আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

কেন বিশ্বের ৮০ কোটি মানুষ ক্ষুধা নিয়ে ঘুমান?

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ৮২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ, অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ প্রতি রাতে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যায়। বর্তমানে এই সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে ৪ কোটি ৬০ লাখ বেশি।

ক্ষুধায় আক্রান্তদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ নারী এবং ৮০ শতাংশ জলবায়ু পরিবর্তনপ্রবণ এলাকায় বসবাস করেন। বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার মাত্রা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে অলাভজনক সংস্থা দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট ২৮ মে'কে বিশ্ব ক্ষুধা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে মোটরসাইকেল মিছিলে গুলিতে নিহত ৩

যখন শরীর একটি বর্ধিত সময়ের জন্য খাদ্য থেকে বঞ্চিত হয়, তখন ক্ষুধা লাগে। দীর্ঘসময় ধরে ক্ষুধা স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। ক্ষুধা আজীবন শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির কারণ হতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের।

২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা ১৫ কোটিরও বেশি বেড়েছে। মূলত যুদ্ধ-সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক ধাক্কা ও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ক্ষুধার্ত মানুষ আরও বাড়ছে।

আরও পড়ুন: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পাকিস্তান

বিশ্বব্যাপী আগের চেয়ে খাবারের দামও বেড়েছে। ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এফএও ফুড প্রাইস ইনডেক্স (এফপিআই)- ৯৫.১ পয়েন্ট থেকে ১৪৩.৭ পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়েছে। এফপিআই মূলত চিনি, মাংস, দুগ্ধ এবং উদ্ভিজ্জ তেলসহ বিশ্বব্যাপী খাদ্য পণ্যগুলোর দামের পরিবর্তন পরিমাপ করে।

জাতিসংঘের ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ডের (এসওএফআই) সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বেশিরভাগ অপুষ্ট জনগোষ্ঠী এশিয়ায় বাস করে। যেখানে ২০২১ সালে প্রায় ৪২৫ মিলিয়ন মানুষ ক্ষুধার্ত। তবে আফ্রিকায় ক্ষুধার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি, ২০২১ সালে ২৭ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ক্ষুধার প্রকোপে পড়ে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে তুষারধসে চার বছরের শিশুসহ নিহত ১১

২০২২ সালে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এই দুই দেশ খাদ্যশস্য, তেলবীজ ও সারের দুটি বৃহত্তম বৈশ্বিক উৎপাদনকারী। যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটে। এর ফলে শস্য, সার ও জ্বালানীর দাম বেড়ে যায়।


আরও খবর



ফের মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

লোকগানের জনপ্রিয় শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে ফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে ভারতের মুর্শিদাবাদে। চুক্তিভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা এই মামলায় বহরমপুর আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারক অলকেশ দাস এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এ মামলায় এর আগেও মমতাজের বিরুদ্ধে তিনবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। এর পর তিনি মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। তবে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় বলে জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।

আদালতের নির্দেশ মোতাবেক, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর মমতাজকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৯ আগস্ট মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল মমতাজের। ৮ আগস্ট বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মমতাজের মামলার চার্জ গঠন করা হবে। সেদিন মমতাজ উপস্থিত না হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে।

এর পরেই মমতাজ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে একটি আবেদনপত্র আদালতে দাখিল করে জানান, ওই সময়ে তিনি কানাডায় একটি অনুষ্ঠানে থাকবেন। ফলে তার পক্ষে আদালতে হাজিরা দেওয়া সম্ভব হবে না। মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ওই আবেদন খারিজ করে দিয়ে মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মুর্শিদাবাদে ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনের জন্য আয়োজক সংস্থার কর্মকর্তা শক্তিশঙ্কর বাগচীর সঙ্গে মমতাজের লিখিত চুক্তি হয়। সেই চুক্তি মোতাবেক শক্তিশঙ্করের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মমতাজ নিয়মিত অংশ নিতেন।

২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ১৪ লাখ টাকায় মুর্শিদাবাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল শিল্পীর। তিনি অগ্রিম টাকাও নেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি মমতাজ। এর পরেই শক্তিশঙ্কর চুক্তিভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ তুলে মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মমতাজের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার ভিত্তিতে আদালত পরবর্তী সময়ে সমন জারি করে।

এর আগেও তামিলনাড়ুর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠে মমতাজের বিরুদ্ধে। সেই মামলা এখনো তামিলনাড়ুর আদালতে বিচারাধীন।


আরও খবর
রণবীরের জন্মদিনে স্মৃতিকাতর আলিয়া

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জয়ের জন্মদিনে বীরের শুভেচ্ছা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




কমল সোনার দাম

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে বলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি জানায়।

নতুন দাম অনুযায়ী সব থেকে ভালো মানের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ২৮৪ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ৯৯ হাজার ৯৬০ টাকা। র আগে ২৫ আগস্ট ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ২২২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয় এক লাখ এক হাজার ২৪৪ টাকা।

এক মাসের বেশি সময় ধরে রেকর্ড এই দামে দেশের বাজারে সোনা বিক্রি হয়েছে। এক মাস পর এখন দাম কিছুটা কমানো হলো। অবশ্য সোনার গয়না কিনতে ক্রেতাদের বাজুস নির্ধারিত দামের থেকেও বাড়তি অর্থ গুণতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গয়না বিক্রি করা হয়। এর সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে নতুন দাম অনুযায়ী ভালো মানের এক ভরি সোনার গয়না কিনতে ক্রেতাদের এক লাখ ৮ হাজার ৪৫৭ টাকা গুণতে হবে।

বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ২৮৪ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯ হাজার ৯৬০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ২২৪ টাকা কমিয়ে ৯৫ হাজার ৪১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৪৯ টাকা কমিয়ে ৮১ হাজার ৭৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৯৩৩ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৮ হাজার ১১৮ টাকা।

এখন সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপা এক হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপা এক হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপা এক হাজার ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অংশীজনের সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২৪ আলোকে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অংশীজনের ১ম সভা বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এতে চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা ও সিটিজেন্স চার্টার ২০২৩-২৪ বিষয়ে আলোচক ছিলেন যথাক্রমে চবি আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক, চবি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সিরাজ উদ দৌল্লাহ এবং চবি কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এপিএ ফোকাল পয়েন্ট জনাব শামীমা আখতার জাফর।

চবি উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞান-গবেষণাসহ সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে হলে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের পাশাপাশি সুশাসন অপরিহার্য। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আলোকে একাডেমিক, প্রশাসনিক সহ সকল সূচকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সুদৃঢ় করতে হলে সকলকে সততা, স্বচ্ছতা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, সর্বোপরি সেবামূলক মানসিকতা নিয়ে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি বলেন, লক্ষ্য অর্জনে পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা এবং আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই এগিয়ে যাবে। মাননীয় উপাচার্য উল্লিখিত বিষয়বস্তুর উপর নির্ধারিত বিশেষজ্ঞবৃন্দের বক্তব্য এবং আলোচনা-পর্যালোচনার মধ্যে দিয়ে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ বেরিয়ে আসবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অফিস ও বিভাগীয় দপ্তরের প্রধানবৃন্দ, শাখা প্রধানবৃন্দ, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন ২৮ অক্টোবর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে দুই প্রান্তকে সড়কপথে যুক্ত করা ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের কাজ শেষ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামবাসীর স্বপ্নের এ টানেলের উদ্বোধন করবেন, পরদিন ২৯ অক্টোবর থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন এ তথ্য জানান।

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিমূলক সভা হয় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সেতু সচিব।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম এই টানেল। এটির উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের অংশ হচ্ছে চট্টগ্রাম। টানেল পার হতে সবাইকে টোল দিতে হবে। শুধু যারা জরুরি কাজে থাকবে তারাই এই টোলের আওতামুক্ত হবে। টানেল পরিচালনার জন্য একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২৮ অক্টোবর উদ্বোধনের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সেদিন প্রধানমন্ত্রী টানেল উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পরদিন ২৯ অক্টোবর জনসাধারণের জন্য টানেল খুলে দেওয়া হবে। টানেলের প্রি কমিশনিং শেষ। এখন সেইফটি ড্রিল হবে।

বন্দরনগরীর পতেঙ্গা নেভাল অ্যাকাডেমির পাশ দিয়ে ১৮-৩১ মিটার গভীরতায় নেমে যাওয়া এই পাতাল পথ কর্ণফুলীর ওপারে আনোয়ারায় সিইউএফএল ও কাফকোর মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে আবার ভূপৃষ্ঠে উঠবে। ৩৫ ফুট প্রশস্ত ও ১৬ ফুট উচ্চতার টানেলে দুটি টিউব দিয়ে যাওয়া আসা করবে যানবাহন।

টানেলে প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। একটির সঙ্গে অপর টিউবের দূরত্ব ১২ মিটারের মত। প্রতিটি টিউবে দুটি করে মোট চারটি লেইন রয়েছে।

টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম ও প্রান্তে থাকছে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। এ ছাড়া ৭২৭ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ওভারব্রিজ রয়েছে আনোয়ারা প্রান্তে।

সেতু সচিব বলেন, এটা সুন্দর রাখা সবার দায়িত্ব। সিডিএ খেয়াল রাখবে, তাদের বেশ কিছু দায়িত্ব আছে। টানেলের সুফল পেতে এন্ট্রি ও এক্সিট সহজ করা জরুরি। এই টানেলে গাড়ি চলবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে। তবে শুরুতে হয়ত গতি কিছুটা কম রাখতে হবে, যাতে সবাই অভ্যস্ত হতে পারে। মোটর সাইকেল বা অটোরিকশার মত তিন চাকার বাহন এ টানেলে চলবে না।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করে টানেল করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কক্সবাজারের যেসব মেগা প্রকল্প চলমান, সেগুলোর সুফলের জন্য। জনসাধারণের জন্য বাস সার্ভিস থাকবে।

মনজুর হোসেন বলেন, টানেলের মধ্যে জনসাধারণের জন্য নির্দেশনা ব্যবস্থা থাকবে এবং সেখানে আটটি রেডিও চ্যানেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্দেশনাগুলো চলতে থাকবে। টানেলের ভেতর যেই ফ্রিকোয়েন্সি থাকুক না কেন, গাড়ি যতক্ষণ টানেলে থাকবে ততক্ষণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই দিকনির্দেশনা চলবে।

বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হলে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের চিত্র পাল্টে যাবে এবং এখানকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপক প্রসার ঘটবে।ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে যুক্ত করবে এই সুড়ঙ্গপথ। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামর সঙ্গে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগ আরও সহজ হবে।

নদীর দক্ষিণে আনোয়ারায় রয়েছে কোরিয়ান ইপিজেড, চায়না ইপিজেড, সিইউএফএল ও পারকি সমুদ্র সৈকত। কর্ণফুলী পেরিয়ে আনোয়ারা দিয়েই কক্সবাজার, বাঁশখালী ও মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যাবে।

কর্ণফুলী নদীর দুইপাড়ে চীনের সাংহাইয়ের আদলে ওয়ান সিটি টু টাউন গড়ে তুলতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার। ২০১৫ সালে অনুমোদন পাওয়ার দুই বছর পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে কাজ শুরু হয়।

এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে একটি নতুন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বানানো হয়েছে এ টানেল। নির্মাণ কাজ করছে চীনা কোম্পানি চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন লিমিটেড

চট্টগ্রাম বন্দরের বিদ্যমান সুযোগ সুবিধা বাড়াতে এবং প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণ কাজ ত্বরান্বিত করতেও এই টানেল ভূমিকা রাখবে বলেও সরকার আশা করছে।

বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে টানেল প্রকল্পের শুরুর দিকে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। অনুমোদনের দুই বছর পরে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শুরু হলে ব্যয় বাড়িয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা করা হয়।

বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, টানেল প্রকল্প বাংলাদেশে প্রথম। এটা নিয়ে মিথ্যা বা নেতিবাচক প্রচারণা হতে পারে। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মিথ্যা ও নেতিবাচক প্রচারণা চালালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।

প্রকল্পের পরিচালক হারুন উর রশিদ বলেন, যানবাহন চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত টানেল। নিরাপত্তা নিয়ে খুঁটিনাটি বিষয় দেখা হচ্ছে। পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৯৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো কাজ শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি। এরমধ্যে উদ্বোধন হলেও কাজ এগিয়ে নিতে কোনও সমস্যা হবে না।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, টানেল প্রকল্প বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্মরণীয় করে রাখতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হবে। উদ্বোধনের দিন আনোয়ারা প্রান্তে একটি সুধী সমাবেশে হওয়ার কথা রয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখবেন।

সভায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম ডিআইজি নূরে আলম মিনা, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




কেজিডিসিএল গ্রাহকরা পাচ্ছে নতুন ১ লক্ষ প্রি-পেইড মিটার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামে গ্যাসের অপচয় রোধে প্রথম ধাপে ৬০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার পর এবার দ্বিতীয় ধাপে গ্যাসের আরও এক লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।

কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানী লিমিটেড (কেজিডিসিএল) চট্টগ্রামে আবাসিক গ্রাহকের গ্যাস অপচয়, সিস্টেম লস কমানোর লক্ষ্য নতুন এক লাখ প্রি-প্রেইট মিটার স্থাপনের লক্ষ্য জাপানের টয়োকিয়িকি কোম্পানীর সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে চট্টগ্রাম মহানগরী ও উপজেলায় গৃহস্থালী পর্যায়ে ব্যবহৃত গ্যাসের অপচয় রোধ এবং গ্যাসের  কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে জাপান সরকারের সাথে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহায়তায় চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়। মিটার স্থাপনের পর গ্যাসের সাশ্রয়ী বিল এবং গুণগত মানসম্পন্ন টেকসই মিটারের কারণে গ্রাহকগণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরী হয়। এর ধারাবাহিকতায় কেজিডিসিএল এর নিজস্ব অর্থায়নে ২য় প্রকল্পের মাধ্যমে আরো ১ লক্ষ প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

মিটার স্থাপনের জন্য উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবানের মাধ্যমে নির্বাচিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টয়োকিকি (স্থানীয় প্রতিনিধি ওনোডা) সাথে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একটু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এসময় টোয়োকিকি ও কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানীর সকল উদ্ধর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী হতে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে প্রায় ২৯১ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২য় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

চলমান প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রামের বায়েজীদ, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, চকবাজার, পাহাড়তলী, খুলশী, বাকলিয়া, সদরঘাট, কোতোয়ালী হালিশহর, ডাবলমুরিং, বন্দর, ইপিজেড, পতেঙ্গা, আকবরশাহ, লালদিঘী, কর্ণফুলী, হাটহাজারী, পটিয়া, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, আনোয়ারা, সীতাকুন্ড, মীরসরাই এলাকায় ১ লক্ষ প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে প্রায় ৮৮ হাজার গ্রাহক মিটার গ্রহণের জন্য আবেদন করেছে।

কেজিডিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, জাপান হতে ঠিকাদারের নিজস্ব কারখানায় এসব প্রি-পেইড উৎপাদিত হয়। আমরা তথ্য বাছাই করে জাপানের এই কোম্পানীকে দায়িত্ব দিয়েছি। পূর্ববর্তী ৬০ হাজার মিটার প্রকল্পের ক্ষেত্রে গ্রাহককে মিটার রিচার্জের জন্য কেজিডিসিএল নির্ধারিত লোকেশনে (ব্যাংক) যাওয়ার প্রয়োজন হতো। বর্তমান প্রকল্পের আওতায় উক্ত রিচার্জ ব্যবস্থার পাশাপাশি গ্রাহকের নিজ মোবাইলের মাধ্যমে কার্ড রিচার্জের ব্যবস্থা রাখা হবে। ফলে গ্রাহক ঘরে বসে কার্ড রিচার্জ করতে পারবে এবং বন্ধের দিন অথবা দিনের যে কোন সময় মিটার রিচার্জ করা সম্ভব হবে। কেজিডিসিএল এর অবশিষ্ট প্রায় ৪.৩৫ লক্ষ আবাসিক চুলার বিপরীতে আরো  মিটার স্থাপনে অপর একটি প্রকল্প গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, গ্যাস একটি মূল্যবান সম্পদ। তাই জ্বালানী সাশ্রয়ের জন্য সরকার এই প্রকল্প নিয়েছেন। আমাদের প্রাকৃতিক গ্যাসও সীমিত, অন্যদিকে ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপক বেড়েছে। সেজন্য সরকারকে এলএনজি আমদানি করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য এলএনজি দামও বেড়েছে। সবাইকে এখন জ্বালানী ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। আগামীতে কেজিডিসিএল সকল গ্রাহক প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আসবে। আমরা যেসব প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করে দেখেছি, আগের চেয়ে প্রচুর গ্যাস সাশ্রয় হয়েছে এবং গ্রাহকের খরচও কমেছে। ননমিটার কারণে প্রচুর গ্যাস অপচয় হতো, বর্তমান প্রি-পেইড মিটার আসায় গ্যাসের অপচয় কমে যাবে। জাপানের মিটারগুলো খুবই ভালোভাবে কাজ করে। আমরা প্রত্যেক লাইন টেস্ট করি, অবৈধ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। গ্যাসের লিকেজও কাজ করছি, এজন্য ১৭টি টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আরো ৪ লাখ ৩৫ মিটার হবে আগামীতে আরো একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবো।

টোয়োকিকি কোম্পানির কর্মকর্তা কিয়োটাকা মিয়াহারা বলেন, আমরা প্রথম পর্যায়ে প্রি-পেইড মিটার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজে চলমান রয়েছে। তবে অনেক আগে এই প্রজেক্ট শেষ করা যেতো। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় কাজটি পিছিয়েছে। কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ সবসময় আমাদের সাথে যোগাযোগ রেখেছিল। আগের মিটারগুলো চেয়ে এটি অনেক সুফল দিবে গ্রাহকদের।

কেজিডিসিএলের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. নাহিদ আলম জানান, আমাদের ১ লক্ষ ৪৭ হাজার আবাসিক গ্রাহক, তাদের ৬ লক্ষ চুলা ব্যবহার করেন। গ্যাসের রেগুলেটার থেকে লাইন পর্যন্ত খরচ কর্ণফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ দিবে। এবারের মিটারগুলো মোবাইল ফোনে টাকা রির্চাজের মতোই গ্রাহকরা মিটারে প্রয়োজনীয় গ্যাসের টাকা রিচার্জ করতে পারছেন। যারা নতুন মিটার নিতে চান, তারা অনলাইন মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। এই মিটার ব্যবহারে গ্রাহকের খরচ কমবে৷ নতুন এ পদ্ধতিতে প্রতি চুলায় গ্রাহকের সাশ্রয় হবে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। তবে প্রতি মাসে বিলের সাথে সরকার নির্ধারিত ফি ১০০ টাকা দিতে হবে।

গ্রাহকরা শীতকালে অতিরিক্ত গ্যাস চালানোর ধারণাও কমে যাবে। পরবতীতে সব গ্রাহককে প্রি-প্রেইড মিটার নিতে হবে। আগামীতে সাড়ে ৪ লাখ গ্রাহকও এই মিটারের আওতায় আসবে।

তিনি বলেন, কর্ণফুলী গ্যাসের মোট ৬ লাখ আবাসিক গ্রাহক রয়েছে। এরমধ্যে ন্যাচরাল গ্যাস ইফিসিয়েন্সি প্রজেক্টের মাধ্যমে প্রথম দফায় ৬০ হাজার গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনে কেজিডিসিএল। নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৫ সালে হাতে নেওয়া প্রকল্পটি কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্যাস সাশ্রয়সহ গ্রাহক ভোগান্তি কমে আসায় প্রিপেইড মিটার স্থাপনে নতুন আরেকটি প্রকল্প হাতে নেয় কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটির নিজস্ব অর্থায়নের প্রকল্পটি মূল উদ্দেশ্য প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয়রোধ, সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত ও গ্যাসের ব্যবহার হ্রাস করা। তবে নানা জটিলতায় পিছিয়ে যায় এ প্রকল্পের কাজ। ইতিমধ্যে ৮৭ হাজার গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায় আসার জন্য আবেদন করেছেন। আরও কিছু আবেদন জমা নেওয়া হবে। সব মিলিয়ে এ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ গ্রাহক প্রিপেইড মিটার সংযোগ পাবে। এই চুক্তির পর থেকে গ্রাহকদের মাঝে প্রি-পেইড মিটার সংযোগ দেওয়া হবে।

প্রিপেইড না হওয়া মিটারগুলোর গ্রাহকরা গড়ে মাসে ৬৬ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন। কিন্তু সংযোজিত প্রিপেইড মিটার গ্রাহকরা গড়ে ৪০ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করছেন। এতে একটি মিটারে মাসে ২৬ ঘনমিটার গ্যাস সাশ্রয় হচ্ছে।


আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩