আজঃ মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

কৃষক হত্যায় ছেলের ফাঁসি, বাবা-মাসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে কৃষক ছিদ্দিক মিয়া হত্যা মামলায় জুয়েল মিয়া (২৭) নামে একজনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আ. রহিম সোমবার সকালে এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে দুই লাখ ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েল বাজিতপুর উপজেলার হিলোচিয়া বড়মাইপাড়া গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, একই গ্রামের মো. জজ মিয়া (৫২), তার ছেলে মো. কাকন মিয়া (২৯), জজ মিয়ার স্ত্রী মোছা. রহিমা খাতুন, জয়নাল আবেদিনের ছেলে মো. মাহবুব হাসান রঞ্জু ও মজলু মিয়ার ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৩৫)। এদের মধ্যে মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. কাকন মিয়া পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, জেলার বাজিতপুর উপজেলার হিলোচিয়া ইউনিয়নের বরমাইপাড়া গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে কৃষক মো. সিদ্দিক মিয়ার সাথে একই এলাকার আসামিদের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ২০১৬ সালের ২২ জানুয়ারি বিকেলে আসামিরা লোহার রড ও শাবল দিয়ে পিটিয়ে ছিদ্দিক মিয়াকে গুরুতর আহত করেন।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে পরদিন ৬ জনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩০ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাজিতপুর থানার এসআই মো. নজরুল ইসলাম। আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ। তবে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে মসজিদ থেকে চলছে মাইকিং

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় একটি কেন্দ্রে ভোটের জন্যে মাইকিং করা হয়েছে। মোগড়া দক্ষিণ জামে মসজিদ থেকে মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার জন্যে মাইকিং করা হয়। ওই সময়ে কেন্দ্রটিতে ভোট পড়ে প্রায় ২০০।

আখাউড়ার প্রায় সব ভোটকেন্দ্রে ভোটারের কোনো সারি দেখা যায়নি। ২ থেকে ১ জন করে এসে ভোট দিয়ে চলে যান। ফলে কেন্দ্র ফাঁকা।

আখাউড়ার সালেহ আহমেদ নূরপুর-রুটি আবদুল হক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টায় ফাঁকা ভোটের সারি চোখে পড়ে। ১ থেকে ২ জন করে ভোটার আসছেন। তবে মহিলা ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। ৪ হাজার ৮৬১ ভোটকেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২৭৬টি। এরমধ্যে মহিলাদের ৬টি বুথে ভোট পড়েছে ৪৮টি। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে ৪ নম্বর বুথে ৩টি। ৩ নম্বর বুথে ৫টি।

এদিকে পুরুষ ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নূরপুর গ্রামের হাসেম ৭ নম্বর বুথে ভোট দিতে এলে জানানো হয়, তার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। বুথের পোলিং অফিসার সাবিকুন্নাহারের দাবি, হাসেম ভোট দিয়েছেন। কিন্তু হাসেমের হাতে ভোটের কোনো চিহ্ন নেই। সাবিকুন্নাহারের সঙ্গে সুর মিলান আনারসের এজেন্ট সালমান হোসেন ভূঁইয়া। তবে এর প্রতিবাদ করেন ঘোড়া প্রতীকের এজেন্ট আনোয়ার।

কেন্দ্রে দেখা মিলে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূঁইয়ার। তিনি জানান, ভালোই চলছে ভোট। তবে কেন্দ্রে প্রবেশের প্রধান গেটে মানুষের জটলা দেখা যায়।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সালেহ আহমেদ জানান, ভোটার কেন আসছে না তাতো বলতে পারব না। ম্যাজিস্ট্রেট বলে গেছেন, এ দিকে যাতে কোনো লোক না থাকে। লাল পতাকা দেওয়া আছে।’

অপরদিকে কসবার শিমরাইল, আকছিনা, শাহপুর, মান্দারপুর কেন্দ্রে ভোটে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন।

উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-২ উপজেলা কসবা ও আখাউড়ায় ভোটগ্রহণ চলছে।


আরও খবর



বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৬.৭৫ শতাংশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। টাকার অংকে যা ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে নতুন বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সেখানে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য তুলে ধরেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের অর্থনীতি বর্তমানে কিছুটা চাপের সম্মুখীন হলেও প্রাজ্ঞ ও সঠিক নীতি কৌশল বাস্তবায়নের ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধিও গতিধারা অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে মধ্যমেয়াদে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশে পৌঁছাবে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এটি দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেট। দেশের ইতিহাসে বিশাল এ প্রস্তাবিত বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত এ বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এটি মোট জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। সরকার অভ্যন্তরীণ ঋণ নেবে এক লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।


আরও খবর



বান্দরবানে কেএনএফের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) তাদের বান্দরবানের রোয়াংছড়ি  উপজেলা সদর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুরে গ্রেপ্তারদের কঠোর পুলিশি পাহারায় রোয়াংছড়ি সদর থেকে বান্দরবান চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইসুমা সুলতানা। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বান্দরবানের রোয়াংছড়ি থানার মামলার আসামী রোয়াংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা (১) ইসহাক বম (৩৮), (২) মুনকিম লিয়ান বম (৪৩), (৩) রোয়াল লিয়ান সাং বম (৩০) ,(৪) রাম চনহ সাং বম (২৫), (৫) রোয়ালে খুম লিয়ান বম (৪০), (০৬) কাপ ময় থাং বম (৩৪)।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রোয়াছড়ি থানার দায়ের করা ১ নম্বর মামলায় ৬ আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের রুমায় শাখায় হামলা, পুলিশ-আনসারের অস্ত্র লুট এবং পরে ৩ এপ্রিল দুপুরে থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, হামলা ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর রুমা থানায় ১৩টি, থানচি থানায় চারটি, বান্দরবান সদর থানায় একটি এবং রোয়াংছড়ি থানায় তিনটিসহ মোট ২১টি মামলা হয়।

এসব মামলায় আসামিদের ধরতে বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। অভিযানে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসারের সঙ্গে অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনী। চলমান এ অভিযানে এখন পর্যন্ত কেএনএফের সর্বমোট ১০৫ জন সদস্য ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।


আরও খবর



বাংলাদেশিদের তথ্য বিক্রি করে দিয়েছেন পুলিশের দুই কর্মকর্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশি নাগরিকদের অতি সংবেদনশীল এবং ক্লাসিফায়েড তথ্য অনলাইনে বিক্রি করেছে পুলিশের দুই কর্মকর্তা। ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) ডাটাবেইজে প্রবেশ করে এসব তথ্য নিজেদের দখলে নিয়েছিলেন তারা।

ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- অ্যান্টিটেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) পুলিশ সুপার ফারহানা ইয়াসমিন এবং র‍্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন-৬ (র‍্যাব) এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তারেক আমান বান্না।

আইনশৃংখলা রক্ষাকারী এই দুই ইউনিটের প্রবেশাধিকার বন্ধ করাসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে এনটিএমসি।

শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনটিএমসির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান।

জানা যায়, পুলিশ সুপার ফারহানা ইয়াসমিন এবং এএসপি তারেক আমানের আইডি থেকে ন্যাশনাল ইন্টিলিজেন্ট প্ল্যাটফর্মে (এনআইপি) প্রবেশ করা হয়। সেখান থেকে নাগরিকদের অতি সংবেদনশীল এবং ক্লাসিফায়েড গোপনীয় তথ্য নেওয়া হয় যার মধ্যে আছে জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের তথ্য, কল রেকর্ডস, ক্রিমিনাল প্রোফাইলসহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য।

বিষয়টি এনটিএমসির নজরে এলে সংস্থাটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ বাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর একটি চিঠি দেন। গত ২৮ এপ্রিল প্রেরিত ঐ চিঠিতে দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়।

প্রযুক্তিবিষয়ক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম টেকক্রাঞ্চে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বাকের বলেন, বিডি সাইবার গ্যাং নামক টেলিগ্রাম চ্যানেলসহ একাধিক টেলিগ্রাম চ্যানেল, ফেসবুক গ্রুপ এবং হোয়াটস অ্যাপে সংগৃহীত তথ্য বিক্রি করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা এসব গ্রুপের এডমিনদের তথ্য সরবরাহ করতেন। ইন্টারনেটে বিক্রির বিষয়টি সেসব এডমিনরা দেখভাল করতেন। তবে ঠিক কত সংখ্যক নাগরিকের কী পরিমাণ তথ্য এভাবে অনলাইনে বিক্রি হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেননি জেনারেল বাকের।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিগত ২৫ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে এসব তথ্য সংগ্রহ করেছেন এসপি ফারহানা এবং এএসপি তারেক। ২৫ এপ্রিল রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে ডাটা ব্রিচ এর তথ্য জানতে পারে এনটিএমসি।

এনটিএমসির একটি সূত্র জানায়, ৪২টি সরকারি সংস্থার প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা এনআইপিতে প্রবেশাধিকার পান। বিভিন্ন সরকারি সেবা এবং তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাজে প্রবেশাধিকার প্রয়োজন হয় তাদের। এনআইপিতে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং কল ডিটেইল রেকর্ড (সিডিআর) থাকে। প্রবেশাধিকার প্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজেদের ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে এই পোর্টালে প্রবেশ করেন।

লগ সার্ভার বিশ্লেষণ করে ফারহানা এবং তারেকের আইডি থেকে অস্বাভাবিক লগ-ইন দেখতে পায় এনটিএমসি।

এ বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে তথ্য বিক্রির প্রমাণ পায় এনটিএমসি। এর প্রেক্ষিতে দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি এনআইপিতে পুলিশের এটিইউ এবং র‍্যাব-৬ এর প্রবেশাধিকার বন্ধ রেখেছে এনটিএমসি।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন এনটিএমসির ডিজি মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান। সংস্থাটির এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি সঠিক। আমাদের নজরে এলে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের আগ পর্যন্ত ঐ দুই সংস্থার প্রবেশাধিকার (সাময়িকভাবে) বন্ধ রাখা হয়েছে। দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পুলিশ এবং র‍্যাবকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানি।

এদিকে, এসপি ফারহানা ইয়াসমিন এবং এএসপি তারেক আমানকে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে টেকক্রাঞ্চকে জানিয়েছে এনটিএমসি পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারেক। তবে এনটিএমসিকে দেওয়া এক চিঠিতে পুলিশের এটিইউ থেকে দাবি করা হয়, এসপি ফারহানা ইয়াসমিনের আইডি ব্যবহার করে সেসব তথ্য সংগ্রহ ও বিক্রি করেছেন দুই কনস্টেবল।

তারা হলেন- সাইবার ক্রাইম উইং এর কনস্টেবল মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী এবং অপারেশন্স উইং এর খায়রুল ইসলাম। ঐ দুই কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে এটিইউ।


আরও খবর
বিশ্ব মরুময়তা দিবস আজ

সোমবার ১৭ জুন ২০২৪




মিরপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে মিরপুর ১০ এর সড়ক অবরোধ করেছেন অটোরিকশার চালকরা। এ সময় কয়েকশো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালককে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

রবিবার (১৯ মে) সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করেন অটো চালকরা। গত কয়েকদিন ধরেই পুলিশ তাদের ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করছে।

জানা গেছে, অটোরিকশা চালকরা মিরপুর ১০, ১১ ও বাংলা কলেজ এলাকায় মিছিল করে ১০ নম্বর মোড়ে অবস্থান নেন। তবে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ওই এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে, সড়ক অবরোধ করার ফলে মিরপুর ১০ এলাকা দিয়ে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে আশপাশের এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) উপদেষ্টা পরিষদ ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। বৈঠক শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।


আরও খবর