আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

মূল্যস্ফীতিকে ছাপিয়ে ঝুঁকিতে বাইডেনোমিক্স

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনের ১৫ দিনেরও কম সময় হাতে আছে। ভোটাররা যখন ৮ নভেম্বর ভোট দিতে যাবেন তখন তাদের মনে একটাই জিনিস থাকবে পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দাম। যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮ শতাংশ, যা গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায় পৌঁছেছে। এতে হিমশিম অবস্থা ভোটারদের। কয়েক দশক ধরে, মূল্যস্ফীতি স্থির ছিল যে বেশিরভাগ আমেরিকান এটি উপেক্ষা করতে পারতেন। এখন সাপ্তাহিক খরচ এতটাই বেড়েছে যে ভোটারদের প্রাত্যহিক জীবনে গুরুতর প্রভাব ফেলছে এটি এবং তাদের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। ২০২১ সালের শুরুর দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশাল অর্থনৈতিক প্রণোদনার কারণে মূল্যস্ফীতি সরল গতিপথে এগোচ্ছিল। কিন্তু পরে রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের আগে দাম আরও বেড়ে যায়। ফলে ভোটাররা শিগগির বাড়াবাড়ি করার জন্য উপযুক্ত জবাব দিতে পারেন মধ্যবর্তী নির্বাচনে।

পোলিং ফার্ম পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপ বলছে, আমেরিকানদের চার-পঞ্চমাংশ বলেছেন তাদের ভোটের সিদ্ধান্তের জন্য অর্থনীতি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাদের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। প্রায় দুই বছরের বাইডেনোমিক্সের নীতির নিয়ন্ত্রণের বাইরে চেলে গেছে মূল্যস্ফীতি। বাইডেনোমিক্স আমেরিকার ভোটারদের মুখোমুখি হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় দুটি দীর্ঘমেয়াদী হুমকি হলো ক্রমবর্ধমান স্বৈরাচারী চীনের উত্থান এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি।

বিগত বছরে জো বাইডেন অবকাঠামো, সেমিকন্ডাক্টর ও পরিবেশের ওপর তিনটি যুগান্তকারী বিলে স্বাক্ষর করেছেন, যার মধ্যে ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করার পরিকল্পনা করা হয়। তার কার্যনির্বাহী এই আদেশের ফলে এটি পূর্ণাঙ্গ শিল্প নীতিতে পরিণত হয়েছে। ৮০-র দশকে কংগ্রেস আমেরিকার গাড়ি ও চিপ নির্মাতাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার পর থেকে কেমন একটা ফলাফল আর দেখা যায় না পরবর্তীতে। সরকার আগামী পাঁচ বছরে স্থানীয় সংস্থাগুলোকে ভর্তুকি ও ট্যাক্স ক্রেডিট হিসাবে ১৮০ বিলিয়ন ডলার দেবে বলে জানা যাচ্ছে। যা জিডিপির শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ, অনুমিতভাবে ফ্রান্সের চেয়েও বেশি।

বাইডেনোমিক্সের এই পর্যায়ের লক্ষ্য অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু তার সুরক্ষাবাদ আমেরিকাকে সেগুলো অর্জনের সম্ভাবনাকে ক্ষীণ করে তোলে। ধারণা করা হচ্ছে, বাইডেন তার গন্তব্য ঠিকভাবে চিহ্নিত করে মাঠে নেমেছেন। তবে এই পদ্ধতির খরচ আমেরিকা ও তার মিত্র উভয় বহন করবে। চীনের চেয়ে উন্নত চিপমেকিংয়ে তার প্রযুক্তির নেতৃত্ব বজায় রাখতে আমেরিকা। ফলে সেমিকন্ডাক্টরগুলোর সামরিক তাৎপর্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুদ্ধের নতুন মোড়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

আরেকটি উদ্বেগ ব্যাটারির মতো গুরুত্বপূর্ণ গ্রিন-এনার্জি কিটের জন্য চীনের ওপর আমেরিকার নির্ভরতা। এটি শি জিনপিংকে আমেরিকার অর্থনীতির ওপর আঁকড়ে ধরতে কাজ করতে পারে। যেখানে রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর ইউরোপের নির্ভরতা ভ্লাদিমির পুতিনের হাতকে শক্তিশালী করেছিল। অভ্যন্তরীণভাবে বাইডেন মরিচা পড়া অবকাঠামো তৈরি করতে এবং কার্বন নিঃসরণ কমাতে চান। ডেমোক্রেটরা আশা করতে পারেন যে অভ্যন্তরীণ উত্পাদন ও মধ্যবিত্তদের চাকরির জন্য তাদের সমর্থন ঘিরে ভোটাররা এগোবেন।

সমস্যা হলো যে সুরক্ষাবাদ একটি বিষের বড়ি যা পুরো উদ্যোগকে দুর্বল করে দেয়। এটি বন্ধু ও শত্রুকে একইভাবে আঘাত করে, আমেরিকার সরল বিশ্বাসের জোটকে নষ্ট করে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করে যে তাদের বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্রেতারা আমেরিকার নতুন ভর্তুকি থেকে উপকৃত হবে না। যা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম লঙ্ঘন করতে পারে। ইইউ তার নিজস্ব চিপ ভর্তুকি প্রস্তুত করছে, যা আমেরিকার সঙ্গে এমনি এমনি প্রতিযোগিতা করবে। এশিয়ার দেশগুলোকে চীনের প্রভাবের ক্ষেত্র থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য আমেরিকার যে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে, সবশেষ বাণিজ্য উদ্যোগ, অভ্যন্তরীণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। পশ্চিমা সুরক্ষাবাদ শির দাবীকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে যে গণতন্ত্র কেবল তখনই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক নিয়মগুলোর পক্ষে যুক্তি দেয় যখন তারা অভ্যন্তরীণভাবে শক্ত অবস্থানে থাকে।

খোদ আমেরিকাতেও, সুরক্ষাবাদ বাইডেনোমিক্সের লক্ষ্যগুলো অর্জনের পথ কঠিন করে তুলছে। উত্তর আমেরিকায় বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি সংস্থাগুলোকে ভর্তুকি দেওয়া সেগুলোকে আরও ব্যয়বহুল করে তুলবে। গ্রিন পরিবেশের উদ্দীপনাও কমিয়ে দেবে। চিপ তৈরিতে ভর্তুকি দেওয়ার জন্য বাণিজ্য বিভাগের পরিকল্পনা দরিদ্রদের চাকরি দেওয়া থেকে শুরু করে নারী মালিকানাধীন ব্যবসায় সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দেয়। এ ধরনের উদ্যোগ ভোক্তাদের এবং করদাতাদের খরচ আরও বাড়িয়ে দেবে। তবে বাধা দেওয়ার পরিবর্তে, আমেরিকার উন্মুক্ততার সুবিধা নেওয়া উচিত। আরও উচ্চ-দক্ষ অভিবাসন গ্রিন-টেক ও চিপমেকিং উভয় শিল্পকে উত্সাহিত করবে। সবুজ অবকাঠামো নির্মাণকে উত্সাহিত করার জন্য অনুমতি দেওয়ার নিয়ম সহজ করা ভর্তুকির চেয়ে বেশি কিছু করতে পারে। কর কমানো বিনিয়োগের পক্ষে বড় কাজ হতে পারে।

মিত্রদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিতে মুক্ত বাণিজ্য এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের জন্য কার্বন নিঃসরণ কমানো, স্বৈরাচারের ওপর নির্ভরতা এড়াতে কাজ করবে। যদি উদ্দেশ্য হয় যে চীনা চিপমেকিংয়ে বাধা দেওয়া হয়, তবে আমেরিকা শিল্পকে বাধা না দিয়েও তা করতে পারে। যেমন চীনের ওপর উন্নত চিপ প্রযুক্তি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা। বাইডেন উত্তর দিতে পারেন যে তাকে রাজনৈতিকভাবে সম্ভাব্য সীমানার মধ্যে কাজ করতে হবে। তার সুরক্ষাবাদী প্রবৃত্তি কিছু ফলপ্রসূ লক্ষ্যে প্রবাহিত হচ্ছে। ডেমোক্রেটরা কার্বন নিঃসরণকে আরও দক্ষতার সঙ্গে রোধ করার জন্য একটি ফেডারেল ক্যাপ এবং বাণিজ্য ব্যবস্থা আরোপ করার চেষ্টা করেনি। অবকাঠামো এবং সেমিকন্ডাক্টর বিল উভয়ই আকর্ষণ করেছে। তবে এ ধরনের চিন্তা-ভাবনা ত্রুটিপূর্ণ বলা চলে। স্বল্পমেয়াদে, মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে ভোটারদের ভয় থেকে ক্ষতির তুলনায় ডেমোক্রেটদের জনপ্রিয়তার লাভ কম হতে পারে। একটি শিল্পভিত্তিক পুনর্নির্মাণ এবং উত্পাদনকে উত্সাহিত করা জনপ্রিয় হতে পারে। তবে আমেরিকানদের ওপর খরচ স্তূপ স্বরুপ হবে।

বাইডেনোমিক্স আমেরিকাকে জলবায়ু পরিবর্তন ও চীনের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সহায়তা করতে পারে, তবে এটির ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে এটির সম্ভাবনা ক্ষীণ। আমেরিকাকে অবশ্যই চীনের স্টেরয়েড সংস্করণের বিরুদ্ধে তার নিজস্ব শিল্প নীতি তৈরি করতে হবে। উন্মুক্ততার কৌশল ও অর্থনৈতিক সুবিধাগুলো বোঝার মধ্যেই পশ্চিমের সুবিধা নিহিত।

নিউজ ট্যাগ: মূল্যস্ফীতি

আরও খবর



মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে রাখা অবৈধ: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত একইসঙ্গে জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন। সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু।

আইনজীবীরা বলেছেন, এটা একটা ঐতিহাসিক রায়।

এর আগে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

গত বছরের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনকারী হলেন চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।


আরও খবর



মেহেরপুর স্বামীর হসোয়ার কোপে স্ত্রী নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

মেহেরপুর সদর উপজেলা গোভিপুর গ্রামে স্বামীর হসোয়ার কোপে স্ত্রী সালেহা খাতুন নিহত হয়েছে।

শুক্রবার ভোরে গ্রামের স্কুলপাড়ায় তাদের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে নিজেদের মধ্যে কলহের জেরে স্ত্রীকে কুপিয়েছে স্বামী এলাহি বক্স।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাহী বক্স ও তার স্ত্রী সালেহা খাতুন নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় ভোরে নামাজ পড়তে উঠতেন সালেহা খাতুন। এ সময় স্ত্রীর সাথে কোন কারণে কথা কাটাকাটি হলে ঘরে থাকা হাসোয়া দিয়ে কোপ মারেন স্বামী এলাহি বক্স। স্ত্রী সালেহা খাতুন আহত অবস্থায় শব্দ করলে পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এলাহি বক্স মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানাচ্ছে পরিবারের সদস্যরা। তাকে আটক করা হয়েছে। 

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার শফিকুল ইসলাম বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় সালেহা খাতুনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

মেহেরপুর সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশ এলাহি বক্সকে আটক করেছে। এ ঘটনায় সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। আরও তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



উত্তরায় লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর উত্তরায় লেকের পানি থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৪ মে) উত্তরা ১৬ নং সেক্টরের লেক থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঢাকা জোন-৩ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, উত্তরা ১৬ নং সেক্টরের লেকে ১০ নং ব্রিজের কাছে গোসল করতে নেমে দুজন নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে টঙ্গি ফায়ার স্টেশনের একটি ডুবুরি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দুপুর ২টা ৫৩ মিনিটে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় আত্মীয়-স্বজনদের বরাতে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, মিরপুরের শহীদ স্মৃতি স্কুলের নবম শ্রেণির মোট পাঁচজন সহপাঠী এই লেকে গোসল করতে এসেছিল। তাদের মধ্যে দুজন বেশি দূরে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ তুরাগ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তুরাগ থানার ওসি শেখ সাদী জানান, দুজন শিক্ষার্থী নিখোঁজের খবর পাওয়ার পর তুরাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের নাম আশরাফুল ইসলাম, আরেকজনের নাম এখনো জানতে পারিনি। নিহত আশরাফুল বাবা-মায়ের সঙ্গে উত্তরা ১১ নং সেক্টরে থাকতো।

ঘটনার প্রাথমিক বিবরণ দিয়ে ওসি বলেন, ওরা পাঁচ সহপাঠী লেকে গোসল করতে এসেছিল। গোসল করতে করতে দুজন বেশি দূরে চলে যায়। এক নারী সেটি দেখে চিৎকার শুরু করেন। বাকি তিনজন ডুবতে থাকা দুজনকে উদ্ধারে চেষ্টা করেও পারেনি। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া নিহত অপরজনের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে। 

নিউজ ট্যাগ: মরদেহ উদ্ধার

আরও খবর



ঢাকা-সিলেট ৬ লেন প্রকল্প: জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় এগোচ্ছে না কাজ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

ঢাকা-সিলেট-তামাবিল ২৬৫ কিলোমিটার সড়কের ৬ লেন প্রকল্পে গতি নেই। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালের মার্চে কাজ শুরু করে। কিন্তু গেল ১৪ মাসে সিলেট অংশে ১ শতাংশ জমিও বুঝে পায়নি তারা।

যদিও প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী কাজ শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ শেষে প্রত্যাশী সংস্থাকে হস্তান্তর করতে হবে। অথচ ইতোমধ্যে পেরিয়েছে ৪০৫ দিন।

সিলেট অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেবাশীষ রায় জানান, জমি বুঝে না পাওয়ায় ঠিকাদার শুধু যেখানে সরকারি জমি আছে সেখানেই কাজ করছে। গত ১৪ মাসে কাজের অগ্রগতি মাত্র ৫ শতাংশ বলে জানান তিনি।

জমি অধিগ্রহণে ধীরগতি হওয়ায় প্রকল্প সঠিক সময়ে শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সিলেট ১ আসনের সংসদ-সদস্য ড. একে আব্দুল মোমেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, অধিগ্রহণ নিয়ে প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা একে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন এটা কাম্য নয়। এ প্রকল্পে গতি আনতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নজর দিতে হবে। কারণ তিনি যেদিকে নজর দেন সেই প্রকল্পই দ্রুত ও সুন্দরভাবে শেষ হয়।

জানা যায়, ভারত, নেপাল, ভুটান ও চীনের সঙ্গে আন্তঃদেশীয় যোগাযোগের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে সিলেট সফরকালে ঢাকা-সিলেট-তামাবিল সড়ক ৬ লেন করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২৬৫ কিলোমিটার এই সড়কের ৬ লেনে উন্নীত করার প্রকল্প উদ্বোধন করেন ২০২১ সালের অক্টোবরে।

ঢাকা থেকে তামাবিল পর্যন্ত সড়কটি সাতটি জেলা অতিক্রম করবে। এই প্রকল্পে ৭৫ শতাংশ অর্থায়ন করে এডিবি বাকি ২৫ শতাংশ সরকার। প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ১৩৭১ একর। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে ৬৯.০৯ একর, নরসিংদীতে ১৮২.২৪ একর, কিশোরগঞ্জে ১২.৩৫ একর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭৭.১৯ একর, হবিগঞ্জে ৩৯২.৬৬ একর, মৌলভীবাজারে ২১.২১ একর। সবচেয়ে দীর্ঘ ৯২ কিলোমিটার সড়ক সিলেটে পড়েছে। সে কারণে এ জেলায় জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ৬২৪ একর।

সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, জেলার শেরপুর থেকে সিলেট শহর পর্যন্ত ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আওতায়। এরমধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়ে কাজ শুরু করেছে। যেখানে সরকারি জমি রয়েছে শুধু সেখানেই কাজ করতে পারছে তারা। এক প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে, অন্যটি মে থেকে। শর্ত অনুযায়ী ২৭০ দিনের মধ্যে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও ১ শতাংশ ভূমিও পায়নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ বিষয়ে সিলেট অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেবাশীষ রায় বলেন, জমি হস্তান্তর না হওয়ায় তৃতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখনো কাজ শুরু করেনি। যে প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে তাতে ১৪ মাস শেষে প্রকল্পের অগ্রগতি ৫ শতাংশ বলে দাবি তার।

সড়ক জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া একটি জটিল প্রক্রিয়া তবুও চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত তা সমাধানের। তার মতে, এই মুহূর্তে যেসব স্থানে সরকারি জমি রয়েছে সেসব স্থানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে তেমন অসুবিধা হবে না। তবুও কোথাও কোনো সমস্যা হলে বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসনকে নিয়ে সেসব জটিলতা দূর করা হচ্ছে।

জমি অধিগ্রহণের ধীরগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, এই প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ একটি জটিল প্রক্রিয়া। কারণ এক কিলোমিটারে জমির মালিকানা থাকে প্রায় ১ হাজার জনের। এদের মধ্যে কেউ আপত্তি উত্থাপন করলেই পুরোটা জটিলতায় পড়ে যায়। তবে অধিগ্রহণ দ্রুত শেষ করতে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।

অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জমি হস্তান্তর শুরু করতে আরও ৬ মাস লাগবে বলে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান।


আরও খবর



স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বিশাল পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সোমবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় তারা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাপ্ত হয়।

এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হাতে ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা, ব্যানার ও প্লাকার্ড হাতে নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ও অন্যান্য ইউনিট থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হন।

মিছিলে ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড, স্বৈরাচার নিপাত যাক-ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, উই ওয়ান্ট জাস্টিস-জয় জয় ফিলিস্তিন, ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

পদযাত্রায় অংশ নেওয়া ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে। ধ্বংস করছে পুরো গাজাকে। আমরা সাধারণ মানুষ হিসেবে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। ইসরাইল যে গণহত্যা চাচিয়েছে তার নিন্দা জানাই এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় তাদের শাস্তি জানাই।

এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে একযোগে বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ।


আরও খবর