আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

কবিতার বরপুত্রের প্রয়াণবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৭ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আধুনিক বাংলা কবিতার এক অনন্য কবি শামসুর রাহমান। কাব্য রচনায় সৃষ্টিশীলতা ও মননের দ্যুতিময় উপস্থাপনা তাকে দিয়েছে কবিতার বরপুত্রের উপাধি। ছন্দোময় ও শিল্পিত শব্দের প্রক্ষেপণে কবিতার চরণে চরণে বলেছেন দেশ, মাটি ও মানুষের কথা। পরাধীনতার শৃঙ্খল পেরিয়ে বাঙালির স্বাধীনতার কথাও বলেছেন কবিতার ভাষায়। নাগরিক এই কবি আমৃত্যু স্বদেশ ও শেকড়ের প্রতি ছিলেন দায়বদ্ধ। পাশাপাশি সমকালীনতা ধারণ করে সারাজীবন অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত সমাজের কথা বলেছেন কাব্যের ছন্দে। আজ কবির ১৭তম প্রয়াণবার্ষিকী। ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।

কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি। একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতা করবেন কবি অসীম সাহা। স্বাগত বক্তব্য দেবেন একাডেমির মহাপরিচালক  কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। সভাপতিত্ব করবেন সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন বাংলা একাডেমি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. হাসান কবীর।

১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর তিলোত্তমা শহর ঢাকার মাহুতটুলিতে জন্মেছিলেন কবি শামসুর রাহমান। জন্ম ও মৃত্যুর মাঝের ৭৭ বছরের বর্ণময় জীবনের বড় অংশজুড়েই নিমগ্ন থেকেছেন কবিতা সৃজনের মোহ ও অনুরাগে। পুরান ঢাকায় বেড়ে ওঠায় নগর জীবনের নানা অনুষঙ্গ ও প্রকরণ উদ্ভাসিত হয়েছে এ নাগরিক কবিতার কবিতায়। জীবনানন্দ পরবর্তী বাংলা কবিতাকে আধুনিকতার পথে ধাবিত করায় তাঁর ভূমিকাটি একেবারেই স্বতন্ত্র। বিশ শতকের তিরিশের দশকের পাঁচ মহান কবির পর তিনিই আধুনিক বাংলা কবিতার প্রধান পুরুষ হিসেবে প্রসিদ্ধ।

ষাটের দশকে গোড়ার দিকেই কবি প্রতিভার বিচ্ছুরণে আলোকিত করেন সাহিত্যের ভুবন। সূচনাটা অস্তিত্ববাদী ইউরোপীয় আধুনিকতায় ধাবিত হলেও একটা সময়ে দেশজ সুর ও ঐতিহ্যকে কবিতায় ধারণ করেছেন নিবিড় মমতায়। সমকালীন ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে চিরকালীনতার অনুভূতির প্রকাশ ঘটিয়েছেন কবিতার বুননে। সাম্প্রদায়িকতা ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যেমন কবিতার ভাষায় প্রতিবাদ করেছেন, তেমনি মুক্তিযুদ্ধকালে স্বাধীনতার আকাক্সক্ষায় উজ্জীবিত মানুষকে প্রেরণা দিয়েছেন কবিতার সৃষ্টিশীলতায়।  বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর লিখিত তাঁর দুটি কবিতা স্বাধীনতা তুমি ও তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা একইসঙ্গে পাঠক ও বোদ্ধাদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ও সমাদৃত।

১৯৪৯ সালে লেখেন প্রথম কবিতা ১৯৪৯। প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকায়। আর এই শুরুটা ছিল শিল্পবোধসম্পন্ন সংবেদী পাঠকের জন্য লেখা কবিতার সৃষ্টিসম্ভার। পত্রপত্রিকায় লেখা তাঁর চিত্রকল্পময় কবিতার সূত্র ধরে প্রথম গ্রন্থ প্রকাশের আগেই এপার-বাংলার কবিতাপ্রেমীদের নজর কাড়েন শামসুর রাহমান। ১৯৬০ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে। কবির নিমগ্ন অন্তর্গত বোধ ও ভাবনার জগতের অপূর্ব রূপায়ণ ছিল এই কাব্যগ্রন্থ। এ ছাড়াও ষাটের দশকে প্রকাশিত কবির উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো রৌদ্র করোটিতে, বিধ্বস্ত নীলিমা, নিরালোকে দিব্যরথ ও আমি অনাহারী।

অন্তর্মুখী স্বভাবের হলেও রাজনীতির দহন থেকে গা বাঁচিয়ে চলেননি এই কবি। তৎকালীন পাকিস্তান আমলে আইয়ুববিরোধী গণঅভ্যুত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ব ও পরবর্তী বাস্তবতায় অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন কলমকে। রচনা করেছেন অজস্র অনবদ্য কবিতা। তাঁর রচিত বন্দিশিবির থেকে, দুঃসময়ে মুখোমুখি, ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা, উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ কাব্যগ্রন্থগুলোয় তীক্ষ ও প্রবলভাবে বিম্বিত হয়েছে গণমানুষের কণ্ঠস্বরের প্রতিধ্বনি।  স্বৈরশাসক আইয়ুব খানকে বিদ্রুপ করে ১৯৫৮ সালে সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত সমকাল পত্রিকায় লেখেন হাতির শুঁড় নামক কবিতা।

সত্তরের নভেম্বরের ভয়াল জলোচ্ছ্বাসের পর মওলানা ভাসানীর পল্টনের ঐতিহাসিক জনসভার পটভূমিতে রচিত সফেদ পাঞ্জাবি অথবা তারও আগে বর্ণমালা আমার দুঃখিনী বর্ণমালা, একাত্তরের পটভূমিতে তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা, স্বাধীনতা তুমি, গেরিলা, কাঁক ইত্যাদি কবিতাগুলোয় উচ্চারিত হয়েছে এদেশের কোটি মানুষের কণ্ঠধ্বনি। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে জীবন বিসর্জন দেওয়া আসাদকে নিয়ে লিখেছেন আসাদের শার্ট কবিতাটি। বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান যখন কারাগারে তখন তাঁকে উদ্দেশ করে লেখেন অসাধারণ কবিতা টেলেমেকাস

সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লিখেছেন উদ্ভট উটের পিঠে চলছে স্বদেশ ও ইকারুসের আকাশ। যুদ্ধাপরাধীদের উত্থানে ক্ষোভের প্রকাশ ঘটিয়ে লিখেছেন একটি মোনাজাতের খসড়া, ফুঁসে ওঠা ফতোয়ার মতো আলোড়ন সৃষ্টিকারী কবিতা। গণতন্ত্রের জন্য লড়াকু সৈনিক শহীদ নূর হোসেনকে উৎসর্গ করে রচনা করেছেন বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়। এভাবেই নিভৃতচারী ও রোমান্টিক কবি শামসুর রাহমান হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের সমকালের সকল গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার কাব্যভাষ্যকার। একইসঙ্গে কবিতার জমিনে তিনি পরিস্ফুটিত করেছেন চিরকালীন বেদনা, প্রেম, মৃত্যু, ভালোবাসাসহ নানা বিষয়ের শৈল্পিক ব্যঞ্জনা।

নগর জীবনের প্রতি ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে তাঁর কলম থেমে বেরিয়ে এসেছে গদ্যগ্রন্থ স্মৃতির শহর। অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও জনমানুষের প্রতি অপরিসীম দরদ তাঁর চেতনায় প্রবাহিত ছিল। শামসুর রাহমানের বিরুদ্ধে বারবার বিতর্ক তুলেছে কূপমণ্ডূক মৌলবাদীরা। এমনকি তাঁকে হত্যার জন্য শ্যামলীর বাসায় হামলাও করেছে সাম্প্রদায়িক শক্তি। এত কিছুর পরও কবি তাঁর বিশ্বাসে অনড় ছিলেন।

কবিতা ছাড়াও উপন্যাস, ছড়া, প্রবন্ধ লেখার পাশাপাশি অনুবাদেও সিদ্ধহস্ত ছিলেন শামসুর রাহমান। এর বাইরে গীতিকার হিসেবেও তাঁর আরেকটি পরিচয়। সংখ্যাধিক্যে না হলেও শব্দ চয়ন, উপমা ও শব্দের অন্তমিলে ব্যবহারে যা কিনা মানের বিবেচনায় পেয়েছে উৎকর্ষতা। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- আমি প্রতিদিন তোমাকেই দেখি, স্মৃতি ঝলমল সুনীল মাঠের কাছে, ফসলের মাঠে/মেঘনার তীরে, অনেক দিনের মতো এই দিন, এই মাটির কণা, স্বাধীনতা তুমি আছ বলে গোলাপ চামেলি ফোটে, এল নববর্ষ/শুভ নববর্ষ, বৈশাখী দিনে, ধু-ধু পিপাসার ক্ষণে, শূন্যে ডালে হঠাৎ হাওয়ায় লাগল ঝাঁকি, বৈশাখেরই অগ্নিঝালর দহন আনে জুড়ে, কথার ছলেই কথা দিয়েছিলে, মধুময় পৃথিবীকে নীলাকাশ ডাকবে, তোমার হৃদয়ে শ্রাবণের বর্ষণ, মেঘের কিনারে রংধনু জাগে ইত্যাদি।

শামসুর রাহমান রচিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৬৬টি। উপন্যাস লিখেছেন চারটি। একটি করে রয়েছে প্রবন্ধ ও ছড়ার বই। অনুবাদ বইয়ের সংখ্যা ৬টি।

পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে মর্নিং নিউজে সাংবাদিকতার মাধ্যমে পেশাগত জীবনে প্রবেশ ঘটে তাঁর। এরপর ১৯৫৭ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত রেডিও পাকিস্তানের অনুষ্ঠান প্রযোজক ছিলেন। এর মাঝে আবার ফিরে আসেন পুরনো কর্মস্থল দৈনিক মর্নিং নিউজে। সেখানে ১৯৬০ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত সহযোগী সম্পাদেকর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৪ সালে নভেম্বর থেকে শুরু করে সরকারি দৈনিক পাকিস্তানের সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৭-এর জানুয়ারি পর্যন্ত। ১৯৭৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি দৈনিক বাংলা ও সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৮৭ তে সামরিক সরকারের শাসনামলে তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এ সময় তিনি মাসিক সাহিত্য পত্রিকা অধুনার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আদমজী পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার, জীবনানন্দ পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন শামসুর রাহমান। রবীন্দ্রভারতী ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে সম্মানসূচক ডিলিট উপাধি দেওয়া হয়।

নিউজ ট্যাগ: শামসুর রাহমান

আরও খবর



গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, শিশুসহ নিহত ১৪

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলীয় নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুসহ ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

গাজার চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াফা বলেছে, বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এছাড়া হামলায় আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের দক্ষিণ অংশে একটি তিনতলা বাড়িতে ইসরায়েল ওই বিমান হামলা চালায়।

এদিকে ইউনিসেফের একজন কর্মকর্তা গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের, বিশেষ করে শিশুদের নির্বিচারে হত্যা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস রাফাতে জাতিসংঘের একটি গাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালানোর পর গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে প্রথম বিদেশী স্টাফ সদস্যের হত্যার নিন্দা জানিয়ে পূর্ণ তদন্ত’ দাবি করেছেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রাফাহ এর কুয়েতি হাসপাতালের কর্মীদের চিকিৎসা দিতে বারণ করার পর গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অঞ্চল জুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৫ হাজার ৯১ জন নিহত এবং ৭৮ হাজার ৮২৭ জন আহত হয়েছেন।


আরও খবর



পাসের হারে শীর্ষে যশোর, সর্বনিম্ন সিলেটে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড। আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বোর্ডে।

যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

এ ছাড়াও ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

এর আগে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ফলাফল দেখবেন যেভাবে

পরীক্ষার্থীকে ফল দেখতে ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। সেখানে থাকা Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএনর (EIIN) মাধ্যমে ফল জানা যাবে।

এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে সারা দেশের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




মাদারীপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৩০

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মীর ইমরান, মাদারীপুর

Image

মাদারীপুরের রাজৈরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন যাত্রী।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজৈর উপজেলার আলমদস্তা বড় ব্রিজ এলাকার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি রাজৈর উপজেলার আলমদস্তা বড় ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা বরিশালগামী কাজী পরিবহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় বাসের কমপেক্ষ ৩০ জন যাত্রী আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস দুটির চালক আটকা পড়ে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বেশি কিছু যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। বাস দুটির চালক ভেতরে আটকা পড়েছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আমরা তাদের উদ্ধার করি।

নিউজ ট্যাগ: সড়ক দুর্ঘটনা

আরও খবর



ঝিনাইদহে উপ-নির্বাচনে লড়বেন হিরো আলম

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম এবার উপ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি ঝিনাইদহ-১ আসনে ভোট করবেন। আজ সকালে তিনি এ কথা জানান।

হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী মানুষ। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে সবার কথা বলি। সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নেব। সেইভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।’

ঝিনাইদহবাসী তাকে স্বাগত জানিয়েছেন জানিয়ে হিরো আলম বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচার চালাতে যাচ্ছি। আমি ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তারা আমাকে বলেছে তারা সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেছেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য সহযোগিতা করবে। আমি আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও তাদের আশ্বাস দিয়েছি, তাদের পাশে সব সময় থাকব।’

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচন। ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

এর আগে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। তারপর চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। এই আসনটি রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাষানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত।


আরও খবর



রিকশাচালকে মারধর করে ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর নিলেন ইউপি সদস্য

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসাইন, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

Image

ভোলার চরফ্যাশনে নোঙ্গর চুরির অপবাদ দিয়ে হানিফ নামের এক রিকশাচালককে হাত-পা বেধে মারধর করে দেড় লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করে ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদারের বিরুদ্ধে।

রোববার (১২ মে) দুপুরে চরফ্যাশন সদরের একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রিকশা চালক মো. হানিফ।

রিকশাচালক হানিফ অভিযোগ করেন, গত ৫ এপ্রিল রোজ শনিবার সকালে তিনি রিকশা চালিয়ে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার পৌছলে স্থানীয় প্রভাবশালী দুলাল দালালের মাধ্যমে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদার খেজুর গাছিয়া বাজারে তার গদি ঘরে ডেকে নেন এবং  ইউপি সদস্য মোঃ ইউছুফ সিকদার আমাকে আটকিয়ে মারধর করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও আমার ছেলের কাছ থেকে ফাঁকা স্টাম্পে টিপ স্বাক্ষর রাখেন।

তিনি অরোও অভিযোগ করেন, আমি একজন রিক্সা চালক অনেক যাত্রী আমার রিকশায় যাত্রী বহন করি এবং বিভিন্ন মামামাল পরিবহন করে থাকি। গত রমজানের ঈদের আগে একদিন সকালে হাসান নামের এক ব্যাক্তি খেজুর গাছিয়া বাজার থেকে আমার রিকশায় একটি নোঙ্গর নিয়ে আসেন চেয়ারম্যান বাজারে। ওই নোঙ্গরটি তিনি বিক্রি করবেন বলে তিনি আমাকে জানিয়েছেন তবে কোথায় বিক্রি করবেন তা আমার জানা নাই। ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদার প্রকৃত নোঙ্গর বিক্রেতাকে ছেড়ে দিয়ে ওই নোঙ্গরটি বিক্রির সাথে আমি জড়িত এমন সন্দেহে ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদার আমাকে ধরে নিয়ে আটক করে নোঙ্গর চুরির অপবাদ দিয়ে আমাকে হাত-পা বেধে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করেন। খবর পেয়ে আমাকে উদ্ধারে আমার ছেলে মো. কবির  খেজুরগাছিয়া গেলে ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদার জোরপূর্বক আমার ছেলে কবিরকেও আটক করেন। এবং আমার জরিমানা বাবদ তার কাছ থেকে ফাঁকা স্টাম্পে টিপ স্বাক্ষর রেখে দেন।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইউসুব সিকদার জানান, স্থানীয় ঘাটের আড়ৎ মালিক ও জেলেদের সিদ্ধান্ত মতে তাকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। টাকা পরিশোধ শর্তে তার ছেলের কাছ থেকে একটি স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। মারধরের বিষয়টি সঠিক নয়।


আরও খবর