চলতি মৌসুমে তুলার বাম্পার ফলনের আশা করছে মেহেরপুর জেলার চাষীরা। দাম নিয়ে চাষীদের মধ্যে শঙ্কা থাকলেও বর্তমান বাজার দাম থাকলেই খুশি চাষিরা। আবহাওয়া ভাল থাকায় এবছর তুলা গাছে ভাল গুটি ধরেছে। ফলে আথিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রত্যয় চাষিদের।
মেহেরপুর তুলা উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলায় চুয়াডাঙ্গা জোনের আওতায় সদর ও কুষ্টিয়া জোনের আওতায় গাংনী উপজেলায় তুলা চাষ হয়ে থাকে। সেই হিসেবে সদর উপজেলায় ২ হাজার ১৩৫ হেক্টর ও গাংনী উপজেলায় ২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে মোট জেলায় ৪ হাজার ২৩৫ হেক্টর জমিতে তুলার চাষ হয়েছে। গতবছর তুলার ভাল দাম পাওয়ায় এবার গতবারের তুলনায় ২০০ হেক্টর তুলার চাষ বেশি হয়েছে। তুলার দাম এখনো নির্ধারণ না হলেও গতবছর যে মন প্রতি ৩ হাজার ৮০০ টাকায় তুলা বিক্রি করেছিল সেই দামটা থাকলেই লাভবান হবে বলে আশা করছে চাষীরা।
চাঁদবিলের তুলা চাষি আলাউদ্দীন জানান, এবার বিঘা প্রতি তুলা চাষে খরচ হয়েছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি ১৮-২০ মন ফলনের আশা করছেন। তুলা বিক্রি করে এক লক্ষ টাকা ঘরে তুলবে এমনটাই আশা তার। একই কথা জানালেন গাংনীর হাড়াভাঙ্গা গ্রামের ময়নাল। তিনি এবার দেড় বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছেন।
মেহেরপুর তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম ইজাজুল ইসলাম জানান, চাষীদের মাঝে তুলা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ পর্যায়ে চাষিদের নিয়ে মাঠ দিবসসহ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তুলার রোগবালাই প্রতিরোধে চাষিদের পাশে থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা শ্যাম দেবাশিষ জানান, কৃষি মন্ত্রণালয় তুলা উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে তুলা চাষ বৃদ্ধিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। যদি সরকার থেকে তুলা রোপনের জন্য মেশিন দেওয়া হয় তবে তুলা চাষে চাষিদের খরচ কমবে এবং তুলা চাষ বৃদ্ধি পাবে।