পিরোজপুর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের জেলা কমিটির সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের এজেন্ট ফয়সাল আকনের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও তাদের গডফাদারদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবীতে শনিবার বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম পিরু, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের পৌর শাখার সহ-সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শেখ হাসান মামুন, ছাত্রলীগ নেতা জুনায়েত রাসেল, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমেন মোর্শেদ শুভ্রসহ নেতৃবৃন্দ।
আহত ফয়সালের পিতা মোফাজ্জেল আকন জানান, ফয়সাল বাড়ি থেকে রাতে বের হয়ে সামনে যান। সেখানে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী সাইদুল ফকির, মিজান সিকদার, জামাল, সাইদুল ফরাজীসহ আরও ১০-১২ জন অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফয়সালকে মারাত্মক জখম করে।
আরো পড়ুন :পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ সভাপতিকে কুপিয়ে জখম
মোফাজ্জেল আকন জানান, জেলা শহরতলীর নামাজপুর এলাকায় শুক্রবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের সময় কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। আহত ফয়সালকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছে। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফয়সাল পিরোজপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শ ম রেজাউল করিমের নির্বাচনী এজেন্ট ছিল নামাজপুর এলাকার একটি ভোট কেন্দ্রে। এ ছাড়া সে নৌকার প্রচারণার জন্য একটি ক্যাম্পও পরিচালনা করতো।
জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফ জানান, ফয়সাল আকনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক জখম আছে, অবস্থা যথেষ্ট সংকটাপন্ন। শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে রক্তক্ষরণ হয়েছে, তার কোনো পালস পাওয়া যায়নি। স্যালাইনের মাধ্যমে ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট দিয়ে খুলনায় রেফার্ড করা হয়েছে। ওই রাতে অবস্থা আরো অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে ফয়সাল আকনের উপর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতেই শহরে বিক্ষোভ করেছে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের অনুসারীরা। বিক্ষোভ মিছিল থেকে ফয়সাল আকনের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবী জানানো হয়। ফয়সাল আকনের উপর হামলার খবর পেয়ে সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে গিয়ে তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
শ ম রেজাউল করিম জানান, উচ্চশিক্ষিত ফয়সাল আকনের অপরাধ বিগত নির্বাচনে সে নৌকা প্রতীকের এজেন্ট হয়েছিল। ফয়সাল নৌকার পক্ষে থাকায় আজ এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। এ সময় তিনি ফয়সাল আকনের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান।
প্রসংগত পিরোজপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিজয়ী হন শ ম রেজাউল করিম আর তার নিকটতম হন ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল।