আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

কাতার বিশ্বকাপ: ৩ বছর কোনো ছুটিই পাননি বাংলাদেশি শ্রমিক

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ উপলক্ষে বিলাসবহুল সব স্টেডিয়াম তৈরি করেছে কাতার। কিন্তু সম্প্রতি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের করা এক প্রতিবেদনে উঠে আসে শ্রমিকদের ত্যাগের গল্প। বিশ্বকাপের আলোর নিচে চাপা পড়ে থাকা অনেক গল্প উঠে আসে অন্ধকার থেকে; সেখানে জানা যায় এমন বাংলাদেশি শ্রমিকদের কথা যারা প্রতিদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা কাজ করার সাথে ৩ বছর ধরে কোনো সাপ্তাহিক ছুটি পাননি।

ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ উপলক্ষে কাতারের বিলাসবহুল স্টেডিয়ামগুলো পৌঁছেছে প্রশংসার চরম শিখরে। কিন্তু হাজারো ত্যাগের গল্পে দাঁড়িয়ে আছে এই অপূর্ব নির্মাণগুলো। সম্প্রতি বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের করা এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কাতার বিশ্বকাপকে ঘিরে কাজ করা শ্রমিকদের জীবন যাপন ও আত্মত্যাগের গল্প।

একজন কাতার অভিবাসী শ্রমিক নিজের প্রথম বছর বর্ণনা করতে গিয়ে জানান, সেখানে যোগ্যরাই টিকে থাকে। ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ কাতারে আয়োজনের শুরু থেকেই ইউরোপীয় অঞ্চলে চলে এ নিয়ে নানা সমালোচনা। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে অবশেষে কাতারেই গড়াচ্ছে ২০২২ বিশ্বকাপ আসর। সে জন্য বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক সরবরাহ করে দেশটিতে। কিন্তু শ্রম আইনের কোনো চুক্তি ছাড়াই নিয়োগ পায় প্রবাসীরা।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে জানা যায়, সেখানে শ্রমিকরা দিনে প্রায় ১২ ঘণ্টার উপরে কাজ করেন এবং তারা পান না কোনো সাপ্তাহিক ছুটি। এমন শ্রমিকও আছেন যারা ৩ বছর ধরে কোনো ছুটি কাটাননি। যারা জোরপূর্বক ছুটি কাটিয়েছেন তাদের জন্য পরবর্তীতে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সাথে কেটে নেয়া হয়েছে তাদের বেতন।

গত বছর দ্য গার্ডিয়ানের করা এক প্রতিবেদনে এটিকে আধুনিক দাসত্ব’ বলে আখ্যা দেয়া হয়। সেই সাথে প্রতিবেদনটিতে জানা যায়, বিশ্বকাপের স্বত্ব পাওয়ার পর থেকে কাতারে সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি শ্রমিক মারা যান। এর বেশিরভাগই ছিল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার। ধারণা করা হচ্ছে, মৃত্যুর আসল সংখ্যাটা এর চেয়েও বেশি।

পৃথিবীতে বর্তমান উৎকর্ষের পেছনে অনেকটা আড়াল হয়েই রয়ে যায় শত সহস্র ত্যাগের গল্প। হাজারো এই ত্যাগ গুলো হয়তো সহজেই মিশে যাবে তারকাখচিত মাঠে ও সমর্থকদের আনন্দের চিৎকারে।


আরও খবর



ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান, নিষিদ্ধ হংকং-সিঙ্গাপুরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ক্যানসার সৃষ্টিকারী ইথিলিন অক্সাইডের উচ্চ-মাত্রার উপস্থিতি মেলায় ভারতীয় কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্টের গুঁড়া মসলা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে হংকং ও সিঙ্গাপুর।

এ ঘটনার পর ভারতের মশলা রফতানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রতিষ্ঠান দুইটিতে তাদের মশলার গুণগত মান যাচাইয়ের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে। ভারতে এ দুই কোম্পানির গুঁড়া মশলা ব্যাপক জনপ্রিয় এবং ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আমেরিকাতেও রফতানি করা হয়।

এমডিএইচ-এর মাদ্রাজ কারি পাউডার, সম্বার মসলা ও কারি পাউডার মসলা ও এভারেস্ট ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডের ফিশ কারি মসলা, মোট এই চারটি প্রোডাক্টকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এই সমস্যা।

ইথিলিন অক্সাইড একটি গন্ধহীন রাসায়নিক। অত্যধিক পরিমাণে থাকলে তা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

হংকং ও সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভারতীয় ওই দুই কোম্পানির গুঁড়া মসলায় উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড রয়েছে। যা মানুষের খাওয়ার জন্য অনুপযোগী। আর দীর্ঘ সময় ধরে ইথিলিন অক্সাইডের ব্যবহারে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

ভারতের মশলার বাজারের অন্যতম বৃহৎ দুই কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসেস। দেশটির বাজার গবেষণা সংস্থা জিওন মার্কেট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে এই দুই কোম্পানি ১০ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মশলা বিক্রি করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটি ২০২২-২৩ সালে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মশলা রফতানি করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের মশলা বোর্ড।


আরও খবর



বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটির সভাপতি নিযুক্ত হলেন ড. শৌকত আকবর

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং এনপিসিবিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর গত শনিবার বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটির বার্ষিক সাধারণ সভায় সোসাইটির সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ড. আকবরকে পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটির ফেলো হিসাবেও ভূষিত করা হয়েছে। বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. শৌকত আকবর ১৯৬৬ সালে কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি জাপানের হোক্কাইডো ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ড. আকবর ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে কমিশনে একজন বিজ্ঞানী হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।


আরও খবর



বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজনীতি ডেস্ক

Image

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সারাদেশে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির ৭৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে এসব নেতাদের নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে ২৮ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং ২১ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আসন্ন প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।


আরও খবর



মুন্সিগঞ্জে লরিচাপায় এক পরিবারের ৩ জন নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরিচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

শুক্রবার (৩ মে) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আলমগীর (৫৫), জহির (৩০) ও রাহেলা বেগম (৫০)। তাদের সবার বাড়ি চাঁদপুরে। দুর্ঘটনায় আহত ২ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



জয়পুরহাটের এক মাদ্রাসার সবাই ফেল!

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে এবারের দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ২১ জন পরীক্ষার্থী। তাদের একজনও পাশ করতে পারেননি।

রবিবার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে আক্কেলপুর উপজেলার এই মাদ্রাসার ফল প্রকাশের পর বিষয়টি জানা গেছে।

ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মাদ্রাসা থেকে এবার বিজ্ঞান বিভাগে ১১, সাধারণ বিভাগে ১০ জনসহ মোট ২১ জন পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ফল প্রকাশের পর দেখা যায় ওই প্রতিষ্ঠানের সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। এছাড়াও একই উপজেলার কয়াশোবলা দাখিল মাদ্রাসার ২০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছেন মাত্র একজন।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের দাখিল পরীক্ষায় উপজেলার নয়টি মাদ্রাসা থেকে মোট ২০৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। এর মধ্যে ৪১ জন কৃতকার্য হয়েছেন। বাকি সবাই অকৃতকার্য। মাদ্রাসা থেকে এ উপজেলায় পাসের হার ২০.০১%।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ ও ম মোবারক আলী বলেন, মাদ্রাসার সবাই ফেল করায় আমি বিস্মিত। কীভাবে এই বিপর্যয় ঘটল বুঝতে পারছি না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাবেদ ইকবাল হাসান বলেন, আক্কেলপুর সিনিয়র মাদ্রাসায় ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে। কেউ কৃতকার্য না হওয়ায় তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। জবাব পাওয়ার পর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম বলেন, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।


আরও খবর