আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

কৃত্রিম চালে বাড়ছে বিপদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ মার্চ 20২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ মার্চ 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ

Image

দেশে চালের বাজারে দাপট দেখিয়ে বেড়াচ্ছে মিনিকেট আর নাজিরশাইল নামের চাল। অভিজাতধারার অপ্রতিদ্বন্দ্বী এসব সুদৃশ্য চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে অনেক বেশি দামে। কিনেও নিচ্ছেন মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পরিবারের ক্রেতারা। তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, মিনিকেট কিংবা নাজিরশাইল নামে দেশে কোনো ধান নেই, বা জন্মেও না। অথচ বাজার সয়লাব হয়ে গেছে এসব কাল্পনিক ধানের চালে। মূলত, নানা জাতের চাল ছাঁটাই করেই মিনিকেট ও নাজিরশাইল নামে বিক্রি করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে কাল্পনিক ধানের নামে চালের ব্যবসা। বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়েছে।

তবে বিপদের কথা হচ্ছে, ছাঁটাই বা পলিশড করার কারণে চালের পুষ্টিমান কমে যাচ্ছে ৬০ শতাংশের বেশি। শুধু তাই নয়, ছাঁটাই করা চালের বাকি অংশ চোরাইপথে পাচার হচ্ছে প্রতিবেশী দেশ ভারতে। বছরে পাচার হওয়া চালের পরিমাণও কম নয়, প্রায় ২৫ লাখ টন। এতে একদিকে যেমন খাদ্যসংকট তৈরি হয়েছে, তেমনি পুষ্টিহীনতা বেড়ে যাচ্ছে। এমন উদ্বেগের তথ্য তুলে ধরেছে একটি গবেষণাপত্র। সম্প্রতি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে নিউট্রিশন অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট অব পলিশড রাইস সোল্ড ইন বাংলাদেশ শিরোনামে গবেষণায় এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

গবেষণা কাজ পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (খাদ্য শিল্প ও উৎপাদন) সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম। তিনি বলেন, ছাঁটাইয়ের (পলিশ) ফলে চালের পুষ্টিমান প্রকার ভেদে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাচ্ছে। আবার চালকলগুলো একটি চালের দানা ১৮ শতাংশ পর্যন্ত ছাঁটাই করছে। এই ছাঁটাইয়ের অর্ধেকটা কমানো সম্ভব হলে ২৫ লাখ টন চাল সাশ্রয় হবে। বর্তমানে এটি প্রাণিখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার রাইস ব্রান তেলের উপাদান হিসেবেও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার হচ্ছে অবলীলায়।

এদিকে খাদ্যঘাটতির দিকে নজর দিলে দেখা যায়, প্রতিবছর দেশে রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদন হলেও সরকারকে খাদ্যসামগ্রী বা চাল কিনতেই হয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, দেশে বছরে চালের চাহিদা দুই কোটি ৮০ লাখ টনের বেশি। এর সঙ্গে ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে যুক্ত করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে চালের চাহিদা তিন কোটি ৫৩ লাখ টনের কাছাকাছি।

এখন চাহিদার বিপরীতে উৎপাদনের দিকে তাকালে দেখা যায়, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে চাল উৎপাদন হয়েছে তিন কোটি ৮৭ লাখ টন চাল। যেখানে ৩৪ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত। অথচ বলা হচ্ছে, দেশে চালের ঘাটতি রয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আর সেই ঘাটতি থেকেই দেশে বছরে চাল আমদানির পরিমাণ ৩৯ লাখ টনের কাছাকাছি। তাহলে প্রশ্ন থাকে প্রায় ৭০ লাখ টন চালেল গন্তব্য কোথায়?

চালের উৎপাদন আর সরবরাহের ক্ষেত্রে শুভঙ্করের এই ফাঁকি ঠেকাতে গবেষক ড. আব্দুল আলীম দুটি পরামর্শ দিয়েছেন। যা বাস্তবায়ন করলে চাল নিয়ে যে বিব্রতকর সংকট তার কিছুটা সমাধান হতে পারে। প্রথমত, স্বীকৃত ধান ব্যতীত অন্যকোনো নামে চাল বাজারজাতকরণ করা যাবে না। দ্বিতীয়ত, ভোক্তার অধিকার রক্ষায় মোড়কের গায়ে চালের জাতের নাম লিখতে হবে।

ড. আব্দুল আলীমের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি কমিটি চার মাস ধরে চালের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে বিচার বিশ্লেষণ করে যে তথ্য বা ফলাফল প্রকাশ করেছেন তারই আলোকে এই পরামর্শ দিয়েছেন।

গবেষণায় দেখানো হয়, সিদ্ধ ব্রি ধান-২৮ ব্রাউন রাইসে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রটিনের পরিমাণ থাকে ৮ দশমিক ৮ (গ্রাম), ফ্যাট থাকে ১ দশমিক শূন্য, সিএইচও ৭৭ দশমিক ১। ভিটামিন বি-১ থাকে শূন্য দশমিক ১৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ থাকে শূন্য দশমিক শূন্য ২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৩ থাকে ৩ দশমিক ৮৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ থাকে শূন্য দশমিক ২১ ও ভিটামিন বি৯ থাকে ১২ দশমিক শূন্য

সিদ্ধ ব্রি ধান-২৮ ৫ শতাংশ ছাঁটাই করলে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রোটিনের পরিমাণ নেমে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৪ (গ্রাম), ফ্যাট থাকে শূন্য দশমিক ৯, সিএইচও ৭৭ দশমিক ৮। ভিটামিন বি-১ থাকে শূন্য দশমিক ১২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ থাকে শূন্য দশমিক শূন্য ১৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-৩ থাকে ৩ দশমিক ১৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ থাকে শূন্য দশমিক ১৮ ও ভিটামিন বি৯ থাকে ৭ দশমিক শূন্য।

গবেষণায় বলা হয়, যদি ৫ শতাংশ ছাঁটাই করা হয় তবে ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ প্রোটিন কমে যায়। ফ্যাট কমে ১০ দশমিক শূন্য শতাংশ। সিএইচও অর্জন হয় শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ ও ভিটামিন বি১ কমে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। সিদ্ধ ব্রি ধান২৮ ১০ শতাংশ ছাঁটাই করলে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রোটিনের পরিমাণ নেমে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ২ (গ্রাম), ফ্যাট থাকে শূন্য দশমিক ৮, সিএইচও ৭৮ দশমিক ৬। ভিটামিন বি১ থাকে শূন্য দশমিক ১১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২ থাকে শূন্য দশমিক শূন্য ১৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৩ থাকে ৩ দশমিক মুন্য ৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ থাকে শুন্য দশমিক ১৮ ও ভিটামিন বি৯ থাকে ৬ দশমিক শূন্য। তাতে, ১০ শতাংশ ছাঁটাইয়ে ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ প্রোটিন কমে যায়। ফ্যাট কমে ২০ দশমিক শূন্য শতাংশ। সিএইচও অর্জন হয় এক দশমিক ৯৫ শতাংশ ও ভিটামিন বি১ কমে ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

গবেষণায় আতপ চাল সম্পর্কে বলা হয়, ব্রি ধান২৮ ব্রাউন রাইসে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রোটিনের পরিমাণ থাকে ৯ দশমিক শূন্য (গ্রাম), ফ্যাট থাকে ১ দশমিক ১, সিএইচও ৭৬ দশমিক ৭। ভিটামিন বি১ থাকে শূন্য দশমিক ১৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২ থাকে শূন্য দশমিক শূন্য ২১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৩ থাকে ৩ দশমিক ৯৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ থাকে শূন্য দশমিক ২৩ ও ভিটামিন বি৯ থাকে ১১ দশমিক শূন্য। ব্রি ধান২৮ ৫ শতাংশ ছাঁটাই করলে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রটিনের পরিমাণ নেমে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭ (গ্রাম), ফ্যাট থাকে ১ দশমিক শুন্য, সিএইচও ৭৭ দশমিক ৫। ভিটামিন বি১ থাকে শুন্য দশমিক ১১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২ থাকে শুন্য দশমিক শুন্য ১৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৩ থাকে ৩ দশমিক ২৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ থাকে শুন্য দশমিক ১৯ ও ভিটামিন বি৯ থাকে ৬ দশমিক শুন্য।

গবেষণায় বলা হয়, যদি ৫ শতাংশ ছাঁটাই করা হয় তবে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ প্রটিন কমে যায়। ফ্যাট কমে ৯ দশমিক ১ শতাংশ। সিএইচও কমে ১ দশমিক শুন্য শতাংশ। ভিটামিন বি১ কমে ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ (মিলিগ্রাম)। আতপচালে ১০ শতাংশ ছাঁটাই করলে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রটিনের পরিমাণ নেমে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৬ (গ্রাম), ফ্যাট ১ দশমিক শুন্য, সিএইচও ২ দশমিক শুন্য। ভিটামিন বি১ কমে ৩৫ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, সরকার পুষ্টিসমৃদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে। ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতে যে জাতের চাল সে নামেই ব্রান্ডিং করতে হবে। তিনি গবেষণা সম্পর্কে বলেন, এর মাধ্যমে পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল খাবারের ব্যাপারে সবাই উৎসাহিত হবেন।


আরও খবর



বাংলাদেশের জলসীমায় এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছেছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে কুতুবদিয়া পৌঁছাবে জাহাজটি। সেখানে কিছু চুনাপাথর খালাস করা হবে। এর দুদিন পর (১৫ মে) জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস করা হবে।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে। গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) এটি বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছে।

কার্গো নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।

১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেন। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেন। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী চিঠিতে সরকারি চাকরিতে আবেদনের সময়সীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে এটা মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি এই সুপারিশ করেছেন। সিদ্ধান্ত নেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব ধরনের চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩০ বছর মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ করা হয়। এ অবস্থায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পাতা নম্বর ৩৩-এর শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তারা বলে আসছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ বয়স নয়, যোগ্যতাই একজন প্রার্থীর একমাত্র মাপকাঠি। ওই দেশের আলোকে বাংলাদেশেও চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করা দাবি করে আসছেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ওই সব শিক্ষার্থী দফায় দফায় কর্মসূচি পালন করে এলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন শিক্ষামন্ত্রীও একই ধরনের সুপারিশ করলেন।


আরও খবর



নারীবাদ নিয়ে নোরা ফাতেহির মন্তব্যে ক্ষুদ্ধ নেটিজেনরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ড্যান্সার ও অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। সম্প্রতি মাডগাঁও এক্সপ্রেস সিনেমায় নজর কাড়েন তিনি। এবার এক সাক্ষাৎকারে নারীবাদ নিয়ে এমন এক কথা বলে বসলেন তিনি, যাতে তার ওপর রেগে আগুন নেটিজেনরা।

সম্প্রতি একটি পডকাস্টের সাক্ষাৎকারে নোরা বলেছেন, নারীবাদ আসলে সমাজটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আমি বলছি না যে মেয়েরা পড়াশোনা করবে না বা চাকরি করবে না; অবশ্যই করবে। তবে, এর একটা মেয়াদ বা সময়কাল আছে। পুরুষ চাকরি করবে, টাকা উপার্জন করবে, খাবার আনবে ও পরিবারকে রক্ষা করবে।

তিনি বলেন, অন্যদিকে নারী মা হবে, সন্তানের দেখাশোনা করবে, রান্না করবে, ঘরের কাজ করবে। নারীপুরুষের ভূমিকা এমনই হওয়া উচিত। এতে খারাপ কী! আমি এভাবেই চিন্তা করি। শুনলে মনে হবে, আমি হয়তো এখনো আদ্যিকালেই পড়ে আছি বা ওল্ড স্কুল। তবে, এটাই আমার বিশ্বাস।

নোরার কথা শুনে কার্যত অবাক সবাই। তিনি নিজে দাপিয়ে কাজ করছেন বহির্বিশ্বে, অথচ তিনি মেয়েদের বাড়ির কাজে বাঁধতে চাইছেন। নোরার কথা বিরক্ত হয়ে এক ব্যক্তি লেখেন, উনি কেন এখনো বিয়ে করে বাচ্চা লালনপালন না করে বেপর্দা হয়ে নাচানাচি করে বেড়াচ্ছেন? সিনেমায় যতই নায়িকা হন না কেন, ব্যক্তিগত জীবনে আপনি আসলে একটা খলচরিত্র।

অন্য আরেক ব্যক্তি লেখেন, এত ফালতু কথা আমি জীবনে শুনিনি। বুঝেছি, উনি কাদের খুশি করতে এসব কথা বলছেন! ওনার ভক্তরা তো সাধারণত পুরুষ। উনি আসলে ওনার পুরুষ ভক্তদের খুশি করতে চান।


আরও খবর



বনানীতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বনানীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে পোশাক শ্রমিকরা। জাহাঙ্গীর গেট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় সব সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তি বেশি।

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন পোশাক শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করছেন শ্রমিকরা। তারা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সৈনিক ক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। তাদের বোঝানো হয়েছে তবুও সড়ক থেকে সরে যাচ্ছেন না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা ঘটনাস্থলে এলে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সড়ক স্বাভাবিক করতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।


আরও খবর



এখন সময় এসেছে নগ্ন পুরুষদের বাহবা পাওয়ার : বিদ্যা বালান

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রীদের একজন বিদ্যা বালান। ২০২২ সালে অভিনেতা রণবীর সিং যখন নগ্ন ফটোশুট করেছিলেন তখন একমাত্র নায়িকা হিসেবে প্রকাশ্যে প্রশংসা করেছিলেন তিনি।

সময় গড়িয়েছে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও থেমেছে। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আবারও রণবীর প্রসঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন বিদ্যা। যেখানে অভিনেতাদের নগ্ন ফটোশুট নিয়ে অকপটেই কথা বলেছেন অভিনেত্রী।

বিদ্যা বালান বলেন, এখনো একই কথা বলব। আপনি যেকোনো প্রাপ্তবয়স্কদের পাঠ্য পত্রিকা দেখুন, প্লেবয় বা ডেবোনেয়র-এ আমরা সবসময় নারীদের নগ্ন ছবি দেখি। সেটা কোনো পুরুষ বা সমকামীর ভালো লাগতে পারে। কিন্তু আমাদের মতো যারা, তারা কী করবেন? আমাদেরও শখ থাকতে পারে, ইচ্ছা থাকতে পারে। তাই যা বলেছিলাম, এখনো তাই বলছি। আমার ভালো লেগেছিল। নগ্ন নারীদের অনেক বাহবা দিয়েছি, এখনো হরহামেশাই দিয়ে থাকি। এবার মনে হয় সময় এসেছে, নগ্ন পুরুষদের বাহবা পাওয়ার।

সাধারণ মানুষের মতো বলিউডের অনেক তারকাকেই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক জড়াতে দেখা যায়। এ বিষয়ে বিদ্যা বালানের অভিমত কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যা বালান বলেন, আমি এটা মানি যে, বিয়ের বাইরেও প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হতে পারে। আমি যদি এই বিষয়টিকে খাবারের সঙ্গে তুলনা করি, তা হলে বলব, রোজ রোজ ডাল-ভাত খেয়ে আমাদের একটা একঘেঁয়েমি চলে আসে। তাই আমরা নুডলস বা অন্য কিছুর দিকে ঝুঁকি। কিন্তু একটা সময় আসে, যখন আমরা খাঁটি ডাল-ভাতের মর্ম বুঝি।

বিদ্যার পরবর্তী সিনেমা দো আউর দো পেয়ার। যেখানে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয় উঠে এসেছে। এ বিষয়ে বিদ্যা বালান বলেন, আমাদের সিনেমায় শুধু বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক দেখানো হয়নি। এর বাইরের বিষয়ও আছে। আমরা নিজেদের প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গেও প্রতারণা করি।

নিউজ ট্যাগ: বিদ্যা বালান

আরও খবর