আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মহম্মদপুরে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মহম্মদপুর (মাগুরা) থেকে খাইরুল ইসলাম

মাগুরার মহম্মদপুরে দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় অনির্ধিষ্টকালের জন্য লকডাউনের গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এই লকডাউন কার্যকর থাকবে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ১৪ জুন সকাল ছয়টা থেকে এই লকডাউনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। লকডাউন পালনে এবং মাস্ক পরিধানে কঠোর অবস্থানে উপজেলা প্রশাসন।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- জরুরি সেবা ব্যতিত সকল ধরণের যানবাহন চলাচল ও গণজমায়েত বন্ধ থাকবে এবং সন্ধ্যা ছয় ঘটিকার পর খাবার ও ঔষধের দোকান ব্যতিত অন্য সকল দোকান ও শপিংমল বন্ধ থাকবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় ঢেউয়ে ২৭ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জনস্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী উপজেলার সাথে যোগাযোগ বন্ধ থাকবে। তবে এই দূর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রশাসনের নির্দেশ মোতাবেক সামাজিক দৃরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: মাগুরা লকডাউন

আরও খবর



দেশে বাড়ল সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির কারণে এই দাম বেড়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১০৬ টাকা থেকে এক টাকা বৃদ্ধি করে ১০৭ টাকা, পেট্রলের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১২২ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বেড়ে ১২৪.৫০ টাকা এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১২৬.০০ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১২৮.৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পুনঃনির্ধারিত এ মূল্য আজ রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে গত ৩১ মার্চ বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে বহুল ব্যবহৃত ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো হয়েছিল। ওই সময় এই দুটি জ্বালানির পণ্যের দাম লিটারপ্রতি কমানো হয়েছিল ২ টাকা ২৫ পয়সা। লিটারপ্রতি ডিজেল ও কোরোসিনের দাম ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১০৬ টাকা। আর প্রতি লিটার পেট্রল আগের মতোই ১২২ এবং প্রতি লিটার অকটেন ১২৬ টাকায় বিক্রি হবে। তবে পেট্রল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ প্রথম প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল।

এর আগে গত ৭ মার্চ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করায় দেশে ব্যবহৃত অকটেন, পেট্রল, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমেছে, যা ৮ মার্চ থেকে কার্যকর হয়। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১০৯ টাকা থেকে ৭৫ পয়সা কমে ১০৮ টাকা ২৫ টাকা পয়সা নির্ধারণ করা হয়। অকটেনের দাম লিটারপ্রতি ১৩০ থেকে ৪ টাকা কমে ১২৬ টাকা এবং পেট্রলের দাম ১২৫ থেকে ৩ টাকা কমে ১২২ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানি তেলের ৭৩ দশমিক ১১ শতাংশ ডিজেল, পেট্রল ৫ দশমিক ৮৬ এবং অকটেন ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বর্তমানে দেশে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে ৭০ থেকে ৭২ লাখ টন। এর মধ্যে ডিজেলের চাহিদা ৪৮ থেকে ৪৯ লাখ টন, যার ৮০ শতাংশ সরকার আমদানি করে। বর্তমানে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি হচ্ছে। আর পরিশোধিত তেল আমদানি হয় সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আরব আমিরাত, কুয়েত, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সাশ্রয়ী দামে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে ডিজেল আমদানি নিয়ে আলোচনা চলছে। বেসরকারি খাতের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি তেল ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল আমদানি করা হয়। এই তেল নিজ বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহারের অনুমোদন নেই।

অকটেন ও পেট্রল ব্যবহার করা হয় গাড়ি ও মোটরসাইকেলে। আর বাস, ট্রাক, নৌযান এবং কিছু ক্ষেত্রে সেচ পাম্পে ডিজেল ব্যবহার করা হয়।


আরও খবর



দেশে উইলসন ডিজিজের নতুন দুইটি ধরন শনাক্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

দেশে বিরল উইলসন ডিজিজের নতুন দুইটি মিউটেশন বা ধরন শনাক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিউরোলজি বিভাগ এবং এনাটমি বিভাগের যৌথ গবেষণায় নতুন ধরনের বিষয়টি উঠে এসেছে। এমনকি এই রোগের চিকিৎসা টার্গেট জিন থেরাপির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েই হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজিত বাংলাদেশি উইলসন্স রোগীদের মধ্যে জেনেটিক পরিবর্তন এবং এর স্নায়বিক উপসর্গ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব তথ্য জানান।

অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব হেলাল এবং এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু। প্রতিবেদন তুলে ধরে অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু বলেন, গবেষণায় আমাদের মোট রোগীর সংখ্যা ছিল ৫০ জন, এরমধ্যে পুরুষ ছিল ২৮ জন এবং মহিলা ছিল ২২ জন। তাদের ৬ জন রোগীর মধ্যে ৩টি মিউটেশন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ২টিই বাংলাদেশে নতুন। তাদেরকে টার্গেট জিন থেরাপির মাধ্যমে বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসা চলছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতি ত্রিশ হাজার জনে একজন উইলসন ডিজিস রয়েছে। সেই হিসেবে রোগীর সংখ্যা হবে ৬ হাজারের মত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ জনের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কারও মধ্যে এই রোগটি শনাক্ত হলে তাকে আজীবন চিকিৎসা নিতে হয়। এ মাসে একজন রোগীর দেড় হাজার টাকার মতো ওষুধের প্রয়োজন হয়। সঠিকভাবে চিকিৎসা নিলে সারা জীবন ভালো থাকার সুযোগ রয়েছে। চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেলে রোগের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

এসময় ডা. আহসান হাবিব হেলাল বলেন, এই গবেষণায় নিউরোলজি বিভাগের মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার ক্লিনিক এবং অন্তঃবিভাগ থেকে রোগীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রোগী থেকে ৩ মিলি লিটার রক্ত সংগ্রহ করে এনাটমি বিভাগের জেনেটিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে এবং এই ল্যাবে জেনেটিক এনালাইসিস করা হয়েছে। রোগীদের বয়স সীমা ছিল ৯ থেকে ৬০ বছরের ভেতরে। অধিকাংশ রোগী পাওয়া গেছে ৯ থেকে ৩০ বছরের ভেতরে এবং এর সংখ্যা ছিল ৪৩ জন। গবেষণায় প্রথম জেনারেশনের আত্মীয়দের মধ্যে আক্রান্ত ছিল ৭ জন। এই রোগের কারণে স্কুল ছাড়তে হয়েছে ২৬ জন বাচ্চাকে।

রোগীদের উপসর্গ প্রসঙ্গে এই চিকিৎসক বলেন, আমরা যে রোগীদের পেয়েছি, তাদের ঢোক গিলতে সমস্যা ছিল ২৭ জনের, হাত পায়ের কম্পন ছিল ২৮ জনের, হাত-পা শক্ত হয়ে যাওয়া ছিল ২১ জনের, অনিয়ন্ত্রিত ঘাড় মোচড়ানো সমস্যা ছিল ১৪ জনের, অনিয়ন্ত্রিত হাত-পা মোচড়ানোর সমস্যা ছিল ১১ জনের, নৃত্যের মতো অনিয়ন্ত্রিত নড়াচড়া ছিল ৪ জনের।

রোগটি কাদের হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, বাবা-মা দুজনেরই যদি এই রোগের জিন থাকে, তাহলে সন্তানও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এজন্য আমরা নিকটতাত্মীয়দের মধ্যে বিবাহ না করার পরামর্শ দিয়ে থাকি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভীসহ আরও অনেকে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রকাশ অনুষ্ঠানে উইলসন ডিজিজে পারিবারিকভাবে আক্রান্ত হওয়া ৪ জন উপস্থাপন করা হয়।


আরও খবর



৮ শিক্ষকের মাদ্রাসায় দুই পরীক্ষার্থী, তারাও ফেল

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে অংশ নিয়েছিল দুই পরীক্ষার্থী। তাদের কেউ এবার দাখিল পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। অথচ তাদের পড়ানোর জন্য ছিল আটজন শিক্ষক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবারের দাখিল পরীক্ষায় বসার জন্য ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ফরমফিলাপ করেছিল মাত্র আটজন। তাদের মধ্য থেকে দুজন সাধারণ বিভাগ থেকে অংশ নেয় দাখিল পরীক্ষায়। কিন্তু তারা সবাই ফেল করেছে।

ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, করোনার প্রাদুর্ভারের পর থেকে ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার মান তলানিতে নেমে যায়। মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাদের ক্লাস নিতেন না। ফলে তাদের এবার ফলাফল খারাপ হয়ে গেছে।

ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেনটেন্ড এজাজুল হক বলেন, এ প্রতিষ্ঠান থেকে আটজন দাখিল পরীক্ষার জন্য ফরমফিলাপ করে। তাদের মধ্য থেকে দুজন দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। ফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, তারা দুজনই ফেল করেছে।

ফল খারাপ হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানটি এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। এখানে আটজন শিক্ষক আছে, তারা কেউই বেতন-ভাতা পান না। যার কারণে তারা অন্য কাজ করেন। যার কারণে তারা ক্লাস নিতে আগ্রহী নন। যদি মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হয় তাহলে শিক্ষার মান আরও বাড়বে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহমেদ মাহবুব-উল- ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে পর্যবেক্ষণে রাখার পাশাপাশি এবারের ফলাফল কেন এত খারাপ হলো অবশ্যই যাচাই-বাছাই করা হবে।

ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসাটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিক।

নিউজ ট্যাগ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ

আরও খবর



১৫৩ রোহিঙ্গার ভুয়া জন্ম নিবন্ধন, ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ১নং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে ১৫৩ রোহিঙ্গার ভুয়া জন্ম নিবন্ধন তৈরির প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৪ এপ্রিল সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামানের স্বাক্ষারিত প্রজ্ঞাপনে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসকে বরখাস্তের এই আদেশ দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মৌলভীবাজা জেলার রাজনগর উপজেলার ১নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (নিবন্ধক) নকুল চন্দ্র দাস অসৎ উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন তৈরির জন্য স্থানীয় সরকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী রেজিস্ট্রার জেনারেল, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন। যেহেতু ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামান বলেন, আমরা রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করি।

রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস বলেন, সার্ভার হ্যাক হয়ে ভুয়া নিবন্ধন করা হয়েছে। এসব নিবন্ধনে আমাদের স্বাক্ষর নেই। মন্ত্রণালয় থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আমার জানা নেই।

জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আসিয়া বিবি (২৭) নামে একজন রোহিঙ্গা নারী পাসপোর্ট করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন। তার আইডি কার্ড না থাকায় জন্মনিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে যান তিনি। আসিয়া আক্তার যে নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে গিয়েছিলেন সেটি রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন থেকে নিবন্ধিত, যা গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে নিবন্ধিত হয়েছে।

আটক ওই নারী কক্সবাজারের টেকনাফ থানার আলী যোহার ও আম্বিয়া খাতুন দম্পতির মেয়ে বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি যাচাই করার জন্য ওই সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠালে ইউএনও ফতেহপুর ইউনিয়নের সচিব পাপড়ি দত্তকে কার্যালয়ে ডেকে আনেন। পরে ওই ইউনিয়নের জন্মনিবন্ধনের আইডি নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। ওই সময় কয়েক শ’ রোহিঙ্গা নিবন্ধন হয়েছে বলে ধারণা করেন সংশ্লিষ্টরা। যাচাই করে ওই সময় ইউএনও দেখতে পান ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৫৩টি ভুয়া নিবন্ধন হয়েছে। তারা সবাই রোহিঙ্গা হিসেবে সন্দেহ করেন। এ ব্যাপারে ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস রাজনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।


আরও খবর



ভারতের নির্বাচনি প্রস্তুতি দেখার আমন্ত্রণ পেল আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিজেপি।

বিজেপির নির্বাচনি প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেছে। এই আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে মনোনীত করেছেন।

এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। এই সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সাথে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনি প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবেন। ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।


আরও খবর