আজঃ শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

মুশতাক আহমেদকে নিয়ে সুখবর দিল বিসিবি

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ৩১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মধ্যে দিয়ে নিজের বাংলাদেশ অধ্যায় শেষ করেন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। বিশ্বকাপ পর্যন্তই বাংলাদেশের সঙ্গে সাবেক এই পাকিস্তানি লেগ স্পিনারের সঙ্গে চুক্তি ছিল। কিন্তু তার কাজে খুশি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাই আবারও দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি যেতে যায় বাংলাদেশ।

আজ বুধবার পাকিস্তানি এই সাবেক ক্রিকেটারকে নিয়ে সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস।

জালাল ইউনুস জানান, আগামী মাসে পাকিস্তান সফরেই মুশতাককে পাচ্ছে বাংলাদেশ। আজ সাংবাদিকদের বিসিবির এই পরিচালক বলেছেন, পাকিস্তান সিরিজের মুশতাক আহমেদকে পাওয়া যাবে।

তবে পাকিস্তান সফরের পর পরের সিরিজগুলোতে আপাতত তাকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এই ব্যাপারে জালাল ইউনুস বলেন, যেহেতু সামনে ওর নিজেরও কিছু প্রোগ্রাম আছে, সে জন্য পারছে না বাকি সিরিজগুলোয় থাকতে। ডিসেম্বর পর্যন্ত সে ব্যস্ত। তবে আমরা জানুয়ারি থেকে চেষ্টা করব তার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করার। বলছি না যে করা যাবে। আমরা চেষ্টা করব। এখন পর্যন্ত ইতিবাচক একটা ভাইব পাচ্ছি। দেখা যাক, সামনে কী হয়।


আরও খবর



সচিবদের যেসব নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারের সব প্রতিষ্ঠানের সচিবদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় সচিবদের ৯টি নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ৫৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে দেয়া নির্দেশনাগুলো হলো:

> সরকারের সব পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে মার্চিং অর্ডার দেয়া হয়েছে।

> সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়নে প্রয়োজন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত গ্রহণ করতে হবে।

> জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা বৈষম্যহীন মানবিক দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, যে ভয়হীন চিত্ত আমাদের উপহার দিয়েছে, তার ওপর দাঁড়িয়ে বিবেক ও      ন্যায়বোধে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।

> নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য গৎবাঁধা চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে, চিন্তার সংস্কার করে, সৃজনশীল উপায়ে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

> দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে, সেবা সহজিকরণের মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।

> সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

> সরকারি ক্রয়ে যথার্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।

> সৃষ্টিশীল, নাগরিক-বান্ধব মানসিকতা নিয়ে প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কর্মসূচির সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা দাখিল করবে, যা নিয়মিত মূল্যায়ন/পরিবীক্ষণ করা হবে।

> ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আগ্রহ, ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে, দেশের স্বার্থে তা সর্বোত্তম উপায়ে কাজে লাগাতে হবে।

এর আগে, ১২ আগস্ট ২৫টি মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠক করেছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং সরকারের অগ্রাধিকার পাওয়া বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।


আরও খবর



বিয়ের দু'মাসের মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন সোনাক্ষী

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কয়েক মাস আগেই দীর্ঘ দিনের প্রেমিক জাহির ইকবালকে বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। নিজের বাড়িতে ঘরোয়া ভাবেই বিয়ের আযোজন করেন। গত জুন মাসে সেখানেই আইনি বিয়ে সেরেছিলেন নায়িকা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে জানা যায়, বান্দ্রার ওরলি থেকে আরব সাগরের সংযোগস্থলে বিলাসবহুল নায়িকার বাড়ি। তার বারান্দা থেকে আরব সাগরের সৌন্দর্য খুবই উপভোগ করার মতো। বাড়ির অন্দরমহল অনুরাগীদের যে বেশ পছন্দ তা বোঝা গিয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যখন ছবি শেয়ার করেছিলেন।এবার এই বাড়িটি বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোনাক্ষী।

হঠাৎ কী কারণে বাড়ি বিক্রি করতে চলেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন অনুরাগীদের। তবে এ বিষয়ে তেমন কোন কিছু বলেন নি সোনাক্ষী। সম্প্রতি একটি বাড়ি কেনাবেচার সংস্থার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন এ অভিনেত্রী।

সেখানে সমুদ্রমুখী ২৪০০ বর্গফুটের দুই কামরার এই বাড়ির বর্ণনা দিতে শুরু করলেই সঙ্গে সঙ্গে ফ্ল্যাটটি চিনে নেন ভক্ত-অনুরাগীরা। বিক্রয়মূল্য রাখা হয়েছে ২৫ কোটি। ২০২০ সালে ফ্ল্যাটটি কেনেন অভিনেত্রী। প্রায় ৫ কোটি খরচ করে অনন্দরসজ্জা করান ফ্ল্যাটটির।

২০২৩ সালে এই ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেন তিনি। সেখানেই বিয়ে সারেন। এ বার সেই ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিচ্ছেন অভিনেত্রী। তবেজানা যায়, গত বছর এই আবাসনে প্রায় ১১ কোটি খরচ করে আরো একটি ফ্ল্যাট কেনেন সোনাক্ষী। তবে কি পরে কেনা ফ্ল্যাটেই পাকাপাকি ভাবে থাকবেন নায়িকা!


আরও খবর
কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানালেন টেলর সুইফট

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পাট চাষিদের কোটি টাকার প্রণোদনার টাকা কথায় গেলো প্রশ্ন কৃষকদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বাংলাদেশকে সোনালী আঁশের দেশ বলা হলেও বর্তমানে পাট চাষ হারিয়ে যেতে বসেছে। একটা সময় পাটের সোনালী দিন থাকলেও বর্তমানে এর চিত্র ভিন্ন। কয়েক বছর আগে ঠাকুরগাঁও ব্যাপকভাবে পাট চাষ হতো। কিন্তু ভালো মানের বীজ, পরামর্শ ও ক্ষেতের সঠিক পরিচর্যার অভাবে দিন দিন পাটের চাষাবাদ বিলুপ্তির পথে। প্রকৃত চাষিরা প্রণোদনা না পাওয়ায় ও পাটের ফলন, জাগ দেওয়ার ব্যবস্থার অভাবে ও দামের কারণে গতবছরের তুলনায় এবার তিন ভাগের এক ভাগও পাট চাষ হয়নি এ জেলায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বিগত পাঁচ বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে জেলায় পাটের আবাদ হয়েছিলো ৫ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে আর উৎপাদন হয়েছিল ১৩ হাজার ১৩৭ মেট্রিক টন। কিন্তু ২০২৪ সালে আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে ও পাট উৎপাদন হয়েছে মাত্র ১২ হাজার ৮৭৪ মেট্রিক টন। ১৯ সালের তুলনায় এবছর ৩১০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ বেশি হলেও বিগত ১৯ সালের ফলন অনুযায়ী ২৬৩ মেট্রিক টন পাট কম উৎপাদন হয়েছে।

পাট অধিদপ্তর ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ক্রমান্বয়ে চাষ কমলেও কৃষকদের প্রণোদনার মাধ্যমে পাট চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তবে অন্তরায় হিসেবে পাটের ন্যায্য মূল্য ও জাগ ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন কর্মকর্তারা।

জেলা পাট উন্নয়ন অফিসের তথ্য মতে, জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্য শুধু চারটি উপজেলার ১০ হাজার ১৯৩ জন চাষিকে পাট চাষের জন্য প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। এতে প্রত্যেককে ১ কেজি করে বীজ, ৬ কেজি ইউরিয়া, ৩ কেজি টিএসপি ও ৩ কেজি এমওপি সার ছাড়াও প্রশিক্ষণ বাবদ ৫০০ টাকা সম্মানিসহ ৩০০ টাকা খাওয়া বিল, নাস্তা বাবদ ৮০ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়াও খাতা, কলম ও ব্যাগও প্রদান করা হয়।

আর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকেও ৩ হাজার ৬০০ জন কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। প্রতি বছর হাজার হাজার কৃষককে পাট চাষ বৃদ্ধির জন্য প্রনাদনা হিসেবে বীজ, সার ও প্রশিক্ষণ প্রদান বাবদ কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও এর কোনো উল্লেখযোগ্য সুফল দেখা যায়নি।

পাট চাষিদের অভিযোগ তাঁরা কোন ধরণের প্রণোদনা পাননি। তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পানির অভাবে দিন দিন পাট জাগ দেওয়া থেকে শুরু করে পাটের রোগ বালই ও খরচ বৃদ্ধি হচ্ছে। সে তুলনায় ফলন ও দাম কম হওয়ার কারণে গতবছরের তুলনায় এবার তিন ভাগের এক ভাগও জেলায় পাট চাষ হয়নি। গত বছর যারা পাট চাষ করেছিলো তাদের অনেকে এবার পাট চাষ করেননি। আর যারা করেছে তারা খুবই স্বল্প পরিমাণের করেছে। তাই এই সোনালী ফসলের চাষ বৃদ্ধি করার জন্য প্রকৃত কৃষকদের সরকারি সহায়তা প্রদান সহ পাটের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার অনুরোধ তাদের।

রহমান নামে এক পাট চাষি বলেন, এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়। বর্তমান পাটের বাজার দর অনুযায়ী পাট বিক্রি করে আমাদের পাট খড়ি গুলো টিকে না। খরচ অনুযায়ী ন্যায্য মূল্য পাওয়া যায় না। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার পাটের দাম ও ফলন কম হয়েছে। আমরা প্রকৃত পাট চাষিরা সরকারি সার বীজ থেকে শুরু করে কোনো ধরেণের সহযোগিতা পাই না। আরেক কৃষক হামিদ বলেন, আমি তো সরকারি কোনো সহযোগিতাও পাইনি। ঠাকুরগাঁওয়ে আগে ব্যাপক পাটের চাষ হতো। এবার যা হয়েছে আগামীতে এটাও আর চাষ হবে না মনে হয়।

পাট চাষি হামিদুল বলেন, কিছু আগে ২ হাজার ৬০০-৭০০ টাকা পাটের মণ ছিল কিন্তু তা কমে এখন ২ হাজার ৫০০ টাকায় এসেছে। এতে বিঘা প্রতি প্রায় ১০ হাজার টাকা লস হচ্ছে। সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকারি ভাবে বলে পাট চাষিদের সার বীজ ও টাকা দেওয়া হয়। কই আমি তো কিছুই পাইনি। যারা পাট আবাদ করি আমরা যদি সহযোগিতা না পাই। তাহলে কারা পায়। আগামীতে সরকার পাট চাষিদের বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে ও সহযোগিতা না করলে পাটের আবাদ হয়তো উঠে যাবে।

প্রণোদনার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা অসীম কুমার মালাকার কোন উত্তর না দিয়ে বলেন, কৃষকদের তালিকা, কেনা-কাটা সহ প্রণোদনা প্রদানের কাজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা করে থাকেন। তবে কৃষকদের জন্য সরকারের প্রণোদনার কোটির টাকার কোন উত্তর তিনি দেননি।