আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

মুন্সীগঞ্জে জিও ব্যাগের নামে পদ্মায় চলছে অবৈধ ড্রেজিং

প্রকাশিত:সোমবার ২১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার নামে পদ্মায় চলছে অবৈধ ড্রেজিং, ভাঙ্গন আতঙ্কে দিঘীরপাড় বাজারসহ শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পদ্মা নদীতে প্রকাশ্যে এমন ড্রেজিং চললেও একপ্রকার নিশ্চুপ রয়েছে প্রশাসন।

অভিযোগ রয়েছে ভাঙ্গন রোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের নাম করে দীর্ঘদিন ধরে ডাম্পিংয়ের একশ গজের মধ্যেই চলছে অবৈধ ড্রেজিং। প্রকাশ্যে এমন ঘটনা চলছে মুন্সীগঞ্জ ও শরিয়তপুর জেলার সীমানা সংলগ্ন টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের পদ্মা নদীর সরিষাবন এলাকায়। শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জ সীমানা এলাকায় এমন ড্রেজিং কার্যক্রম চললেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না দুই জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

অভিযোগ রয়েছে অবৈধ ড্রেজিং এর সাথে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত থাকায় প্রশাসনকে কোন প্রকার পাত্তা না দিয়েই চালানো হচ্ছে ড্রেজিং, প্রতিদিন শতাধিক বাল্কহেড লোডিং করে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রভাবশালী একটি মহল ।

সরেজমিন দেখা গেছে, শাহপরান ড্রেজিং প্রকল্প নামের একটা লোডিং ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে ড্রেজিং করে একের পর এক বাল্কহেড ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জিও ব্যাগ ডাম্পিং স্থান সহ বিক্রির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায়। এছাড়াও জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর ১ শ গজের মধ্যেই অবৈধ এমন ড্রেজিং এর ফলে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী দিঘিরপার বাজারসহ পদ্মার চরের কৃষি জমি ও গ্রামে গ্রামে। এতে করে আতঙ্কে রয়েছে আশপাশের শত শত বসত বাড়ি ও কৃষি জমি সহ দিঘীরপাড় বাজারের শত শত ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, পদ্মার ভাঙ্গন রোদে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। তবে জিও ব্যাগের ভিতরে যে বালু দেয়া হচ্ছে এসব বালু দিয়ে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব নয়। কারণ জিও ব্যাগে মোটা বালু দেয়ার কথা থাকলেও অবৈধভাবে ড্রেজিং করে পদ্মা নদীর চিকন বালি যা পাউডার বালু নামে পরিচিত তা দিয়ে চলছে জিও ব্যাগ ভর্তি করে ভাঙ্গন রোধে ডাম্পিং কাজ। কোনরকম মৌখিক অনুমোদন নিয়েই চলছে এমন অবৈধ ড্রেজিং।

স্থানীয়রা জানান, জিও ব্যাগ ভর্তি বালুর নাম করে অবৈধভাবে কোনরূপ অনুমোদন ছাড়াই ড্রেজিং চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা। এছাড়াও ড্রেজিংয়ে জড়িত ড্রেজারটিরও নেই অনুমোদন। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহসও পাচ্ছে না। ফলে তাদের ইচ্ছা মতো লোডিং ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ঘন মিটার বালু উত্তোলন করে নিচ্ছে চক্রটি। এতে করে পদ্মার তীরবর্তি এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। হুমকিতে পড়েছে মুন্সীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী দিঘীরপাড় বাজার ও পদ্মার চরের শত শত একর কৃষি জমি ও বসত বাড়ি। অনতিবিলম্বে এই অবৈধ ড্রেজিং বন্ধ না করতে পারলে জিও ব্যাগ ফেলে কোন কাজেই আসবে না বরং এই বর্ষায় ভাঙ্গনের তীব্রতা ব্যাপক আকার ধারণ করবে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।

ড্রেজার সুখানী মহসিন জানান, টোকেন হাতে পাওয়ার পর থেকে প্রতিদিন ১৯/২০ টি বাল্কহেড লোড দিতে পারেন তারা। এর মধ্যে কতটা জিও ব্যাগের আর কতটা বাহিরে যায় সেটি তার জানা নেই। আমরা প্রতিটি বাল্কহেডের আলাদা আলাদা টোকেন অনুযায়ী লোড দিয়ে থাকি।

জিও ব্যাগ ডাম্পিং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নবারুণ ট্রেডাসের সাইড অফিসার মোহাম্মদ রুবেল হোসেন জানান, আমরা শুধু জিও ব্যাগে বালুভর্তি করে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার ডাম্পিং করে যাচ্ছি। তবে বালু কোথা থেকে আসলো সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। এটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ, তারাই জানে ড্রেজিং এর বিষয়টি অনুমোদন আছে কিনা।

তবে অবৈধভাবে ড্রেজিং এর সাথে জড়িত অভিযুক্ত ড্রেজার মালিকদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।

টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রেজওয়ানা আফরিন জানান, ড্রেজিং এর বিষয়টি দুই জেলার মধ্যখানে হওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা যখনই অভিযানে যাই তখন ড্রেজিংকারীরা শরীয়তপুরের নড়িয়া অংশে চলে যায়। ফলে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। তবে খুব দ্রুতই অবৈধ ড্রেজিং এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান।

 বালু কিনে জিও ব্যাগ ভরে ভাঙ্গন রোধে নদীতে ফেলা হচ্ছে দাবি করে মুন্সীগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নরেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, আমাদের বালি কিনে এনে জিও ব্যাগে ভরে ভাঙ্গন এলাকায় ফেলা হচ্ছে। তবে কারা ড্রেজিং করছে বা এর সাথে জড়িত তা আমাদের জানা নেই। যদি কেউ ড্রেজিং করে থাকে সেটি সেই জানে কিভাবে সে পারমিশন পেল। তবে তিনি ড্রেজিং এর বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানান ।


আরও খবর



টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একদিনের সফরে নিজ বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১০ মে) সকাল ৭টা ১০ মিনিটে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সকাল পৌনে ১০টার দিকে গোপালগঞ্জে পৌঁছান তিনি।

এরপর প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পাশাপাশি ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা, চাচাতো ভাই শেখ হেলালসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক জানান, প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে। তিনি টুঙ্গিপাড়ার দাড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির উপদেষ্টা সদস্য। সমিতিটি আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পের আওতাভুক্ত। তিনি তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে এ সমিতির উপকারভোগীদের মধ্যে কৃষি উপকরণ ও নগদ সহায়তা দেবেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর নিরাপদ ও সফল করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীর সঙ্গে আমাদের সার্বিক সমন্বয়মূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করছি, প্রধানমন্ত্রীর সফরটি সুন্দর, নিরাপদ ও সফল হবে।

টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজ্জাম্মেল হক টুটুল জানান, টুঙ্গিপাড়ায় এটি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সফর। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়ার দাড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এ সময় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাদের শিক্ষা ও কৃষি উপকরণ এবং নগদ অর্থ প্রদান করবেন। কর্মসূচি পালন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুক্রবারই ঢাকায় ফিরবেন।


আরও খবর



ইরাকে সমকামী সম্পর্কে জড়ালেই ১৫ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সমকামী সম্পর্কে জড়ালে হবে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড। এমনই এক আইন পাশ হয়ে গেল ইরাকের পার্লামেন্টে। দেশটির সরকারের দাবি, ধর্মীয় মূল্যবোধকে রক্ষা করার লক্ষ্যে এই নতুন আইন পাশ করা হলো।

ইরাকে আগে প্রস্তাব আনা হয়েছিল, সমকামীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলো ও আমেরিকার বিরোধিতায় সর্বোচ্চ সাজা ১৫ বছরের কারাদণ্ডই রাখা হয়েছে। কেবল সমকামী সম্পর্ক নয়, আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে রূপান্তরকামীদের জন্যও। বলা হয়েছে, লিঙ্গ বদলকারী কিংবা নারীদের বেশ ধারণকারীদের এক থেকে তিন বছরের কারাবাস বা ৭৭০০ ইউরো জরিমানা হবে।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, ইরাকের সমাজকে নৈতিক অবক্ষয় ও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া সমকামিতা থেকে রক্ষা করতেই এই আইন আনা হয়েছে। সমকামিতা ও দেহব্যবসা রুখতে আনা এই আইনে জানানো হয়েছে, কেউ সমকামী সম্পর্কে জড়ালে সর্বোচ্চ ১৫ ও সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হবে তার। সমকামিতা কিংবা দেহ ব্যবসার প্রচার করলে কমপক্ষে ৭ বছরের জন্য যেতে হবে কারাগারে।

এতদিন পর্যন্ত ইরাকের আইনে সমকামিতাকে অপরাধ বলা হয়নি। কেবলমাত্র দণ্ডবিধির উল্লেখে অল্প করে নৈতিকতার দিকটি আনা হয়েছিল। সেটাকেই অস্ত্র করে এলজিবিটি মানুষদের আক্রমণ করত সশস্ত্র দলগুলো। এবার সমকামিতাকে অপরাধ ঘোষণা করে শাস্তির বিধান দিল নতুন আইন।


আরও খবর



অর্থ আত্মসাৎ মামলায় জামিন পেলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এদিন সকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস পূর্বশর্তে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের প্রায় ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেয় দুদক। গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন। তখন আসামি করা হয়েছিল ১৩ জনকে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- ড. মুহাম্মদ ইউনূস, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।


আরও খবর



বেইলি রোড ট্র্যাজেডি : মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে, এ দিন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ফকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। সেখান থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয় ৭৫ জনকে।

এ ঘটনায় ১ মার্চ পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় পরস্পর যোগসাজশে অবহেলা, অসাবধানতা, বেপরোয়া, তুচ্ছতাচ্ছিল্যপূর্ণ কাজের জন্য গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিদগ্ধ ও শ্বাসনালিতে ধোঁয়া প্রবেশ করে জীবন বিপন্নসহ মারাত্মক জখম ও এর ফলে মৃত্যু ঘটানো এবং ক্ষতি সাধন করার অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।


আরও খবর



চকরিয়ায় মহাসড়কে গণডাকাতি, গুলি বিনিময়, পুলিশসহ গুলিবিদ্ধ ২

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রিদুয়ানুল হক, চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার)

Image

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ব্যারিকেড দিয়ে গণপরিবহনে ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোররাত ৪টায় মহাসড়কের বরইতলী আলমনগর রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসা ড্রামট্রাকের মালিক ডাকাতের গুলিতে আহত হন। পরে পুলিশ-ডাকাত গুলিবিনিময় হলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতদের ফেলে যাওয়া একটি কাটা বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। পিটুনিতে আহত হয় প্রবাসীসহ পাঁচজন।

ডাকাতির খবর পেয়ে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ডিউটিরত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে বলে জানা যায়। এসময় হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত এএসআই সোলায়মান খাঁন ও স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন ড্রামট্রাকের মালিক আব্দুল খালেক পুতু (৩০), ডাকাতের পিটুনিতে আহত হয়- প্রবাসী রফিক উদ্দিন বাবুল, তার স্ত্রী মোশারফা বেগম, শাশুড়ি শাহেনা বেগম, শ্যালক জুলফিকার আলি ভুট্টো ও অটোচালক এহসান।

প্রবাসী পরিবার ও সিএনজির যাত্রী জুলফিকার আলী অভিযোগ করে বলেন, ডাকাতের কবল থেকে উদ্ধার করার জন্য চিৎকার দিলে ৩০০ গজ অদুরে থাকা হাইওয়ে থানার পুলিশ এগিয়ে আসেনি।

ডাকাতির শিকার ভুট্টো আরও বলেন, দীর্ঘ এক ঘণ্টার পর চকরিয়া থানাধীন হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আইসি জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে আসে। হারবাং আইসি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, মহাসড়কের ডাকাতি রোধে হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্ব রয়েছে। তারা দায়িত্ব পালন না করে অন্য কাজে ব্যস্ত তাকে, অন্য কি কাজ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই জানে আমাকে কে প্রশ্ন করছেন। কিন্তু ডাকাতি সময় কিছু অদূরে হাইওয়ে থানার পুলিশ থাকলেও তারা এগিয়ে আসেনি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ডাকতের কবল থেকে প্রাবাসী পরিবার ও যাত্রীবাহী বাস উদ্ধার করে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত ১৫ বছরের মহাসড়কে এমন ডাকাতি ঘটনা ঘটেনি।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী নাদিম কাছে মহাসড়কের ডাকাতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার জানার পর সাথে সাথে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করি। ডাকাতের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর