আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

মাদ্রাসায় ১৫ মাসে ধর্ষণের শিকার ৬২ ছেলেশিশু, মৃত্যু ৩

প্রকাশিত:শনিবার ১০ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
মাদ্রাসাগুলোয় দিনের পর দিন ছেলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চললেও তা বন্ধে এখনও তেমন কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে বিপথগামী কিছু শিক্ষক ও মাদ্রাসাসংশ্নিষ্টরা এটাকে অপরাধ বলেই গণ্য করেন না

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার বড়খারচর আদর্শ নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে শিশুটি। গত ১ এপ্রিল হঠাৎ বাড়ি চলে আসে। তার শরীরে তখন অনেক জ্বর। ওষুধ খাইয়ে কিছুটা সুস্থ করে তোলার পর তাকে মাদ্রাসায় যেতে বলা হয়। কিন্তু কিছুতেই সে যেতে রাজি হয় না। গত বুধবার জোর করে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে সে মাদ্রাসার গেটে দাঁড়িয়ে শিক্ষক ইয়াকুব আলীকে গালাগাল শুরু করে। এরপর দৌড়ে চলে যায় থানার সামনে। সেখানে মাকে বলে, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাবে সে। তখন বেরিয়ে আসে তার ওপর হওয়া পাশবিক নির্যাতনের কথা। ওই শিক্ষক একাধিকবার তাকে বলাৎকার করে তা গোপন রাখতে হুমকি দিয়েছেন বলেও জানায় সে।

এরকম ঘটনা শুধু একটি নয়, দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় বহু ছেলেশিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। অভিযোগ কখনও শিক্ষক, কখনও সিনিয়র ছাত্র বা মাদ্রাসাসংশ্নিষ্ট কারও বিরুদ্ধে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর মাদ্রাসায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে অন্তত ৫২ শিশু। এর মধ্যে তিনজন মারা গেছে। এ ছাড়া চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে আরও ১০ শিশু।

আসকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা বলেন, ছেলেশিশুদের ধর্ষণের ক্ষেত্রে এখনও বলাৎকার শব্দটি ব্যবহার করা হয়। তবে তা ঘটনাটিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে। অনেকেই মনে করেন, এটা তো বলাৎকার, ধর্ষণ না। গুরুতর কোনো অপরাধ না। আসলে ধর্ষণ তো ধর্ষণই, তা সে ছেলেশিশুর সঙ্গে হোক বা মেয়ে। এর বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। শীপা বলেন, আইনের মাধ্যমে সমস্যাটিকে শনাক্ত করে সমাধান খুঁজতে হবে। সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে প্রচলিত আইন পর্যালোচনা করে ছেলেশিশু ধর্ষণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (গণমাধ্যম) সোহেল রানা বলেন, বলাৎকার বা ছেলেশিশু ধর্ষণের ঘটনা বন্ধে আমরা ফেসবুক পেজগুলোর মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক নানা বার্তা দিয়ে যাচ্ছি। এ ছাড়া অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব করে না পুলিশ। তবে এ সমস্যা রোধে ব্যাপক সামাজিক সচেতনতা প্রয়োজন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মাদ্রাসাগুলোয় দিনের পর দিন ছেলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চললেও তা বন্ধে এখনও তেমন কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে বিপথগামী কিছু শিক্ষক ও মাদ্রাসাসংশ্নিষ্টরা এটাকে অপরাধ বলেই গণ্য করেন না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে ধর্মের নানা অপব্যাখ্যা দেন জড়িতরা। আবার ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে রেখে তা ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে শিশুদের জিম্মি করার ঘটনাও রয়েছে। গত ৭ এপ্রিল সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বাজারগ্রামের কফিল উদ্দিন হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি এক শিশুর সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তার মোবাইল ফোনে আরও কয়েক শিশুর সঙ্গে একই অপকর্মের ভিডিও পাওয়া যায়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইয়াছিন আলম চৌধুরী জানান, বলাৎকারের দৃশ্য তিনি মোবাইল ফোনে ধারণ করে ওই শিশুদের ভয় দেখিয়ে আবারও বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হতে বাধ্য করতেন।

এর আগে গত বছরের ১৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার আহমদিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসার হোস্টেল সুপার নাছির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্ত-সংশ্নিষ্টরা জানান, কবে কোন ছাত্রকে বলাৎকার করবেন রীতিমতো তার রুটিন তৈরি করেছিলেন তিনি। কোনো ছাত্র রাজি না হলে তার ওপর চালানো হতো নির্যাতন। পরে ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। তাদের মধ্যে চার ছাত্র আদালতে ২২ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে নাছিরের পাশবিকতার বর্ণনা দেয়।

নয় বছর ধরে ধর্ষণ :২০১৯ সালের ২২ জুলাই রাজধানীর দক্ষিণখানের মাদ্রাসাশিক্ষক ইদ্রিস আহমেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে এক শিশু নয় বছর ধরে ধর্ষণ চালানোর অভিযোগ করে। ২০১০ সালে শিশুটি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। তখন তার বয়স ১২ বছর, যৌননির্যাতনের শিকার তখন থেকেই। ৯ বছর পর শিশুটি তার চাচাত ভাইকে ঘটনাটি জানায়। এরপর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।


আরও খবর



রাজধানীতে সাত সকালে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাইরে ছিল রাতের মতো অন্ধকার। রাস্তায় গাড়ি চলছে হেডলাইট জ্বেলে। অবশেষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি। তুমুল বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েন কাজে-কর্মে বের হওয়া মানুষ।

এর আগে শুক্রবার মোটামুটি ঢাকার আবহাওয়া শুষ্কই ছিল। যদিও এর আগের দিন সামান্য বৃষ্টি হয়েছিল। শনিবার ঢাকাসহ দেশের ছয় বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় যে বৃষ্টি হবে, সেই পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে শিলাবৃষ্টি।

এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল মোংলায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়ার লতিফের ছিলা এলাকায় লাগা আগুন ২৬ ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রোববার বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো।

তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক, বনরক্ষী, ফায়ার সার্ভিস, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। আগুন লাগা এলাকার বাইরে থেকে ফায়ার লাইন কাটা হয়েছে। যেন আগুন ছড়িয়ে পড়তে না পারে। এখন আগুন পুরো পুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বনে লাগা আগুন সাধারণত নিভে যাওয়ার পরও কোথাও কোথাও পুনরায় দেখা দিতে পারে। এজন্য আগামীকালও ফায়ার সার্ভিসসহ বনবিভাগ এখানে কাজ করবে।

তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট জিউধরা ফরেস্ট স্টেশন এলাকার বনে প্রবেশের সকল পাশ-পারমিট বাতিল করা হয়েছে।

সুন্দরবন পুর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী নুরুল করিম বলেন, কী কারণে, কিভাবে এবং আগুন লেগেছে তার এখনও সঠিক কারণ বের করা যায়নি। পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধার স্টেশন অফিসার মোঃ ওবায়দুর রহমান এবং ধানসাগর স্টেশন অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে আগুন লাগার সঠিক কারণের প্রতিবেদন জমা দেবেন এই কমিটি।

এরআগে শনিবার বিকাল ৩টার দিয়ে সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এদিন বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছেও প্রতিকূলতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করতে পারেনি।

রবিবার (৫ মে) সকালেই সুন্দরবনের আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটসহ নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়।


আরও খবর



জাতিসংঘে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব গৃহীত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই সংঘাত ও সহিংসতা উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে লাভজনক করে তুলতে হবে।

যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত। বৈষম্য, বর্ণগত অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।

১১২টি দেশ বাংলাদেশের এই রেজুল্যুশনটিকে কো-স্পন্সর করেছে, যা শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজ্যুলেশনটির প্রতি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অব্যাহত সমর্থনের সাক্ষ্য বহন করে।

রেজ্যুলেশনটির বিবেচনার পূর্বে শান্তির সংস্কৃতির ওপর সাধারণ পরিষদে বহু সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য প্রদান করে। এ সময় তারা জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদের সরকারের সময় ১৯৯৯ সালে সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি প্রথমবারের মতো গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে।

এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের আয়োজন করে আসছে।


আরও খবর



২ মে পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার নিউজ উপস্থাপন করেন আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন। তিনি আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। সে সময় বলা হয়, সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহ ও আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কতা জারির প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল যথারীতি খুলবে। শিগগিরই এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করা হবে।

এরপর শনিবার (২৭ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আক্তারুন্নাহার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক শিফটে বিদ্যালয় প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। আর দুই শিফটের বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট পৌনে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব পর্যায়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে স্কুল কলেজ খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

মাউশি অধিদপ্তরের একজন পরিচালক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আগামী রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে। আমরা সে ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন করে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ তিন দিন পর তাপমাত্রা কমবে কি না সেটারও নিশ্চয়তা নেই। পুরো এপ্রিল মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে। মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরর পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলী বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে বিভিন্ন রকমের ভাবনা রয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে সরকার। আমরা তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা যায় সে বিষয়ে ভাবছি। সেটা অনলাইন হতে পারে বা মর্নিং শিফটে হতে পারে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে পরিস্থিতি ওপর।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল চলমান তাপপ্রবাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করে মাউশি। এর ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা।

এদিকে সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে আরও তিনদিন হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়িয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পুরো এপ্রিল মাসজুড়ে তাপপ্রবাহ কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

বৃহস্পতিবার আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত তাপপ্রবাহ নিয়ে জারি করা এক সতর্ক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪