আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এমপক্স বা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় একজন মারা গেছেন। মাঙ্কিপক্স সংক্রমণে আফ্রিকার এই দেশটিতে এটিই প্রথম মৃত্যু। এছাড়া দেশটিতে চলতি বছর আরও কয়েকজনের শরীরে এই রোগ শনাক্ত হয়েছে। বুধবার (১২ জুন) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় এমপক্সে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। মন্ত্রী জো ফাহলা বলেছেন, তিন দিন আগে গাউতেংপ্রদেশের একটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে গত সোমবার ৩৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি মারা যান।

জো ফাহলা বলছেন, এই বছর দেশে পাঁচজন এমপক্সে সংক্রমিত হয়েছেন, যার মধ্যে গাউতেংয়ের আরও এক ব্যক্তি রয়েছেন। এছাড়া অন্য তিনজন কোয়াজুলু-নাটালের বাসিন্দা।

তিনি বলেন, সংক্রমিত সকলেই ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী পুরুষ। তারা প্রাদুর্ভাবের সম্মুখীন হওয়া অন্য কোনও দেশে যাননি। ফলে এই রোগটি স্থানীয়ভাবে মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

এমপক্স রোগটি আগে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত ছিল এবং ২০২২ সালের প্রথমার্ধে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এরপর একই বছরের জুলাই মাসে মাঙ্কিপক্স বা এমপক্সকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। কিন্তু তারপর থেকে এই রোগে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমেছে। এর প্রায় এক বছরের মাথায় এই সংক্রমণকে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা থেকে বাদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।

উল্লেখ্য, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসজনিত অসুখ। স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির একটি ভাইরাস এ রোগের জন্য দায়ী। ভাইরাসটির দু’টি রূপান্তরিত ধরন রয়েছে— মধ্য আফ্রিকান ও পশ্চিম আফ্রিকান।

রোগটির বিভিন্ন লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ঘেমে যাওয়া, পিঠে ব্যথা, মাংসপেশির টান ও অবসাদ। প্রথম পর্যায়ে রোগীর জ্বর আসে, পাশাপাশি শরীরে দেখা দেয় ফোস্কা ও অধিকাংশ ঘটনায় শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি ওঠে। পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে; বিশেষ করে হাত ও পায়ের তালুতে।

যুক্তরাষ্ট্রের একজন জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তার মতে, এই ভাইরাল সংক্রমণের সাথে গুটিবসন্তের সম্পর্ক আছে। তবে সংক্রমণ সাধারণত মৃদু হয়। বিশেষ করে পশ্চিম আফ্রিকান ভাইরাসের প্রজাতিটি মৃদু ধরনের; যা যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছিল। এই প্রজাতিতে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার প্রায় ১ শতাংশ। বেশিরভাগ মানুষ দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।


আরও খবর
যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন আজ

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




বাজারে প্রতিটি পণ্যের দামেই আগুন, ক্রেতাদের কপালে ভাঁজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কোনোভাবেই কমছে না। এমন পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম শুনে কপালে ভাঁজ পড়ছে ক্রেতাদের। শুক্রবার (২৮ জুন) রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ ও মগবাজার এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

এসব বাজারে গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ ব্যবধানে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। খুচরা দোকানে বাছায় করা পেঁয়াজ এখন ১০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে। এগুলো আকারে একটু বড়। সাধারণ মানের পেঁয়াজ ৯৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

পেঁয়াজ বিক্রেতা মেহেদি হাসান বলেন, পেঁয়াজের মৌসুম (বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ) যত শেষের দিকে যাচ্ছে, দাম তত বাড়ছে। আগামীতে এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা বলা যাচ্ছে না। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ কম। কারণ ভারত পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে। ওই দামে পেঁয়াজ আমদানি করলে শুল্ককরসহ দেশে আনতে প্রায় ৮০ টাকা খরচ হয়। যে কারণে ভারতের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে না। এতে বাজার শুধু দেশি পেঁয়াজের ওপর নির্ভর করেই চলছে। যে কারণে দাম বেশি।

অন্যদিকে বাজারে বেড়েছে আলুর দামও। গত সপ্তাহে খুচরায় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে। তবে দরদাম করলে কোনো কোনো দোকানে ৬০ টাকায় মিলছে।

ঈদুল আজহার আগে আগেই এবার বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। কুরবানির সময়ে ঢাকায় কাঁচা মরিচের কেজি ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। কিছুটা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।

বাজারের বেশিরভাগ সবজির দাম চড়া। প্রতিকেজি ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কিছু। ওই দামের মধ্যে আছে পটল, ঢ্যাঁড়স, কাঁচা পেঁপে। তবে কচুর লতি, বরবটি, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে আরও ২০ টাকা বেশি দরে, অর্থাৎ ৮০ টাকার আশপাশে প্রতি কেজি। এছাড়া করলা ও বড় তালবেগুনের দাম ১০০ টাকা বা তার চেয়েও বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা।

ভরা মৌসুমে বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও দামে খুব একটা স্বস্তি দেখা যায়নি। বড় মগবাজারে ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম আকারের ইলিশ প্রতি কেজি এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা এবং এক কেজির ইলিশ এক হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাক দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা।


আরও খবর



সেমিতে যেতে ১২.১ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১১৬

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশকে ১১৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে আফগানিস্তান। আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে ১১৫ রান করেছে রশিদ খানের দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। রান রেটে এগিয়ে সেমিফাইনালে যেতে হলে বাংলাদেশকে ১২.১ ওভারে এই লক্ষ্য ছুঁতে হবে।

স্কোর লেভেল করে যদি চার মারতে পারে বাংলাদেশ, তাহলে সময় পাবে ১২.৩ ওভার। কিংবা স্কোর লেভেল করে যদি ছক্কা মারতে পারে বাংলাদেশ, তাহলে সময় পাবে ১২.৫ ওভার। যদিও সেন্ট ভিনসেন্টে বৃষ্টি নামায় বাংলাদেশের ইনিংস শুরু হতে দেরি হবে।

এর আগে সুপার এইটের শেষ ম্যাচে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল। একাদশে ফিরেছেন তাসকিন আহমেদ ও সৌম্য সরকার। বাদ পড়েছেন জাকের আলী অনিক ও মেহেদী হাসান। এ দিকে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে আফগানরা।

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ওপেনিং জুটিতে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন ইব্রাহিম জার্দান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তবে এ ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে তাদের বেঁধে রাখেন টাইগার বোলাররা।

তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদের গতিময় বোলিংয়ে দিশেহারা দুই আফগান ওপেনার। রানের জন্য ছটফট করছিলেন দুজন। পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব আল হাসান।

তার বলে কাভারে ক্যাচ তুলেছিলেন ইব্রাহিম। কিন্তু সেই ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। পাওয়ার প্লেতে আফগানদের সংগ্রহ ছিলো কোনো উইকেট না হারিয়ে মাত্র ২৭ রান।

এই ধারা অব্যাহত থাকে বাকি ওভার গুলোতেও। ২০ ওভারে সর্বমোট ৬৬টি ডট বল করেছেন তাসকিন-সাকিবরা। অর্থাৎ ১১ ওভারে কোনো রান তুলতে পারেনি আফগান ব্যাটাররা।

১১তম ওভারে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ইব্রাহিমকে (১৮) ফিরেয়ে ৫৯ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। ওভারটি উইকেট মেডেন করেন রিশাদ। ১৭তম ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাই (১০) এবং গুরবাজকে (৪৩) সাজঘরে ফেরান এই লেগ স্পিনার। ২৬ রানে তার শিকার ৩ উইকেট।

সেমিফাইনালে খেলতে শুধু মাত্র জয় পেলেই হবে আফগানদের। এমনকি বৃষ্টিতে খেলা পণ্ড হলেও শেষচারে খেলবে তারা।


আরও খবর



‘পাকিস্তানের দালালরা ভারতের কাছে দেশ বিক্রির কথা বলে’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image
একটি দেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী? ইউরোপে তো কোনো বর্ডারই নাই। তারা কি একে অন্যের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে? দক্ষিণ এশিয়ায় কেন বাধা দিয়ে রাখবো। মানুষ কি দরজা-জানালা বন্ধ রাখবে? এ কানেক্টিভিটির ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে। দেশের মানুষই লাভবান হবে।

যারা দেশ বিক্রির কথা বলে, তারাই ৭১ এ পাকিস্তানের দালালি করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। মূলত, দেশের মধ্য দিয়ে ভারতের পণ্যবাহী নতুন রেললাইন তৈরির বিষয়ে ওঠা সমালোচনার জবাবে এ উক্তি করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী? ইউরোপে তো কোনো বর্ডারই নাই। তারা কি একে অন্যের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে? দক্ষিণ এশিয়ায় কেন বাধা দিয়ে রাখবো। মানুষ কি দরজা-জানালা বন্ধ রাখবে? এ কানেক্টিভিটির ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে। দেশের মানুষই লাভবান হবে।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ ও ভারত এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি। আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ এবং কার্যপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছি।

সমালোচনাকারীদের উদেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা দেশ বিক্রির কথা বলে, তারাই আসলে ভারতের কাছে বিক্রি। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ওপরে ভারত বিরোধিতা করলেও ভারতে গিয়ে পা ধরে বসে ছিল। শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে না, কারণ আমরাই এই দেশ স্বাধীন করেছি। যারা বিক্রির কথা বলে, তারাই ৭১ এ পাকিস্তানের দালালি করেছে।

তিনি বলেন, ২১ ও ২২ জুন আমি রাষ্ট্রীয় দ্বিপাক্ষিক সফর করেছি। একই মাসে সরকার প্রধান হিসেবে দুইবার দিল্লি সফর আমার জন্য এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এসবই আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ বহন করে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ক্রমাগত বিকশিত এবং দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বৈঠকে আমরা অন্যান্য পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মধ্যে রাজনীতি ও নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ ও সুরক্ষিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্তে হতাহতের ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনা, বাণিজ্য ও সংযোগ, অভিন্ন নদীর টেকসই ব্যবস্থাপনা ও পানি বণ্টন, জ্বালানি ও শক্তি এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তার সুবিধাজনক সময়ে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে দ্বিপাক্ষিক সফরে আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছি।


আরও খবর



সাবেক ভ্যাট কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।

ওই কমিশনারকে বিদেশ ভ্রমণে ৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চারটি মোবাইল কোম্পানিকে (ফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল লিমিটেড) ১৫২ কোটি টাকা সুদ ছাড়ের অভিযোগ রয়েছে। শুনানিতে অংশ নেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।

কাস্টমস কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কমিশনার হিসেবে অবসরে যান। বর্তমানে তিনি পিআরএলে রয়েছেন।

গত মঙ্গলবার (১১জুন) সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শাহআলম শেখ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চারটি প্রতিষ্ঠানের স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর আইনানুগভাবেই ভ্যাট প্রযোজ্য হওয়ায় তা মেনে নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে যথাসময়ে ১৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা বলে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত কর মেয়াদে তা পরিশোধ না করায় মূসক আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য হারে প্রদেয় সুদের পরিমাণ হয় ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা। মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ এর ধারা ৩৭(৩) অনুসারে সুদ আদায়ের জন্য কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী অতি দ্রুত সুদের হিসাব করার নির্দেশ প্রদান করেন। সুদ হিসাবে সরকারের পাওনা অর্থের মধ্যে গ্রামীণ ফোন লিমিটেডের কাছে ৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭ টাকা, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনের কাছে ৫৭ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫১ টাকা, রবি আজিয়াটার কাছে ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬ টাকা এবং এয়ারটেল বাংলাদেশের কাছে ২০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ টাকা রয়েছে। পরবর্তীকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ থেকে ৫ মাস পর ভিন্ন আদেশে ওই সুদ মওকুফ করে দেন ওয়াহিদা রহমান।

এনবিআর সদস্য হোসেন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত টিমের প্রতিবেদনেও এর সত্যতা পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২১৮/৪০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়।ওই কমিশনারকে বিদেশ ভ্রমণে ৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চারটি মোবাইল কোম্পানিকে ১৫২ কোটি টাকা সুদ ছাড়ের অভিযোগ রয়েছে। শুনানিতে অংশ নেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।


আরও খবর



কাল থেকে রাজধানীতে বসবে কোরবানির পশুর হাট

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় স্থায়ী দুটিসহ ২২টি পশুরহাটে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির পশু বেচা-বিক্রি শুরু হবে।

দুই সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় গাবতলীর স্থায়ী হাটসহ ৯টি হাট এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাটসহ ১১টি হাট বসেছে। তবে এ বছর আদালতের নির্দেশনার কারণে আফতাবনগরে হাট বসবে না।

উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা পিয়াল হাসান জানিয়েছেন, রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবে স্থায়ী ১টি ও অস্থায়ী ৮টি হাট। এবার ১৩ জুন বৃহস্পতিবার থেকে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত ৫দিন হাট বসবে। কোরবানির পশু কেনা-বেচা নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে যাতে করা যায় সে জন্য উত্তরের হাটগুলোতে সকল ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বাজারে ক্রেতারা কোনো নগদ অর্থ না নিয়ে এসেও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পশু ক্রয় করতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইনস্ট্যান্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে যে কেউ টাকার লেনদেন করতে পারবে। এ জন্য হাট এলাকায় অসংখ্য ব্যাংক বুথ থাকবে। হাটে আসা মুসলিম ক্রেতাদের অজু ও নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাটের শৃংখলা বজায় রাখতে এবার হাট ইজারাদারদের সতর্ক করা হয়েছে। কোনো বিক্রেতা যদি রাস্তায় হাট বসায় তবে ইজাদারের জামানতের অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হবে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে।

ঢাকা উত্তরে অস্থায়ী ৮টি পশুর হাটগুলো হলো- উত্তরা দিয়াবাড়ীর ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের পাশের খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশের খালি জায়গা, মস্তুল চেকপোস্ট এলাকা, মিরপুর-৬ নম্বর সেকশনের ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, ভাটারার সুতিভোলা খালের কাছের খোলা জায়গা, মোহাম্মদপুরের বছিলায় ৪০ ফুট সড়কের পাশের খালি জায়গা, ভাটুলিয়া সাহেব আলী মাদ্রাসা থেকে রানাভোলা স্লুইচগেট পর্যন্ত খালি জায়গা ও দক্ষিণখানের জামুন এলাকার খালি জায়গা।

ঢাকা দক্ষিণে অস্থায়ী ১০টি পশুর হাটগুলো হলো- খিলগাঁও রেলগেট মৈত্রী সংঘ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, পোস্তগোলা শ্মশান ঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, বনশ্রীর মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা, কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, লালবাগে রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা।

এদিকে কোরবানির পশুর বর্জ্য ও অস্থায়ী পশুর হাটের বর্জ্য দ্রুততম সময়ে সরিয়ে নিতে দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা এবং হাটের ইজারাদারদের সঙ্গে মঙ্গলবার সভা করেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। উত্তর সিটি করপোরেশন এ ব্যাপারে ইজারাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।


আরও খবর