আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

কিডনির সমস্যায় কী খাবেন, যা বাদ দেবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কিডনির সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। জীবনপদ্ধতির বদল, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, অতিরিক্ত ওজন, বেশি সময় বসে থাকাসহ নানা কারণে কিডনি রোগ হতে পারে। যে কারণেই কিডনির সমস্যা হোক না কেন দীর্ঘ মেয়াদি কিডনি রোগের চিকিৎসায় প্রধান উপায় হল সঠিক পথ্য নির্বাচন। অন্যান্য রোগের চেয়েও খুব হিসাব-নিকাশ করে কিডনি রোগীর চিকিৎসায় পথ্য নির্ধারণ করতে হয়। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বৃদ্ধিকে ধীর গতিতে রাখার জন্য সঠিক পথ্য কার্যকরী। সঠিক পথ্য মেনে চললে রক্তে ক্রিয়েটিনের মাত্রাকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। রোগী ভেদে কিডনির পথ্য নির্ধারণে ভিন্নতা থাকে। রক্তে ইলেকট্রোলাইটসের পরিমাণ, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা, ইউরিয়া ও ইউরিক এসিডের পরিমাণ, রক্ত ও ইউরিনে এলবুমিনের পরিমাণ এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ভেদে পথ্যকে সাজাতে হয়।  একজন ক্লিনিক্যাল ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ নেয়া একান্ত জরুরি। সাধারণভাবে যে বিষয়গুলো মনে রাখা প্রয়োজন সেগুলো হল-

ক্যালরি: কিডনি রোগীদের সাধারণত ক্যালরির চাহিদা অন্যান্য রোগীর তুলনায় বাড়ানো হয়। যথাযথ শক্তি প্রদান করার মাধ্যমে রোগীর মাংসপেশির সবলতা বজায় রাখতে ক্যালরি সাহায্য করে। সাধারণত প্রতি কেজি ওজনের জন্য রোগী ভেদে ৩০ থেকে ৩৫ কিলোক্যালরি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। এই ক্যালরি রোগীকে শক্তি প্রদান করা ছাড়াও সচল এবং কর্মক্ষম রাখে।

কার্বোহাইড্রেট: কিডনি রোগীর মোট ক্যালোরি চাহিদার বেশিরভাগই কার্বোহাইড্রেটের মাধ্যমে পূরণ হয়। কার্বোহাইড্রেট কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে বন্ধুবৎসল। খাবারে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ করতে হয় বলে কাবোর্হাইড্রেটকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে শর্করার মাত্রা বিবেচনা করে কার্বোহাইড্রেট হিসাব করা হয়। ভাত, ময়দা, রুটি, চিড়া, সুজি, চালের গুঁড়া, চালের রুটি, সাগু, সেমাই ইত্যাদি কিডনি রোগীর জন্য উত্তম কার্বোহাইড্রেট।

প্রোটিন: প্রোটিন নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি। দীর্ঘ মেয়াদি কিডনি রোগে প্রতি কেজি ওজনের জন্য পয়েন্ট পাঁচ থেকে পয়েন্ট আট গ্রাম প্রোটিন বরাদ্দ করা যেতে পারে। যদিও এ হিসাব নির্ভর করবে রোগীর অবস্থা ও বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্টের ওপর। সাধারণত ডাল, বাদাম, কাঁঠালের বিচি, সিমের বিচি ইত্যাদি রোগীকে বর্জন করতে হয়। প্রতিদিনের দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা ডিমের সাদা অংশ, মাছ, মুরগির মাংস ও দুধ বা দই ইত্যাদি থেকে হিসাব করে বরাদ্দ করা হয়। গরু, খাসির মাংস, কলিজা, মগজ ইত্যাদি অবশ্যই এড়িয়ে যেতে বলা হয়।

চর্বি: বেশিরভাগ কিডনি রোগীই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। কিডনি রোগীদের যাতে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে না যায়- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে তাই চর্বির হিসাব যথাযথভাবে করতে হয়। সাধারণত স্যাচুরেটেট বা সম্পৃক্ত চর্বি জাতীয় খাবার, ভাজাপোড়া খাবার, ফাস্ট ফুড, ডিমের কুসুম এড়িয়ে যেতে হয়। রান্নার তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে উদ্ভিজ্জ তেল, সূর্যমুখী, কর্ন অয়েল, ক্যানোলা অয়েল ইত্যাদি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়। অনেক কিডনি রোগী ভয়ে তেল খাওয়া বন্ধ করতে দেখা যায়। যা একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। প্রতিদিনের রান্নায় চার চা চামচ (২০ এমএল) তেল ব্যবহার করলে ভালো।

সবজি: রক্তে পটাশিয়াম, ইউরিক এসিডের মাত্রা, ফসফরাস ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে সবজি হিসাব করা হয়। অতিরিক্ত পিউরিন ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ শাকসবজি, পিচ্ছিল ও গাঢ় লাল রঙের শাকসবজি এড়িয়ে যেতে হবে। কিডনি রোগীদের জন্য চালকুমড়া, চিচিঙ্গা, ঝিংগা ইত্যাদি পানীয় সবজি উপকারী। উপকারী হলেও এগুলোর পরিমাণ মেনে চলাও গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা সবজির সালাদ, সবজি স্যুপ ইত্যাদি কিডনি রোগীদের এড়িয়ে চলতে হয়।

ফল: কিডনি রোগীদের ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হয়। অক্সালিক এসিড, ইউরিক এসিড, পটাশিয়াম, রক্তচাপ ছাড়াও আরও অনেক কিছু বিবেচনা করে ফল নির্ধারণ করা হয়। তিন চারটি ফল রোগী ভেদে সীমিত আকারে দেয়া হয়। যেমন : আপেল, পাকা পেঁপে, পেয়ারা ইত্যাদি। অনেকেই কিডনি রোগ হলে ফল খাওয়া বন্ধ করে দেন। যা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এ ক্ষেত্রে রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বিবেচনা করে ফল নির্ধারণ করতে হবে।

লবণ: লবণ বা সোডিয়াম নিয়ন্ত্রিত পথ্য কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে জরুরি। রক্তচাপ, রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা, ইডিমা বা শরীরের পানি পরিমাপের ওপর ভিত্তি করে লবণের পরিমাপ করা হয়। সাধারণত দুই থেকে পাঁচ গ্রাম লবণ নির্ধারণ করা হয় যা নির্ভর করবে আপনার শারীরিক অবস্থা ও ডায়েটেশিয়ানের ওপর। আলাদা লবণ গ্রহণ পরিহার করতে হবে এবং অতিরিক্ত সোডিয়ামযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন : চিপস, পাপড়, চানাচুর, আচার ইত্যাদি। যা শুধু কিডনি রোগীর চিকিৎসায় নয়, কিডনি রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

তরল বা পানীয়: কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে তরল নিয়ন্ত্রণ জরুরি। দৈনিক চা, দুধ, পানি সব মিলিয়ে তরলের হিসাব করা হয়। কোন রোগীকে কতটুকু তরল বরাদ্দ করা হবে তা নির্ভর করবে রোগীর অবস্থার ওপর। শরীরের ইডিমা, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা, সোডিয়ামের মাত্রা, ইজিএসআর- এসবের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে এক থেকে দেড় লিটার, কখনও কখনও দুই লিটার পর্যন্ত তরল বরাদ্দ হয়। অনেকেই্ অসুস্থ কিডনিকে সুস্থ করার জন্য অতিরিক্ত পানি খায়, এটি ভুল। দীর্ঘ মেয়াদি ক্রনিক কিডনি রোগী এ ধরনের খাবারের পরামর্শ মেনে চললে কিডনিকে মারাত্মক জটিলতার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়। একঘেয়েমি হলেও ধৈর্যের সঙ্গে সঠিক পথ্য ব্যবস্থাপনা মেনে চলা প্রত্যেক কিডনি রোগীর জন্য জরুরি।

কিডনি রোগীদের দৈনন্দিন পরিচালনার জন্য খাদ্যতালিকা বা রুটিন অনুযায়ী খাবার খেতে হবে। নিচে তাদের খাবার নিয়ে আলোচনা করা হল-

যেসব সবজি খাবেন: চিচিঙ্গা, লাউ, করলা, বিচি ছাড়া শশা, সজনা, ডাঁটাশাক, লালশাক, কচুশাক, ঝিংগা, পেঁপে, হেলেঞ্চা শাক ইত্যাদি। প্রাণিজ আমিষ, যেমন- মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি সীমিত পরিমাণে খাবেন। কম পটাশিয়ামযুক্ত ফল যেমন- আপেল, পেয়ারা, পাকা পেঁপে, নাসপাতি ইত্যাদি।

যেসব সবজি খাবেন না: ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালংশাক, কচু, মুলা, পুঁইশাক, ঢেঁড়স, গাজর, কাঁঠালের বিচি, শিমের বিচি, মুলাশাক ইত্যাদি। ডাব, কলা, আঙুর একেবারেই খাবেন না, কেননা, এতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি। কিডনি রোগীদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়তে থাকে।

রোগীর খাদ্যতালিকায় প্রোটিন রাখতে হবে রোগের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে। যেমন- রোগীর রক্তের ক্রিয়েটিনিন, শরীরের ওজন, ডায়ালাইসিস করেন কিনা, করলেও সপ্তাহে কয়টা করেন তার ওপর নির্ভর করে প্রোটিনের মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। যেমন- কিডনি রোগ শনাক্ত হওয়ার পর প্রতিকেজি দৈহিক ওজনের জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন ০.৫-০.৮ গ্রাম। গুরুতর রোগীর জন্য ০.৫ গ্রাম। উপরোক্ত নির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্যতালিকা তৈরি করে খাবার খেলে কিডনি রোগ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।


আরও খবর



শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে, সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ২০ দিনের ছুটি চলছে। তবে বিগত সময়ে শৈত্যপ্রবাহ ও তাপপ্রবাহের কারণে বেশ কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় যে শিখন ঘাটতি দেখা দিয়েছে, তা পূরণে এই ছুটি কমিয়ে এনে এক সপ্তাহ আগেই খুলে দেওয়া হতে পারে সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা। একইসঙ্গে ঈদুল আজহার পর শনিবারে পুনরায় সাপ্তাহিক ছুটি ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র বলছে, ঈদের ছুটি ঠিক থাকলেও গ্রীষ্মকালীন ছুটি কমিয়ে আনা ও শনিবারে ছুটি ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। এন্সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল মন্ত্রণালয়ে একটি সভা হবে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আগামীকাল আলোচনা করে এ ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের মাধ্যমিক শাখার একজন উপ-সচিব জানান, চলতি বছরের শুরুতে তীব্র শীত এবং মাঝামাঝি সময়ে প্রচণ্ড গরমের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। এর ফলে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আবার নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী যেসব শ্রেণিতে পাঠদান হচ্ছে, সেসব শ্রেণিতে জুলাই মাসে অনুষ্ঠিতব্য ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের প্রস্তুতিও ভালো হয়নি। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সিলেবাস শেষ করতে পারেনি। এজন্য একটি সভার মাধ্যমে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।

বছরের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সূচি ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে স্কুল এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়।

অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ছুটির তালিকা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সূচি জানানো হয়। এটি শিক্ষাপঞ্জি নামে পরিচিত।


আরও খবর



কলড্রপ নিয়ে ১ জুলাই থেকে অ্যাকশন: প্রতিমন্ত্রী পলক

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, কল ড্রপ এখন একটি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে অসন্তোষের শেষ নেই। আমরা আগামী জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকেই অ্যাকশনে যাব। কল ড্রপের বিষয়ে কোনো মোবাইল অপারেটর ছাড় পাবে না।

রোববার (৩০ জুন) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আয়োজিত মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি এমন নির্দেশনা দেন।

পলক বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে কল ড্রপের হার কমিয়ে আনার জন্যই আজকে আমরা বৈঠকে বসেছি। সরকার মোবাইল অপারেটরদের যেসব সুবিধা দিয়েছে তার বিপরীতে গ্রাহকরা প্রতিশ্রুত সেবা পাচ্ছেন কি না সেটিই বড় বিষয়। সম্প্রতি বিটিআরসি কল ড্রপ নিয়ে যে পরীক্ষাগুলো করেছে সে রিপোর্ট অনুসারে কোয়ালিটি অব সার্ভিস খুব সন্তোষজনক নয়। মোবাইল ফোন এখন জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা দেখছি যে, আমাদের গ্রাহকেরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। আগামী ছয় মাসের মধ্যে কলড্রপ নিয়ে অপারেটরগুলো থেকে যে তথ্য দিক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গ্রাহক এবং সাংবাদিকদের কাছ থেকে একটা উল্লেখযোগ্য চিত্র না পাব বা রিক্যাকশন না পাব ততক্ষণ পর্যন্ত শুধু কাগজে-কলমে বা ডিজিটাল উপস্থাপনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট হব না।

তিনি বলেন, আমি আপনাদের (মোবাইল অপারেটরদের) পরিষ্কার বার্তাটি দেওয়ার জন্য আজ আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমরা একটি স্মার্ট টেলিকম ইকোসিস্টেম বাংলাদেশকে উপহার দিতে চাই। কলড্রপের জন্য গ্রাহকের যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা আমরা আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে যাব। যেহেতু আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাব, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা যেন করা হয়। সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণটাই আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব, যাতে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরগুলো একটা চাপে থাকে যে, তারা যদি সেবা না দেয় তাহলে তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

পলক আরও বলেন, আমরা মনিটরিং এবং অডিট নিয়মিত করব। বেঞ্চমার্ক যাই থাকুক, কলড্রপ রেট কাগজে-কলমে যাই থাকুক, আমাদের গ্রাহকের সন্তুষ্টির ওপর জোর দেব। ফাইভজি রোল আউটেরও একটা নির্দিষ্ট টার্গেট বিটিআরসি এবং চারটি মোবাইল অপারেটরকে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এয়ারপোর্ট, সি পোর্ট এবং কিছু বিজনেস ডিস্ট্রিক্টস, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক-শিল্পাঞ্চলে ফাইভজি রোল আউট করা। তারপর গ্র্যাজুয়ালি রোল আউট করা। আমাদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের থার্ড টার্মিনাল অক্টোবরে উদ্বোধন হতে পারে। অক্টোবরকে টার্গেট করে চারটি মোবাইল অপারেটরকে একটা চ্যালেঞ্জ দিতে চাই, যেন অক্টোবরের ৩০ তারিখের মধ্যে ফাইভজি ওখানে নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি গুলশান, বনানী, মতিঝিল, আগারগাঁও এলাকায় ফাইভজি এনাবল অনেক স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয় বেশি। আমার বিশ্বাস এখানেও মনোযোগ দেবে।

অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদসহ গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং টেলিটক অপারেটরদের শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সাতসকালে ঝুম বৃষ্টিতে ভিজল রাজধানী

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একদিকে সাপ্তাহিক ছুটি অন্যদিকে ঈদের ছুটির আমেজ। এমন অবস্থায় শনিবার (২২ জুন) সকালে ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি। এতে কাজের প্রয়োজনে বের হওয়া নগরবাসী পড়েছেন ভোগান্তিতে। বিশেষ করে রাতে দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকায় ফেরা মানুষ বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন, লঞ্চঘাটে আটকে পড়েছেন।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগেই জানানো হয়েছিল, শনিবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে ভারি বর্ষণ হবে। ভোর থেকেই থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এতে বেলা বাড়লেও সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি।

এরমধ্যে সকাল ৮টার আগেই ঢাকায় নামে ঝুম বৃষ্টি। এতে বাইরে থাকা মানুষজন পড়েছেন বিপাকে। বিশেষ করে, যারা রাতের বেলা দেশের বিভিন্ন গন্তেব্য থেকে ঢাকায় ফিরেছেন তারা আটকে পড়েছেন বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন, লঞ্চঘাটে।

এছাড়া অফিসগামী বা শ্রমজীবীরা অধিকাংশ মানুষ বের হননি। কারণ ঈদের রেশ এখনও কাটেনি। অধিকাংশ সরকারি অফিস আগামীকাল থেকে পুরোদমে শুরু হবে। যদিও কিছু কিছু বেসরকারি অফিস আজ খোলা থাকায় কর্মজীবীদের কেউ কেউ বিড়ম্বনায় পড়েছেন।

তাদের কাউকে কাউকে ছাতা মাথায় নিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে। কেউবা আবার ভিজে ভিজেই গন্তেব্যের পথে যাত্রা করেছেন। ঝুম বৃষ্টির কারণে ঢাকার রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা অনেকটা কমে গেছে।

শনিবারের আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি বা ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। তবে শনিবার সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর



চীনের জনপ্রিয় সেই নারী সাংবাদিকের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চীনে মি-টু আন্দোলনের জন্য জনপ্রিয় এক নারী সাংবাদিককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। একইসঙ্গে তার পুরুষ সঙ্গীকে দেওয়া হয়েছে সাড়ে ৩ বছরের কারাদণ্ড। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে তাদের ওই সাজা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সোফিয়া হুয়াং জুয়েনকিন এবং শ্রম অধিকারকর্মী ওয়াং জিয়ানবিং। খোলাসা করে না বললেও, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলেই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।  শুক্রবার আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোফিয়া হুয়াং জুয়েনকিন নামে ওই নারী সাংবাদিককে শুক্রবার দক্ষিণ গুয়াংডং প্রদেশের গুয়াংজু ইন্টারমিডিয়েট কোর্ট দোষী সাব্যস্ত করে এবং সাজা দেন। এক হাজার দিন আটক থাকার পর তার এই সাজা হলো। অন্যদিকে হুয়াংয়ের সঙ্গে বিচারে থাকা শ্রম অধিকারকর্মী ওয়াং জিয়ানবিংকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

৩৬ বছর বয়সি হুয়াং চীনে মি-টু আন্দোলনের অন্যতম কণ্ঠস্বর ছিলেন। তিনি যৌন নিপীড়নের শিকারদের নিয়ে চাঞ্চলকর সব খবর প্রকাশ করেন। অফিসকক্ষে নারী বিদ্বেষ ও যৌন নিপীড়নের মুখোমুখি হওয়া নিয়েও সোচ্চার ছিলেন তিনি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে যাওয়ার সময় গুয়াংজু থেকে হুয়াং জুয়েনকিন ও ওয়াং জিয়ানবিংকে আটক করা হয়।

হুয়াং বেইজিংয়ে চীনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম একটিতে প্রথম #MeToo আন্দোলন শুরু করেন। যৌন হয়রানির বিষয়ে রিপোর্ট করার জন্য তিনি একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মও তৈরি করেন।  ২০১৯ সালে হংকংয়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সময়ও কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে। সেসময় তার বিরুদ্ধে ঝামেলা উস্কে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

হুয়াং ২০১৮ সাল থেকে তার ব্যক্তিগত ব্লগে সামাজিক সমস্যাগুলো নিয়ে লেখালেখি করতেন। এর আগে তিনি চীনা-ভাষার আউটলেট Xinquaibao এবং Southern Metropolis Weekly-তে একজন অনুসন্ধানী প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করতেন।

তার সমর্থকরা বলছেন, সামাজিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা জন্য তরুণদের নিয়ে নিয়মিত সভা ও ফোরাম আয়োজন করায় তাদের আটক করা হয়েছিল।

হুয়াং জুয়েকিন ও ওয়াং জিয়ানবিংকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস নামে বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ। গ্রুপটি জানায়, শুক্রবার যে আদালতে তাদের সাজা দেওয়া হয়, সেখানে বেশ বড় ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল এবং তাদের সদস্যরা ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এদিকে সাংবাদিক হুয়াং জুয়েকিন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। 


আরও খবর
যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন আজ

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




দেশ ও মানুষকে বাঁচাতে পরিবেশ রক্ষার বিকল্প নাই: বিভাগীয় কমিশনার

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী এনডিসি বলেছেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খরা, প্রবলমাত্রায় ঘনঘন ঝড়বৃষ্টি সহ নানা কারণেই বিশ্বের মানুষ হুমকির মধ্যে রয়েছে। বায়ুদূষণ, শব্দ দূষণ, পানি দূষণ, স্থালভাগ/মাটি দূষণের কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। তামাক চাষ, ধূমপান, কলকারখানা ও গাড়ির ধোঁয়া পরিবেশকে দূষিত করছে। এ অবস্থায় দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে পরিবেশ রক্ষার বিকল্প নাই। ভারসাম্যপূর্ণ সুন্দর পরিবেশই রক্ষা করতে পারে আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীকে। তিনি দেশ ও দেশের মানুষকে দূষিত পরিবেশকে বাঁচাতে একযুকে কাজ করার আহবান জানান এবং বেশী বেশী করে গাছ লাগানোর নিদের্শ দেন।

বুধবার (৫ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের উদ্যোগে বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক একেএম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও নাজমা পারভীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ রানা, ডিআইজি অফিস সিলেট রেঞ্জ এর পুলিশ সুপার মো. জেদান আল মুসা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) হোসাইন মো. আল জুনায়েদ, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, সনাক সদস্য, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. আব্দুস শহীদ প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট সিলেটের প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল।

অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাংকন, রচনা ও স্লোগান প্রতিয়োগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও গাছের চারা বিতরণ করা হয়।


আরও খবর