বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৭ জুলাই
সফলভাবে প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপনেই জালিয়াতির অভিযোগ
পাওয়া যায়। যার প্রেক্ষিতে হেপাটোবিলিয়ারি, প্যানক্রিয়েটিভ ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যাল্ট
সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মোহছেন চৌধুরীকে সভাপতি করে ৪ সদস্যের তদন্ত
কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শেষে এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো
সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। রোববার (৬ আগস্ট) বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা.
মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক
শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপনে জাল নথি ব্যবহারের
অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে ওই ঘটনায় বিএসএমএমইউয়ের
কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে
বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন>> স্যালাইন সংকট: হাসপাতালগুলোকে অর্থ দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
এদিকে,
তদন্ত কমিটির একটি সূত্র জানিয়েছে- নিজেদের স্বার্থে জাল নথিপত্র তৈরি করে প্রতারণার
আশ্রয়ের বিষয়টি স্বীকার করেছেন কিডনিদাতা ও গ্রহীতা। হাসপাতালে জমা দেওয়া তাদের জাতীয়
পরিচয়পত্র, ওয়ারিশান সনদ, বৈবাহিক সনদসহ সবকিছু ভুয়া ছিল। গত ১৭ জুলাই হাসপাতালটিতে
প্রথমবারের মতো সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়। তবে প্রথমবার কিডনি প্রতিস্থাপনেই
মিথ্যা পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠে।
হাসপাতাল
সূত্রে জানা যায়, যিনি কিডনি দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তার নাম সুসেন রায়
বলা হলেও প্রকৃত নাম সুমিত হাওলাদার। দাতা ও গ্রহীতা সম্পর্কে ভাই বা নিকট আত্মীয়ও
নন। কিডনিদাতাকে গ্রিসে পাঠানো হবে- এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়ার বিনিময়ে তার কাছ থেকে কিডনি
নেওয়া হয়েছে। এক দালালের সঙ্গে আর্থিক চুক্তিতে কিডনি পান সুজন রায়।