আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

মিয়ানমারের ‘মেরুদণ্ডহীন’ সেনাপ্রধানের পদত্যাগ চান সমর্থকরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দিনের পর দিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কাছে পরাজিত হয়ে ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ঘরে-বাইরে সবখানেই হাসি-ঠাট্টার পাত্র হয়ে উঠেছে দেশটির শক্তিশালী জান্তা। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ঘাঁটি হারাচ্ছে, আত্মসমর্পণ করছে- এসব খবরে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন দেশটির সেনা সমর্থকরা।

জান্তা ক্ষমতায় মুগ্ধ একসময়ের ঘনিষ্ঠ সমর্থকরাই এখন বিরক্ত। পদত্যাগ দাবি করছেন সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের। গাল দিচ্ছেন মেরুদণ্ডহীন অথর্ব বলে। সমর্থকদের অভিযোগ, মিন অং হ্লাইং একসময়কার অজেয় জান্তা বাহিনীকে খেলো একটি বাহিনীতে পরিণত করেছেন, তিনি অনেক স্বার্থপর আচরণ করছেন এবং তার কোনো মেরুদণ্ড নেই।

শনিবার মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিন অং হ্লাইংয়ের অনেক সমর্থকই বলছেন, মিন অং হ্লাইংকে চলে যেতে হবে। এমনকি অনেক সমর্থক প্রকাশ্যেই এই দাবি করছেন। তাদের অনেকে মিন অং হ্লাইংকে অযোগ্য বলেও আখ্যা দিয়েছেন।

জান্তা সরকার ও মিন অং হ্লাইংয়ের অন্যতম সমর্থক ছিলেন ফুটবলার মং মং। সম্প্রতি তিনি তার সুর বদলেছেন। তিনি বলেছেন, মিন অং হ্লাইং যে তিন বছর পেয়েছিলেন, তার জন্য সেটাই যথেষ্ট। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি এই ঘোষণা দেন। তার পথ অনুসরণ করে আরও অনেকেই একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। মং মং তার ভিডিওতে বলেন, উ মিন অং হ্লাইং গত তিন বছরে কোনো সক্ষমতাই প্রদর্শন করতে পারেননি, যার ফলে দেশটি ঐতিহাসিক লজ্জা ও মন্দার মধ্যে পড়েছে। তিনি রাজনীতি ও অর্থনীতিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই অযোগ্য... জবাবদিহির সঙ্গে তার পদত্যাগ করা উচিত।

সম্প্রতি মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর প্রায় আড়াই হাজার সেনা বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এর মধ্যে ছয় ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ দুই শতাধিক বিভিন্ন র‌্যাংকের সেনা কর্মকর্তাও রয়েছেন। সম্প্রতি ইরাবতির আরেক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিদ্রোহীদের কাছে হেরে প্রায় ৪০০ সেনা ভারতে পালিয়ে গেছে।

জান্তা বাহিনী রাখাইন, চিন এবং অন্যান্য উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। এ দুই রাজ্যের অধিকাংশ এলাকাই বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের জোট থ্রি ব্রাদার্স অ্যালায়েন্সের নিয়ন্ত্রণে। সব মিলিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে জান্তা বাহিনী বিগত কয়েক মাসে অন্তত ৩০টি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। এই অবস্থায় জান্তা সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছে তাদের একসময়কার সমর্থকরা।

মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম এনপি নিউজের সাংবাদিক কায়াও মিয়ো মিন একসময় ব্যাপকভাবে জান্তা বাহিনীর কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করেছেন। সম্প্রতি তিনিও জান্তাপ্রধানের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের লজ্জা হয় যে, আমাদের আত্মসমর্পণ শব্দটাও ব্যবহার করতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ২ হাজারের বেশি সৈন্য ও তাদের পরিবারের আরও এক হাজারের বেশি সদস্য আত্মসমর্পণ করায় আমি লজ্জিত।

অনেক জান্তা সমর্থকই এখন মনে করছেন, দেশজুড়ে যে বিদ্রোহ মাথাচাড়া দিয়েছে, তা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মিন অং হ্লাইং খুবই নমনীয়। যদিও তিনি বিগত তিন বছরে নিজের ক্ষমতা সুসংহত করতে কয়েক হাজার মানুষকে ঠাণ্ডামাথায় হত্যা করেছেন। এমনকি তিনি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর বিষয়টিকেও নীরব সমর্থন দিয়েছেন।


আরও খবর



বাংলাদেশ বিনিমার্ণে এগিয়ে আসতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে নিজেদের মেধা ও মননকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের (৫২ ব্যাচ) প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতেই সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং-২০২৪ বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করায় শুভেচ্ছা জানান।

এসময় নবাগত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতি তোমাদের মতো এই মেধাবীদের দিকে তাকিয়ে আছে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যত, জাতির কান্ডারি। তোমরাই বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত তথা সব কিছুতে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। আজ দুর্গম চরাঞ্চলের জনগণও ল্যাপটপে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারছে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সর্বত্রই পৌছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন বলেও জানান তিনি। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য হয়েছে এবং আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে ২০২৪-এ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মধ্যে ১ম স্থান লাভ করেছে। এছাড়াও বিশ্ব সেরা টু পার্সেন্ট বিজ্ঞানীর তালিকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযাগ্য সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী স্থান লাভ করেছে। বিভাগ ভিত্তিক র্যাঙ্কিংয়ে -এ দর্শন, ইতিহাস, ভগোল ও পরিবেশ বিভাগ শিক্ষা-গবেষণায় দেশ সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

অনুষ্ঠানে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রবেশিকা বক্তা হিসেবে তাঁর বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের মানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার আহ্বান জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খ্যাতিমান মানুষ হয়ে বের হওয়ার জন্য বলেন, যাতে সবাই তাকে খুঁজে নেয়। তাহলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় তথা সবার জন্য হবে গৌরবের। সবার চিন্তা-মতামতকে শ্রদ্ধা জানানোসহ পিতা-মাতার অবদান মনে রাখার কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের অতিরিক্ত পরিচালক ড. আফসানা হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির। অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার আবু হাসান ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের পাঠ দানের জন্য ডিন এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের নিকট উপস্থাপন করেন এবং সংশ্লিষ্ট ডিন এবং পরিচালক পাঠ দানের জন্য শিক্ষার্থীদের বরণ করেন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




তিন দিনের সফরে পাকিস্তানে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তান সফরে গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। সোমবার (২২ এপ্রিল) তিন দিনের সরকারি সফরে দেশটিতে পৌঁছান তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পর প্রথম বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পাকিস্তানে সফর করছেন রাইসি।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সোমবার তিন দিনের সরকারি সফরে পাকিস্তানে পৌঁছেছেন। এদিন সকালে নূর খান বিমানঘাঁটিতে ইরানি প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান পাকিস্তানের গৃহায়ন ও পূর্তমন্ত্রী মিয়া রিয়াজ হোসেন পীরজাদা।

এই সফরে নিজেদের সম্পর্ক বাড়াতে এবং বাণিজ্য, সংযোগ, জ্বালানি, কৃষি ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে দুই দেশের নেতারা আলোচনা করবেন। এছাড়া সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবিলায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উন্নয়ন এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হবে।

রেডিও পাকিস্তানের মতে, প্রেসিডেন্ট রাইসি আজ (সোমবার) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে দেখা করবেন। প্রধানমন্ত্রী হাউসে পৌঁছালে সফররত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। পরে প্রেসিডেন্ট রাইসি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

এদিকে, পার্স টুডে জানিয়েছে, পাকিস্তান সফর শেষে বুধবার (২৪ এপ্রিল) শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের আমন্ত্রণে একদিনের সফরে দেশটির রাজধানী কলম্বো যাবেন রাইসি। এই সফরে রনিল বিক্রমাসিংহে ইরানের প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে দুটি বাঁধ ও একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। প্রায় ৫৩ কোটি ডলারের প্রকল্পটি ইরানি বিশেষজ্ঞরা নির্মাণ করেছেন।

প্রসঙ্গত, মাত্র কয়েক মাস আগে পাল্টাপাল্টি হামলায় ইরান-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। তবে কূটনীতির মাধ্যমে সম্পর্ক জোড়া লাগায় মুসলিম বিশ্বের শক্তিধর এই দুই দেশ। পাকিস্তানের নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ইব্রাহিম রাইসির এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।


আরও খবর



চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে লাইটার জাহাজের ধাক্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

তীব্র বাতাস আর জোয়ারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চট্টগ্রামে কালুরঘাট সেতুতে জাহাজের ধাক্কার লাগার ঘটনা ঘটেছে। এমভি সামুদা-১ নামে ঐ লাইটার জাহাজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটায় বলে জানায় চট্টগ্রাম নৌ থানা পুলিশ।

খবর পেয়ে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে এবং নৌ পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

চট্টগ্রাম নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ বলেন, কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত একটি ডক ইয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল জাহাজ এমভি সামুদা-১। নদীর মধ্যে বাঁক ঘুরানোর সময় তীব্র বাতাস আর জোয়ারের কারণে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং বাতাসের তোড়ে ভাসতে ভাসতে কালুরঘাট সেতুতে এসে ধাক্কা খায়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, আমরা সেতুটি পরিদর্শন করে দেখছি। কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর ১৯৩০ সালে নির্মাণ করা হয় কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু। পরে ১৯৬২ সালে ওই সেতুর উপর দিয়েই সড়ক পথের যান চলাচল শুরু হয়। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেললাইন চালুর আগে সেতুটিতে সংস্কার কাজ শুরু হয়। এখনো সংস্কার কাজ চলছে। বর্তমানে কম গতিতে ট্রেন চলাচল করলেও সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে এই সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। পরে ২০১১ সালে সেতুটিকে চুয়েটের একদল গবেষক আরও একবার ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে।


আরও খবর



গুলিস্তানে ‘হিট স্ট্রোকে’ পথচারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর গুলিস্তানে রাস্তায় আলমগীর শিকদার (৫৬) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হিট স্ট্রোকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পথচারীরা ওই ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী আনোয়ার হোসেন জানান, ওই ব্যক্তি বাসে করে হানিফ ফ্লাইওভার ব্রিজ দিয়ে গুলিস্তান নামেন। ফ্লাইওভারের ওপরে গুলিস্তান টোল প্লাজার সামনে নেমে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। দেখতে পেয়ে প্রথমে তাঁর মাথায় পানি ঢালা হয়। তবে অবস্থা খারাপ দেখে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।

খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম। তিনি জানান, দুই পথচারী ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। তাদের মাধ্যমে ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে এবং চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। সব মিলিয়ে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমের কারণে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে। তার পকেটে থাকা এনআইডি কার্ড ও বিভিন্ন ফোন নম্বরের সূত্র ধরে তাঁর নাম পরিচয় জানা গেছে। তাঁর পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।

এদিকে মৃত আলমগীর শিকদারের বন্ধু আব্বাস মোল্লা জানান, আলমগীর পরিবার নিয়ে যাত্রাবাড়ী কাজলা পেট্রল পাম্পের পেছনে থাকেন। মিরপুরে একটি ছাপাখানায় চাকরি করেন। সকালে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মিরপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। পরে ফোনের মাধ্যমে তাঁর মৃত্যুর খবর শুনতে পাই।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুইজন নারী মারা গেছেন। তারা দুজনই আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের বেগুয়ারখাল গ্রামের বাসিন্দা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় স্বামীর জন্য মাঠে ভাত নিয়ে যাওয়ার সময় আশুরা খাতুন (২৫) ও সকাল সাড়ে ১০ টায় আয়েশা বেগম (৭০) মারা যান।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেগুয়ারখাল গ্রামের আনোয়ার হোসেন খুব সকালে না খেয়েই মাঠে ক্ষেতে কাজ করতে যান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার স্ত্রী আশুরা খাতুন মাঠে ভাত নিয়ে যাচ্ছিলেন। স্বামীর ক্ষেত পর্যন্ত পৌঁছার আগেই জমির আইলে পা বেঁধে আশুরা খাতুন মাটিতে পড়ে যান। মাঠের কৃষকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশুরাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে তোড়জোড় করার সময়ই তিনি মারা যান। আশুরা-আনোয়ার দম্পত্তির ৭ বছরের এক মেয়ে আছে।

এর এক ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় একই গ্রামের আক্কাস আলীর স্ত্রী আয়েশা বেগম মারা যান। ক'দিনের তীব্র গরমে তিনি হাঁসফাঁস করছিলেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত গ্রাম্য চিকিৎসক রাশেদুল ইসলাম বলেন, কয়দিনের তীব্র গরমে আয়েশা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুজনই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এর আগে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহে গত দুদিনে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হিট স্ট্রক ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অনেকেই। আজ চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর