আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

মাছ ব্যবসায়ীদের ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ঢাকায় গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের সদরঘাট এলাকায় এন এন ফিশ প্রতিষ্ঠানের মালিক ইসমাইল মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাছ কিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করেন। নোমান ও সাগর কমিশনে তার ব্যবসার দেখাশোনা করতেন।

বিভিন্ন ব্যবসায়ীর প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালাচ্ছিলেন চট্টগ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (৩৯)। তিনি চট্টগ্রামের সদরঘাট স্ট্যান্ড রোডের এন এন ফিশ প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী।

রাজধানীর হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ জুন) দুপুরে তাকে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন শাখা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) অর্ণব বড়ুয়া।

তিনি বলেন, এন এন ফিশ প্রতিষ্ঠানের মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (৩৯) বিভিন্ন মাছ ব্যবসায়য়ীদের কাছ থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা নিয়ে দুবাই পালিয়ে যাচ্ছিলেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ হাবিব নামে এক মাছ ব্যবসায়ি তিন কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ তুলে তিনজনের বিরুদ্ধে সদরঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ইমিগ্রেশনে আবেদন করেছিলাম।

সদরঘাট থানার পরিদর্শক (ওসি) ফেরদৌস জাহান জানান, মাছ ব্যবসায়ী হাবিবের দায়ের করা মামলায় গত ৯ মে ভোরে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা এলাকা থেকে ইসমাইলের কর্মচারী আল আমিন প্রকাশ নোমান (৩৯) ও ম্যানেজার কাউছার আহাম্মদ সাগরকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়। প্রধান আসামি ইসমাইল এতোদিন পলাতক ছিলেন। ঢাকা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইসমাইল কয়েক দফায় হাবিবের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকার সামুদ্রিক মাছ কেনেন। এর মধ্যে দুই দফায় ৩০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। বাকি ৫০ লাখ টাকা গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পরিশোধ করার কথা ছিল। ওই দিন হাবিবের ম্যানেজার সাদ্দামকে টাকার জন্য পাঠালে ইসমাইলের প্রতিষ্ঠান এন এন ফিশের অফিস তালাবদ্ধ দেখতে পান। মুঠোফোনও বন্ধ করে দেন ইসমাইল। এরপর থেকে তার আর খোঁজ মেলেনি।

সর্বশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিভিন্ন মাছ ব্যবসায়িদের কাছ থেকে প্রায় তিন কোটি টাকার মাছ কেনেন ইসমাইল। এরপর থেকে তিনি পলাতক আছেন। পরে ব্যবসায়ীরা নোমান ও সাগরের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারাও টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ওই মাসেই ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে সদরঘাট থানায় একটি মামলা করা হয়।


আরও খবর



এমপি আনার হত্যা: শিলাস্তি রহমানের জামিন নামঞ্জুর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় আসামি শিলাস্তি রহমানের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১১ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক জালাল উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত ২২ মে শেরেবাংলা নগর থানায় নিহত সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বাদী হয়ে অপহরণ মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত ২৪ মে আসামি শিমুল ভুইয়া, তানভীর ভুইয়া ও শিলাস্তি রহমানের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে গত ৩১ মে দ্বিতীয় দফায় তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে তারা দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তারা কারাগারে আটক রয়েছেন। এ ছাড়া এ মামলায় গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। গত রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। তিনি পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন। সেখানে ১৩ মে তাকে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে গুম করা হয়েছে বলে জানায় ডিবি।

আনোয়ারুল আজিম আনার ১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মধুগঞ্জ বাজার এলাকায়। পেশায় ব্যবসায়ী আনোয়ারুল আজিম আনার আওয়ামী লীগের কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে পরপর তিনবার আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন আনার।


আরও খবর



আজকের তরুণরাই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারিগর: চবি উপাচার্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চিটাগং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ এন্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটির (সিইউআরএইচএস) উদ্যোগে একটি নতুন আগামী শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হলো টেডএক্স চিটাগাং ইউনিভার্সিটি আন্তর্জাতিক বক্তৃতা।

মঙ্গলবার সকালে চবি মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদের অডিটরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেব বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ঠ বিজ্ঞানী ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. হাসিনা খান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম ও আবুল খায়ের গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার এ এন এম ওয়াজেদ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিইউআরএইচএস এর মডারেটর ও চবি জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের প্রফেসর ড. আদনান মান্নান, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিইউআরএইচএস এর উপদেষ্টা এবং চবি ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. অলক পাল এবং সংগঠনের সভাপতি মাহমুদ শরীফ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লিড অর্গানাইজার এবং কিউরেটর নুসরাত আফরিন এবং সিলভিয়া নাজনীন। অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব অংশগ্রহণ করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে টেডএক্স চিটাগাং ইউনিভার্সিটি আন্তর্জাতিক বক্তৃতার আয়োজন করায় চিটাগং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ এন্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটির নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান চবি উপাচার্য। তিনি বলেন, দেশের বিখ্যাত ব্যাক্তিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক বক্তৃতার আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের তরুণ শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্বদের কাছ থেকে সরাসরি অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য শোনার সুযোগ পায়। যা থেকে তরুণরা নিজেদের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা পাবে।

তিনি আরও বলেন, আজকের তরুণরাই আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারিগর। দেশের দিকপালদের বর্ণাঢ্য জীবনাদর্শ অনুসরণ করে তরুণরা যুগোপযোগী আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে নতুন নতুন আইডিয়া উদ্ভাবনের মাধ্যমে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি প্রয়োগ করে মানব কল্যাণে ছড়িয়ে দিয়ে দেশ-জাতির উন্নয়ন-অগ্রগতিতে অগ্রণী ভুমিকা রাখতে হবে।

টেডএক্স চিটাগাং ইউনিভার্সিটি অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের এবং দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনপ্রিয় আটজন দিকপাল বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপি অনুষ্ঠানে নিজেদের জীবনের স্মৃতিচারণ করে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, শিক্ষক এবং উদ্ভাবক প্রফেসর ড. হাসিনা খান, বিশিষ্ট মিডিয়া কর্মী ও বিতার্কিক ডাঃ আবদুন নুর তুষার, প্রখ্যাত গীতিকার ও কর্পোরেট প্রফেসনাল আসিফ ইকবাল, প্রখ্যাত শিশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ বাসনা মুহুরী, প্রখ্যাত লেখক, ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক আনিসুল হক, প্রখ্যাত পরিবেশ এক্টিভিস্ট চবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ মনজুরুল কিবরীয়া, এভারেস্ট পর্বত আরোহী ডাঃ বাবর আলী এবং মডেল, অভিনেতা, উদ্যোক্তা ও আইনজীবি জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বক্তারা উদ্ভাবনী ধারণার অনুপ্রেরণামূলক গল্প এবং সৃজনশীল আলোচনা করেন। এ বৈচিত্র্যময় কথোপকথনে বিজ্ঞানের আলোচনা থেকে শুরু করে বিনোদন জগতের বিষয় উঠে আসে। একটি নতুন আগামী প্রতিপাদ্যে বিজ্ঞান, গবেষণা, পরিবেশ, অটিজম, বাকস্বাধীনতা, সঙ্গীত, সাহিত্য, পর্বত আরোহণ, নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন বক্তারা।

চিটাগাং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ এন্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটির ডেপুটি মডারেটর ড. সুমন গাঙ্গুলি, ড. শাহনেওয়াজ চৌধুরী, ড. মোঃ মাহবুব হাসান, ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষক ড. অনুপম দাশ গুপ্ত এবং আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ড. ফারজানা ইয়াসমিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কাবেরী দাশ, টেড-এক্স এর আতকিয়া সুবাত ও আল আমিন উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজনের মূল পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলো আমা কফি। পাশাপাশি সহযোগিতায় ছিলো এমবিএ এসোসিয়েশন চিটাগং ইউনিভার্সিটি, কনফিডেন্স সল্ট, স্টেলার ও হাবিব তাজকিরাজ। বেভারেজ পার্টনার হিসেবে ছিলো পুষ্টি, হোয়াইট রেবিট, লোণস্টার স্টেক হাউজ, চিলক্স। সহযোগিতায় একাডেমিক পার্টনার হিসেবে ছিলো দি ইংলিশ একাডেমী এবং ক্রিয়েটিভ আইটি ইন্সটিটিউট, হেলথকেয়ার পার্টনার হিসেবে এসপেরিয়া হেলথকেয়ার, ট্রাভেল পার্টনার হিসেবে ইউএস বাংলা এয়ারওয়েজ। এছাড়া মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলো সময় টিভি, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর, দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস এবং দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে চিটাগং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্ট্যাডি সোসাইটি (সিইউআরএইচএস) গবেষণা ও উচ্চশিক্ষামূলক বিভিন্ন সেশন, সেমিনার, কর্মশালা, প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য জাতীয়, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্যক্তিত্বদের সাথে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছে সংগঠনটি। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের টেডএক্স চিটাগং ইউনিভার্সিটির আয়োজন করা হয়। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে।


আরও খবর



ঈদে মাংস সংরক্ষণ করবেন যেভাবে

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

কোরবানি ঈদে মাংস বিতরণের পরেও অনেকটা মাংস থেকে যায় বাড়তি। আবার পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছ থেকেও মাংসের ভাগ পাওয়া যায়। ফ্রিজ ছোট হলে এতো মাংস রাখার জায়গা হয় না। এমন পরিস্থিতিতে অন্যান্য উপায়ে রাখতে পারেন মাংস।

১. লবণ দিয়ে মাংস সংরক্ষণ বেশ প্রাচীন পদ্ধতি। লবণ মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টার জন্য রেখে দিন মাংস। এরপর ফ্রিজে রেখে দিন। ১ মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে এই মাংস। মাংসের অক্সিডেটিভ ও মাইক্রোবিয়াল পচন প্রতিরোধ করে এই পদ্ধতি।

২. মাংস শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে পারেন। এজন্য সরু স্ট্রিপে কাটুন মাংস। এগুলো ৩-৪ মিনিটের জন্য সেদ্ধ করে নিন যাতে ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। পানি পুরোপুরি ঝরিয়ে শুকিয়ে নিন। একটি ওভেনে (সর্বনিম্ন সেটিংয়ে) ৮-১২ ঘন্টা বেক করুন। এভাবে ডিহাইড্রেটেড মাংস রেফ্রিজারেশন ছাড়া এয়ার-টাইট পাত্রে ১-২ মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে।

৩. রোদে বা চুলায় জ্বাল দিয়ে মাংসের শুঁটকি বানিয়ে ফেলতে পারেন। এজন্য প্রথমে মাংস টুকরো করে কেটে ধুয়ে শুধু হলুদ দিয়ে সেদ্ধ নিন। ভেতরের কাঁচা ভাব চলে না যাওয়া পর্যন্ত সেদ্ধ করবেন। সেদ্ধ হয়ে গেলে পানি ঝরিয়ে ঠান্ডা করুন। এরপর গুনা তারে গেঁথে কড়া রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। মাংসের ভেতরের পানি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে তার থেকে খুলে মুখবন্ধ টিনে বন্ধ করে রাখুন। রান্নার আগে কিছুক্ষণ গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

৪. দুই থেকে তিন কেজি মাংস সংরক্ষণের জন্য ৪ টেবিল চামচ বিট লবণ ও ৪ টেবিল চামচ বাদামি চিনি মাখিয়ে নিন প্রথমে। এরপর ১ লিটার ভিনেগারে মাংস পুরোপুরি ডুবানো অবস্থায় ঢেকে রেখে দিন।

৫. পরিমাণ মতো লবণ ও হলুদ মেখে মাংস জ্বাল দিন। জ্বাল দিয়ে সংরক্ষণ করতে চাইলে চর্বি রেখে দেবেন মাংসের। প্রতিদিন দুইবার করে জ্বাল দিলে এক থেকে দুই মাস পর্যন্ত রেখে খেতে পারবেন মাংস।

৬. মাংস সংরক্ষণের সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ফ্রিজারে রাখা। তবে রাখার আগে স্লাইস করে কেটে পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে রাখবেন। দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে চর্বি ফেলে দিন মাংস থেকে। একবারে বেশি পরিমাণে না রেখে ছোট ছোট ব্যাগে অল্প করে রাখুন। এতে প্রয়োজন মতো বের করে খাওয়া যাবে। একসঙ্গে অনেক মাংস রাখলে ডিফ্রস্ট করতে হবে পুরো অংশই।


আরও খবর



ভিকারুননিসার ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিলের রায় প্রকাশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বয়সের নিয়ম না মানার অভিযোগে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও  প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিতে অভিভাবকদের করা আবেদনের ওপর নো অর্ডার দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ফলে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলই থাকছে। এ বিষয়ে আপিল আবেদন করা হবে বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী লিটন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রায়ের ২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গত ২১ মে হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে বলা হয়, ১৫ দিনের মধ্যে ১৬৯ শিক্ষার্থীর শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও ভালো ভর্তি প্রক্রিয়া চালু ও জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে একটি অনুসন্ধান কমিটি করতে বলা হয়েছে।

এরও আগে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিতে অভিভাবকদের করা আবেদনে নো অর্ডার দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ফলে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলই থাকছে। ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় চেম্বারে বহাল রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মঈনুল হাসান।

১৬৯ শিক্ষার্থীর পক্ষে হাইকোর্টের রায় স্থগিত সংক্রান্ত বিষয়ে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৬ মে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত নো অর্ডার দেন। আদালতে ওইদিন শিক্ষার্থীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. মুস্তাফিজুর রহমান খান ও সিনিয়র আইনজীবী এম. সাইদ আহমেদ রাজা।

এর আগে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি নিতে ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু হাইকোর্টের দেওয়া এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রোববার (২৬ মে) এ আবেদন করা হয়। ১৬৯ শিক্ষার্থীর পক্ষে আবেদনটি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

রিটকারী আইনজীবী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, ১৬৯ শিক্ষার্থীর শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ১৫ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তি নিতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া অভিভাবক ও কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। তদন্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত ২১ মে হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও আইনজীবী শামীম সরদার। ভিকারুননিসার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মঈনুল হাসান। ১৬৯ শিক্ষার্থীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খুররম শাহ মুরাদ ও আইনজীবী মো. লিটন।

এর আগে ভিকারুননিসায় ভর্তি নিয়ে বয়সের নিয়ম না মানার অভিযোগ এনে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছু দুই শিক্ষার্থীর মা ১৪ জানুয়ারি রিট করেন। সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। এক পর্যায়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর একটি স্মারক হাইকোর্টে উপস্থাপন করে। যেখানে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা অনুসরণ করেনি উল্লেখ করা হয়।

বলা হয়, ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালের আগে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার প্রক্রিয়া ছিল বিধিবহির্ভূত। এসময় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন ও ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ১৫৯ জন। এসব শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে শিগগির মাউশিকে জানাতে অনুরোধ করা হয়। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিল করে। অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে শূন্য আসনে ভর্তি নিতে ৬ মার্চ নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তবে ওই আদেশের বিরুদ্ধে ভর্তি বাতিল হওয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

ওই আবেদনের শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল হাইকোর্টকে দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এ সময় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল ও অপেক্ষমাণদের ভর্তির ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় রুল শুনানি শেষ হয়।


আরও খবর



অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজে ইয়েমেনি যোদ্ধাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইয়েমেন উপকূলে শনিবার (৮ জুন) মধ্যরাতে অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার পতাকাবাহী একটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। সমুদ্রে চলাচল করা বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা ফার্ম অ্যামব্রে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আরব নিউজ

জাহাজটি এডেন উপসাগর থেকে দক্ষিণপশ্চিম দিকে ৮.২ কেটিএস গতিতে যাওয়ার পথে এর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। তবে পরবর্তীতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে অ্যামব্রে।

জাহাজটিতে দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে তা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে ব্যর্থ হয়। একই সময় সমুদ্রে থাকা ছোট ছোট নৌকা থেকে জাহাজটিতে গুলিও ছোড়া হয়। ফলে এটি গতিপথ পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি বলেও জানিয়েছে নিরাপত্তা ফার্ম অ্যামব্রে।

ব্রিটিশ রয়েল নৌবাহিনী পরিচালিত যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন নামের প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, শনিবার মধ্যরাতে তারা একটি বাণিজ্যিক জাহাজে হুতি বিদ্রোহীদের দ্বারা হামলার খবর পেয়েছে। এ ঘটনায় তদন্তের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া জাহাজটিকে সতর্কতার সঙ্গে ট্রানজিট নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন বাণিজ্যিক জাহাজে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর ঘোষণা দেয়ার পরই এমন ঘটনা ঘটলো। গত বছরের নভেম্বর থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে হুতিরা লোহিত সাগরে চলাচল করা ইসরায়েলি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে অনেক বাণিজ্যিক জাহাজকে লোহিত সাগরের পরিবর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার পথ ধরে যেতে হচ্ছে। বিশ্বে বাণিজ্যিক জাহাজ পরিবহনের ১২ শতাংশ এই লোহিত সাগর দিয়েই চলাচল করে।


আরও খবর