আজঃ বুধবার ২২ মে ২০২৪
শিরোনাম

মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধের সুপারিশ : বিআরটিএ

প্রকাশিত:সোমবার ২০ জুন ২০22 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জুন ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে সড়ক পরিবহণ (বিআরটিএ)। রোববার রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ সদর কার্যালয়ে এক কর্মশালায় এ সুপারিশ করা হয়েছে। তবে যেসব জাতীয় মহাসড়কের পাশে সার্ভিস রোড রয়েছে, সেসব মহাসড়কের সার্ভিস রোডে মোটরসাইকেল চলতে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে সংস্থাটি।

এর আগের তিনবারের তুলনায় গত ঈদুল ফিতরের সময় সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেশি হওয়ার জন্য মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বৃদ্ধিকে দায়ী করা হয় কর্মশালায়। এ দাবিতে বিআরটিএ তথ্য দেয়, ২০২১ সালের ঈদুল ফিতরে ৫৬ সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮ জনের মৃত্যু হয়। প্রতিদিন গড়ে ৭ জন নিহত হয়েছে। গত ঈদের আট দিনে ১০৬ দুর্ঘটনায় ১০৬ জনের প্রাণ গেছে। গড়ে প্রতিদিন ১৩ জন নিহত হয়েছেন।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, গত ঈদযাত্রা তুলনামূলক নির্বিঘ্ন ছিল। যানজটের ভোগান্তি ছিল না। কিন্তু দুর্ঘটনা বেড়েছে। বেশিরভাগ দুর্ঘটনার কারণ মোটরসাইকেল। সাধারণ সময়েও মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহণ সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী। অংশ নেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রধান প্রকৌশলী একেএম মনির হোসেন পাঠানসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

নিউজ ট্যাগ: বিআরটিএ

আরও খবর



বাড়ছে লবণাক্ততা, কয়রায় সুপেয় পানির সংকট

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
তারিক লিটু, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

Image

সুন্দরবন ঘেষা কয়রা উপজেলার চারিদিকে নদ-নদীতে অথৈ পানি থাকার পরেও বিশুদ্ধ পানির তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে এই এলাকার জনসাধারণ বাধ্য হয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে অনেকেই অতিমাত্রায় লবণ ও কাঁদাযুক্ত পুকুরের পানি পান করে আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত জটিল রোগে।

লোনা পানিতে উপকূলের মানুষের জীবনটাই যেন লোনা হয়ে গেছে। পানি যখন সুপেয় না হয়, তখন তা হয়ে ওঠে নানা অসুখ, নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যাসহ মরণেরও কারণ। এখানে শুধু সুপেয় পানির অভাব এমনটাই নয়, পানিশূন্যতা, লবণাক্তসহ নানা চর্মরোগসহ দূর থেকে পানি আনায় শারীরিক বিভিন্ন ঝুঁকিও আছে, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে।

কয়রা উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, এসব জনপদের চারদিকে পানি থাকলেও তা লবণাক্ত। বেশির ভাগ নারী লবণ পানিতে গোসল ও গৃহস্থালির কাজ সারছেন। এক কলসি পানি সংগ্রহের জন্যে নারী-পুরুষ আর শিশুদের ছুটতে হয় সেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত।

মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের তেঁতুলতলা গ্রামের বাসিন্দা সেলিম হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায় কোনো টিউবওয়েল বসানো যায় না। তারপরও যা আছে তা দিয়ে লবণ পানি ওঠে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি পানিও ধরে রাখা যায় না, পানি নষ্ট হয়ে যায়। এসব পানি খেলে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পরে।

২০২১ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এক জরিপে দেশের উপকূলীয় মানুষের নিরাপদ খাওয়ার পানির দুর্দশার কথা তুলে ধরা হয়। জরিপে দেখা যায়, উপকূলীয় এলাকার ৭৩ শতাংশ মানুষকে অনিরাপদ লবণাক্ত পানি পান করতে হয়।

কয়রা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, উপজেলার অধিকাংশ মানুষ বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে। চলতি মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে পুকুর ও জলাধার শুকিয়ে গেছে। এতে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অধিকাংশ নলকূপে পানি কম উঠছে। ফলে সংকট বেড়েছে।

কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, বাধ্য হয়ে উপকূলের মানুষ পুকুরের পানি পান করে এ কারণে ডায়রিয়া, আমাশয়, পেটের পীড়া ও চর্মরোগ নিয়ে অনেকে হাসপাতালে আসে। লবণাক্ত পানি পানের মাধ্যমে অতিরিক্ত সোডিয়াম ক্লোরাইড গ্রহণ করছে উপকূলের মানুষ, যা তাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করছে। লবণাক্ত পানি পানের কারণে গর্ভবতী নারীদের কিডনি ও যকৃৎ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

খুলনার কয়রা-পাইকগাছার সংসদ সদস্য রশীদুজ্জামান বলেন, বছরের পর বছর লোনাপানি আটকে চিংড়ি চাষের কারণে মিঠাপানির পুকুরগুলোর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ মোতাসিম বিল্লাহ মনে করেন, উপকূলের সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও অপরিকল্পিত আর দায়সারা কাজে দীর্ঘমেয়াদি সুফল মিলছে না।


আরও খবর



জীবনের সব ভোট সবার আগে দেয়ার দাবি জয়পুরহাটের ৮২ বছরের বৃদ্ধের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

ভোর ৫টায় ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত ৮২ বছর বৃদ্ধ। তার জীবনে যত ভোট হয়েছে সব ভোটই তিনি, প্রথম দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। ভোট কেন্দ্রে ভিড় হয়, যদি প্রথম ভোট না দিতে পারেন এজন্য ভোরেই কেন্দ্রে এসে অপেক্ষা করেন তিনি।

মঙ্গলবার (২১ মে) দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তথ্য সংগ্রহের জন্য সকাল সাড়ে ৬টায় দাদড়া উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দেখা হয় ওই বৃদ্ধের সঙ্গে। সে সময় কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও ভোট কেন্দ্রের নিয়োজিত ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ ছিল না। ভোট কেন্দ্রের বাহিরে মাঠের মধ্যে বেঞ্চে হাতে চিরকুট নিয়ে বসে ছিলেন বৃদ্ধ। তার নাম শ্রী ওপেন চন্দ্র কর্মকার (৮২)। তিনি জয়পুরহাট সদর উপজেলার শুকতাহার আদিবাসী পাড়া গ্রামের বিজলি কর্মকারের ছেলে।

শুকতাহার গ্রামের হাবিল হোসেন বলেন, আমার বয়স ৪২ বছর। আমার বুদ্ধির পর থেকেই দেখি ওপেন সবার আগে ভোট দেয়ার জন্য সবার আগে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে অপেক্ষা করে। এই ভোটের দিনও তিনি একইভাবে পায়ে হেঁটে ভোট কেন্দ্রে গিয়েছেন।

ভোট দিতে আসা ওপেন চন্দ্র কর্মকার বলেন, আমার বয়স এখন প্রায় ৮২ বছর। আমার যে সময় থেকে ভোট দেয়া শুরু হয়েছে সে সময় থেকেই সবার আগে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বেড়ে যায়। লাইন ধরে ভোট দিতে হয়। এসব কারণে আমি সবার আগে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হই। এবারও ভোর পৌনে পাঁচটায় বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে ভোর ৫টায় দাদড়া হাইস্কুল ভোট কেন্দ্রে এসেছি সবার আগে ভোট দেয়ার জন্য। তবে এবার এসে দেখি ভোট কেন্দ্রে অন্য কোনো ভোটার নেই। আমি একাই বসে আছি। সকাল ৮টা বাজলে ভোট দেয়া শুরু হবে। সবার আগে আমি প্রথম ভোট দিয়ে চলে যাবো।

দাদাড়া হাইস্কুল ভোট কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত এএসআই মোতাহার হোসেন বলেন, ভোর ৫টার দিকে একজন বয়স্ক লোককে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেখি তাকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি সে ভোট দিতে এসেছে। এরপর তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, তার নাম ওপেন চন্দ্র কর্মকার, তার জীবনে সব ভোটই তিনি সকলের আগে প্রথম ভোট দেয়া তার সখ। আমি জীবনে অনেক নির্বাচনী ডিউটি করেছি। এমন ব্যতিক্রম লোক দেখিনি। যে বয়সে চলাফেরা করাই কঠিন, এই বয়সে তিনি পায়ে হেঁটে ভোর থেকে ভোট কেন্দ্রে এসে অপেক্ষা করছেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ফজলুল করিম বলেন, জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫১টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সব ধরণের প্রস্তুতি শেষে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।

জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম বলেন, সকাল ৮টা থেকেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখিয়ে দিতে চাই। আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। সেই কেন্দ্রগুলোকে আলাদাভাবে নজরদারিতে রাখা হবে এবং সেখানে ফোর্স বাড়িয়ে দেয়া হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিক থেকে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।


আরও খবর



পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেলেন মাসুদ আলম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেলেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম বিপিএম। ২৮ তম বিসিএসএ উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন মাসুদ আলম।

রাজশাহীর সারদায় প্রশিক্ষণ শেষে ২০১২ সালের শুরুতে দিনাজপুর জেলা পুলিশে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। ২০২০ সালের ২৩ জুলাই তিনি পাবনা জেলা পুলিশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেন।

পাবনায় যোগদানের পর থেকেই তিনি সাহসিকতার সাথে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেন। কাজ দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে আস্থার নাম হয়ে উঠেন মাসুদ আলম।

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কোচকুড়ি গ্রামের আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক ও মৃত মেহেরুন নেছা দম্পতির সন্তান মাসুদ আলম। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে চতুর্থ তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও দুই ছেলে সন্তানের জনক।


আরও খবর



মেঘনা নদীতে গোসল করতে গিয়ে কিশোর নিখোঁজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে আলিফ প্রধান (১৭) নামের এক কিশোর নিখোঁজ রয়েছে। সে গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুরা গ্রামের মোহাম্মদ ফয়সাল প্রধানের ছেলে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার দুপুর ১টার দিকে আরেক বন্ধুকে নিয়ে নিখোঁজ আলিফ মেঘনা সেতু সংলগ্ন তেতুইতলা এলাকায় গোসলে নামে। পরে সে ঢেউয়ের তোরে পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়।

খবর পেয়ে স্থানীয়রা প্রথমে সনাতন পদ্ধতিতে জাল দিয়ে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। পরে দুপুর দেড়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। তবে এই সংবাদ লিখার সময় দুপুর ২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত তার সন্ধান মিলেনি।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান জানান, ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।


আরও খবর



এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়ল

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় আগামী ২০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। রোববার (১২ মে) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের চলমান কার্যক্রমের সময় আগামী ২০/০৫/২০১৪ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি পরিশোধের সর্বশেষ তারিখ ২১/০৫/২০২৪ পর্যন্ত পুনঃনির্ধারণ করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের কাজ সম্পন্ন করবে। প্রতিষ্ঠানপ্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

এবার বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের ২ হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার জন্য ২ হাজার ১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো পরীক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে এ ফির সঙ্গে অতিরিক্ত ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বাচনিক বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয়প্রতি আরও ১৪০ টাকা যোগ করা হবে।

এ ছাড়া পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি বাবদ পত্রপ্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ২৫ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫০ টাকা, মূল সনদ বাবদ ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫ টাকা নেওয়া হবে। অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা অনিয়মিত ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। জিপিএ উন্নয়ন ও প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের জন্য ১০০ টাকা তালিকাভুক্তি ফি নির্ধারণ এবং রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ টাকা। বিলম্ব ফি ১০০ টাকা।

কেন্দ্র ফি বাবদ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে ৪৫০ টাকা ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি বাবদ পরীক্ষার্থীদের পত্রপ্রতি ২৫ টাকা দিতে হবে। আর ব্যবহারিক উত্তরপত্র মূল্যায়ন ফি দিতে ২০ টাকা।

উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়। এ কার্যক্রম ছিল ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বিলম্ব ফি দিয়ে ফরম পূরণ করার সুযোগ ছিল ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। এরপর ফরম পূরণের সময় ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় ছিল ৭ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত। এবার আবারও ফরম পূরণের সময় বাড়ানো হলো।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪