আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

মুন্সীগঞ্জ থেকে পোশাক যাচ্ছে রাজধানী বিভিন্ন বিপণি বিতাণে

প্রকাশিত:বুধবার ১২ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

সাকিব আহম্মেদ বাপ্পি, মুন্সীগঞ্জ

রেডিমেড পোশাক পল্লী হিসেবে সুপরিচিত মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার দু'টি ইউনিয়ন রামপাল ও পঞ্চসার ইউনিয়ন এখানে রয়েছে ছোটবড় এক হাজারের বেশি পোশাক তৈরির কারখানা। এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন পোশাক  পল্লীর কারিগররা। এবারে পবিত্র  ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে এবার  ঈদে ৫০০ কোটি টাকার পোশাক বিক্রির টার্গেট তাদের পোশাক পল্লীর কারিগরদের।

পোষাক  পল্লীর কারিগর ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের সিপাহিপাড়া, দেউসার, শাঁখারীবাজার,  দরগাবাড়ি, হাতিমারা,ও পঞ্চসার ইউনিয়নের, কালিখোলা, রতনপুর, রামেরগাঁও, নয়াগাঁও, ভট্টাচার্যের বাগ ও ডিঙ্গাভাঙা গ্রামের হাজারো বাড়িতে পোশাক তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে । এসব  গ্রামের প্রতিটি কারখানায় সারা বছর পোশাক তৈরি হয়। তবে ঈদ এবং উৎসবে ব্যস্থতা বেড়ে যায়। চলে দ্বিগুণ বিকিকিনি। এসব ছোটছোট কারখানাকে ঘীরে রেডিমেড পোশাকের বড় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে মুন্সীগঞ্জে। এবারের ঈদ ঘিরে প্রতি কারখানায় নানা ধরনের পোশাক তৈরি হচ্ছে। এসব পোশাক যাচ্ছে দেশের বড় বড় পাইকারি মার্কেটে। যেমন  সদরঘাট, কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ, বঙ্গবাজার, গুলিস্তান  পাইকারি মার্কেট ও নারায়ণগঞ্জের পাইকারি মার্কেটসহ বড় বড় শপিংমলে।

রমজান শুরুর এক মাস আগে থেকেই পোশাক তৈরির ব্যস্থতা বেড়েছে বলে জানালেন দেউসার গ্রামের ফারুক মুন্সী মিনি গার্মেন্টসের কাটিং মাস্টার মানিক মিয়া। তিনি বলেন, এখানের ছোটবড় সব পোশাক কারখানায় চলছে ঈদের পোশাক তৈরির ধুম। এই ব্যস্ততা থাকবে ২৫ রমজান পর্যন্ত। ১৫ হাজার টাকা বেতন পাই উল্লেখ করে রিফাত হোসেন  বলেন, ব্যস্ততা বাড়ায় ১২ ঘণ্টা কাজ করি। ওভারটাইমের জন্য বাড়তি পারিশ্রমিক দেওয়া  হয় মালিক পক্ষ থেকে। তবে বেতনটা আরেকটু বেশি হলে ভালো হতো।

এখানে সব ধরনের পোশাক তৈরি হয় জানিয়ে একই কারখানার কারিগর নয়ন বলেন , 'সুতি, ফেন্সি ক্রপ টপস, স্কার্ট, এমব্রয়ডারি ও কারচুপিসহ সব ধরনের লেডিস পোশাক তৈরি হয়। নারায়ণগঞ্জ সহ  ঢাকার সব পাইকারি মার্কেটে যায় আমাদের পোশাক। আবার নিশেট, বিভাগীয় পাইকারি মার্কেটেও যায়। এবার আমরা হাজার বিশ পোশাক তৈরি করছি। আশা করছি, সব বিক্রি হয়ে যাবে।

আলীফ  রেডিমেড কারখানার কারিগর  রমজান  বলেন, তৈরি পোশাকের জন্য এই পরি ঐতিহ্যবাহী। এখানের কারখানাগুলোতে ফ্রক, পহেদাগ সব ধরনের পোশাক তৈরি হয়। মারার ইসলামপুর, সদরঘাট ও কেরানীগঞ্জের বড় মার্কেটে যায় এসব পোশাক। কোটি টাকার বেচাকেনার টার্গেট আছে আমাদের।

সরেজমিন কয়েকটি কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, কারখানার শ্রমিকদের দম ফেলার সুযোগ নেই বল্লেই চলে। পাঞ্জাবি, শাড়ি, কামিজ, টপস, গাউন, প্রিন্টের কামিজ, সালোয়ার, এমভ্রয়ডারি ও কারচুপির কাজ করছেন তারা। আবার কোন কারখানায় মাতারুকাজের পোশাক তৈরি করছেন। আবার কেউ কেউ কাপড় কাটা, লেলাই, ডিজাইন, আয়রন এবং প্যাকেটিংয়ের কাজ  করছেন।

২ যুগের বেশী সময় ধরে রেডিমেড পোশাক তৈরি করছেন চাম্পাতলার একজন সফল ব্যাবসায়ী নূর হোসেন। কারখানার মালিক নূর হোসেন। তিনি বলেন,  ২ যুগের  বেশী সময় এই রেডীমেড কাপড়ের ব্যাবসা করে আসছি। খুব  কম দামে আমাদের পণ্য গুলো বিক্রি হয় বলে সারাদেশে প্রচুর চাহিদা আছে। আমার কারখানায় ১০টি মেশিন আছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত কাজ করেন শ্রমিকরা। আমাদের পণ্যের কোয়ালিটি অনেক ভালো। ফলে চাহিদা বেশি। সে কারণে ক্রেতারা আমাদের কাছ থেকে পণ্যগুলো কিনে নিয়ে যান।

এবারের ঈদে কোটি টাকার পোশাক বিক্রির টার্গেট আছে বলে উল্লেখ করে মোঃ রুবেল বলেন, আমরা সব লেডিস আইটেম তৈরি করি। এবারের ঈদে

কোটি টাকার পোশাক তৈরি করেছি। এর মধ্যে ৭০ লাখ টাকার বিক্রি হয়েছে। ২০ রোজার মধ্যে বাকিগুলো বিক্রি হয়ে যাবে।

রেডিমেড পোশাক কারখানায় ৩০ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ  বিসিক শিল্প নগরীর উপ-ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, রমজানে ঈদে এখানকার ছোটবড় এক হাজারের বেশি কারখানায় ৫০০ কোটি টাকার পোশাক বিক্রির টার্গেট রয়েছে। প্রত্যেক কারখানায় ৫০ লাখ থেকে কোটি টাকার বেশি অর্ডার আছে। সারা বছর এসব কারখানায় পোশাক তৈরি হয়। সবমিলে বছরে হাজার কোটি টাকার পোশাক  তৈরি ও বিক্রি হশ এখানে।

দিন দিন রেডিমেড পোশাক পল্লীর পরিসর বাড়ছে উল্লেখ করে মো: আব্দুল্লাহ বলেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে একসময় দেশের চাহিদা মিটিয়ে তৈরি পোশাক বিদেশে রফতানি করা যাবে। এ জন্য ছোট কারখানাগুলোকে বড় করা জরুরি। তবে পাইকারি মোকামগুলো ঢাকা - চট্টগ্রাম -নারায়ণগঞ্জ  হওয়ায় পণ্যগুলো পরিবহনে অসুবিধা হয়। নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা।

নিউজ ট্যাগ: মুন্সীগঞ্জ

আরও খবর



চট্টগ্রামে বায়েজিদ বস্তিতে আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ এলাকায় একটি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে বায়েজিদের শ্যামল ছায়া এলাকায় এ আগুন লাগে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করেছে। এরইমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে আগ্রাবাদ কেন্দ্রীয় ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল অফিসার কফিল উদ্দিন। এ দুর্ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বায়েজিদ শ্যামল ছায়া এলাকার ওই বস্তিতে প্রায় ১৫টি কাঁচা বসতঘর ছিল। দুপুরে ওই বস্তিতে আগুন জ্বলতে দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু মুহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে।

ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল অফিসার কফিল উদ্দিন বলেন,  রোববার ৩টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। এ মুহুর্তে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। ওই বস্তিতে ১৪-১৫টি এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘর রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। বেলা ১১টায় রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরি ১৪৪৫ সালের হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অনুষ্ঠানে হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী।

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নিয়ে হজ ফ্লাইট চালু হওয়ার কথা রয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওইদিন প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি-৩৩০১ বিমানটি ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে যাত্রা করবে। একই দিন দুপুর ১টায় সৌদি আরবের ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। ২০২৪ সালের হজে বাংলাদেশ থেকে ৮৩ হাজারের বেশি হাজী হজ পালন করবেন।


আরও খবর



মিয়ানমারের কারাগার থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। গভীর সাগরে অবস্থানরত মিয়ানমার প্রতিরক্ষা বাহিনীর নেভাল শিপ চিন ডুইন’ জাহাজ থেকে এসব বাংলাদেশিদের নিয়ে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাটে এসে পৌঁছে।

এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলটি কক্সবাজার এসে পৌঁছেছেন। প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার পৌঁছার পর পরই ঘাট থেকে গাড়ি যোগে রওয়ানা হয়েছেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়। যেখানে বিজিবির অধীনে রয়েছেন বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয়রত মিয়ানমারের সেনা বাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্য। তাদের গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার মিয়ানমার ফেরত যাবে প্রতিনিধি দলটি।

বুধবার বেলা ১১টা দিকে নুনিয়ারছড়া আসেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও কক্সবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি বলেন, দুপুরে ১৭৩ বাংলাদেশী ঘাটে এসে পৌঁছতে পারেন। যারা মিয়ানমারের কারাগারে ভিন্ন মেয়াদে সাজা শেষ করে সরকারের প্রচেষ্টায় ফিরছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছেন, ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার জেলার, ৩০ জন বান্দরবান জেলার, সাতজন রাঙামাটি জেলার, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে। ইতোমধ্যে ফেরত আসাদের অপেক্ষায় ঘাটে ভিড় করছেন স্বজনরা।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ফেরত আসাদের বিজিবি গ্রহণ করে পুলিশকে হস্তান্তর করবে। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে স্ব স্ব থানার পুলিশের মাধ্যমে মিয়ানমার ফেরত বাংলাদেশিদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র বলছে, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সফররত মিয়ানমার নেভাল শিপ চিন ডুইন’ ১৭৩ বাংলাদেশিদের বহন করে মঙ্গলবারই যাত্রা দিয়েছে। এর মধ্যে ১৪৪ জন কারাগারে পূর্ণ মেয়াদে সাজা ভোগ করেছেন। অপর ২৯ জন মিশনের প্রচেষ্টায় ক্ষমা পেয়ে বাংলাদেশে ফেরত আসছেন।

মূলত এসব বাংলাদেশিদের নিয়ে আসা মিয়ানমারের জাহাজটি বৃহস্পতিবার সকালেই বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয়রত মিয়ানমারের সেনা বাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে ফেরত যাবেন।

মিয়ানমারের ২৮৫ সদস্যকে ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়ার জন্যই মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলটি নাইক্ষ্যংছড়ি গেছে।

গত বছরের শেষ থেকে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনা বাহিনী ও বিজিপির সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। আরাকান আর্মির হামলায় গত কয়েক মাসে দেশটির কয়েকটি সরকারি বাহিনীর কয়েক শত সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল এক দিনে নতুন ২৪ জন, ১৬ এপ্রিল ৬৪ জন, ১৪ এপ্রিল ১৪ জন, গত ৩০ মার্চ ৩ জন ও ১ মার্চ ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

এরও আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

প্রথম দফায় ফেরতের সময় ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ এবং সংশ্লিষ্টরা কথা বললেও এবার তা হচ্ছে না। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের গ্রহণ এবং ২৮৫ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রেসব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।


আরও খবর



রাজা চার্লসের আনুষ্ঠানিক রাজকীয় ছবি উন্মোচন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের লাল রঙের এক অদ্ভুত আনুষ্ঠানিক রাজকীয় ছবি উন্মোচন করা হয়েছে। লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে বুধবার (১৫ মে) রাজা তৃতীয় চার্লস নিজেই ছবিটি উন্মোচন করেন।

রাজ্যাভিষেকের পর এটাই তার প্রথম আনুষ্ঠানিক রাজকীয় ছবি। গত বছরের মে মাসে লন্ডন ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে এক জাঁকজমকপূর্ণ অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজমুকুট পরেন রাজা চার্লস।

তেলরঙে আঁকা ছবিটির উন্মোচন অনুষ্ঠানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়। প্রকাশের পরপরই তা ছড়িয়ে পড়ে।

ছবিতে ওয়েলশ গার্ডের ইউনিফর্ম পরা ব্রিটিশ রাজাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে লাল রঙের ব্যাপক ব্যবহার করা হয়েছে যা সাধারণ রাজকীয় প্রতিকৃতির থেকে অনেকটাই আলাদা। যে কারণে এই ছবি এখন বেশ আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২৩০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য ও ১৬৫.৫ সেন্টিমিটার (৭.৫ ফুট বাই ৫.৪ ফুট) ক্যানভাসে তৈলচিত্রটি এঁকেছেন জোনাথন ইয়েও নামে এক চিত্রশিল্পী। তিনি এর আগে ২০১৪ সালে চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলা এবং ২০০৮ সালে তার বাবা প্রিন্স ফিলিপের ছবিও এঁকেছিলেন।

ছবিটিটে বর্তমানে ক্যান্সারের চিকিৎসাধীন রাজাকে লাল পটভূমিতে ওয়েলশ গার্ডের লাল ইউনিফর্মে দেখানো হয়েছে। প্রতিকৃতিতে আরও দেখা যায়, তার কাধ বরাবর উড়ছে এক লাল প্রজাপতি। শিল্পীর মতে, ক্ষুদ্র এই জীবটি রাজা তৃতীয় চার্লসের পরিবেশ রক্ষার উদ্যোগের প্রতীক।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চার্লসের ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর থেকেই জনসমক্ষে সব ধরনের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত ছিলেন তিনি। তবে চলতি মাসের শুরুতেই আবারও তিনি দায়িত্বে ফিরেছেন।


আরও খবর



লোকসভা নির্বাচন: চলছে চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার (১৩ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। তবে ভৌগলিক কারণে কোথাও কোথাও ভোটগ্রহণ শেষ হবে বিকেল ৫টায়।

এই দফায় দেশটির ১০ রাজ্যের ৯৬টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এর মধ্যে অন্ধ্র প্রদেশের ২৫, তেলেঙ্গানার ১৭, উত্তর প্রদেশের ১৩, মহারাষ্ট্রের ১১ এবং মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের আটটি আসনে ভোট হচ্ছে। এছাড়া বিহারের পাঁচটি, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে চারটি করে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের একটি আসনে ভোট হচ্ছে।

৯৬টি আসনে মোট ভোটার ১৭ কোটি ৭০ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৯৭ লাখ আর নারী ৮ কোটি ৭৩ লাখ। ভোটের দায়িত্বে আছেন ১৯ লাখেরও বেশি কর্মী।

এর আগের তিন দফার ভোটের মধ্যদিয়ে দেশটির ৫৪৩ আসনের মধ্যে ২৮৩ আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করেছে কমিশন।

চতুর্থ ধাপে বিরোধীদলীয় নেতা কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী, সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতা অখিলেশ যাদব, অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসি-সহ ১ হাজার ৭১৭ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। তারকা প্রার্থীদের মধ্যে আরও রয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান, কীর্তি আজাদ, শত্রুঘ্ন সিনহা, মহুয়া মৈত্র, অমৃতা রায়, অভিনেত্রী শতাব্দী রায় ও বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

ভারতের চলমান ১৮তম লোকসভা ভোট শুরু হয় ১৯ এপ্রিল। সাত দফার ভোট শেষ হবে ১ জুন। ফল জানা যাবে ৪ জুন। বিজেপি ২০১৪, ২০১৯ সালে পরপর দু’দফায় ক্ষমতায়। দলটির লক্ষ্য তৃতীয়বারের ক্ষমতায় যাওয়া। এবারের নির্বাচনে ভারতে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৯৭ কোটি।


আরও খবর