আজঃ শনিবার ১১ মে ২০২৪
শিরোনাম

লোহিতসাগরে মার্কিন জোটে যোগ দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লোহিত সাগরে নিরাপত্তা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীতে যোগ দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে এই জোট বাহিনীতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে জার্মানি।

এর আগে লোহিত সাগরে ইয়েমেনের সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী হুথিদের হামলা মোকাবিলায় সম্প্রতি ১০ দেশের জোট গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া মার্কিন নেতৃত্বাধীন লোহিত সাগর বাহিনীতে যোগ দেবে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস। তিনি বলেছেন, লোহিত সাগরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন প্রোসপারিটি গার্ডিয়ান অভিযানের অংশ হিসাবে অস্ট্রেলিয়া সেখানে অতিরিক্ত ছয় অস্ট্রেলিয়ান সৈন্য পাঠাবে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, অস্ট্রেলীয় সরকার মধ্যপ্রাচ্য এবং আশপাশের অঞ্চলে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

মূলত লোহিত সাগরে বিভিন্ন জাহাজে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইয়েমেনের সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী হুথি। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত বোমাবর্ষণের প্রতিবাদে এসব হামলা চালানোর দাবি করেছে তারা।

এতে করে ওই অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে লোহিত সাগরে হুথি বিদ্রোহীদের হামলা মোকাবিলায় সম্প্রতি ১০ দেশের জোট গঠনের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। হুথিদের হামলা ঠেকাতে এসব দেশ সমন্বিতভাবে কাজ করবে।

এই জোটে যোগ দেওয়া দেশগুলো হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, বাহরাইন, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সিসিলিস এবং স্পেন। অস্ট্রেলিয়া এখন এই জোট বাহিনীতে যোগ দেওয়ার কথা জানালেও প্রাথমিক ১০ দেশের তালিকায় দেশটির নাম ছিল না।

এদিকে পৃথক প্রতিবেদনে আনাদোলু বলেছে, লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজগুলোর সুরক্ষায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন নৌবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য সামরিক বিষয়াদি এবং আইনি দিকগুলো জার্মানি পরীক্ষা করছে বলে বুধবার দেশটির এক সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন>> কাশ্মিরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৫ ভারতীয় সেনা নিহত

বার্লিনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্টেফেন হেবেস্ট্রেট বলেন, বেসামরিক জাহাজকে লক্ষ্য করে হামলা এবং লোহিত সাগরে সামুদ্রিক বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটানো গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেছেন, জার্মানির এই মিশনে অংশগ্রহণের কোনও সুযোগ আছে কি না আমরা এখন পরীক্ষা করছি। এর মধ্যে আইনি কাঠামো, লজিস্টিক সমস্যা এবং সামরিক বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা চলছে।

তিনি আরও বলেন, জার্মান সেনাবাহিনী একটি সংসদীয় সেনাবাহিনী। তার মানে এই ধরনের মিশনে অংশগ্রহণের জন্য সংসদের ম্যান্ডেট প্রয়োজন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সংসদই নেবে।

একই ব্রিফিংয়ে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান ওয়াগনার বলেন, বর্তমানে ন্যাটো মিত্র ও ইউরোপীয় অংশীদারদের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের ইউরোপীয় এবং মার্কিন অংশীদারদের সাথে আলোচনা করছি কিভাবে এসব আক্রমণকে ব্যর্থ করা যায় এবং এর মধ্যে এই অপারেশনে আমাদের সম্ভাব্য অংশগ্রহণের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু বর্তমানে এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা চলছে। এই পর্যায়ে, আমি সম্ভাব্য ফলাফল সম্পর্কেও আগাম বলতে পারব না।

উল্লেখ্য, ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে ট্যাংকার, মালবাহী জাহাজসহ অন্যান্য জাহাজের ওপর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হামলা বাড়িয়েছে। বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ এই লোহিত সাগর রুট দিয়েই হয়ে থাকে। আর হুথিদের হামলা এই ট্রানজিট রুটকে বাধাগ্রস্ত করছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, সকল দেশের জন্য ন্যাভিগেশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে এই নিরাপত্তা জোট।


আরও খবর



১১ ম্যাচ নিষিদ্ধ আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক নাহুয়েল গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন (এফএমএফ)। তার বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালে ড্রেসিংরুম থেকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকসহ ফুটবলারদের চোখে লেজার লাইট মারার অভিযোগ রয়েছে।

মেক্সিকোর শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে টাইগ্রেস ইউএএনএল ক্লাবের হয়ে খেলেন গুসমান। চোটের জন্য গত রোববার মনটেরির বিপক্ষে ছিলেন না তিনি। স্ট্যান্ড থেকে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক এস্তেবান আন্দ্রাদাসহ অন্যান্য খেলোয়াড়দের দিকে লেজার মারতে দেখা যায় তাকে। তার এই কাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। পরে অবশ্য ক্ষমাও চান ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। দুই দলের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়।

এক বিবৃতিতে গুসমানের ক্লাব টাইগ্রেস শাস্তি মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। একই সঙ্গে এই ফুটবলারকে আরও সুশৃঙ্খল করার কথাও বলেছে তারা।


আরও খবর



সাভারে রিকশাচালককে পুলিশের মারধর, সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

ভারের আশুলিয়ায় এক রিকশাচালককে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ জানান স্থানীয় রিকশাচালকরা।

খবর পেয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

রোববার (৫ মে) দুপুরে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কে আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ওই রিকশাচালককে ওই পুলিশ সদস্য মারধর করেন বলে জানা যায়। এরপরই বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ জানান রিকশাচালকরা। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ও ভুক্তভোগী রিকশাচালকের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে সড়ক দিয়ে চলাচল করা অটোরিকশা ধরে রেকার বিল করছিলেন ট্রাফিক পুলিশের ওই সদস্য। এ সময় ভুক্তভোগী চালকের রিকশা আটক করা হয়।  কথা কাটাকাটি হলে রিকশাচালককে কিল-ঘুষি মারেন পুলিশের ওই সদস্য। চোখে ঘুষি লাগলে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি।

পরে তাকে উদ্ধার করে কামারপাড়া ইস্টওয়েস্ট মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এরপর রিকশাচালকেরা একত্রিত হয়ে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে চালকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন। 

আশুলিয়া ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান বলেন, রিকশাচালকের সঙ্গে হালকা একটু ঝামেলা হইছিল। প্রধান সড়কে তো ওরা আসে, আমরা তো ধরি। বিল করতে গিয়ে এরকম একটু হয়। এ ছাড়া কিছু না। আমরা মারধর করিনি।

তিনি বলেন, রিকশা ধরতে গেলে তারা অনেক সময় থামেন না। তখন চাবি নিয়ে গেলে একটু হাতাহাতি হয়, টানাটানি হয় ওরকম কিছু। এমনি মারধরের কিছু নয়। পরে রিকশাচালকরা সামান্য সময় রোড ব্লক করেন। ৫-১০ মিনিটের মতো ছিলেন। এখন রাস্তা পুরোপুরি ক্লিয়ার। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও আশুলিয়া থানার ওসিও এসেছিলেন।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, রিকশাচালকরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ করছেন, এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর



আমিরাতে পৌঁছাতে এক সপ্তাহ লাগতে পারে এমভি আবদুল্লাহর

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে গতকাল ভোরে মুক্তি পেয়ে এখন আরব আমিরাতের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রম করতে পেরেছে।

এখনো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ নৌ সীমানার মধ্যে থাকায় জাহাজটির জন্য সতর্কতামূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল আছে। ইতালির নৌ-বাহিনীর একটি ফ্রিগেট জাহাজটিকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জাহাজটি এখনো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জাহাজের রেলিংয়ে কাঁটাতার দেওয়া হয়েছে, ডেকে উচ্চ চাপের ফায়ার হোস, সিটাডেল, জরুরি ফায়ার পাম্প, সাউন্ড সিগন্যাল প্রস্তুত আছে। এছাড়া, নাবিকদের থাকার জায়গা এবং ইঞ্জিন রুমের দরজা ও ঢোকার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

জাহাজের সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গা হিসেবে সিটাডেল প্রস্তুত করা হয়। এর মোটা স্টিলের পাত ভেদ করে ঢোকা প্রায় অসম্ভব। নাবিকরা এর ভেতরে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিজেদের সুরক্ষিত করে রাখতে পারেন। জাহাজটি বর্তমানে প্রতি ঘণ্টায় ৮ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলছে।

মেহেরুল করিম বলেন, আমিরাতের আল হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছাতে জাহাজটির আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। মোজাম্বিক থেকে কয়লা পরিবহন করে জাহাজটি আমিরাত যাচ্ছিল। ৩২ দিন জিম্মি থাকার পর রবিবার ভোরে ২৩ নাবিকসহ মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ।


আরও খবর



উখিয়া ক্যাম্প থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ ৫ রোহিঙ্গা আটক

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার ক্যাম্প থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ পাঁচজন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। রবিবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকে এ অভিযান চালিয় তাদের আটক করা হয়। ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল এসব তথ্য জানান।

আটকরা হলো উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের মৃত কবির আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের, একই ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে দিল মোহাম্মদ, সি-৭ ব্লকের আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ খলিল, সি-২ ব্লকের মতিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিছ এবং এ-৬ ব্লকের মৃত সাব্বির আহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদুল্লাহ।

এপিবিএন পুলিশ জানিয়েছে, আটকরা সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।

এডিআইজি ইকবাল বলেন, রবিবার ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের জনৈক ব্যক্তির বসতঘরে কতিপয় লোকজন অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছে খবরে এপিবিএন পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক বসতঘরটি ঘিরে ফেললে ১০/১২ জন লোক পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে পাঁচজনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আটকদের শরীর এবং বসতঘরটি তল্লাশি করে পাওয়া যায় বিদেশি ৫টি পিস্তল, দেশীয় তৈরি ২টি বন্দুক ও ১৮টি গুলি।

এপিবিএন পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, আটকরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেয় দেশটির সশস্ত্র বাহিনী।

বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেকপার্কে বিনিয়োগে থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্র বন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য থাইল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন বলেও জানান শেখ হাসিনা। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের আহ্বানও জানিয়েছেন দেশটির প্রতি।

এর আগে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর