আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না : র‌্যাব

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাদক ব্যবসার সঙ্গে জনপ্রতিনিধি, প্রভাবশালী যেই জড়িত থাকুক কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক খুরশীদ হোসেন। রোববার (৪ জুন) বেলা ১১টায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ব্রাজিলের

গত ৩০ মে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় মাদকবিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের অস্ত্রের আঘাতে আহত হন র‌্যাব সদস্য উত্তম কুমার রায়। তার শারীরিক অবস্থা, চিকিৎসাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে যান র‌্যাব মহাপরিচালক।

এ সময় তিনি বলেন, বর্তমানে উত্তম কুমারের শারীরিক অবস্থা অনেকটাই ভালো। এই ঘটনায় ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনও অভিযান চলছে। জঙ্গি ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী চাইলে নির্বাচনকালীন ছোট সরকার গঠন করবেন: আইনমন্ত্রী

খুরশীদ হোসেন বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত র‌্যাবের ৩৩ জন সদস্য নিহত এবং এক হাজারের বেশি সদস্য আহত হয়েছেন।


আরও খবর



সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা: আতঙ্কে এলাকাবাসী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বাড়িঘর, মন্দির, দোকানপাটে হামলা ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর। বুধবার (৮ মে) রাতে কয়েক দফায় কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচনে বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে হামলা ও মারপিট করেছে। এতে মুক্তিযোদ্ধাসহ আহত হয়েছে অন্তত দশজন।

ভুক্তভোগীরা জানান, গতকাল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহিন। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটে শাহিন পরাজিত হলে ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলার মানিকহাট, সাগরকান্দি ও সাতবাড়িয়া সহ কয়েকটি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশত বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর চালায় আব্দুল ওহাবের সমর্থকরা। মারপিটে গুরুত্বর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন আহমদপুর দক্ষিণচর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন খান, আলম, রানী বেগমসহ বেশ কয়েকজন। সাগরকান্দি ইউনিয়নে বীরেন্দ্রনাথ কুন্ডুর পারিবারিক মন্দিরেও ভাঙচুর করেছে হামলাকারীরা।

সাতবাড়ীয়া ভাটপাড়া এলাকার সাব্বির বলেন, আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের নির্বাচন শেষে রাতে বাড়ি এসে ভাত খাচ্ছিলাম এর মধ্যে মটর সাইকেলের সমর্থক ওহাবের লোকজন অস্ত্রসস্ত্রসহ দলবল নিয়ে আমাদের ঘর-বাড়িতে হামলা চালায় এবং ঘর বাড়ি ভাংচুর করাসহ ঘরে থাকা নগদ টাকা পয়সা স্বর্ণলঙ্কার লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা। এখন জীবন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান তিনি।

মানিকহাট ইউনিয়নের ক্ষেতুপাড়া এলাকার আরিফা খাতুন বলেন,  শাহীন হেরে যাওয়ায় রাতের আধারে মটর সাইকেলের সমর্থক ওহাবের লোকজন আমাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে এবং ঘরে থাকা পিঁয়াজ বিক্রির নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা।

হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শাহীনুজ্জামান। শাহীনুজ্জামান বলেন, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের নানা ঘটনা থাকলেও সার্বিকভাবে জনগণের রায়কে আমি মেনে নিয়েছি। নির্বাচন নিয়ে আমি কোন অভিযোগ করিনি। আমার প্রত্যাশা ছিলো নতুন উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে আমরা এলাকার উন্নয়নে একসাথে কাজ করবো। কিন্তু গতরাত থেকেই তারা যা শুরু করেছে তা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নৃশংসতাকেও হার মানায়। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই ও দোষীদের শাস্তির দাবি করছি। একই সাথে জনগণের জান মালের নিরপত্তা দিতে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

হামলার বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি বিজয়ী চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব। নেতাকর্মীদের শান্ত থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

সুজানগর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃংখলা বাহিনী সহিংসতা প্রতিরোধে তৎপর রয়েছে। এলাকায় নিরপত্তা বাড়ানো হয়েছে। হামলা মারপিটের ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।


আরও খবর



টুঙ্গিপাড়ার পথে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একদিনের সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১০ মে) সকাল ৭টা ১০ মিনিটে তিনি ঢাকা থেকে রওনা করেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু ও অপর শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

জেলা প্রশাসক জানান, প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে। তিনি টুঙ্গিপাড়ার দাড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির উপদেষ্টা সদস্য। সমিতিটি আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পের আওতাভুক্ত। তিনি তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে এ সমিতির উপকারভোগীদের মধ্যে কৃষি উপকরণ ও নগদ সহায়তা দেবেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর নিরাপদ ও সফল করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীর সঙ্গে আমাদের সার্বিক সমন্বয়মূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করছি, প্রধানমন্ত্রীর সফরটি সুন্দর, নিরাপদ ও সফল হবে।

টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজ্জাম্মেল হক টুটুল জানান, টুঙ্গিপাড়ায় এটি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সফর। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়ার দাড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এ সময় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাদের শিক্ষা ও কৃষি উপকরণ এবং নগদ অর্থ প্রদান করবেন। কর্মসূচি পালন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুক্রবারই ঢাকায় ফিরবেন।


আরও খবর



সাবেক এমপি’র বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রতিরোধ করার হুমকির অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরের সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজ্জাফ্ফর হোসেনের বিরুদ্ধে বিজন বাবুর (মোটরসাইকেল প্রতীক) বাইরে ভোট দিলে আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিহত করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্র সমাবেশের তাঁর দেওয়া বক্তব্যের এক মিনিট ৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ভোটাদের মাঝে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ছাত্রলীগ আয়োজিত বাবু বিজন কুমার চন্দের (মোটরসাইকেল প্রতীক) নির্বাচনী ছাত্র সমাবেশে সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের ছোনটিয়া কাচারি মাঠে তিনি এ বক্তব্য দেন। আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজাফ্ফর হোসেন সদর (জামালপুর-৫) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিজন কুমার চন্দ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এ ছাত্র সমাবেশে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করীম রাব্বি। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বাবু বিজন কুমার চন্দ। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু, সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ফ.ম জাফর ইকবাল জাফু, সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজাফ্ফর হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা রাজুসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন।

সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজাফ্ফর হোসেনকে ভিডিও ক্লিপটিতে বলতে শোনা যায়- আমি বলতে চাই, বিজন বাবুকে ছাড়া তোমরা যদি আর কাউকে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করো, তাহলে আমার ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সর্বস্তরের জনগণ প্রতিরোধ করবে ইনশাআল্লাহ। তাই বলতে চাই আর দেরি নাই, আর মাত্র দুটো দিন আছে, এখনো সময় আছে আসো। আমাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, আমাদের পিছে আসো। বিজন বাবুর মোটসাইকেল মার্কা ভোট দাও, তা না হলে মানুষ ক্ষমা করবে না। আবার চেয়ারম্যানগিরী করতে চাও, করতে পারবা যদি বিজন বাবু উপজেলার চেয়ারম্যান হয় তাহলেই পারবা। না হলে পারবা না।'

ওই বক্তব্যের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজাফ্ফর হোসেন প্রথমেই সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করলেও পরে তাঁকে ভিডিও রয়েছে বললে তিনি তাঁর কোন স্বদ্যোত্তর দিতে পারেননি।

এসব বিষয়ে জামালপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার সাংবাদিকদের  বলেন-'এই বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এই ঘটনায় একটি অভিযোগও দিয়েছে কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপন। বক্তব্য দেয়া ব্যাক্তির বিরুদ্ধে কেনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না? তা জানতে চেয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে মোজাফফর হোসেনকে।

মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার আরো বলেন- এই ঘটনায় মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বাবু বিজন কুমার চন্দের প্রার্থীতা বাতিল করতে কেনো নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পত্র প্রেরন করা হবে না? তা জানতে চেয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বাবু বিজন কুমার চন্দকে।

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামালপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ৮ মে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



ঢাকার বিষাক্ত বাতাসে উচ্চমাত্রায় ক্যান্সারের উপাদান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকার বাতাসে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী আর্সেনিক, সিসা ও ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণে রয়েছে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি এবং ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহারকারী শিল্প, কয়লাভিত্তিক ইটভাটা এবং যানবাহন এসব রাসায়নিক উপাদানের উচ্চ ঘনত্বের জন্য দায়ী। বিশ্বের ২৭টি স্থানের বাতাস নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়েছে।

এলিমেন্টাল ক্যারেক্টারাইজেশন অব অ্যাম্বিয়েন্ট পার্টিকুলেট ম্যাটার ফর এ গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউটেড মনিটরিং নেটওয়ার্ক: মেথডোলজি অ্যান্ড ইমপ্লিকেশনস নামে এই গবেষণাটি গত ১০ মার্চ এসিএস ইএস অ্যান্ড টি এয়ার জার্নালে প্রকাশিত হয়।

গবেষণায় শহরের বাতাসে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে এমন আরেকটি উপাদান কোবাল্টের উচ্চ মাত্রায় উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা-ই একমাত্র স্থান যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু উভয়ের ক্যান্সার সৃষ্টির ঝুঁকি মানদণ্ড ছাড়িয়েছে।

সারফেস পার্টিকুলেট ম্যাটার নেটওয়ার্ক বিশ্বের একমাত্র সংস্থা যারা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের বাতাসে সূক্ষ্ম কণার ঘনত্ব পরিমাপের মাধ্যমে কোন কোন এলাকার বাতাসে রাসায়নিক উপাদানের ঘনত্ব বেশি তা শনাক্ত করে।

গবেষকরা বাতাসে ধূলিকণা, রাসায়নিক উপাদানের বিস্তার ও মানুষের স্বাস্থ্যে এসবের প্রভাব মূল্যায়ন করতে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করেন।

গবেষকদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম। তিনি জানান, বাংলাদেশের পরিবেশে সীসার দূষণের কারণে বাতাসেও বিপজ্জনক মাত্রায় এর উপস্থিতি দেখা গেছে।

তিনি বলেন, একসময় বাতাসে সীসার ঘনত্ব অনেক বেশি ছিল। তারপরে এটি অনেক হ্রাস পায়। আমরা সাধারণত প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ৪০০ থেকে ৫০০ ন্যানোগ্রাম পেতাম। কিন্তু এখন আবার এক হাজারেরও বেশি ন্যানোগ্রাম পাওয়া যাচ্ছে।'

গবেষণায় ঢাকার বাতাসকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাওয়া যায়, এর পরেই রয়েছে ভারতের কানপুর, ভিয়েতনামের হ্যানয়, সিঙ্গাপুর, চীনের বেইজিং এবং তাইওয়ানের কাওসিউং।


আরও খবর



এক সিগারেটের আগুনে পুড়ল ১০০ বিঘা পানের বরজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীর বাগমারায় প্রায় ১০০ বিঘার পানের বরজ আগুনে পুড়ে গেছে। এতে নিঃস্ব হয়েছেন ৯০ জন পানচাষি। পানের বরজ পুড়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

পানচাষিরা বলছেন, সিগারেটের আগুন থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে।

শুক্রবার (৩ মে ) দুপুরে উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের পোড়াকয়া গ্রামের পান বরজে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, পোড়াকয়া গ্রামের ইসাহাকের পান বরজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের পান বরজে। খবর পেয়ে রাজশাহী, বাগমারা, মোহনপুর ও আত্রাইয়ের ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়।

গনিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান রঞ্জু বলেন, শতাধিক কৃষকের প্রায় এক থেকে দেড়শ বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে গেছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে চাষিদের কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা চাষিদের তালিকা তৈরি করে উপজেলায় জমা দিব। তালিকা হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে তা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে। সরকারিভাবে কিছু টাকা পেলে চাষিদের উপকার হবে। এ ঘটনায় অনেক চাষি একবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে।

পানচাষি আসাদুল ইসলাম বলেন, আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক পানের বরজে। পানের বরজ এমনভাবে পুড়েছে তাতে কিছু অবশিষ্ট নেই। সব বরজ নতুন করে তৈরি করতে হবে। আমার আড়াই বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে গেছে। বছরের এ সময়ে পানের দাম সবচেয়ে বেশি থাকে। এখন বাজারে নতুন পান বিক্রি হচ্ছে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পোয়া। আর পুরোনো পান বিক্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা পোয়া। এ সময় পানের বরজ পুড়ে যাওয়া মানে চোখের সামনে টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া।

আরেক চাষি রেজাউল ইসলাম বলেন, আমার এক বিঘারও বেশি জমির পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ বরজ তৈরি করতে আবার অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এখন জমিতে পান বপণের সময় না। তাই আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলাম।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে পুড়ে যাওয়া পানের বরজ পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও ক্ষতির পরিমাণের তালিকা করতে কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তালিকা তৈরির পর তা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে।


আরও খবর