আজঃ মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

মুন্সীগঞ্জে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আ. লীগের সংঘর্ষ, নিহত ২

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত দুইজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (৪ আগস্ট) সকাল পৌনে ১০টা থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মো. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন, নিহতদের নাম পরিচয় এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। জরুরি বিভাগে ২০ জনের বেশি আহত মানুষ এসেছেন।

নিহত দুইজনই পুরুষ এবং তারা পেশায় শ্রমিক। তাদের বয়স ২২ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।

মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, হতাহতের সংখ্যা এখনো বলতে পারছি না। তবে, পুলিশ কোনো গুলি চালায়নি।


আরও খবর



বিপিসির নিয়ন্ত্রণাধীন ৫ কোম্পানির শীর্ষ পদে রদবদল

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নিয়ন্ত্রণাধীন জ্বালানি তেল বিপণন কোম্পানিগুলোর শীর্ষ পদে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। গত বুধবার বিপিসির পৃথক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়। এসব তেল বিপণন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে যারা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্তদের বৃহস্পতিবার ছিল তাদের শেষ কর্মদিবস।

বিপিসি কর্মকর্তারা জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড ও যমুনা অয়েল কোম্পানি, এলপি গ্যাস লিমিটেড এবং পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে রদবদল হয়েছে।

পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নতুন নিয়োগ পেয়েছেন এলপি গ্যাস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুস সোবহান। মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ টিপু সুলতান। বিপিসির সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. কুদরত-ই-এলাহীকে যমুনা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।

বিপিসির অপর সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক (অডিট) ইউসুফ হোসেন ভূঁইয়াকে এলপি গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পেট্রোলিয়াম ট্রান্সমিশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) রায়হান আহমেদ।

নিউজ ট্যাগ: বিপিসি

আরও খবর



অডিশনের নামে যৌন হেনস্তা, পরিচালকের কেলেঙ্কারি ফাঁস করলেন শিল্পা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সম্প্রতি হেমা কমিটির রিপোর্ট সামনে আসার পর যৌন হেনস্থা নিয়ে উত্তাল মালায়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। এসব নিয়ে আলোচনা সমালোচনা যখন তুঙ্গে ঠিক তখনই বলিউড নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী শিল্পী শিন্ডে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলো নিয়ে মুখ খুলেছেন শিল্পা।

জানিয়েছেন, সে সময় হিন্দি ছবির এক পরিচালক তাকে যৌন দৃশ্যে অডিশন দেওয়ার নামে কীভাবে যৌন হেনস্তা করেছিলেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শিল্পা জানান, একটি ছবির অডিশনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে নিজের যৌন আবেদন ফুটিয়ে তুলতে বলা হয় তাকে। শিল্পা রাজিও হয়ে যান।

অভিনেত্রী জানান, সেই সময় তার বয়স অল্প। স্বাভাবিকভাবেই খুব সহজ-সরল ছিলেন। বুঝতে পারেননি, পরিচালক আসলে কী চাইছেন। অভিনেত্রীর কথায়, 'আমার ক্যারিয়ারের গোড়ার দিকের কথা। ১৯৯৮-৯৯ সাল হবে। আমি নাম বলব না। আমাকে একটা পোশাক পরতে বলা হয়েছিল। সেই পোশাক আমি পরিনি। পরিচালক বলেন- একটি দৃশ্যে অভিনয় করে দেখাতে হবে। দৃশ্যটি হল, তিনি আমার কর্মকর্তা। তার সামনে আমার নিজের যৌন আবেদন ফুটিয়ে তুলতে হবে। আমি খুবই সহজ-সরল ছিলাম। ওই দৃশ্যে আমি অভিনয় করেও দেখাই।

এখানেই শেষ নয়। ওই পরিচালক নাকি শারীরিক হেনস্তা করেন শিল্পাকে। অভিনেত্রী বলেন, সেই পরিচালক আমার শরীরের ওপরে উঠে আসতে চান। আমি ভয় পেয়ে যাই। সঙ্গে সঙ্গে আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেই এবং সেখান থেকে পালিয়ে যাই। নিরাপত্তারক্ষীরাও বুঝতে পারেন, কী ঘটেছে। ওরাও আমাকে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ওরা ভেবেছিল, আমি হয়তো বিষয়টি নিয়ে সমস্যা তৈরি করব।

এই পরিচালক নাকি হিন্দি ছবির দুনিয়ায় অভিনেতা হিসেবেও পরিচিত। শিল্পা বলেন, আমি মিথ্যে বলছি না। কিন্তু ওর নাম আমি বলতে পারব না। এই ব্যক্তির ছেলেমেয়েরা বয়সে আমার থেকে সামান্য ছোট। বেশ কয়েক বছর পরে এই ব্যক্তির সঙ্গে ফের দেখা হয় শিল্পার।

অভিনেত্রী বলেন, তিনি আমার সঙ্গে খুব ভদ্র ভাবেই কথা বলেন। তবে আমাকে চিনতে পারেননি। আমাকে ফের একটি ছবির প্রস্তাব দেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব আমি ফিরিয়ে দেই।


আরও খবর
মা হলেন দীপিকা, বাবা রণবীর

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণবিরোধী বিল পেশ, দোষীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে নারীদের ওপর অত্যাচার, অশালীন আচরণ ও ধর্ষণের শাস্তির ব্যবস্থা করতে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বিল এনেছে মমতার সরকার। যার নাম দেওয়া হয়েছে, অপরাজিতা, নারী ও শিশু সুরক্ষা বিল। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টম্বর) শাসক এবং বিরোধী দুই এর তরফে সম্মতি জানিয়ে বিল আনা হয়েছে।

এবার এই বিল যাবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপাল তাতে সম্মতি দিয়ে সই করলে, তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি যদি বিলে সবুজ সংকেত দেয় তবেই সেই বিল আগামীতে আইনে পরিণত হবে। এটি একটি দীর্ঘ পদ্ধতি।

প্রস্তাবিত বিলে বলা হয়েছে, ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার যদি মৃত্যু হয়, নির্যাতিতা কোমা বা চিরকালের মতো শারীরিক-মানসিক অথর্ব হয়ে যায়, তাহলে দোষীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনায় যে বা যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ঘটনা যদি গুরুতর হয় তাহলে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং জরিমানা।

দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই বিলে। পুলিশের কাছে এফআইআর হওয়ার পর যত দ্রুত তদন্তকাজ শেষ করতে হবে। 

জেলাস্তরে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন। এর নাম হবে অপরাজিতা টাস্ক ফোর্স। যার নেতৃত্বে থাকবেন ডেপুটি পুলিশ সুপার। অপরাধের তদন্তে এই টাস্ক ফোর্সই দায়িত্বশীল থাকবে। 

স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ছাড়াও ধর্ষণের মামলার দ্রুত বিচারের জন্য বিশেষ আদালত ও তদন্ত দল গঠন করা হবে। রাজ্য সরকার প্রস্তাব রেখেছে, ৫২টি বিশেষ আদালত গঠনের।

অ্যাসিড আক্রান্তের ঘটনায়ও আমৃত্যু যাবজ্জীবন, ক্ষেত্রবিশেষে প্রাণদণ্ডের প্রস্তাব রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত বিলে।

মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার নিয়ম অনুযায়ী, বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে, প্রথম বলার অনুমতি দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুভেন্দু বক্তব্য, ভারতীয় আইনে ধর্ষণ ও শ্লীলতার ঘটনায় যথেষ্ট কঠোর ব্যবস্থার কথা বলা রয়েছে। ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজাও রয়েছে। সেই আইনানুযায়ী, ২০১১ সালে ঘটে যাওয়া দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডে অভিযুক্তদের ফাঁসি হয়েছিল। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে বিল বিধানসভায় আনার চেষ্টা করছে তা স্রেফ আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা। তার বেশি কিছু নয়। 

জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এখন এই বিল রাজ্যপালের কাছে যাবে। উনি তাড়াতাড়ি সই করে দিলেই বিল কার্যকর হবে। রাজ্যপালের সইয়ের পর বিল কার্যকর না হলে দায়িত্ব আমাদের। রাজ্যপালের অনুমোদন পেলেই তা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে যাবে। তিনি সই করলেই এটা আইন হিসেবে কার্যকর করা হবে। তার দায়িত্ব আমাদের।

অপরাজিতা বিল প্রসঙ্গে মমতা বলেছেন, এই বিল একটা ইতিহাস! প্রধানমন্ত্রী পারেননি। আমরা পারলাম। করে দেখালাম। প্রধানমন্ত্রী দেশের লজ্জা। উনি দেশের নারীদের রক্ষা করতে পারেননি। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।

মমতার অভিযোগ, এই ঘটনা নিয়ে নির্লজ্জ রাজনীতি হচ্ছে। বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। মনে রাখবেন, বাংলাকে বদনাম করলে আপনার গায়েও তা লাগবে। আমার গায়েও লাগবে। আমাকে এবং বাংলাকে নিয়ে সবসময় কুৎসা চলছে। আমরা যদি নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের বিরুদ্ধে বলি তাহলে কী করবেন?

গতকালই দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল ডা. সন্দীপ ঘোষ। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি সিবিআই। কিন্তু এখনও নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় একজন বাদে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। ফলে মঙ্গলবার দিনভর অন্দোলন চলছে চিকিৎসক থেকে নাগরিক সমাজের।


আরও খবর



ক্রিকেট বোর্ডে আসবেন কিনা জানালেন মাশরাফি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর থেকে গুঞ্জনের ডালপালা মেলতে শুরু করে যে পরবর্তী বিসিবি সভাপতি হবেন তিনি। ২০২৪ সালের আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাশরাফি। তবে গেল ৫ আগস্ট ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানের ফলে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপরদিন ভেঙে দেওয়া হয় সংসদ।

আর পুরো আন্দেলনে নিশ্চুপ ছিলেন মাশরাফি। যে কারণে ভক্তদের ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছেন তিনি। তবে গতকাল একটি অনলানইকে দেওয়া সাক্ষাতকারে মুখ খুলেছেন সব বিষয় নিয়ে। সেখানে প্রশ্ন করা হয় ক্রিকেট বোর্ডে কাজ করা নিয়ে।

জবাবে মাশরাফি বলেন, আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর খেলা বাদ দিয়ে ক্রিকেট বোর্ডে যাইনি সাধারণত। নিজের কথা আসলে ভাবিনি। যে জায়গায় আমি ছিলাম, হয়তো ওপরের মহলে গিয়ে বলতে পারতাম যে ক্রিকেটে এই কাজটা করতে চাই বা ওই দায়িত্ব নিতে চাই। কিন্তু নিজের কথা বলতে চাইনি কখনোই।

'যখন বলার সুযোগ ছিল, তখনই বলিনি। এখন যে পরিস্থিতি, আমার কাছে মনে হয়, ক্রিকেট বোর্ডে থাকা বা এরকম কোনো দায়িত্ব আমার প্রাপ্য নয়। আমি দাবিও করতে পারি না। যখন রাজনীতিতে ছিলাম, ক্রিকেট বোর্ডে থাকার চেষ্টা করিনি। এখন রাজনীতিতে নেই, এখন যদি বোর্ডে থাকার চেষ্টা করি বা থাকতে চাই, তাহলে কেমন হয়ে যায় না!'-যোগ করেন তিনি।

এরপর বলেন, 'যদি ছোট কোনো প্ল্যাটফর্মে সুযোগ আসে, সেই জায়গা থেকে চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু বড় পরিসরে বা বোর্ডে গিয়ে বলব, এখন কাজ করতে চাই ক্রিকেট নিয়ে এটা অনেকটা সুযোগসন্ধানী ব্যাপার হয়ে যাবে। এই জায়গা থেকে আমার মনে হয়, এটা আমার প্রাপ্য নয়। হ্যাঁ, ক্রিকেট আমার রক্তে আছে। কেউ কখনও সহায়তা চাইলে অবশ্যই পাশে থাকব। কিন্তু বোর্ডে থাকার বাস্তবতা এই মুহূর্তে আমার নেই। ডিজার্ভও করি না।'


আরও খবর



আওয়ামী লীগ নেতা পান্নাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়: এনডিটিভি

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসহাক আলী খান পান্নার মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল আগেই। তবে তার মৃত্যুর কারণ নিয়েও পাওয়া যাচ্ছিল নানা রিপোর্ট।

পান্নার লাশ এখন ভারতের মেঘালয় রাজ্যে রয়েছে এবং তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের নেতা ইসহাক আলী খান পান্নাকে যিনি হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন মেঘালয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছেই মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে মেঘালয় পুলিশ বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

রাজ্যটির পুলিশের বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, পান্নার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থেকে বোঝা যায় যে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৬ আগস্ট মেঘালয়ের পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড়ের দোনা ভোই গ্রামের একটি সুপারি বাগানের মধ্যে ইসহাক আলী খান পান্নার আধা-পচা মৃতদেহ পাওয়া যায়। এই এলাকাটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে।

পান্নার বহন করা পাসপোর্ট থেকে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলেও সূত্রগুলো জানিয়েছে।

পুলিশের বেশ কয়েকটি সূত্র আরও জানিয়েছে, পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বলা হয়েছে তিনি শ্বাসরোধের কারণে মারা গেছেন। রিপোর্টের ভাষায়, মৃত্যুর কারণ হলো শ্বাসরোধের কারণে সৃষ্ট শ্বাসকষ্ট

তার মরদেহ ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়েছে বলেও সূত্রগুলো জানিয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এছাড়াও ইসহাক আলী খান পান্নার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার কপালে আঘাত এবং ক্ষত চিহ্ন রয়েছে বলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই রাজধানী ঢাকায় আত্মগোপনে ছিলেন ইসহাক আলী খান পান্না। পরে তিনি সিলেট থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

পরিকল্পনা মতো সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল এলাকা দিয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ডাউকি এলাকায় প্রবেশ করেন। তবে পরে তার মৃত্যুর ও মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, ইসহাক আলী খান পান্না ১৯৯৪ সালের সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর দলের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এবং পরে বিভিন্ন উপ-কমিটি ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী সদস্য হয়েছিলেন তিনি।


আরও খবর