![Image](https://cdn.ajkerdarpon.com/images/e7b618608892ae94e366fb6c18c55877.jpeg)
কোলেস্টেরলের
সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। ওষুধ খেয়ে তাকে সামলানো যায় বটে। কিন্তু সে ওষুধ সকলের সহ্য হয়
না। ক্লান্তি বেড়ে যায়৷ আবার ওষুধ না খেলেও নয়। কারণ একে বাড়তে দিলে হৃদ্রোগের আশঙ্কাও
বেড়ে যায়৷ এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে খাদ্যাভাসে নিয়ন্ত্রণ আনা ভীষণ জরুরি।
অফিসে কাজের মাঝে
ক্লান্তি কাটাতে অনেকেই কড়া কফি খেতে পছন্দ করেন। দুধ ছাড়া এই কালো কফি খেলেই নাকি
শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে! ‘বিএমজে ওপেন হার্ট’ নামক এক জার্নালে প্রকাশিত এক সমীক্ষা
অনুযায়ী, অত্যধিক মাত্রায় কালো কফি খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি
থাকে। তবে মহিলাদের তুলনায় ছেলেদের এই ঝুঁকি বেশি। কফিতে এমন কিছু যৌগ থাকে, যা শরীরে
খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আপনার যদি আগে থেকেই উচ্চ কোলেস্টেরল থাকে,
সে ক্ষেত্রে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও অনেকটা বেড়ে যায়।
বিভিন্ন ধরনের
কফি শরীরের উপর কেমন প্রভাব ফেলছে, তা নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। প্রায় ২১,০০০ নরওয়েবাসী,
যাঁরা ভিন্ন রকমের কফি খান, তাঁদের নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকেরই
বয়স চল্লিশের বেশি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অন্যান্য যে সকল পুরুষ দিনে তিন থেকে পাঁচ
কাপ ‘এক্সপ্রেসো’ কফি খান, তাঁদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা
বেড়েছে। মহিলাদের শরীরে ‘এক্সপ্রেসো’ কফির তেমন প্রভাব পাওয়া যায়নি। গবেষণায়
দেখা গিয়েছে, যে সকল মহিলা দিনে ছ’কাপের বেশি ‘ফিল্টার্ড’ কফি খান, তাঁদের আবার পুরুষদের তুলনায়
বেশি কোলেস্টেরল ধরা পড়েছে।
অনেকেই চায়ের
তুলনায় কফি খেতে পছন্দ করেন। দুধ-চিনি ছাড়া কফি খাওয়ার স্বাস্থ্যগুণও আছে। তবে চা-কফি
খাওয়াই হোক কিংবা মদ্যপান, কোনওটিই অধিক ভাল নয়। দিনে দুই থেকে তিন কাপ কফি খাওয়া যেতে
পারে। তার বেশি নয় বলেই পরামর্শ গবেষকদের।