আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ অপরিহার্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুর্নীতি দমন কমিশনের ৭০জন উপসহকারী পরিচালক ও কোর্ট পরিদর্শক গতকাল সোমবার জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এ উপলক্ষ্যে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, লাগামহীন কার্বন নিঃসরণ এর জন্য পরিবেশ দূষণ কার্যতঃ একটি অপরাধ, যা মোকাবেলায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ অপরিহার্য। পরিবেশ আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। অবৈধ ইটভাটা এবং স্টিল মিল ও রিরোলিং মিল থেকে যে হারে কার্বন নিঃসরণ হয়, তা পরিবেশকে বিপর্যস্ত করছে। এক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক সেন্সর ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণের উৎস সনাক্তকরণ, বায়ুমান নির্ধারণ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার বিজ্ঞান সম্মত উপায় অবলম্বন করতে হবে। হাজার হাজার কলকারখানা কিংবা ইটভাটা পরিবেশ অধিদপ্তরের সীমিত জনবল দিয়ে মনিটরিং ও দূষণ  নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত দুরূহ। এক্ষেত্রে অবশ্যই রোবট বা ড্রোন ব্যবহার করে এসব অপরাধ সনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ কার্যক্রমে পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে দুদক সহযোগী শক্তি হয়ে কাজ করতে পারে।

২০১৮ ও ২০১৯ সালে দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, সে সময়ে দুদকের আইনী ক্ষমতাকে পরিবেশ অপরাধ বন্ধে এবং পরিবেশ অপরাধ থেকে অবৈধভাবে উপার্জিত আয়ে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এমনকি পঞ্চগড় জেলা থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের সনাক্ত করে পাথর উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছিল। পরিবেশ দূষণ থেকে যারা অনৈতিকভাবে আয় বা মুনাফা অর্জন করছে, তা নিঃসন্দেহে দুর্নীতির আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দুদকের কোর্ট পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম, এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন কোর্ট পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেদওয়ান উল্লাহ। কর্মসূচীতে প্রশিক্ষনার্থীদের বিজ্ঞান জাদুঘরের পক্ষ থেকে স্মারক উপহার প্রদান করা হয়।


আরও খবর



আমদানির খবরে হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে এক দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ হিলির খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। যা গতকালকে বিক্রি হয়েছিল ৭০ টাকায়। ভারত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে যার ফলে মোকামে কমেছে দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।

রোববার (৫ মে) দুপুরে হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আবু মুসা বলেন, গতকাল পেঁয়াজ কিনলাম এক কেজি, দাম ছিল ৭০ টাকা। আর সেই পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা কেজি। ভারত সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে যার ফলে হিলির খুচরা বাজারে কমেছে দাম। আমদানির খবরে দাম কমেছে এইটা কেমন কথা? তার মানে দেশের কৃষক, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি করেছে এটাই তার প্রমাণ। এসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

হিলির পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে হিলিতে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবুও আগের থেকে ক্রেতা অনেক কম। কারণ, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে আরও দাম কমে যাবে।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে লবণ বোঝাই ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূলে লবণবাহী ট্রলার ডুবে অর্ধশতাধিক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮ টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে লবণ বুঝাই ১৫ থেকে ২০টি ট্রলার আনোয়ারা উপকূলে সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ ৩৪ জনকে উদ্ধার করলেও বাকিদের উদ্ধারে কাজ করছে নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড।

উদ্ধার মাঝি মাল্লাদের মধ্যে ১৩ জনের নাম পাওয়া যায়, তারা হল কুতুবদিয়া উপজেলার তৌফিক এলাহী ট্রলারের মাঝি মো: মানিক, নূরুল আমিন, মো আনিস, বাঁশখালী উপজেলার আল্লার দান ট্রলারের মাঝি মো:জিয়া, মো আলী, মো মানিক, মো. সোহেল, মো. মনছুর, জাবেদ আহমদ, "বার আউলিয়া ট্রলার'র মাঝি মো. ফারুক, বদি আলম, আবু হানিফ ও আবু তৈয়ব। নিখোঁজ মাঝি মাল্লাদের উদ্ধারে কাজ করছে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সাঙ্গু স্টেশন।

নিখোঁজ বার আউলিয়া ট্রলারের মালিক কুতুবদিয়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, আমার ট্রলারটি লবণ নিয়ে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম নগরীর দিকে যাচ্ছিল। একই সাথে কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে আরো ১৫-২০টি লবণবাহী ট্রলার গহিরার বারআউলিয়া উপকূলে সাগরে ডুবে যায়। তবে আনার ট্রলারের মাঝি মাল্লাদের উদ্ধার করা হয়। আমার ডুবে যাওয়া ট্রলারের মূল্য ২০ লাখ টাকা।

গহিরা বার আউলিয়া নৌ পুলিশের ইনচার্জ টিটু দত্ত বলেন, আনোয়ারা উপকূলে বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবির খবর পেয়েছি। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ অন্তত ৩০ জনকে উদ্ধার করলেও এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।


আরও খবর



তুচ্ছ ঘটনায় মেস ম্যানেজারের সাথে ইবি শিক্ষার্থীদের মারামারি, আহত ৭

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ইবি প্রতিনিধি

Image

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এক মেস ম্যানেজারের সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার সন্ধ্যারাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল সংলগ্ন নুর জাহান মহিলা ছাত্রীনিবাসে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৭জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, নুর জাহান মহিলা ছাত্রীনিবাসে থাকা শিক্ষার্থী ফারিয়া খাতুনের বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের বিষয়কে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। মেস ম্যানেজার বকেয়া টাকাকে কেন্দ্র করে ফারিয়ার সাথে বাজে আচরণ করলে, মেয়েটি তার বন্ধু একই বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী আবু হানিফ পিয়াসকে বিষয়টি জানান। এ বিষয়ে পিয়াসের (মেয়েটির বন্ধু) সাথে মেস ম্যানেজারের কথা কাটাকাটি হয়। পরে পিয়াস তার বন্ধুদের নিয়ে পূণর্বার মেসে গেলে ঝামেলা ও ম্যানেজারকে মারধর করার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হলে দুই পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়।

এতে আহতরা হলেন আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের আবু হানিফ পিয়াস, সমাজকল্যাণ বিভাগের সাকিব আহমেদ, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের নাইম রেজা ও ইংরেজি বিভাগের হৃদয় আবির। তারা সকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। আহত অন্যরা হলেন- মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস, স্থানীয় বাসিন্দা আশিক হোসেনসহ এক বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক।

ফারিহা খাতুন জানান, বিদ্যুৎ বিল চাওয়া নিয়ে মেস ম্যানেজার আমার সঙ্গে বাজে আচরণ করে। গতকাল সন্ধ্যায় ম্যানেজারকে বিদ্যুৎ বিল দিতে গেলে তিনি আমাকে বাজে ইঙ্গিত দেন। টাকা নেওয়ার সময় ম্যানেজার আমাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করেন। আমি ৫০০ টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ বিলের ৪১৫ টাকা কেটে নিতে বলি। কিন্তু তিনি বাজে ইঙ্গিত করায় আমি টাকাটা ছুড়ে দিলে তিনি আমার বাসার নাম্বার চান এবং বলেন, বেয়াদব মেয়ে। তুমি আজকেই মেস ছেড়ে দিবে। পরে আমি আমার বিভাগের বন্ধুকে (আবু হানিফ পিয়াস) বিষয়টি জানাই। পরে সে আমার বিষয়ে কথা বলতে গেলে ম্যানেজার ও নিরাপত্তাকর্মী তার সঙ্গেও বাজে আচরণ করে। পরে সে তার কিছু বন্ধুদের নিয়ে আবারও ম্যানেজারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে ম্যানেজার তাকে (আবু হানিফ পিয়াস) জামার কলার ধরে বের করে দেয়। তখন হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

তবে মেয়েটি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানান, এ বিষয়ে তাদের ডাকা ঠিক হয়নি। বিষয়টির জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করবো।

মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস জানান, গত জানুয়ারি মাসে ওই মেয়ে মেসে উঠে। এরপর সে এতদিন থেকেছে কিন্তু কোন বিদ্যুৎ বিল দেয়নি। তার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় এক হাজার টাকা। আমি কয়েকবার বিল চাইতে গেলে সে বিভিন্নরকম বাহানা দিতে থাকে। সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে, আমি তার সঙ্গে কোন বাজে আচরণ করিনি। তাকে থাপ্পড় মারার কথাও বলিনি বরং ওই মেয়ে জোরে কথা বলে এমনকি দেখে নেওয়ারও হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় মাতব্বর রেজাউল করিম খান বলেন, "মেসের মধ্যে কোন ঝামেলা হলে বা ম্যানেজারের বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ থাকে তা মেসের মালিককে জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। কিন্তু ওই মেয়েটা তা না করে বন্ধুদের দিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড বাঁধিয়েছে, যেটা ঠিক হয়নি। স্থানীয়দের উপর মারধর করা হলে তারা তো বসে থাকবে না। স্থানীয়দের সঙ্গে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের ঝামেলা হোক আমরা চাইনা। যেসব শিক্ষার্থীরা আজকে ঝামেলা করেছে তাদেরকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফারিয়ার বন্ধু আবু হানিফ পিয়াস বলেন, মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস প্রায় সময়ই আমাদের বান্ধবীদের সাথে বাজে ব্যবহার করে। এছাড়াও মেসের অন্যান্য মেয়েদের সাথেও প্রায় সময়ই খারাপ আচরণ করে। আজকেও আমার বান্ধবীর সাথে খারাপ আচরণ করলে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করতে যাই। তখন তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিবেক আমার বন্ধু নাইমকে চড় মারে। পরে আমরা উত্তেজিত হয়ে পড়ি। এসময় স্থানীয় লোকজন এসে আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমরা ৪ বন্ধু আহত হই। পরে আমরা সেখান থেকে কেটে পরি।

এই বিষয়ে শৈলকূপা থানাধীন রামচন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শোনার পরপরই আমরা এখানে এসেছি। উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। তবে কেউ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানালে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




চকরিয়ায় মহাসড়কে গণডাকাতি, গুলি বিনিময়, পুলিশসহ গুলিবিদ্ধ ২

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রিদুয়ানুল হক, চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার)

Image

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ব্যারিকেড দিয়ে গণপরিবহনে ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোররাত ৪টায় মহাসড়কের বরইতলী আলমনগর রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসা ড্রামট্রাকের মালিক ডাকাতের গুলিতে আহত হন। পরে পুলিশ-ডাকাত গুলিবিনিময় হলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতদের ফেলে যাওয়া একটি কাটা বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। পিটুনিতে আহত হয় প্রবাসীসহ পাঁচজন।

ডাকাতির খবর পেয়ে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ডিউটিরত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে বলে জানা যায়। এসময় হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত এএসআই সোলায়মান খাঁন ও স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন ড্রামট্রাকের মালিক আব্দুল খালেক পুতু (৩০), ডাকাতের পিটুনিতে আহত হয়- প্রবাসী রফিক উদ্দিন বাবুল, তার স্ত্রী মোশারফা বেগম, শাশুড়ি শাহেনা বেগম, শ্যালক জুলফিকার আলি ভুট্টো ও অটোচালক এহসান।

প্রবাসী পরিবার ও সিএনজির যাত্রী জুলফিকার আলী অভিযোগ করে বলেন, ডাকাতের কবল থেকে উদ্ধার করার জন্য চিৎকার দিলে ৩০০ গজ অদুরে থাকা হাইওয়ে থানার পুলিশ এগিয়ে আসেনি।

ডাকাতির শিকার ভুট্টো আরও বলেন, দীর্ঘ এক ঘণ্টার পর চকরিয়া থানাধীন হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আইসি জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে আসে। হারবাং আইসি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, মহাসড়কের ডাকাতি রোধে হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্ব রয়েছে। তারা দায়িত্ব পালন না করে অন্য কাজে ব্যস্ত তাকে, অন্য কি কাজ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই জানে আমাকে কে প্রশ্ন করছেন। কিন্তু ডাকাতি সময় কিছু অদূরে হাইওয়ে থানার পুলিশ থাকলেও তারা এগিয়ে আসেনি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ডাকতের কবল থেকে প্রাবাসী পরিবার ও যাত্রীবাহী বাস উদ্ধার করে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত ১৫ বছরের মহাসড়কে এমন ডাকাতি ঘটনা ঘটেনি।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী নাদিম কাছে মহাসড়কের ডাকাতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার জানার পর সাথে সাথে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করি। ডাকাতের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



কুষ্টিয়ায় জাল ভোটের চেষ্টা, কাউন্সিলরসহ আটক ৩

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

Image

কুষ্টিয়া জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টাকালে এক কাউন্সিলরসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে পুলিশ তাদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে হস্তান্তর করেছে। গ্রেফতার কাউন্সিলরের নাম মীর রেজাউল ইসলাম বাবু।

তিনি কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে তাকে কুষ্টিয়া শহরের চৌরহাস কেন্দ্র থেকে আটক করা হয়।

কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা জানান, দুপুরে তাকে কুষ্টিয়া শহরের চৌরহাস কেন্দ্র থেকে আটক করা হয়।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, জাল ভোট ও বিশৃঙ্খলার চেষ্টাকালে কুষ্টিয়ার বাড়াদি কেন্দ্র থেকে আরও দুজনকে আটক করা হয়। তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর