আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

কেন দলে জায়গা পাননি লাউতারো মার্তিনেজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আগামী জুনে লিওনেল মেসির নেতৃত্বে চীন ও ইন্দোনেশিয়ায় দুটি প্রীতি ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। কিন্তু সেই দলে নেই লাউতারো মার্তিনেজের মতো তারকা খেলোয়াড়। মূলত একটি বিশেষ কারণে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে এই ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ডকে। এমনটাই জানিয়েছে আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস।

লাউতারোর বর্তমানে কোনো ইনজুরি সমস্যা নেই। যেই দলে খেলবেন তার জাতীয় দলের সতীর্থ জুলিয়ান আলভারেজও। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল শেষে তার ডান হাঁটুর চিকিৎসা করাবেন এ ফরোয়ার্ড। এই হাঁটুর চোটের কারণেই কাতার বিশ্বকাপে সেরা ছন্দে ছিলেন না তিনি।

আরও পড়ুন<< রিজার্ভ ডেতে গড়াল আইপিএল ফাইনাল

বর্তমানে ব্যথানাশক ঔষধ খেয়ে কাজ চালাচ্ছেন লাউতারো। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে অস্ত্রোপচার করাতে হবে তার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল শেষে ছুরিকাঁচির নিচে যাবেন তিনি। আর এই কারণে জুনে এশিয়া সফরে থাকতে পারবেন না এ ফরোয়ার্ড। তাই তাকে বাদ দিয়ে দল ঘোষণা করেন স্কালোনি।

তবে ইন্টার মিলানে এবার দুর্দান্ত একটি মৌসুম কাটাচ্ছেন লাউতারো। এরমধ্যেই জিতেছেন ঘরোয়া দুটি শিরোপা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও উঠেছে তার দল। ব্যক্তিগতভাবেই খেলছেন দারুণ। এ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৭ ম্যাচে ২৮ গোল করেছেন এল তোরো।

আরও পড়ুন<< নেইমারকে ছাড়াই ব্রাজিলের দল ঘোষণা

আগামী ১৫ জুন চীনের বেইজিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার পর ইন্দোনেশিয়ায় যাবেন মেসিরা। সেখানে স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলবেন অপর প্রীতি ম্যাচটি।

গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, জেরেনিমো রুলি, ওয়ালতার বেনিতেজ।

রক্ষণভাগ: নাহুয়েল মোলিনা, গনজালো মন্তিয়েল, জার্মান পেজ্জেয়া, ক্রিস্তিয়ান রোমেরো, লিওনার্দো বালের্দি, নিকোলাস ওতামেন্দি, ফাকুন্দো মেদিনা, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, মার্কোস আকুনিয়া।

মাঝমাঠ: লিওনার্দো পারাদেস, এনজো ফার্নান্দেজ, গিদো রদ্রিগেজ, রদ্রিগো দি পল, এজেকুয়েল পালাসিওস, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, থিয়াগো আলমাদা, জিওভানি লো সেলসো।

আক্রমণভাগ: লুকাস ওকাম্পোস, আনহেল দি মারিয়া, হুলিয়ান আলভারেজ, জিওভানি সিমিওনে, আলহান্দ্রো গার্নাচো, নিকোলাস গনজালেজ, লিওনেল মেসি।


আরও খবর
গেইলের রেকর্ড ভেঙে রোহিতের ইতিহাস

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নেইমারকে নিয়েও জয়বঞ্চিত আল-হিলাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ম্যাচের আগে নেইমারের খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিল। তার হালকা চোট থাকায় আল-হিলালের কোচ বলেছিলেন, শতভাগ ফিট থাকলেই কেবল খেলবেন নেইমার। শঙ্কা কাটিয়ে প্রথমবারের মতো আল-হিলালের জার্সিতে ম্যাচের শুরুতেই মাঠে নামেন ব্রাজিলীয় সুপারস্টার। কিন্তু, দলকে জেতাতে পারলেন না তিনি। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে উজবেকিস্তানের ক্লাব নাভবাহোর নামাগানের বিপক্ষে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ১-১ গোলে ড্র করেছে আল-হিলাল।

রিয়াদের প্রিন্স ফয়সাল বিন ফাহাদ স্টেডিয়ামে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামে স্বাগতিক আল-হিলাল। সৌদি প্রো লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা আক্রমণাত্মক ঢংয়েই একাদশ সাজায়। কোচ জর্জ জেসুস নেইমারকে প্লে-মেকিংয়ে রেখে মাঝ মাঠ নিজেদের দখলে রাখেন। প্রথমার্ধে বেশ কাজে দেয় তার ফর্মুলা। তবে, নিজেদের রক্ষণভাগ শক্ত রেখে আল-হিলালের আক্রমণ প্রতিহত করে নাভবাহোর।

ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই বল নিয়ে প্রতিপক্ষ শিবিরে হানা দেন নেইমার। কর্নারের বিনিময়ে তা রক্ষা করে নাভবাহোর। ১৫ মিনিটে আবারও সুযোগ পান নেইমার, তবে কাজে লাগাতে পারেননি। প্রথমার্ধে কমপক্ষে চারটি সুযোগ তৈরি করেন ব্রাজিলীয় তারকা। কখনো তাকে ফাউল করে, কখনো কর্নারের বিনিময়ে নিজেদের সুরক্ষিত রাখে উজবেক ক্লাবটি। গোলশূন্য শেষ হয় প্রথমার্ধ।

বিরতি থেকে ফিরে সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল পায় নাভবাহোর। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে তমা তাবাতাজের গোলে এগিয়ে যান তারা। এরপর রক্ষণে রীতিমতো দেয়াল তুলে দেয় ক্লাবটি। ৮৭ মিনিটে সৌদের চমৎকার ক্রসে নেইমারের হেড ঠেকিয়ে দেন নাভবাহোর গোলরক্ষক উৎকির ইয়ুসুপভ।

ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে আল-হিলাল। শততম মিনিটে মাইকেলের ক্রসে আল বুলাইহির গোলে শেষ পর্যন্ত সমতায় ফেরে আল-হিলাল। বাকি সময়ে চেষ্টা করেও জয়সূচক গোলের দেখা পাননি নেইমাররা। ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।


আরও খবর
গেইলের রেকর্ড ভেঙে রোহিতের ইতিহাস

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি আগেও আমলে নেয়নি অনেক দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ

Image

বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণা এসেছে। এর পর থেকে বিরোধী দল এটিকে সরকারের ওপর চাপ হিসেবে প্রচারের চেষ্টা করলেও এই ভিসানীতির আওতার মধ্যে রয়েছে তারাও। মার্কিন ঘোষণা অনুযায়ী, প্রকৃতপক্ষে যারা এর আওতায় রয়েছে, তারা হচ্ছে বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্য, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষকরা বলছেন, এর আগে যেসব দেশকে এই ভিসানীতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে, তাদের গ্লোবাল স্ট্যাটাস ভ্যালু বাংলাদেশের চেয়ে কম। তারাই এই ভিসানীতি আমলে নেয়নি, ফলে এ নিয়ে বাংলাদেশের শঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। আমেরিকা তার দেশে কাকে ভিসা দেবে, না দেবে সেই এখতিয়ার তাদের আছে। সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি ও বিরোধী দলের যেসব সদস্য বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে খাটো করার চেষ্টা করছে, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ওই ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। 

আরও পড়ুন>> যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী

এর পরপরই নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসী ভোট দিলে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু বিদেশ থেকে নির্বাচন বানচালের কোনও পদক্ষেপ জনগণ মেনে নেবে না। তার দল সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে বর্ণিত জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। যদি কোনও কারণে নির্বাচন বানচালের কোনও পদক্ষেপের ক্ষেত্রে যারা উদ্যোগ নেবে, বাংলাদেশের জনগণ তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আফ্রিকার কয়েকটি দেশে। সেসব দেশ হচ্ছে-নাইজেরিয়া, উগান্ডা এবং সোমালিয়া। এসব দেশে কোনোটিতে নির্বাচনের আগে, কোনোটিতে নির্বাচনের পরে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার ম্যাথু মিলার  ভিসানীতি ঘোষণার পরে সবার মনে প্রশ্ন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কী হতে যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর আগে আফ্রিকার দেশগুলোতে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও সেটা যে উদ্দেশ্যে দেয়া হয়েছিল, তা কার্যকর হয়নি।

বাংলাদেশে ভিসানীতি ঘোষণার ঠিক ৯ দিন আগে একই ধারা ব্যবহার করে নাইজেরিয়াতেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের ভয় দেখানো, ভোটের ফলাফল কারচুপি ও গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা। ২০১৯ সালের নির্বাচনের এক মাস আগেও আমেরিকা ঘোষণা করেছিল-নাইজেরিয়ায় নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে।

আফ্রিকার আরেক দেশ উগান্ডাতেও নির্বাচনকে ঘিরে কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি সে দেশে। উগান্ডায় ১৯৮৬ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভেনি, তিনি একইসঙ্গে রাষ্ট্রপ্রধান ও সেনাপ্রধান। প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা তাকে দেশে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনার জন্য প্রশংসা করেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে উগান্ডায় সাধারণ নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, বিরোধী দলের প্রার্থীদের ধারাবাহিকভাবে হয়রানি করা হয়েছে এবং কোনও অভিযোগ ছাড়াই আটক করা হয়েছে। তবে সে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।

এদিকে সোমালিয়ার নির্বাচনে নাগরিকদের সবার ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না। সেখানকার নিয়ম অনুযায়ী, বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতারা সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচন করেন। এর পরের ধাপে সেই সংসদ সদস্যরা ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে থাকেন। ভিসানীতির পর কিছু শর্ত মেনে নিতে হয়েছে তাদের। কারণ, সোমালিয়ার ওপরে যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট প্রভাব আছে। ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা সেখানকার রাজনীতিবিদদের জন্য একটা ধাক্কা ছিল। কারণ, সোমালিয়াকে পশ্চিমা সাহায্যের জন্য নির্ভর করতে হয়। 

আরও পড়ুন>> মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ বলেন, শুক্রবার ঘোষণা এসেছে বাংলাদেশে আমেরিকার নতুন ভিসানীতি প্রয়োগ হবে। যার অর্থ হচ্ছে, এখন থেকে প্রয়োগ হবে। এই ধরনের (অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা প্রদানকারী) কোনও ব্যক্তি অ্যাপ্লাই করলে তাকে ভিসা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে দেশটি। তবে এই ঘোষণার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বন্ধু দেশ হিসেবে তাদের বুঝার দরকার ছিল। তারা ঘোষণা না দিয়েও ভিসা না দিতে পারতো। ঘোষণা দিয়ে বিষয়টা পাবলিক করাটা দৃষ্টিকটূ, অবন্ধুসুলভ আচরণ। আমাদের সরকার ও বিরোধী দল কারোর এটি গ্রহণ করা উচিত না, সোচ্চার হওয়া উচিত সবার।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ফজলুল হালিম রানা বিষয়টিকে লঘু শাস্তি উল্লেখ করে বলেন, এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশ এই ভিসানীতির বিপরীতে করণীয় কী নির্ধারণ করে। এর আগেও একই কারণে নাইজেরিয়া, উগান্ডা, সোমালিয়াকে কেন্দ্র করে ভিসানীতি প্রয়োগ করা হয়েছে। সেসব দেশে কী ঘটেছে? কোথাও কোথাও নির্বাচনের আগে, কোথাও নির্বাচনের পরে ভিসানীতি প্রয়োগ করে আমেরিকা। নাইজেরিয়া, উগান্ডা এই সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা করেনি। নাইজেরিয়ার জনগণ যারা আমেরিকায় বাস করে, তারা সেখানে বসেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব কথা বলেছে, তা ভিসানীতির আওতায় পড়ার মতো হলেও দেশটি কিছুই করতে পারেনি। উগান্ডাতেও তেমন হয়েছে। ফলে এটা তোয়াক্কা না করলেই হয়।

আরও পড়ুন>> মার্কিন ভিসা নীতিতে পুলিশ বাহিনীর ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না: ডিএমপি

বাংলাদেশের জন্য সেটা অসম্মানজনক কিনা, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোনও রাষ্ট্রের স্ট্যাটাসের জন্য এটা সম্মানহানিকর। যে তিনটি দেশের কথা বলা হচ্ছে, তাদের চেয়ে রাষ্ট্রের ব্র্যান্ডিংয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান উঁচুতে। আবার গ্লোবালি বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের ব্র্যান্ডিং ভ্যালু আছে। নাইজেরিয়া-সোমালিয়া-উগান্ডার কাতারে বাংলাদেশকে নামানো হয়েছে, এরকম না ভেবে আমি মনে করি, যে ভিসানীতি নাইজেরিয়া-উগান্ডার মতো দেশ আমলে নিচ্ছে না, সেটা বাংলাদেশ থোড়াই কেয়ার করবে।


আরও খবর
দেশে ফিরলেন সেনাবাহিনী প্রধান

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস আজ। জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোয় গণতন্ত্র সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি এবং গণতন্ত্র চর্চাকে উৎসাহিত করার প্রয়াসে দিবসটি পালিত হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অবস্থা সুখকর নয়। যুক্তরাজ্যের ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) প্রকাশিত সর্বশেষ গণতন্ত্র সূচকে ১৬৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৩তম।

২০০৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এ দিবসের ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ। এরপর থেকেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বিশ্বে সাধারণ নাগরিকদের অধিকার চর্চার সুযোগ সংকুচিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র, আইন, শাসন ব্যবস্থা ও মানবাধিকারের ওপর ভিত্তি গড়ে ওঠে সমৃদ্ধ, সহনশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা। তেমন সমাজই স্বাধীনতার কাণ্ডারি। এমন সমাজ টেকসই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা এবং মানুষের মর্যাদা ও অধিকার সুরক্ষায় সচেষ্ট।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে আজ বিএনপিসহ সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও জোট সমাবেশ করবে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পৃথকভাবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

দিবসটি উপলক্ষে বাণীতে দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং আহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, সারা বিশ্বে বহু মত, পথের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আগ্রহকে ভূলুণ্ঠিত করে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে এখনও একদলীয় দুঃশাসনের কালো ছায়া বিরাজমান। বর্তমানে বাংলাদেশে নাগরিক স্বাধীনতা, ভোটাধিকার, মানবিক মর্যাদা ও মানবিক সাম্য হরণ করা হয়েছে। ভিন্নমতের কারণে অনেকেই গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বছরের পর বছর কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এখনও তিনি পুরোপুরি মুক্ত নন।

তিনি বলেন, বর্তমানে এক ভয়াবহ দুর্দিন অতিক্রম করছে পুরো জাতি। বর্তমান দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে গণতন্ত্রের মুক্তির মাধ্যমে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে।


আরও খবর



মেহেরপুরে ভেজাল বীজে কপাল পুড়লো বাঁধাকপি চাষিদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মেহেরপুর প্রতিনিধি

Image

মেহেরপুর সদর উপজেলার চকশ্যামনগর-বন্দর মাঠে ভেজাল বীজে ফলন বিপর্যয় ঘটেছে বাঁধাকপিতে। নিম্নমানের বীজ সরবরাহ করায় প্রায় একশ বিঘা জমির বাঁধাকপির পাতা না বাঁধায় মাথায় হাত চাষিদের। এতে অন্তত প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন কৃষকরা। জেবিটি সিডসের রাজাসান বাঁধাকপির বীজ কিনে এধরণের ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা।

সরেজমিনে চকশ্যামনগর-বন্দর মাঠে দেখা যায়, নিম্নমানের বীজ সরবরাহ করায় মাঠের পর মাঠ বাঁধাকপির আবাদ হলেও কপির পাতা বাঁধেনি। কপির পাতা কুকড়িয়ে ও পঁচে যাচ্ছে। জেবিটি সিডসের রাজাসান কপির বীজ কিনে চাষিরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও কপির পাতা না বাঁধার কারণে অনেকে কপি নষ্ট করে জমি চাষ দিচ্ছেন অন্য ফসল আবাদ করার জন্য।

চাষিরা জানায়, স্থানীয় চকশ্যামনগর-বন্দর এলাকার সার ব্যবসায়ী আনারুলের কাছে থেকে জেবিটি সিডসের সরবরাহকৃত রাজাসান বীজ ব্যবহার করা হয়। বীজ থেকে গাছ জন্মালেও এখন পাতা বাঁধছে না। অন্যরা অন্যান্য কোম্পানির দেওয়া বীজ রোপন করে তারা বাঁধাকপি বাজারে তুলেছেন। অথচ জেবিটি কোম্পানির রাজাসান কপি আজও পাতা বাঁধেনি।

চাষিরা আরও জানান, একেকটি গাছের ৩-৪টি ডগা গজিয়েছে। আবার অনেকটা পাতা কোকড়ানো। পাতা পচে যাচ্ছে। সার বীজ দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। বিঘাপ্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এ কপি চাষে। চাষিদের দাবি বীজ ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসলে তাদের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে আসবে।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক কালু মন্ডল বলেন, স্থানীয় বীজ ডিলার আনারুলের কাছে রাজাসান জাতের  বীজ কিনে এক বিঘা জমিতে কপি রোপন করি। এতে আমার ১২ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। অন্যরা কপি বিক্রি করলেও আমার কপি এখনও পাতা বাঁধেনি। উপায় না পেয়ে সমস্ত চারা ভেঙ্গে জমি চাষ দিয়েছি। এখন অন্য জাতের বাঁধাকপি বা অন্য ফসল করতে হবে।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মিলন বলেন, ১৫ হাজার টাকায় জমি লীজ নিয়ে আনারুলের কাছ থেকে রাজাসান জাতের বীজ নিয়ে কপি আবাদ করেছিলাম। কপিতেও ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। এখন কপির পাতা বাঁধছেনা। কপির পাতা কুকড়ে যাচ্ছে, পচে যাচ্ছে। আনারুল আমাদের আসল রাজাসান বীজের কথা বললেও এখন দেখছি এগুলো ভেজাল বীজ। এমন অবস্থায় আমরা প্রতিকার চাই।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আনিছদ্দিন বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে কপি চাষ করে আসছি। অন্যান্য জাতের কপি চাষ করি। এ বছরে আনারুল রাজাসান কপি ভালো বলে প্রচার প্রচারণা চালালে আমি আনারুলের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করি। ১ মাস ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কপির পাতা বাঁধেনি। এবিষয়ে আনারুলকে অবগত করলেও কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না। মাঠে অন্য জাতের কপি বেচাকেনা চলছে। কিন্তু আমাদের কপি এখনও পাতাই বাঁধেনি। আমরা বড় ক্ষতির মধ্যে পড়েছি। কি করবো আমরা। এ অবস্থায় ক্ষতি পুরুন দাবী করেন ক্ষতিগ্রস্থ আবাদিরা।

আরেক ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক নাজের আলী বলেন, আমি গত চার বছর যাবৎ রাজাসান কপি চাষ করছি। গত বছরে ভালো ফলন পেয়েছিলাম। এবছরে মেহেরপুর বড়বাজারের সুমনা বীজ ভান্ডার থেকে বীজ সংগ্রহ করেছি। সুমন বলেছিল বীজের দাম একটু বেশি লাগবে কিন্তু বীজ ১ নম্বর হবে। তার কথামতো বীজ নিয়ে চারা দিই কিন্তু আজ ৩৭ দিন পার হলেও কপির পাতা বাঁধার কোন আকার দেখতে পাচ্ছি না। এই কপি চাষে আমি ৬০ হাজারের উপরে খরচ করেছি। আমি ধারদেনা করে কপিতে খরচ করেছি।

এ বিষয়ে আনারুল ইসলাম বলেন, মূলত সার ও বিষের ব্যবসা। মেহেরপুর বড় বাজারের সুমনা বীজ ভান্ডার থেকে বীজ এনে চাষীদের দিয়েছিলাম। কপির পাতা বাঁধেনি বিষয়টি শুনেছি। এবিষয়ে সুমনের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে কিন্তু তার কোন সাড়া মিলছে না। বিভিন্ন ভাবে সে সময় ক্ষেপন করছে।

সুমনা বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ সুমন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কোন বীজ বিক্রিই করিনি। যে চাষী এ সব কথা বলেছে তাকে চিনি না।

মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, চাষিদের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। চাষিদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ অপরিহার্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুর্নীতি দমন কমিশনের ৭০জন উপসহকারী পরিচালক ও কোর্ট পরিদর্শক গতকাল সোমবার জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এ উপলক্ষ্যে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, লাগামহীন কার্বন নিঃসরণ এর জন্য পরিবেশ দূষণ কার্যতঃ একটি অপরাধ, যা মোকাবেলায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ অপরিহার্য। পরিবেশ আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। অবৈধ ইটভাটা এবং স্টিল মিল ও রিরোলিং মিল থেকে যে হারে কার্বন নিঃসরণ হয়, তা পরিবেশকে বিপর্যস্ত করছে। এক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক সেন্সর ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণের উৎস সনাক্তকরণ, বায়ুমান নির্ধারণ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার বিজ্ঞান সম্মত উপায় অবলম্বন করতে হবে। হাজার হাজার কলকারখানা কিংবা ইটভাটা পরিবেশ অধিদপ্তরের সীমিত জনবল দিয়ে মনিটরিং ও দূষণ  নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত দুরূহ। এক্ষেত্রে অবশ্যই রোবট বা ড্রোন ব্যবহার করে এসব অপরাধ সনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ কার্যক্রমে পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে দুদক সহযোগী শক্তি হয়ে কাজ করতে পারে।

২০১৮ ও ২০১৯ সালে দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, সে সময়ে দুদকের আইনী ক্ষমতাকে পরিবেশ অপরাধ বন্ধে এবং পরিবেশ অপরাধ থেকে অবৈধভাবে উপার্জিত আয়ে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এমনকি পঞ্চগড় জেলা থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের সনাক্ত করে পাথর উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছিল। পরিবেশ দূষণ থেকে যারা অনৈতিকভাবে আয় বা মুনাফা অর্জন করছে, তা নিঃসন্দেহে দুর্নীতির আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দুদকের কোর্ট পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম, এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন কোর্ট পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেদওয়ান উল্লাহ। কর্মসূচীতে প্রশিক্ষনার্থীদের বিজ্ঞান জাদুঘরের পক্ষ থেকে স্মারক উপহার প্রদান করা হয়।


আরও খবর
তিন দিনের ছুটিতে ঢাকার রাস্তা ফাঁকা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩