আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

মূল্যস্ফীতিই হবে ইউরোপের জন্য অভিশাপ

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বেশ কয়েক মাস ধরেই ইউরোপের মূল্যস্ফীতি রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। যদিও ১৯২২ সালের গ্রীষ্মকালে হঠাৎই নাটকীয়ভাবে সব পণ্যের দাম বেড়ে গিয়েছিল। জার্মানিতে ১৯১৪ সালে একটি রুটির দাম ছিল জার্মান মুদ্রায় শূন্য দশমিক ৩০। ১৯২২ সালের শুরুর দিকে জার্মান মুদ্রায় দাম বেড়ে হয় ৮ এবং সে বছরের শেষ নাগাদ দাম বেড়ে হয়েছিল ১৬০। ১৯২২ থেকে ১৯২৩ সালের মধ্যে জার্মানির মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছিল ৩২২ শতাংশ। ওয়াইমার জার্মানিতে যেটি ঘটেছিল তা ছিল উচ্চ মূল্যস্ফীতি। সেই পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে অস্ট্রিয়ান লেখক স্টিফান জুইগ তার বিখ্যাত ১৯৪২ সালের স্মৃতিকথা দ্য ওয়ার্ল্ড অব ইয়েস্টারডে-তে লিখেছেন, জার্মান জনগণকে এতটা তিক্ত, এতটা ঘৃণাপূর্ণ মূল্যস্ফীতি, হিটলারের মতো আর কিছুই করেনি।

ঠিক একশ বছর পর, ইউরোপের যুদ্ধের কারণে ইউরোপে আবারও মূল্যস্ফীতি গ্রাস করেছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ভাগ্যবশত, একটি দূরবর্তী দর্শন, কেননা ইউরোপের অর্থনীতি শক্তিশালী ও নীতিনির্ধারকরা ঋণকে টেকসই রাখতে এবং মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু ২০২৩ সালে মূল্যবৃদ্ধির অর্থনৈতিক প্রভাব ও জ্বালানির যে সংকট তৈরি হয়েছে তা ইউরোপজুড়ে সাপেবর হবে, যা প্রথমে মন্দার দিকে নিয়ে যেতে পারে এবং ভবিষ্যতে ধীরে ধীরে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে এগোবে। জ্বালানির কথাই শুরুতে ধরা যাক। ইউক্রেনে আগ্রাসনের জেরে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়া কিয়েভের পশ্চিমা সমর্থকদের বিরুদ্ধে জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। ইউরোপে গ্যাস রপ্তানি কমিয়ে দিয়েছে এবং গ্যাসের দাম আকাশচুম্বী করেছে। দুর্ভাগ্যবশত, অনেক ফরাসি পারমাণবিক-বিদ্যুৎকেন্দ্র মেরামতের জন্য স্থগিত রাখা হয় এবং ইউরোপজুড়ে খরা জলবিদ্যুতের প্রাপ্যতাও হ্রাস করে। চোখে জল আনা দামি গ্যাসে চলমান প্ল্যান্টের শূন্যস্থান পূরণ করতে হয়েছে।

২০২৩ সালে জ্বালানি আরও ব্যয়বহুল হবে। ইউরোপ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানির পরিমাণ ও সক্ষমতা বাড়িয়েছে, কিন্তু বিশ্বব্যাপী সরবরাহ খুব বেশি বাড়বে না। গ্যাস-স্টোরেজ প্রায় পূর্ণ এবং বসন্তের পর শরতেও পুরোপুরি খালি হবে না। কিন্তু তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো পশ্চিমাদের কূটনৈতিক চাপ সত্ত্বেও তেলের ঘাটতি জিইয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর বলে মনে হচ্ছে। ফরাসি পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো আবারও উৎপাদন শুরু করবে। তবে বিদ্যুতের খরচ খুব কমিয়ে আনা সম্ভব হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। এটা ঠিক যে, অপরিশোধিত জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, বছরের পর বছর তুলনা করার মানে হলো ২০২৩ জুড়ে মূল্যস্ফীতি প্রায় সংকুচিত হবে। কিন্তু কিছু জ্বালানির দাম দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি ব্যবহার করে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে এবং কতগুলো এখনও সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়নি। অর্থনীতির বাকি অংশে, জ্বালানি-মূল্যের ধাক্কা লাগবে। অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে মজুরি বাড়বে, ফার্মের খরচও বাড়বে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো লাভের মার্জিন রক্ষা করার জন্য গ্রাহকদের কাছে দায় চাপাবে। ফলে অর্থনীতিতে প্রতিটি পণ্যের ক্রমবর্ধমান দাম, যা মূলত জ্বালানির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, ধীর হতে আরও সময় লাগবে।

ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে এবং পিছিয়ে যাওয়া শুরু করবে। ২০২২ সালে, কোভিড-পরবর্তী অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের একটি বছর ছিল, যে সময়টাতে রৌদ্রোজ্জ্বল ছুটির দিন ও অভিনব রেস্তোরাঁর চাহিদা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে, পারিবারিক ক্ষেত্রে বাজেট দ্বিগুণ হলে এই শিল্পখাত ক্ষতির সম্মুখীন হবে। জ্বালানির বাড়তি বিল ও মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সুদের হার উচ্চ থাকায় বন্ধকি অর্থপ্রদান বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চাপে পড়বে এবং বিনিয়োগও কমবে। এই সবই ইউরোপের অর্থনীতিকে মন্দার দিকে ঠেলে দেবে। পূর্ববর্তী মন্দার বিপরীতে, বিশ্ব অর্থনীতি ইউরোপের উদ্ধার করতে নাও এগিয়ে আসতে পারে। শিল্পের জন্য রপ্তানি আদেশ ২০২৩ সালে কম থাকবে, কারণ উচ্চ সুদের হার, বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট ও শক্তিশালী ডলার সারাবিশ্বে চাহিদাকে দুর্বল করে দেয়। শুধু একবার জ্বালানির দাম কমে গেলে এবং আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা হলে, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কি ইউরোপের পুনরুদ্ধারকে সমর্থন করতে সক্ষম হবে। কিন্তু ২০২৩ সালে তা হবে না।

তবে সবচেয়ে উজ্জ্বল খাত হলো শ্রমবাজার। ইউরোপের অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমান শ্রমিকের অভাব হচ্ছে, কারণ বয়স্করা অবসর নিচ্ছে এবং অল্পবয়সী, কম জনবহুল প্রজন্ম কর্মীবাহিনীতে প্রবেশ করছে। সংস্থাগুলো কর্মীদের অপ্রয়োজনীয় মনে করার আগে দুবার চিন্তা করবে এবং উদার সহায়তা স্কিমগুলো চাকরি সংরক্ষণে সহায়তা করবে। অনেক ভোক্তা ২০২৩ সালে তাদের জ্বালানি বিল ও বন্ধকি পেমেন্ট নিয়ে চিন্তিত হলেও খুব কম লোকই তাদের চাকরি হারানোর ভয় পাবেন। পরিবার ও ব্যবসার জন্য সর্বসাকুল্যে জনসাধারণের সমর্থন ২০২৩ সালে ইউরোপে একটি গভীর মন্দা প্রতিরোধে সহায়তা করবে। মহাদেশজুড়ে সরকারগুলো তাদের ভোটারদের অসাধ্য জ্বালানি বিলের প্রভাব থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে। এটি তাদের প্রকৃত আয়সীমার নিচে রাখবে এবং জ্বালানি সংকটের অর্থনৈতিক পতনকে সীমিত করবে। অর্থনীতির একটি জনপ্রিয় সূচক মূল্যস্ফীতি। মানুষের জীবনযাত্রাকে সবচেয়ে প্রভাবিত করে এই সূচক। ফলে এটি রাজনৈতিক বিভাজন কমাতেও সাহায্য করবে, কেননা ইতিহাস শেখায় যে মূল্যস্ফীতিও রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: মূল্যস্ফীতি

আরও খবর



জয়পুরহাটে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে দুধ!

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে দুধের চাহিদা না থাকায় এক লিটার গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। অথচ উপজেলার অনেক বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক লিটার বোতলজাত পানি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পানির দামে দুধ বিক্রি হওয়ায় উপজেলার শত শত দুগ্ধ খামারিরা দুঃচিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কালাই প্রেসক্লাবের মাঠের সামনে সপ্তাহে পাঁচ দিন দুধের বাজার বসে। সেখানে শুক্রবার দুধ বিক্রি করতে আসা কয়েকজন খামারি ও কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একজন খামারির ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে একটি দুগ্ধবর্তী গাভীর জন্য ভুসি, খৈল, ঘাস, ভিটামিন, বিদ্যুৎ বিল, লবণ, মজুরি, চিকিৎসাসহ খরচ হয় প্রায় ৬০০ থেকে থেকে ৬৫০ টাকা। একজন কৃষকের ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে খরচ হয় ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ৩০ টাকা দুগ্ধ খামারির লোকসান হয় এবং একজন কৃষকের এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।

দুধ বিক্রি করতে আসা কৃষক সোহেল, আনোয়ার, নুরনবীসহ আরও অনেকে জানান, সিন্ডিকেটের কারণে দুধের বাজার কমে যায়। তারা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান।

দুধ কিনতে আসা জাহিদুল, খন্দকার আরিফ, জামাল ও সোহরাব হোসেন জানান, কিছু দিন আগে ঈদুল ফিতরের সময় প্রচুর পরিমাণ দই ও মিষ্টি বিক্রি হওয়ার কারণে মানুষ দই, মিষ্টি কিনছে না। এ কারণে অল্প দিনের জন্য দুধের বাজার কম।

স্থানীয় খামারির মালিক আব্দুল আলিম সরকার ও শাহারুল জানান, দুধ বিক্রির জন্য নির্ধারিত ক্রয়কেন্দ্র প্রয়োজন। কিন্তু তাদের এখানে নেই। ক্রেতা না পেয়ে লোকসান করেই দুধ বিক্রি করতে হয়। সরকার যদি খামারিদের দিকে নজর না দেয়, তাহলে অনেকেই দুগ্ধ খামারির পেশা থেকে সরে আসবেন।

কালাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান আলী জানান, দুধের বাজার স্বাভাবিক রাখতে জয়পুরহাটে দ্রুতই দুধ সংগ্রহকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে করে খামারি ও কৃষকরা ন্যায্য দামে দুধ বিক্রি করতে পারবেন।


আরও খবর



মোটরসাইকেলের গতিসীমার বিষয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, গাড়ির চালক রাস্তার অবস্থা বুঝে গাড়ি চালাবেন। ঢাকা মহানগরীতে বড় গাড়ির জন্য ৪০ কিলোমিটার এবং মোটরসাইকেলের জন্য ৩০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করা হলেও ঢাকা মহানগরীতে বৈধ ওভারটেকিংয়ের কোথাও ব্যবস্থা নেই। পরিস্থিতি বুঝে  বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে ওভারটেকিং করলে সমস্যা হবে না।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ও রোড সেফটি স্লোগান প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

গতিসীমা ভঙ্গ করলে মামলার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যেসব যাত্রীবাহী গাড়ি রয়েছে, সেসব গাড়িকে কোনো সার্জেন্ট আটকাবে না। তবে, সেই গাড়ি যদি গতিসীমা ভঙ্গ করে ও দুর্ঘটনা ঘটায় সেক্ষেত্রে আটকানো হবে।

তিনি বলেন, গেটলক চেকিং সিস্টেমে টার্মিনাল থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া আর কোথাও দাঁড়াতে পারবে না। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রোফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. মুনিবুর রহমান ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-অ্যাডমিন অ্যান্ড রিসার্চ) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



‘কেএনএফের কার্যক্রম যতদিন থাকবে, যৌথবাহিনীর অভিযান ততদিন চলবে’

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, কেএনএফের কার্যক্রম যতদিন থাকবে যৌথ অভিযান ততদিন চলবে। সরকারের আদেশে কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে বিভিন্ন বাহিনী মিলে যৌথ বাহিনী হিসেবে অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে সেনাবাহিনীর আওতাধীন বিভিন্ন বাহিনী মিলে যৌথ বাহিনী হিসেবে সরকারের আদেশে কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, তা সরেজমিনে দেখতে এসেছেন। থানচি বলিপাড়া ৩৮ বিজিবি ও রুমা ৯ ব্যাটালিয়ান বিজিবি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। তাদের উৎসাহ, পরামর্শ প্রদান করার জন্য তিনি এসেছেন বলে জানান।

তিনি আরও বলেন, বলিপাড়ায় একটি নতুন বেইস ক্যাম্প করা হয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অপারেশন এবং সীমান্তের ওপারে যাতে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বিজিবির সব সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানান তিনি।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যাংক ডাকাতির মতো দুঃসাহসিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দেখিয়ে কেউ পার পাবে না। এ এলাকার সাধারণ বম জনগোষ্ঠীরাও কেএনএফের সন্ত্রাসী ঘটনা সমর্থন করে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিরীহ বম সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের অপপ্রচারের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানান তিনি।

মতবিনিময়কালে বিজিবি মহাপরিচালক সবাইকে অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পরে তিনি বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ স্পটহাইট টিওবি, থানচি বিওপি এবং থানচি বাজার পোস্ট পরিদর্শন করেন।

এ ছাড়া বিজিবির মহাপরিচালক রুমা ব্যাটালিয়নের (৯ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদর এবং অধীনস্থ দোপানিছড়া বিওপি পরিদর্শন করেন এবং সব পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় বান্দরবান বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সোহেল আহমেদ, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, বান্দরবান ব্রিগেড কমান্ডার মেহেদি হাসান, ররুমা ৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেনান্ট কর্নেল হাসিবুল হকসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি। সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারের অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।


আরও খবর



ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম কাতারের কোনও আমির ঢাকা এলেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দি‌কে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। পরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমিরকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির সহকারী প্রেস সচিব এস এম রাহাত হাসনাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশ থেকে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে উচ্চ পর্যায়ের সফরে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির। আমিরের সফ‌রে দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হ‌বে, এর মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি এমওইউ রয়েছে। তার সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে অগ্রাধিকার পাওয়ার পাশাপাশি ইরান-ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহে বেশ গুরত্ব সহকারে আলোচনা হবে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি।

সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন কাতারের আমির। দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হ‌বে।

কাতারের আমিরের সফর উপলক্ষ্যে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ১১টির মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। চুক্তিগুলো হচ্ছে, দ্বৈতকর পরিহার, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, সাগরপথে পণ্য পরিবহন, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তর ও যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি। সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতা।

আমিরের সফরের তাৎপর্যপূর্ণ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, কাতার মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার, সেখানে প্রায় চার লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। এছাড়া, বিপুল পরিমাণ সার্বভৌম তহবিল রয়েছে কাতারের। বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হতে পারে ওই তহবিল। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস কাতার।

আমিরের সফরে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে আলোচনার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত ও গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। কাতার এ বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরে স্বাভাবিকভাবে এ বিষয়ে আলোচনা আসতে পারে।

কাতারের আমির মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনের সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ও রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজনে অংশ নেবেন। এ দিন সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা ত্যাগ করবেন আমির।


আরও খবর



অতিরিক্ত সচিব হলেন ১৩০ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রশাসনের ১৩০ জন যুগ্ম সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত সচিব করেছে সরকার। এক বছরের কিছু কম সময়ের মধ্যে পুনরায় অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এ পদোন্নতির ফলে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১৮তম ব্যাচের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হলো। ঈদুল ফিতরের আগেই এ ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়ার কথা ছিল। তবে ঈদের আগে সে পদোন্নতি হয়নি।

কর্মকর্তারা জানান, নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে ১৮তম ব্যাচের সঙ্গে অতীতে বিভিন্ন সময় পদোন্নতিবঞ্চিত (লেফট আউট) কর্মকর্তাদের বিষয়টি এবারের পদোন্নতির বিবেচনায় নেওয়া হয়। প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত হওয়া ইকোনমিক ক্যাডারের ৪০ জনসহ ১৮তম ব্যাচের পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তা ১১০ জন। এ ছাড়া লেফট আউটে ছিলেন। তাদের সবার মধ্য থেকে ১৩০ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হলো।

এর আগে পদোন্নতির বিবেচনায় নেওয়া কর্মকর্তাদের এসিআরের প্রয়োজনীয় নম্বর, চাকরি জীবনের শৃঙ্খলা, অসদাচরণ, পারিবারিক রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, ছাত্রজীবনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ইত্যাদি বিষয় চুলচেরা বিশ্লেষণের পরই তালিকা চূড়ান্ত করে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড বা এসএসবি।

গত বছরের ১২ মে ১১৪ জনকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত সচিব করা হয়েছিল। বর্তমানে ২৮৮ জন অতিরিক্ত সচিব কর্মরত আছেন। তাদের সঙ্গে যুক্ত হলেন আরও ১৩০ কর্মকর্তা। পদ না থাকায় তাদের আগের পদেই ( ইনসিটু) কাজ করতে হবে বলে জানা গেছে।


আরও খবর