আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

মাটি ছাড়াই তৈরি হচ্ছে টেকশই ও পরিবেশ বান্ধব ইট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল বসুনীয়া, নীলফামারী

Image

মাটি ছাড়াই তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক কংক্রিট ইটের ব্লক। দেখতে সুন্দর, টেকশই ও পরিবেশ বান্ধব। এসব কংক্রিটের ব্লক সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও শুরু হয়েছে ব্যবহার। নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বাইপাস সড়কের ধলাগাছ মোড় সংলগ্নে বসানো হয়েছে এই ব্লক ইট তৈরির মেশিন। প্রতিঘন্টায় সেখানে তৈরি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২শ' ইট।

এলাকাবাসীরা জানান, পরিবেশবান্ধব ও জমির মূল্যবান মাটি নষ্ট না করেই জার্মান প্রযুক্তিতে আগুনে না পুড়িয়ে, পাথর গুঁড়া ও সিমেন্ট দিয়ে অত্যাধুনিক ভাবে তৈরী হচ্ছে ব্লক ইট। শ্রমিকরা কারখানার পাশে স্তুপ করা পাথর, সিমেন্ট, সিলেকশন সেন্ড ট্রলিতে এনে হপারে ঢেলে দেন। পরে মিক্সার মেশিনে অন্যান্য উপকরণ মিশ্রিত করে কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে ভাইব্রো মাল্টি ক্যাভিটি মোল্ডিং মেশিনের মাধ্যমে তৈরি করা হয় এই ইট। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে সারি সারিভাবে মেশিন থেকে বেরিয়ে আসে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট। এই অত্যাধুনিক ইট কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন অনেকে। এ কারখানায় ১৫/২০ জন লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির মালিক সৈয়দপুরের কলিম মোড় এলাকার হাজী হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকার পূর্বাচলে এই ব্লক ইট তৈরির স্থান সংকুলান না হওয়ায় তিনি কারখানাটিকে এখানে নিয়ে আসেন এবং কংক্রিটের ইটের ব্লক তৈরির কাজ শুরু করেন।

তিনি বলেন, এইচএইচএ কংক্রিট অ্যান্ড ব্রিকস লিমিটেড কংক্রিট ইটের ব্লক বের করে প্রথমে একটু সন্দেহ ছিলো এটি চলবে কিনা। কিন্ত দিন দিন চাহিদার কারণে অনেকটা আশাবাদি। এই ব্লকের ইট একদিকে পরিবেশ দূষণ কমাবে, অন্যদিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে কৃষি জমি ও বনাঞ্চল।

ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মো. রেজা আজকের দর্পণকে জানান, এখানে চার ধরণের কংক্রিট ইটের ব্লক তৈরি করা হয়। এগুলো হচ্ছে বিল্ডিং বাড়ির জন্য কংক্রিট ইট, ব্লক ইট ও রাস্তা তৈরির কাজের জন্য ইউনি ব্লক ও হলো কার্বস্টল ব্লক। বিল্ডিং তৈরির ব্লক অনেকটা সিমেন্টের কালারের মতো আর রাস্তা তৈরির ব্লক রঙিন ধূসর হয়ে থাকে। রঙিন ব্লকটি সরকারি রাস্তার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। সৈয়দপুরের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাজেও এই ইটের ব্যবহার হচ্ছে।

তিনি জানান, এসব ইটের ব্লক তৈরির পাথর ও বালু আনা হচ্ছে পঞ্চগড়ের ভজনপুর থেকে। এই কারখানাটি ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে উৎপাদন শুরু করে। ২২ শতক জমিতে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠেছে।  তিনি বলেন, মাটির তৈরির ইটের পিএসআই থাকে ৮০০ থেকে ১০০০ আর এসব ব্লকের পিএসআই ১৮০০ থেকে ২৫০০০। ফলে এগুলো খুবই টেকশই, পরিবেশ বান্ধব, অর্থ সাশ্রয়ী। প্রতি হাজার বিক্রি হচ্ছে ১১ হাজার থেকে সাড়ে ১১ হাজার টাকায়।

সৈয়দপুর উপজেলা প্রকৌশলী এম আর রাজু আজকের দর্পণকে জানান, মাটির তৈরি পোড়া ইটের বিকল্প হিসেবে কংক্রিটের ইট কৃষিবান্ধব, পরিবেশবান্ধব। তাই ইটের বিকল্প হিসেবে বাড়ছে কংক্রিট ব্লকের ইট ব্যবহার। এলজিইডির রাস্তার কাজে কংক্রিটের তৈরি ইউনি ব্লক ব্যবহার শুরু হয়েছে।


আরও খবর



বান্দরবানের বাকলাইতে দুই ‘কেএনএফ’ সদস্যের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচির সীমান্তবর্তী বাকলাই এলাকায় দুটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে মৃতদেহ দুটি কেএনএফ সদস্যের।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে রেমাক্রী ইউনিয়নের বাকলাই এলাকায় মৃতদেহ দুটি পাওয়া যায়। তাদের পরনে কেএনএফের পোশাক থাকায় ধারণা করা হচ্ছে মৃতদেহ দুটি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্যের। তবে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে রুমা ও থানচির বাকলাই এলাকায় দুটি মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তারা কে বা কারা সে বিষয়ে জানা না গেলেও কেএনএফের পোশাক পরিহিত বলে জানায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে যায়।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, দুটি মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়েছি। আমরা মৃতদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। জায়গাটি দুর্গম হওয়ায় পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে পারব।’

প্রসঙ্গত, ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় রুমা ও থানচিতে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের ধরতে পরিচালিত হচ্ছে যৌথ অভিযান। এ পর্যন্ত যৌথ অভিযানে কেএনএফের ৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও খবর



ইবিতে র‌্যাগিংকাণ্ড, তদন্তে সত্যতা মিললেও বিচারে দীর্ঘসূত্রতা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ইবি প্রতিনিধি

Image

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের এক শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে র‍্যাগিংয়ের ঘটনার ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও বিচার হয়নি অভিযুক্তদের। কিন্তু প্রশাসন ও হল প্রশাসন কর্তৃক গঠিত পৃথক দুই তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থীর সরাসরি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায়। যার ফলে তাদের বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি ও কম জড়িত থাকা এক শিক্ষার্থীকে সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়। তবে পরবর্তীতে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের গড়িমসি ও সদিচ্ছার অভাবে বিচারে দীর্ঘসূত্রতা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইবির লালন শাহ হলের গণরুমে (১৩৬ নং কক্ষ) এক ছাত্রকে বিবস্ত্র করে রাতভর র‌্যাগিং করা হয়। এসময় কথা না শুনলে তাকে লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে উলঙ্গ করে পর্ণগ্রাফি দেখে অশ্লিল অঙ্গভঙ্গি করতে বাধ্য করে নির্যাতনকারীরা। এতে গুরুতর অভিযুক্ত দুইজন হলেন- শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের মুদাচ্ছির খান কাফি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোহাম্মদ সাগর। এছাড়া ইতিহাস বিভাগের উজ্জ্বল হোসেন কম জড়িত ছিল। তারা সকলেই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এদিকে ওই কক্ষে প্রায়ই র‌্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে বলে সাক্ষাতকার দেওয়া শিক্ষার্থীরা তদন্ত কমিটির কাছে জানান।

এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ এর সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, গত তিন মাস আগে এই র‌্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি, যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, গত ঈদের ছুটির আগেই আমরা ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিয়েছি। সিদ্ধান্তের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, প্রতিবেদন সাধারণত রেজিস্ট্রারের নিকট জমা দেওয়া হয়। সেখান থেকে উপাচার্যের অনুমতিতে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত হয়ে আমার কাছে আসে। প্রতিবেদন আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এটি মূলত ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটি হয়ে পরবর্তীতে সিন্ডিকেটে আসবে। এখানে একটু মিসটেক হয়েছে তাই দেরি হয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে সবজায়গায় দ্রুত সমাধানের জন্য বলেছি। আশা করি শীঘ্রই এর সমাধান হবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীমঙ্গল

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছপালা উপড়ে গেছে, বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে হঠাৎ মৌলভীবাজার জেলা দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়। এতে জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে বয়ে যায় আধা ঘণ্টার কালবৈশাখী ঝড়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে যাওয়া আখাউড়া-সিলেট রেলপথের একাধিক স্থানে গাছ ভেঙে পড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ট্রেনের যাত্রীরা।

কমলগঞ্জের ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার কবির আহমেদ বলেন, ঝড়ে সিলেট-শ্রীমঙ্গলের মাঝে রেললাইনের ওপর কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়ে। এতে বিকেল থেকে সারা দেশের সঙ্গে সিলেটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, শ্রীমঙ্গল স্টেশনে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস বিকেল ৫টা ২০ মিনিট থেকে আটকে আছে ও ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনে ৫টা ৩৭ মিনিট থেকে আটকে আছে। গাছ অপসারণের কাজ চলছে। শিগগিরই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে অনেকের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছ-বাঁশ ঘরের ওপরে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল শহরে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। শহরের বিভিন্ন দোকানের চাল উড়ে গেছে। উপড়ে গেছে অসংখ্য বড় বড় গাছ।

উল্লেখ্য, সিলেট অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে রাত ১ টার মধ্যে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের পক্ষে আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিকেল ৩টা থেকে দিনগত রাত ১টা পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলেরে উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর



পরিবেশ রক্ষায় ঢাকাসহ সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধে রিট

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পরিবেশ রক্ষায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এ রিট পিটিশন দায়ের করে।

এইচআরপিবির পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এ রিট দায়ের করেন।

সম্প্রতি তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট দায়ের করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তা দিনদিন কমছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে, যে কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অন্যদিকে সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে সারাদেশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। যা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

রিটে নিম্ন নির্দেশনাগুলো চাওয়া হয়েছে

১. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশ বিজ্ঞানী, প্রফেসর, পরিবেশ বিজ্ঞান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর পরিবেশ বিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে একটি সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন, যারা প্রয়োজনে ঢাকা শহরে গাছ কাটার অনুমতি প্রদান করবে।

২. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৩. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাত দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডি এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারে সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৪. কমিটি গঠন হওয়ার আগ পর্যন্ত সব বিবাদী নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ চাওয়া হয় এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দাখিল নির্দেশনা চাওয়া হয়।

৫. গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ দেওয়ার বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

রিট পিটিশনাররা হলেন- অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈই। বিবাদীরা হলেন- সচিব, কেবিনেট বিভাগ; মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়; সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়; সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ; ডিরেক্টর জেনারেল পরিবেশ বিভাগ; মেয়র, ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন; প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তরা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন; প্রধান প্রকৌশলী, এলজিইডি, প্রধান বন সংরক্ষক; প্রধান প্রকৌশলী, সড়ক মহাসড়ক বিভাগ ও আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশ।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় পুড়ে গেছে ৬০ একর ধানখেত

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

উচ্চ তাপপ্রবাহে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে বোরো ধান আবাদে কৃষক যখন নাজেহাল। ঠিক তখনই ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার অর্ধশত কৃষকের ৬০ একর জমির ধান পুড়ে গেছে। এ অবস্থায় উপায় না পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে ক্ষতি পূরণের দাবি করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে পীরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রমিজ আলমসহ কৃষি কর্মকর্তারা ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পুড়ে যাওয়া ধান পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, জেলার পীরগঞ্জ পৌর শহরের গুয়াগাঁও গ্রামের ফসলি জমির আশেপাশের ঢাকাইয়া শাহজাহান, বেলাল ও আকবর আলী নামে তিন ব্যক্তি তিনটি ইটভাটা গড়ে তুলেছেন। তাদের ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া আর তীব্র গরম বাতাসে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি ফসল ও বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। গত কয়েক দিনে ইটভাটার ধোঁয়া আর গরম বাতাসে প্রায় ৬০ একর বোরো ধানখেত পুড়ে গেছে। পরবর্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ইটভাটা মালিককে ক্ষতি পূরণ দিতে অনুরোধ জানালেও তাদের কথায় কোন কর্ণপাত করেন নি। উপায় না পেয়ে ক্ষতিপূরণ চেয়ে বুধবার (৮ মে) উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

কৃষকরা জানান, তীব্র দাপদাহের মধ্যে ঋণ মহাজন করে অতিরিক্ত খরচে ধান আবাদ করেছি। এখন ধানের শীষ বের হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ঠিক এই সময়ে ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া আর গরম বাতাসে তাদের ধানের পাতা পুড়ে হলুদ হয়ে গেছে। আর যেসব ধানের শীষ বের হয়েছে তার সবটাই আঠালো হয়ে গেছে। শীষে কোনো ধান নেই। এ অবস্থায় চরম দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।

এদিকে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে কৃষি বিভাগ মাঠ পরিদর্শন করে বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছেন জানান কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিহার রঞ্জন রায়।

এ বিষয়ে ইট ভাটা মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

এদিকে ফসলি জমির ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আরও ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষি অর্থনীতি এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষক। তাই এসব ভাটার মালিকের বিরুদ্ধে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকার কৃষক।

আর কৃষকের ক্ষতি পূরণ প্রদানে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রমিজ আলম।


আরও খবর