![Image](https://cdn.ajkerdarpon.com/images/46b3fda0913a711cc0e10cf1e977a5d9.jpeg)
বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্স বিশ্বের ৫৮টি দেশে ছড়িয়েছে। এ পর্যন্ত ছয়
হাজারের বেশি মানুষের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। আগামী ১৮ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া
সপ্তাহে বা তারও আগে এ বিষয়ে আবারও জরুরি বৈঠকে বসবে ডব্লিউএইচওর একটি কমিটি।
মাঙ্কিপক্সের
প্রাদুর্ভাবকে জনস্বাস্থ্যের জন্য বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করা হবে কিনা,
বৈঠকে সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হবে। জনস্বাস্থ্যের জন্য বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা
ডব্লিউএইচওর সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কবার্তা।
রয়টার্সের খবরে
বলা হয়েছে, ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গ্রেব্রিয়াসুস এক ভার্চুয়াল সংবাদ
সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমি সারাবিশ্বে ভাইরাসটির মাত্রা ও বিস্তার
নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছি।' পরীক্ষা না হওয়ায় অনেক আক্রান্ত হিসেবের বাইরে থেকে যাচ্ছেন
বলে ধারণা করছেন তিনি। ৮০ শতাংশের বেশি মাঙ্কিপক্স ইউরোপে শনাক্ত হয়েছে বলে জানান ডব্লিউএইচও
প্রধান।
এর আগে গত ২৭
জুন ডব্লিউএইচওর কমিটি এ সংক্রান্ত বৈঠকে বসে। মাঙ্কিপক্স তখনও জনস্বাস্থ্যের জন্য
বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণার অবস্থায় যায়নি বলে ওই বৈঠকে একমত হন কমিটির সদস্যরা।
মাঙ্কিপক্স
এমন একটি ভাইরাস, যা প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হয়। এর উপসর্গ গুটিবসন্তের
মতো হলেও ক্লিনিক্যালি কম গুরুতর। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপসর্গের মধ্যে
আছে- মুখ ও হাতের তালুতে ক্ষত বা গুটি, খোসপাঁচড়া, জ্বর, পেশিতে ব্যথা এবং ঠাণ্ডা
লাগা। আক্রান্তদের বেশিরভাগ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে, কিছু ক্ষেত্রে
মাঙ্কিপক্স মারাত্মক হতে পারে, যদিও তা বিরল।