আজঃ শনিবার ১১ মে ২০২৪
শিরোনাম

মাগুরায় সাকিব ও বীরেন শিকদারকে সংবর্ধনা

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মাগুরা-১ আসনের নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান এবং মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীরেন শিকদারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের সকল ইউনিয়ন পরিষদ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ফাত্তার সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, সহ-সভাপতি মুন্সী রেজাউল হক, আবু নাসির বাবলু, যুগ্ম সম্পাদক খুরশীদ হায়দার টুটুল, শাখারুল ইসলাম শাকিল, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ শাহীন, রানা আমীর উসমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল আলম বাবুল ফকির, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক হুমাউনুর রশিদ মুহিত, শালিখা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্যামল কুমার দে, মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল সিদ্দিকী লিটন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাকি ইমাম, সাধারণ সম্পাদক মকবুল হাসান মাকুল, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রিয়াজুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক জামির হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ খান, সাধারণ সম্পাদ হামিদুল ইসলামসহ জেলা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।


আরও খবর



২ বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল বাফেলো শহর

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ২ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় উত্তাল নায়াগ্রা ফলসখ্যাত বাফেলো শহর। রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিক্ষুব্ধ প্রবাসীদের তোপের মুখে পড়েন বাফেলো শহরের মেয়র ও পুলিশ কমিশনার।

স্থানীয় সময় দুপুরে নামাজের পর হাজারো মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে জড়ো হন বাফেলো মুসলিম সেন্টারে। বিক্ষুব্ধ প্রবাসীরা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।

এ সময় স্থানীয় বাফেলো শহরের মেয়র বায়রন ব্রাউন ও পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রামাগলিয়া জনতার তোপের মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা প্রতিবাদ সমাবেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন।

ঘটনার একদিন পর সন্দেহভাজন বন্দুকধারী দুর্বৃত্তের ছবি প্রকাশ করলেও তার নাম পরিচয় জানাতে পারেনি বাফেলো পুলিশ। অপরাধীকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

এদিকে নিহত বাবুল মিয়ার পাঁচ মাসের অন্তস্বত্ত্বা স্ত্রীর আহাজারিতে নিউইয়র্কের বাফেলো শহরের আকাশ-বাতাস যেন ভারী হয়ে ওঠেছে। অভিবাসন নিয়ে বছর খানেক আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন নুসরাত জাহান। স্বামীকে হারিয়ে তিনি এখন দিশেহারা। এই পৃথিবীতে নিকট আত্মীয় বলে তার আর কেউ রইল না। কিভাবে সন্তানকে মানুষ করবেন তিনি? গর্ভের সন্তানের ভবিষ্যত-ই বা কী হবে?

বাবুল মিয়ার স্ত্রী নুসরাত জাহান বলেন, আজকে আমি এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি যেখানে আমি আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ দেখতে পাই না। আমার স্বামীকে যারা এই নৃশংসভাবে বিদায় করে দিল তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

থমথমে পরিবেশ গুলিতে নিহত অপর বাংলাদেশি আবু সালেহ ইউসূফের বাড়িতে। জনশূন্য মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য ছেড়ে বাংলাদেশিদের সঙ্গে থাকবেন বলে মাত্র সাত মাস আগে ইউসূফও এসেছিলেন নিউইয়র্কের বাফেলোতে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হতে হলো তাকে। ইউসূফের স্ত্রী এখন সন্তানদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। স্বপ্নের যুক্তরাষ্ট্র যেন দিনদিন দু:স্বপ্ন হয়ে উঠছে অভিবাসীদের জন্য।

নিহত আবু সালে ইউসূফের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী কোনো অপরাধ করেনি। যারা আমার সন্তানদের এতিম করলো আমি তাদের বিচার চাই। আমেরিকান সরকারের কাছে আমারদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাই।


আরও খবর



ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে হিজবুল্লাহর দুই শীর্ষ কমান্ডার নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সরাসরি হামলার পর পাল্টা ব্যবস্থা নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসরায়েল। দেশটি এখনো সরাসরি ইরানে হামলা চালায়নি। তবে ইরানকে কাবু করতে ভিন্ন পথে হাঁটছে তেল আবিব। হঠাৎ করেই লেবাননের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ওপর হামলা জোরদার করেছে তারা।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) লেবাননে হামলা চালিয়ে তারা হিজবুল্লাহর দুই শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করেছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন ইসমাইল ইউসুফ বাজ নামের এক শীর্ষ হিজবুল্লাহ কমান্ডার। ইসরায়েলের দাবি মতে, যিনি দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে চালানো রকেট ও অ্যান্টি ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করতেন। হিজবুল্লাহও ইউসুফ বাজের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে বিস্তারিত কোনো তথ্য সরবরাহ করেনি।

একই দিন আরেকটি পৃথক হামলায় লেবাননের চেহাবিয়েহ শহরে হিজবুল্লাহর দুই সদস্যকে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে ছিলেন মুহম্মদ শাহৌরি রাদওয়ান। যিনি পশ্চিম জেলা রকেট ইউনিটের কমান্ডার ছিলেন।

গত বছর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলে যেসব রকেট ছোড়া হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণ করছিলেন রাদওয়ান। এ কমান্ডার খুব দক্ষ ও চতুর ছিলেন।


আরও খবর



বিজ্ঞান জাদুঘর ট্রাস্টি বোর্ডসভা: ৫০ প্রতিষ্ঠানকে ৬৫ লাখ টাকা অনুদান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের আওতাধীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়ন ট্রাস্টি বোর্ডের এক সভা বুধবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব ও জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী সভা সঞ্চালনা করেন। সভায় দেশের ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক বিজ্ঞান ক্লাবের জন্য ৬৫ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।

বোর্ডের সভাপতি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, গত ১৫ বছর যাবৎ বর্তমান সরকার মানুষের কল্যাণে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করছে। ট্রাস্টি বোর্ডের অনুদানের মাধ্যমে সরকার প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিজ্ঞান চর্চায় উদ্বুদ্ধ করছে। বিজ্ঞান মনস্ক জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিল, তা বাস্তবায়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তথ্য প্রযুক্তির সুবাদে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এখন সারা পৃথিবী অবলোকন করছে।

এছাড়া বিজ্ঞান জাদুঘরের মিউজিয়াম বাস ও মুভি বাসের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিজ্ঞান সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মানুষ তৈরি করা কঠিন কাজ। মানষিকতার পরিবর্তন ও সততা ছাড়া কোন জাতি এগোতে পারেনা। বিজ্ঞানের ব্যবহারিক শিক্ষার অংশ হিসেবে প্রতিবারের ন্যায় এবারও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য এ অনুদান প্রদান করা হয়।


আরও খবর



ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত: ন্যান্সি পেলোসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি মনে করেন, ইসরায়েলের কল্যাণের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর শিগগিরই পদত্যাগ করা উচিত। নেতানিয়াহুকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির পথে বাধা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

আয়ারল্যান্ডভিত্তিক বেতার সংবাদমাধ্যম রেডিও টেইলিফিস ইয়েরেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে পেলোসি বলেন, ইসরায়েলের অবশ্যই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং আমরা তা স্বীকারও করি; কিন্তু এ অধিকার রক্ষায় নেতানিয়াহু যে নীতি নিয়েছেন এবং যা যা করছেন তা ভয়ঙ্কর এবং আমরা সেসব প্রত্যাখ্যান করছি।

বিশেষ করে (৭ অক্টোবরের) হামলার জবাবে তিনি যা করছেন, তার চেয়ে নিকৃষ্ট আর কী হতে পারে। হামলার দায় স্বীকার করে তার সরকারের গোয়েন্দাপ্রধান পদত্যাগ করেছেন, তারও পদত্যাগ করা উচিত। গত ছয় মাসে যা যা হয়েছে, সেজন্য সম্পূর্ণভাবে তিনি দায়ী।

নেতানিয়াহুকে আল আকসা ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে শান্তি পথে বাধা মনে করেন কি না প্রশ্নের উত্তরে সাবেক হাউস স্পিকার বলেন, অবশ্যই মনে করি। আমি জানি না তিনি শান্তিকে ভয় পান কি না, শান্তিতে বসবাস করতে অক্ষম কি না কিংবা শান্তির প্রতি অনাগ্রহী কি নাকিন্তু তিনি দীর্ঘদিন ধরে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন প্রশাসনকে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বানও জানিয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।

কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা-দূতিয়ালিতে গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস-আইডিএফ। সেই বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ১৫০ জনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছিল ইসরায়েলও।

ওই বিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছিল মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ। চলতি বছর রমজান মাস থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু মূলত নেতানিয়াহুর আপত্তির কারণে তা আর হয়নি।

ফলে হামাসের কব্জায় থাকা বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্য কী ঘটেছে এখনও অজানা।

১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্রের ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের একমাত্র এই ইহুদি রাষ্ট্রকে সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলা ও তার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরুর পর প্রাথমিক পর্যায়ে সেই অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছিলেন মার্কিন রাজনীতিবিদরা। পেলোসিও তাদের মধ্যে ছিলেন।

তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা বৃদ্ধি এবং যুদ্ধাবসানের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রতি হতাশ হওয়া শুরু করেন মার্কিন রাজনীতিবিদদের অনেকেই।

কিছুদিন আগে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সরকারি দলের নেতা চাক শুমার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমার ধারণা, নেতানিয়াহু তার পথ হারিয়ে ফেলেছেন এবং ইসরায়েলের জনগণের উচিত নতুন একজন প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেওয়া।


আরও খবর



ইরাকে সমকামী সম্পর্কে জড়ালেই ১৫ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সমকামী সম্পর্কে জড়ালে হবে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড। এমনই এক আইন পাশ হয়ে গেল ইরাকের পার্লামেন্টে। দেশটির সরকারের দাবি, ধর্মীয় মূল্যবোধকে রক্ষা করার লক্ষ্যে এই নতুন আইন পাশ করা হলো।

ইরাকে আগে প্রস্তাব আনা হয়েছিল, সমকামীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলো ও আমেরিকার বিরোধিতায় সর্বোচ্চ সাজা ১৫ বছরের কারাদণ্ডই রাখা হয়েছে। কেবল সমকামী সম্পর্ক নয়, আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে রূপান্তরকামীদের জন্যও। বলা হয়েছে, লিঙ্গ বদলকারী কিংবা নারীদের বেশ ধারণকারীদের এক থেকে তিন বছরের কারাবাস বা ৭৭০০ ইউরো জরিমানা হবে।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, ইরাকের সমাজকে নৈতিক অবক্ষয় ও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া সমকামিতা থেকে রক্ষা করতেই এই আইন আনা হয়েছে। সমকামিতা ও দেহব্যবসা রুখতে আনা এই আইনে জানানো হয়েছে, কেউ সমকামী সম্পর্কে জড়ালে সর্বোচ্চ ১৫ ও সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হবে তার। সমকামিতা কিংবা দেহ ব্যবসার প্রচার করলে কমপক্ষে ৭ বছরের জন্য যেতে হবে কারাগারে।

এতদিন পর্যন্ত ইরাকের আইনে সমকামিতাকে অপরাধ বলা হয়নি। কেবলমাত্র দণ্ডবিধির উল্লেখে অল্প করে নৈতিকতার দিকটি আনা হয়েছিল। সেটাকেই অস্ত্র করে এলজিবিটি মানুষদের আক্রমণ করত সশস্ত্র দলগুলো। এবার সমকামিতাকে অপরাধ ঘোষণা করে শাস্তির বিধান দিল নতুন আইন।


আরও খবর