আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

খৎনা করতে গিয়ে শিশু আহনাফের মৃত্যু: জেএস ডায়াগনস্টিক সিলগালা

প্রকাশিত:বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুন্নতে খতনা করাতে এসে মালিবাগের জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযান চালিয়ে সেটিতে তালা ঝুলিয়ে সিলগালা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার জন্য হাসপাতালের অনুমোদন প্রয়োজন হয়, কিন্তু এই হাসপাতালের শুধুমাত্র ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন আছে। যে কারণে তাদের অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগের কোনো সুযোগ নেই। 

আরও পড়ুন>> শিশু আহনাফের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসক

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে এসে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান। তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শিশু আহনাফের মৃত্যুর ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা জেনেছি গতকাল সামান্য একটা মুসলমানির জন্য শিশুটিকে এই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ডা. ইশতিয়াক নামক একজন এই খতনার সার্জন ছিলেন, আর ডা. মাহবুব মুর্শেদ শিশুটির অ্যানেস্থেসিওলজিস্টস ছিলেন। অভিযোগ অনুসারে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার সময় শিশুটিকে অজ্ঞান করার পর আর তার জ্ঞান ফেরেনি। পরে আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে প্রতিষ্ঠানটিতে তালা মারা হয়েছে।

শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানান, খতনা করাতে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে আয়হামকে মালিবাগের ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অ্যানেসথেশিয়া দেওয়ার পর আর জ্ঞান ফেরেনি তার। তাদের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেসথেশিয়া দেওয়ার কথা থাকলেও ফুল অ্যানেসথেশিয়া দেওয়া হয় আয়হামকে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঘটনার পর যে চিকিৎসকের অধীনে ভর্তি করা হয়েছিল, তিনি সটকে পড়েন।

আয়হামের বাবা ফখরুল আলম বলেছেন, অ্যানেসথেশিয়া দিতে নিষেধ করার পরও সেটি শরীরে পুশ করেন ডা. মুক্তাদির। তাঁর অভিযোগ, এই মৃত্যুর দায় মুক্তাদিরসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবার

রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের আরেক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। ৫ বছরের আয়ানেরও অ্যানেসথেশিয়া দেওয়ার পর জ্ঞান ফেরেনি। সাত দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত ৭ জানুয়ারি তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




দেশজুড়ে বিজ্ঞান জাদুঘরের পৃষ্ঠপোষকতায় বিজ্ঞান মেলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের অর্থায়নে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের ৬৪ জেলায় শুরু হয়েছে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা-২০২৪। গত ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিয়ে নবীন শিক্ষার্থী ও ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা তাদের উদ্ভাবিত বিজ্ঞানের নানা প্রকল্প উপস্থাপন করছে। বিজ্ঞান মেলায় জুনিয়র, সিনিয়র এবং বিশেষ- এ ৩টি গ্রুপে প্রকল্পগুলো উপস্থাপিত হচ্ছে। মূলত: ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলার বিজয়ী ও সেরা প্রকল্পগুলোই উপস্থাপিত হচ্ছে জেলা পর্যায়ের বিজ্ঞান মেলায়।

আজ (৮ মে) পর্যন্ত মোট ২৮টি জেলায় এ বিজ্ঞান মেলা সম্পন্ন হয়েছে। এতে প্রায় ৮ শতাধিক বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন প্রকল্প উপস্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, রোবটিক্সের আধুনিক ব্যবহার, সৌর বিদ্যুতের বিজ্ঞানসম্মত ব্যবহার, বাসাবাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, পরিবেশবান্ধব নগরায়ন, অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহারসহ বিভিন্ন প্রকল্প। বিজ্ঞান মেলা ছাড়াও অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ এবং বিজ্ঞান বিষয়ক সভা-সেমিনার।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, তরুণ প্রজন্মকে সামাজিক অবক্ষয় থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় সম্পৃক্ত রেখে তাদের মনস্তাত্বিক উন্নয়ন ও উদ্ভাবনী চেতনার বিকাশ ঘটিয়ে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক বিজ্ঞানবান্ধব রাষ্ট্রে রূপান্তরের মহৎ লক্ষ্য নিয়ে বিজ্ঞান জাদুঘর কাজ করছে। বিজ্ঞান মেলা শুধু আনুষ্ঠানিক প্রদর্শনী নয়, মেলায় উদ্ভাবিত প্রকল্পগুলো বিভিন্ন সেক্টরে প্রয়োগ করে জনগণের জীবনমান উন্নত এবং নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করার অন্যতম লক্ষ্য। এখন বছরে কেবল নির্ধারিত সময়ে নয়, সারা বছরই তৃণমূল পর্যায়ে ছোট ছোট বিজ্ঞান মেলা আয়োজনের মাধ্যমে বিজ্ঞানের মহাসমুদ্রে তরুণ প্রজন্মকে অবগাহন করাতে বিজ্ঞান জাদুঘর পরিকল্পনা করছে।


আরও খবর



একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলতি বছরের একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য অনলাইন আবেদন শুরু হবে ২৬ মে থেকে। আবেদন করা যাবে ১১ জুন পর্যন্ত। আর ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে।

বুধবার (১৬ মে) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

শিডিউল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৩ জুন। শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে ২৯ জুনের মধ্যে। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৩০ জুন থেকে। যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ হবে ৪ জুলাই। একই দিন পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের ফলও প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চয়ন শুরু হবে ৫ জুলাই থেকে। যা চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত।

একাদশ শ্রেণির ভর্তি সংক্রান্ত শিডিউলে বলা হয়েছে, একাদশ শ্রেণিতে তৃতীয় ধাপে ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৯ জুলাই থেকে। চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপের মাইগ্রেশন এবং তৃতীয় ধাপের ফল ১২ জুলাই প্রকাশিত হবে। তৃতীয় ধাপের ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে ১৩ থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে।

সব ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু হবে ১৫ জুলাই থেকে। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১০ দিন। অর্থাৎ ২৫ জুলাই একাদশ শ্রেণির ভর্তি শেষ হবে। আর একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শকের স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলো অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে বেনজীর আহমেদের নানা অর্থ-সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি। অথচ, গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদের বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর



সরকারের উন্নয়ন দেখে বিএনপির মাথা খারাপ: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের আমলে তারা যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলবদর এবং নিজেরা পাকিস্তানের দালাল হয়ে বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ, শাসন এবং অত্যাচার করতো। আর বর্তমান চিত্র, বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়ন হচ্ছে- এ উন্নয়ন দেখে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। সেজন্য এখন তাদের মাথা খারাপ অবস্থা।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংসদীয় এলাকা আখাউড়া উপজেলায় বনগজ-কৃষ্ণনগর সড়কের তিতাস নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতু পরিদর্শনে আসলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এর আগে স্থানীয়দের উদ্যোগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক ওই এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় আখাউড়া উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মহানগর প্রভাতী ট্রেনযোগে ঢাকা-আখাউড়া রেল স্টেশনে পৌঁছলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনটি ছিল (১৭ মে) বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বপ্ন দেখার দিন, নতুন ভবিষ্যৎ গড়ার যে স্বপ্ন সেই স্বপ্ন দেখার দিন। জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের আজকের ১৭ মে বাংলাদেশের ফিরে এসে মানুষ যে স্বপ্ন দেখত মানুষকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছে শেখ হাসিনা মানুষের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। এইজন্য ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে গাঁথা থাকবে।

এ সময় আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ঋণ খেলাপির তালিকা বিএনপির আমলে সবচেয়ে বেশি ছিল।

নিউজ ট্যাগ: মির্জা ফখরুল

আরও খবর



ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সব ধরনের ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওষুধ প্রশাসনের অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে অব্যাহতভাবে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এছাড়া বিদেশ থেকে আমদানি করা অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।

দুই সপ্তাহে ওষুধের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ১৪০ শতাংশ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এ রিট দায়ের করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই মাসে দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়েছে। অন্তত ৫০ ধরনের ওষুধের দাম ২০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহেও দাম বাড়ানো হয়েছে বেশ কয়েকটি ওষুধের।

সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, ডায়াবেটিসের রোগীদের ইনসুলিন ও ইনজেকশনের দাম। এছাড়া হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা, হাঁপানিসহ বিভিন্ন ওষুধ এবং ভিটামিনের দামও বেড়েছে। বাদ যায়নি জ্বর-সর্দির ট্যাবলেট-ক্যাপসুল, বিভিন্ন অসুখের সিরাপও।

বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং বিক্রি থেকে আয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দাম বাড়ানোর হার অস্বাভাবিক। এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির অজুহাত হিসেবে কোম্পানিগুলো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছে। এসময় গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ কোম্পানিগুলোর শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা।


আরও খবর