আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পথ জানালেন ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০২১ সালের শেষের দিক থেকে ব্যাপক মূল্যস্ফীতির সংকটে ভুগছে ইউরোপীয় দেশগুলো। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি। ইউরোপের নাগরিক, অর্থনীতিবিদ ও অর্থমন্ত্রীরা বহুদিন এ ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হননি। এটি আমাদের জন্য নতুন ও খুবই উদ্বেগের বিষয়। মূল্যস্ফীতি একটি গোপন বিষ। এটি অর্থনৈতিক মন্দা বা সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি রাজনৈতিক সংকটেরও জন্ম দিতে পারে। এ কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারের জন্য অগ্রাধিকারের বিষয়। ইউরো জোনে যত দ্রুত সম্ভব দুই শতাংশ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো উচিত। তার জন্য আর্থিক ও জ্বালানি উভয় সমস্যা মোকাবিলায় সমন্বিত কৌশল গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথমত, অর্থ ও আর্থিক নীতিগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত। জনগণের খরচ বাড়তে থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণমূলক নীতিগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে। সেজন্য জ্বালানির বাড়তি দামের বোঝা পরিবার, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারের মধ্যে ভাগ করে নিতে হবে। ফ্রান্স পরিবারগুলোর জন্য একটি এনার্জি শিল্ড চালু করেছে, যা ২০২৩ সালের শুরুর দিকে মূল্যবৃদ্ধির হার ১৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ করবে। এতে অর্থায়নের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের অতিরিক্ত মুনাফা আটকানোর একটি প্রক্রিয়া চালু করেছে ফরাসি সরকার। আশা করা হচ্ছে, এ থেকে আগামী বছর ২ হাজার ৬০০ কোটি ইউরো (২ হাজার ৫৯ কোটি মার্কিন ডলার) আসবে এবং এনার্জি শিল্ডের আংশিক তহবিল জোগাবে।

কোম্পানিগুলোকে অবশ্যই ভালো মজুরির বিষয়ে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণ করতে হবে। তবে ১৯৭০র দশকে ফ্রান্সে আমরা যে দুষ্টচক্রের মুখোমুখি হয়েছিলাম, তা এড়াতে এ ধরনের মজুরিবৃদ্ধি অবশ্যই উৎপাদনশীলতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। এটাই ফরাসি সরকারের নীতির লক্ষ্য, যার মধ্যে বেকারত্ব ও পেনশনের কাঠামোগত সংস্কার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমরা যোগ্যতার মাত্রা ও অংশগ্রহণের হার বাড়াতে শ্রমবাজার সংস্কারের একটি উচ্চাভিলাষী কর্মসূচি অব্যাহত রাখবো। নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় অর্থ আর সুদমুক্ত নয়। ১০ বছর মেয়াদী ফরাসি সরকারি বন্ডের হার ১৮ মাস আগেও নেতিবাচক ছিল। তা বেড়ে এখন ২ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি হয়েছে, যার ফলে কোটি কোটি ইউরো অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে।

ইউরোপীয় সরকারগুলো যদি উচ্চতর ঋণ-পরিষেবা খরচ অনুমান করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মূল্যস্ফীতি সংকট হঠাৎ করে আর্থিক সংকটে পরিণত হতে পারে। ব্রিটিশ বন্ড মার্কেটের সাম্প্রতিক অস্থিরতা দ্রুত সুদের হার বাড়ানোর প্রভাবের উদাহরণ। ইউরোপীয় পর্যায়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সমন্বিত ব্যবস্থা আমাদের যার যার জাতীয় এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ইউরো জোনে একটি একক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থাকলেও বেশ কয়েকটি সরকার রয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন রাজস্ব নীতির সঙ্গে একটি একক মুদ্রানীতি চলতে পারে না। অন্যথায়, আমরা একক মুদ্রাকে খণ্ডিত ও দুর্বল করার ঝুঁকিতে রয়েছি। আমাদের কৌশলের দ্বিতীয় ভিত্তি হলো জ্বালানির স্বাধীনতা। কারণ, এটি দাম কমাতে সাহায্য করবে। বর্তমান সংকটের ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে হাইড্রোকার্বন উৎপাদনকারী দেশগুলোতে সম্পদের ব্যাপক স্থানান্তর হচ্ছে। জ্বালানির উচ্চমূল্য একটি শক্তিশালী শিল্পবাজার গড়ে তোলার প্রচেষ্টাকেও দুর্বল করে দেয়।

সেজন্য ফ্রান্সের উচিত আরও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অবিলম্বে তার সব পারমাণবিক চুল্লি ফের চালু করা; ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে দর কষাকষির মাধ্যমে জ্বালানি সরবরাহের উৎসগুলোকে বৈচিত্র্যময় করা; আর গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কমানোর লক্ষ্যে ইউরোপীয় জ্বালানি বাজার সংস্কারের পক্ষে থাকা। এগুলোর পাশাপাশি, ইইউর সব সদস্য দেশ তাদের জ্বালানি ব্যয় কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দীর্ঘমেয়াদে আমরা নতুন পারমাণবিক চুল্লি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস বাড়িয়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে চাই। এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁর নেতৃত্বে ফ্রান্স এই পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। যুক্তরাজ্যও ফ্রান্সের সঙ্গে অংশীদারত্বে পারমাণবিক বিদ্যুৎ সক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইইউ এবং যুক্তরাজ্য নিয়ে গঠিত হবে পৃথিবীর প্রথম কার্বন-নিরপেক্ষ মহাদেশ।

সবশেষে, বিশ্বকে অবশ্যই বাণিজ্য ও লেনদেনে বাধা সৃষ্টির লোভ প্রতিহত করতে হবে। অর্থনৈতিক সংকটের সময় এটি আরও বেশি সম্ভাবনাময় বলে মনে হয়। শুল্ক সবসময় ভালো উদ্দেশ্যে নিয়ে প্রবর্তিত হলেও তা প্রায়ই বাণিজ্য যুদ্ধের পর্যায়ে চয়ে যায়। গত আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ আইন গভীর উদ্বেগের বিষয়। এই আইনে মার্কিন শিল্পগুলোতে ব্যাপক ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। এটি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মের লঙ্ঘন হতে পারে। এই উচ্চঝুঁকির পরিস্থিতি তিনটি বৃহত্তম বাণিজ্যিক অঞ্চল- ইউরোপ, আমেরিকা ও চীনের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু এটি অনিবার্য নয়। মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত সংকট সর্বদা বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতির মানচিত্র বদলে দিয়েছে। তাই নিশ্চিত করতে হবে, এবারের ঘটনা যেন আমাদের অভিন্ন স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়।

নিউজ ট্যাগ: মূল্যস্ফীতি

আরও খবর



আ.লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ : কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনেরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনও নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হউক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ২

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিস শহরে খোলা জায়গায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে (ব্লক পার্টি) বন্দুকধারীর হামলায় কমপক্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও ছয়জন।

স্থানীয় সময় শনিবার (২০ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক বিবৃতিতে মেমফিস পুলিশ বলেছে, তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, হামলায় আটজন হতাহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। খবর রয়টার্স।

এর আগে পুলিশ জানিয়েছিলেন, ওই ঘটনায় ১৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং আহতদের একজনের অবস্থা গুরুতর। আরেকজন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। অনুমতি ছাড়াই এ ব্লক পার্টি আয়োজন করা হয়েছিল। প্রায় ২০০-৩০০ মানুষ সেখানে যোগ দিয়েছিলেন।

মেমফিস পুলিশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান সেরেলিন ডাভিসের বরাতে সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত দুজন সন্দেহভাজনকে ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। সিবিএস নিউজকে ডাভিস বলেন, আমাদের ধারণা, এ ঘটনার সময় অন্তত দুজন গুলি চালিয়েছেন।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে তাৎক্ষণিকভাবে মেমফিস পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স।

ব্লক পার্টি হলো কোনো একটি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে সৌহার্দ্য বাড়াতে তাদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠান। এ ধরনের অনুষ্ঠান সড়ক, খোলা জায়গা কিংবা জনসমাগমের জায়গায় আয়োজন করা হয়ে থাকে।


আরও খবর



উন্নয়ননের অপর নাম শেখ হাসিনা : মাহবুবুর রহমান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন হয় এটা সকলের জানা। সরকারের কাজ উন্নয়ন করা আর উন্নয়নের অপর নাম শেখ হাসিনা।

শনিবার ঢাকার দোহার উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান এ মন্তব্য করেন।

মাহবুবুর রহমান বলেন, আমার রাজনীতির জীবনে স্বপ্ন ছিলো তৃণমূলের মানুষদের সেবা করবো। মহান আল্লাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আমাকে সেই দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি আমাকে দেওয়া দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাচ্ছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

চেয়ারম্যান বলেন, আমি কারো মুখের কথায় কোনো উন্নয়ন কাজ করি না। আমি সরাসরি ওই এলাকায় গিয়ে যেসকল উন্নয়ন প্রয়োজন তাই করে দিচ্ছি।

এসময় দিনব্যাপি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২টি আরসিসি রাস্তা, একটি ড্রেন ও একটি মসজিদের উন্নয়ন ফলক উদ্বোধন করেন।

উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল রাজ্জাক, উপসহকারী প্রকৌশলী মোতালেব হোসেন, নারিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ শাহাবুদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, মোস্তফা মোল্লা, আজাদ খান, চঞ্চল মোল্লা, মুক্তার হোসেন, মেহেদী হাসান সাদ্দামসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীরা।

নিউজ ট্যাগ: দোহার

আরও খবর



ডিমের বাজার মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এক যুগের বেশি সময় ধরে মুরগির ডিম উৎপাদন করছেন ঢাকার ধামরাই এলাকার বাসিন্দা সুলতান উদ্দিন। তার খামারে মুরগির সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। খাদ্য, ওষুধ, বিদ্যুৎ ও আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে একেকটি মুরগির পেছনে দৈনিক ৭ থেকে সাড়ে ৮ টাকা ব্যয় হয় তার। তবে ডিমপ্রতি ১ টাকা লাভ ধরে খামারি পর্যায়ে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৯ টাকা দরে। যা বাজারে বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১২ টাকায়।

সংশ্লিষ্ট তথ্য বলছে, দেশে প্রতিদিন ডিমের চাহিদা প্রায় চার কোটি। যার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে প্রায় সাড়ে চার কোটি ডিম। তবে খামারিরা ১ টাকা লাভে সাড়ে ৯ টাকা দরে ডিম বিক্রি করলেও রাজধানীর বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১২ টাকা দরে। বাড়তি এই ৩ টাকা যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে।

সুলতান উদ্দিন বলেন, আমরা যারা উৎপাদন করি, তারা আসলে ন্যায্যমূল্য পাই না। আবার যারা ক্রেতা, সাধারণ মানুষ তারাও কিন্তু চড়া মূল্যেই ডিম কিনে। মাঝখানে যারা ব্যবসায়ী তারাই এতে লাভবান হচ্ছে।

গেলো বছর লাগামহীন পণ্যমূল্যের আলোচনায় বাড়তি অস্বস্তি যোগ হয় মুরগির ডিমের দামের ঊর্ধ্বগতিতে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ডিম আমদানির ঘোষণা দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বাজারে আসে প্রায় ৬২ হাজার ভারতীয় ডিম। তবুও গেলো কয়েক মাসে ডিমের দামের সূচক উঠানামা করে ঠিকই। এরমধ্যেই সপ্তাহখানেক আগে থেকে নতুন করে ভোক্তাদের মধ্যে দাম নিয়ে অস্বস্তি শুরু হয়েছে। কারণ, খোলাবাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

এক ক্রেতা বলেন, আমাদের দেশে তো অনেক ফার্ম আছে। তারা যদি ডিম সরবরাহ করে তাহলে তো এমনিতেই ডিমের দাম কম থাকা উচিত। অপরজন বলেন, বর্তমান সময়ে কৃষক দাম পাচ্ছে না, মধ্যস্বত্বভোগীরা দাম পাচ্ছে- এমন ঘটনাই ঘটছে। ক্ষুব্ধ আরেক ক্রেতা বলেন, সরকার তো কোনো পদক্ষেপই নেয় না। ফলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মরছে।

এদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, ডিমের চাহিদার তুলনায় যোগান কম। আবার মধ্যস্বত্বভোগীদের কৃত্রিম কারসাজিও রয়েছে। তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আমানত উল্লাহ বলেন, খামারি কত পাবে, আমরা আড়তদাররা কততে নিয়ে আসবো, যারা ক্রেতা তারা কততে ডিম নিতে পারবে- এসবের জন্য একটা সিস্টেম করা উচিত। প্রকৃতপক্ষে কিন্তু এরকম কোনো প্রক্রিয়া নেই। দেশের বাজারে চাহিদা নেই, বাজার কমছে, খামারি লোকসান গুনছে।


আরও খবর



নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১১ জুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলায় বাপেক্সের সাবেক এমডি মো. আব্দুল বাকী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এদিন তার সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আগামী ১১ জুন অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

এদিন অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

অন্য আসামিরা হলেন-তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।


আরও খবর