকা। আর নকল ভ্যাকসিনের বিষয়টি জানার পর এর প্রতিক্রিয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ভুক্তভোগীরা। অথচ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এমন প্রতারণার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ। কেউ কেউ বলছেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীলদের ম্যানেজ না করে এমন কর্মকাণ্ড চলতে পারে না।

হেপাটাইটিস-বি ভ্যাকসিন একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে দেহে পুশ করার পর তা মানবদেহে ইমিউনিটি তৈরি করে। এক ভ্যাকসিন খুলে ১০টি ভ্যাকসিন বানালে এর কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। এছাড়া ভ্যাকসিনের অ্যাম্পল খুলে অন্য অ্যাম্পলে প্রবেশ করানোর সময় নতুন করে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা সংস্থার উপদেষ্টা মোশতাক হোসেন বলেন, দেশে নকল ও ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে আইন রয়েছে। এটি বাস্তবায়নে কাজ করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তাদের সহযোগিতা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মাঝেমধ্যে বাজার থেকে ওষুধ নিয়ে সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা দরকার তা ঠিক আছে কিনা। তবে জনবল সংকটের কারণে অনেক সময় করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস পাচ্ছে।

তেজগাঁও গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. গোলাম সবুর জানিয়েছেন, চক্রের সদস্যরা ভ্যাকসিনগুলো বিক্রি করে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এমন তিনটি প্রতিষ্ঠানের নাম গ্রেপ্তারের ব্যক্তিরা প্রকাশ করেছে।

যেভাবে তৈরি হয় নকল ভ্যাকসিন : ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বৃহস্পতিবার তাঁর কার্যালয়ে প্রতারক চক্রের ব্যাপারে সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, হেপাটাইটিস-বির ভ্যাকসিন জেনেভ্যাকুবি আমদানি করা নিষিদ্ধ। সেটিই ফজর আলী নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করত সাইফুল ইসলাম শিপন। সেগুলো রাজধানীর দক্ষিণখানে নিজের বাড়িতে মজুত করত, পরে তা পাঠিয়ে দিত কেরানীগঞ্জে তার সহযোগী হিমেলের কারখানায়। সেখানে থাকা মেশিনের সাহায্যে ভ্যাকসিনের অ্যাম্পুল খুলে ১ মিলিলিটার করে নকল অ্যাম্পুলে ভরা হতো। এটি বাজারজাত করা হতো জরায়ু ক্যান্সারের ভ্যাকসিন সারভারিক্স হিসেবে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শিপনসহ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবির তেজগাঁও বিভাগ। অন্য চারজন হলো ফয়সাল আহমেদ, আল আমিন, নুরুজ্জামান সাগর ও আতিকুল ইসলাম। তারা প্রচারণা চালিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ওষুধ ব্যবসায়ীর কাছে এই ভ্যাকসিন বিক্রি করে।

তিনি জানান, অভিযানে ১২ বাক্সে মোট ১২০টি জেনেভ্যাকুবি ভ্যাকসিন জব্দ করা হয়। এর বাজারমূল্য ১ লাখ ৯ হাজার ৫৪৮ টাকা। এগুলো দিয়ে অবৈধ উপায়ে ১ হাজার ২০০টি সারভারিক্স ভ্যাকসিন তৈরি করা হতো। সেগুলো বিক্রি হতো ৩০ লাখ টাকায়। এর পাশাপাশি জেনেভ্যাক দিয়ে তৈরি ১ হাজার ২৫টি নকল সারভারিক্স ভ্যাকসিনও জব্দ করা হয়েছে। সেগুলোর বাজারমূল্য ২৫ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়াও অভিযানে পাওয়া গেছে ভ্যাকসিনের অ্যাম্পুল তৈরির মেশিন, অ্যাম্পুলের লেবেল ৫০ পাতা (প্রতি পাতায় ৪৫টি লেবেল), ১০০টি খালি অ্যাম্পুল, অ্যাম্পুলের ৫০০টি ছিপিসহ অন্য সরঞ্জাম।

ডিবির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার গোলাম সবুর বলেন, কয়েক দিন আগে বনশ্রীতে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এক নারীর শরীর ফুলে যায়। এতে সন্দেহ হলে তিনি প্রতিবেশীদের নিয়ে ভ্যাকসিন দিতে যাওয়া লোকদের আটক করেন। শেষ পর্যন্ত তারা কৌশলে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনার অনুসন্ধান করতে গিয়েই এ চক্রের খোঁজ পাওয়া যায়। গ্রেপ্তাররা মূলত প্রতারক। তাদের মধ্যে শিপন টিকাদান কর্মসূচির কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার কাছ থেকে ভ্যাকসিন নিতে অনুরোধ জানাত। এ ছাড়া শিক্ষপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে এবং মাইকিং করেও প্রচারণা চালানো হতো।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক আইয়ুব হোসেন বলেন, নকল ও ভেজাল ওষুধ বাজারজাত বন্ধে নিয়মিত আমাদের অভিযান চলে। এ ছাড়া এটি নিয়ন্ত্রণে র‍্যাব-পুলিশ আমাদের মাঝেমধ্যে সহযোগিতা করে। নতুন যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের সঙ্গে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা আমার জানা নেই।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির বলেন, নকল টিকা আমদানি ও সরবরাহকারী কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে এটি গণমাধ্যমে এসেছে। তাদের সঙ্গে হয়তো কেনো ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি জড়িত থাকতে পারে।

প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ৫ লাখ ৭০ হাজার নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে মৃত্যু হয় অন্তত ৩ লাখ ১০ হাজার নারীর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় উঠে আসে, বাংলাদেশে বছরে প্রায় ১৮ হাজার নারী নতুন করে জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর প্রতিবছর ১২ হাজার নারীর মারা যাচ্ছেন।


আরও খবর



জাপানে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জাপানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বনিন দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৫ ছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস। তবে এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০৩ দশমিক ২ কিলোমিটার (৩১২.৭ মাইল) গভীরে। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল রাজধানী টোকিও থেকে ৮৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণের পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায়।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র বলেছে, জাপানে আঘাত হানা ভূমিকম্পের কারণে সুনামির কোনো শঙ্কা নেই। জাপানের ভূমিকম্প কেন্দ্র বলেছে, বনিনে আঘাত হানা ভূমিকম্পের ফলে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করার প্রয়োজন হয়নি।

এর আগে ২২ এপ্রিল এক রাতে ৮০ বারেরও বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয় জাপানের প্রতিবেশী তাইওয়ান। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। তার আগে ৩ এপ্রিল তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে ১৪ জন নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর স্বশাসিত দ্বীপ অঞ্চলটিতে এক হাজারের মতো আফটারশকের ঘটনা ঘটেছে।

তাইওয়ানের মতো জাপানও একটি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। ২০২২ সালের পহেলা জানুয়ারি দেশটিতে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে দেশটির শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।


আরও খবর



ফায়ার সার্ভিস সদর দফতর পরিদর্শন করলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর সদর দফতর পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ১২টায় ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতরে পৌঁছালে অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল ফুলেল শুভেচ্ছায় তাকে স্বাগত জানান।

এরপর প্রতিমন্ত্রীকে একদল চৌকস অগ্নিসেনা সশ্রদ্ধ অভিবাদন জ্ঞাপন করেন।

এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, ফায়ার সার্ভিস-এর পরিচালকগণ, উপপরিচালকগণসহ ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

অভিবাদন গ্রহণ শেষে তিনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার সাজ-সরঞ্জাম ও গাড়ি-পাম্প পরিদর্শন করেন। এ সময় আগ্রহ সহকারে বিভিন্ন সরঞ্জামের কার্যপরিধি ও সুবিধাসমূহের বর্ণনা শোনেন। এরপর তিনি অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের ওপর ঢাকা বিভাগ আয়োজিত মহড়া প্রদর্শনী উপভোগ করেন।

মহড়া শেষে অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রমের ওপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। প্রেজেন্টেশনটি উপস্থাপন করেন পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম, পিএসসি।

এরপর অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রতিমন্ত্রীকে অধিদফতরের সাম্প্রতিক সময়ে পেশাগত বিষয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন বই প্রদর্শন করেন। এসময় তিনি অধিদফতরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষ থেকে প্রতিমন্ত্রীর হাতে স্মৃতির নিদর্শন হিসেবে শুভেচ্ছা ক্রেস্ট হস্তান্তর করেন।

কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কাল প্রতিমন্ত্রী অধিদফতরের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রেজেন্টেশনে উপস্থাপিত বিষয়ে অধিদফতরের প্রত্যাশা পূরণে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে সকলকে আশ্বস্ত করেন।

প্রতিমন্ত্রী সদর দফতর পরিদর্শনে ফায়ার সার্ভিসের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অণুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত হয়েছেন বলে তারা অভিমত প্রকাশ করেন।

এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক, উপপরিচালকসহ ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোট শেষ হয়েছে। এবার সবার নজরে দ্বিতীয় দফার ভোট। আর তার আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রচার প্রচারণার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ এসেছিলেন পশ্চিম বঙ্গে।

এদিন রাজ্যের বিভিন্ন স্থান চষিয়ে বেরোনোর পর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এক সভাতে ভাষণ দেন অমিত শাহ। ভাষণে উঠে আসে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া শরণার্থীদের নাগরিকত্ব বিষয়টি।

দিনাজপুরের ভাষণে অমিত শাহ এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবার আমরা এই বাংলা থেকে কাটমানির কালচার বন্ধ করে দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়বো। সিএএ কার্যকর হবে। সিএএ ও এনআরসি বন্ধ করতে পারবে না মমতাদি।’

অমিত শাহ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে চাইছেন না। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে চাইছেন না। আমি কথা দিচ্ছি, সব হিন্দু শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।’

সামনেই লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা। ভোটের প্রচারে এসে ফের টার্গেটের কথা শোনালেন তিনি। পশ্চিম বঙ্গে বিজেপির লক্ষ্যমাত্রা ৪২টি সিটের মধ্যে তিরিশটির বেশি আসন জয়।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোদিজি সারাদেশের গরিব মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ১২ কোটির বেশি শৌচালয় বানানো হয়েছে। ৪ কোটির বেশি মানুষ নিজের বাড়ি পেয়েছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প এখানে আসতে দেন না।’

পশ্চিম বাংলার মা-বোনরা বিজেপির হাতে সুরক্ষিত থাকবেন বলে আশা করেন অমিত শাহ। দুর্নীতি ইস্যুতেও ফের একবার শাহের মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গ। বলেন, তৃণমূলের এক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে ৫১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। তৃণমূলের যে নেতারা দশ বছর আগে ঝুপড়ি থাকত, সাইকেলে ঘুরত, তাদের এখন চারতলা বাড়ি।’

শেষে পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে চাইলেন ভোটের প্রতিশ্রুতি। এদিকে ঠিক একদিন আগেই করণদিঘিতে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও খবর



বিএনপি রাজনীতি করছে পরিবর্তনের জন্য: মঈন খান

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে চাইলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপি রাজনীতি করছে পরিবর্তনের জন্য। শনিবার (৪ মে) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ১৫ বছরের একদলীয় শাসন, বাকশালের কারণে দেশের মানুষ আজ নির্যাতিত। তাদের মানবাধিকার, ভোটের অধিকার নেই। দেশে একদলীয় শাসন চলতে পারে না। কারণ এই শাসনে জনগণ বিশ্বাস করে না। দেশের মানুষ অর্থনৈতিক সাম্য ফিরে পেতে চায় কিন্তু সরকার মুষ্টিমেয় কয়েকজনের হতে সব সম্পদ কুক্ষিগত করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে জনগণ কিছু বলেনি। জনগণ যা বলার সরাসরি বলছে। তাহলে ষড়যন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে কেন? সরকার কি জনগণকে ভয় পায়? ডান বাম সবাই বলছে সরকার এদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড রিয়াজ উদ্দিন খান নসু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, ওলামা দলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজা, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা আবুল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা ক্বারী গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেইনসহ সাবেক কমিটির শতাধিক নেতাকর্মী।


আরও খবর



অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কলেজ বন্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) জানিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর।

এতে বলা হয়, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এর আগে শনিবার দুপুরে চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে খুলবে স্কুল-কলেজ।

এর আগে তীব্র গরমের কারণে সাত দিন মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের ছুটি ঘোষণা করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মাউশির পক্ষ থেকে বলা হয়, সারাদেশের ওপর দিয়ে চলমান দাবদাহ ও আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা জারির প্রেক্ষিতে মাউশি অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল থেকে খোলার কথা ছিল।

দাবদাহের কারণে তিন দিন হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ শনিবার থেকে তাপমাত্রা বেশি থাকবে। এ সময় সবাইকে গরম থেকে বাঁচতে সতর্কতার সঙ্গে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪