ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে নতুন সংযুক্ত নন্সটপ ট্রেন 'পর্যটক এক্সপ্রেস'-এর টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। বুধবার (৩ জানুয়ারি) থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়, আগামী ১০ জানুয়ারি ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করবে ট্রেনটি। টিকিট বিক্রির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (পূর্ব) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম জানান, ট্রেনটি চালুর সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যাত্রী পরিবহনে ট্রেনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি।
এর আগে, সোমবার (১ জানুয়ারি) যাত্রী চাহিদার কথা বিবেচনা করে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে নতুন ননস্টপ ট্রেন যুক্ত করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানোর পরদিন মঙ্গলবার 'পর্যটক এক্সপ্রেস' নামের ট্রেনটির সময়সূচি নির্ধারণ করে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল। নতুন ট্রেনটিতে ৭৮৫টি টিকিট রয়েছে। এর মধ্যে ১১৫টি আসন চট্টগ্রাম স্টেশনের যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানা যায়, পর্যটক এক্সপ্রেস প্রতিদিন ঢাকার কমলাপুর স্টেশন ছাড়বে সকাল সোয়া ৬টায়। এ ট্রেন চট্টগ্রামে এসে পৌঁছাবে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে। এ স্টেশনে ২০ মিনিট যাত্রাবিরতি দেওয়া হবে। এরপর কক্সবাজারে পৌঁছাবে বেলা ৩টায়। আর কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ট্রেন ছাড়বে রাত ৮টায়। চট্টগ্রাম স্টেশনে আসবে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে। আর ঢাকায় পৌঁছাবে ভোর সাড়ে ৪টায়। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রোববার এ ট্রেন চলাচল করবে না।
রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার তথ্য অনুযায়ী ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেসে স্নিগ্ধা আসন ছিল ৫৭টি এবং শোভন চেয়ার ছিল ১৭২টি। আর কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে স্নিগ্ধা আসন অবিক্রীত ছিল ১৯৯টি এবং শোভন চেয়ার ৩৮৮টি।
গত ১ ডিসেম্বর ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা পথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা পথে এখন এক জোড়া ট্রেন চলাচল করে। টিকিটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে নতুন ট্রেন কোরিয়া থেকে সদ্য আমদানি করা কোচ দিয়ে ট্রেনটি পরিচালনা করা হবে। নতুন ট্রেনের ভাড়া হবে আগের ট্রেনটির সমান। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৩৪৬ কিলোমিটার। এ পথে আন্তঃনগর ট্রেনের শোভন চেয়ারের ভাড়া ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া ৯৬১ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ১ হাজার ১৫০ টাকা এবং ঘুমিয়ে যাওয়ার জন্য প্রত্যেক যাত্রীকে ভাড়া দিতে হয় ১ হাজার ৭২৫ টাকা।