আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

নাজিরপুরে সরকারি জমি দখল করে আ.লীগ নেতার মার্কেট!

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মে ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সরকারি এ সম্পত্তির উপর পাকা ও আধাপাকা প্রায় শতাধিক দোকান রয়েছে। দোকান গুলো ওই আ.লীগ নেতার কাছে ভাড়া নিয়ে বছরের পর বছর ব্যবসা করে আসছেন ব্যবসায়ীরা

পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায় সরকারি খাস জমি দখল করে সেখানে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ করেছেন মোশারেফ হোসেন খান নামে এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তার দখল করা সরকারি ওই খাস জমিতে তিনি প্রায় শতাধিক পাকা, আধাপাকা দোকান ঘরসহ বাসাবাড়ি করে বছরের পর বছর ভাড়া দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, নাজিরপুর উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখভাগ থেকে নাজিরপুর কলেজ পর্যন্ত পাকা সড়ক, ওয়াক ওয়ে, ড্রেন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু এই সড়কটির শুরুর স্থান নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখভাগ থেকে নদীর পাড় পর্যন্ত প্রায় ৩ শ মিটার লম্বা এবং ১শ মিটার চওড়া সরকারি খাস জমিতে ওই আ.লীগ নেতার শতাধিক অবৈধ স্থাপনা থাকায় চলমান এ উন্নয়ন প্রকল্পটি থমকে আছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সরকারি এ সম্পত্তির উপর পাকা ও আধাপাকা প্রায় শতাধিক দোকান রয়েছে। দোকান গুলো ওই আ.লীগ নেতার কাছে ভাড়া নিয়ে বছরের পর বছর ব্যবসা করে আসছেন ব্যবসায়ীরা। একাধিক ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই আ.লীগ নেতার নিকট দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন বলে স্বীকার করেন। অনেকে এটা চেয়ারম্যান মার্কেট হিসেবে পরিচিত বলেও জানান।

স্থানীরা জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা প্রশাসন ওই আ.লীগ নেতাকে তার অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বারবার তাগাদা দিলেও এখন পর্যন্ত তিনি অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার কোনো উদ্যোগ নেননি। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। একাধিক ব্যক্তি নানা মন্তব্য করে ফেসবুকে পোস্ট করছে। অনেকে লিখছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্পের কাজে এমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি প্রকারান্তরে সরকারের বিরোধিতার শামিল। নাজিরপুর উপজেলার সাধারণ জনগণের কাঙ্খিত এই প্রকল্প নির্বিঘ্নে বাস্তবায়নের জন্য নাজিরপুর উপজেলা ও পিরোজপুর জেলা প্রশাসন এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

পারভেজ খান নামে একজন তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, নাজিরপুর উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখভাগ থেকে নাজিরপুর কলেজ পর্যন্ত পাকা সড়ক, ওয়াক ওয়ে, ড্রেন নির্মাণের কাজ চলমান। নাজিরপুরের সাধারণ জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরন হবে এই কাজ সমাপ্ত হলে। কিন্ত অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই সড়কটির শুরুর স্থান, অর্থাৎ নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখভাগ থেকে নদীর পাড় পর্যন্ত প্রায় ৩ শত মিটার লম্বা এবং ১ শত মিটার চওড়া সরকারি খাস জমি দখল করে স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি পাকা ভবন ও আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে আসছেন। ওই জনপ্রতিনিধির অবৈধ স্থাপনা থাকার কারণে সড়কটির নির্মাণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সড়ক নির্মাণ কাজ চলমান রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসন ওই জনপ্রতিনিধিকে তার অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বারবার তাগাদা দিলেও এখন পর্যন্ত সেসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অনেকে লিখছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পের কাজে এমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি প্রকারান্তরে সরকারের বিরোধিতার শামিল। নাজিরপুর উপজেলার সাধারণ জনগণের কাক্সিক্ষত এই প্রকল্প নির্বিঘ্নে বাস্তবায়নের জন্য নাজিরপুর উপজেলা ও পিরোজপুর জেলা প্রশাসন এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আরেকজন লিখেছেন উপজেলায় প্রবেশদ্বারের মুখে অবৈধ স্থাপনার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশের গাড়ি ঢুকতে পারে না।

সরকারি ওই খাস সম্পত্তি পুরোটাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন খান দখল করে দোকানসহ বাসাবাড়ি করে বছরের পর বছর ভাড়া দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজী বলেন, সরকারি খাস জমি যার দখলেই থাকুক, উন্নয়নের স্বার্থে সে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

নাজিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিয়া বলেন, নাজিরপুর উপজেলা সদরের দৃশ্যমান সুন্দর্যবর্ধক প্রকল্প হিসেবে নাজিরপুর উপজেলা হেডকোয়াটার থেকে হুমায়ুন হাজরার বাড়ি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৪ কোটি টাকা ব্যয় হবে। তবে সড়কটি শুরু স্থান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে নদীর তীর পর্যন্ত প্রায় তিনশমিটার লম্বা ও ১শ মিটার চওড়া সরকারি খাস জমিটি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দখল করে অবৈধ স্থাপনা করে রেখেছে। সেগুলো অপসারণ না করায় ডিজাইন অনুযায়ি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রকল্পের অন্য অংশের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, যারা ওই জায়গা দখল করে আছে। তাদের ইতোমধ্যে নোটিশ করা হয়েছে এবং উচ্ছেদ মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন দখলকারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান সেই প্রভাবে তিনি নোটিশ পেয়ে তার অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছেন না। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারি সম্পত্তি যেই অবৈধভাবে দখল করে রাখুক, আমরা যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় তা উচ্ছেদের ব্যবস্থা করবো এবং তা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, ওই জায়গাটি সরকারি খাস জমি। কে দখল করে মার্কেট করেছেন বা ভাড়া দিয়েছেন সেটা বড় বিষয় নয়। যারা বর্তমানে দখলে রয়েছেন তারাই অবৈধ দখলদার। ইতোমধ্যে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা জন্য উচ্ছেদ মামলা করে অনুমোদনের জন্য ডিসি অফিসে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদনের পর উচ্ছেদের জন্য ডিসি অফিস থেকেই ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে।

নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ হোসেন খান বলেন, ওই সম্পত্তিটা আমার ক্রয় করা সম্পত্তি ছিলো। একপর্যায়ে সরকার অধিগ্রহণ করে নিলে আমি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করি। কিন্তু আমি মামলায় হেরে যাই। পরে বাধ্য হয়ে সরকারের কাছে একসনা লিজ নিয়ে ভোগ দখলে আছি। তবে সরকার নতুন লিজ না দেয়ায় নাবায়ন করা সম্ভব হয়নি। উন্নয়নের জন্য কর্তৃপক্ষ আমাকে যতটুকু ছেড়ে দিতে বলবে আমি ছেড়ে দিবো।


আরও খবর



ইবিতে র‌্যাগিংকাণ্ড, তদন্তে সত্যতা মিললেও বিচারে দীর্ঘসূত্রতা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ইবি প্রতিনিধি

Image

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের এক শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে র‍্যাগিংয়ের ঘটনার ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও বিচার হয়নি অভিযুক্তদের। কিন্তু প্রশাসন ও হল প্রশাসন কর্তৃক গঠিত পৃথক দুই তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থীর সরাসরি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায়। যার ফলে তাদের বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি ও কম জড়িত থাকা এক শিক্ষার্থীকে সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়। তবে পরবর্তীতে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের গড়িমসি ও সদিচ্ছার অভাবে বিচারে দীর্ঘসূত্রতা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইবির লালন শাহ হলের গণরুমে (১৩৬ নং কক্ষ) এক ছাত্রকে বিবস্ত্র করে রাতভর র‌্যাগিং করা হয়। এসময় কথা না শুনলে তাকে লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে উলঙ্গ করে পর্ণগ্রাফি দেখে অশ্লিল অঙ্গভঙ্গি করতে বাধ্য করে নির্যাতনকারীরা। এতে গুরুতর অভিযুক্ত দুইজন হলেন- শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের মুদাচ্ছির খান কাফি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোহাম্মদ সাগর। এছাড়া ইতিহাস বিভাগের উজ্জ্বল হোসেন কম জড়িত ছিল। তারা সকলেই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এদিকে ওই কক্ষে প্রায়ই র‌্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে বলে সাক্ষাতকার দেওয়া শিক্ষার্থীরা তদন্ত কমিটির কাছে জানান।

এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ এর সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, গত তিন মাস আগে এই র‌্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি, যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, গত ঈদের ছুটির আগেই আমরা ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিয়েছি। সিদ্ধান্তের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, প্রতিবেদন সাধারণত রেজিস্ট্রারের নিকট জমা দেওয়া হয়। সেখান থেকে উপাচার্যের অনুমতিতে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত হয়ে আমার কাছে আসে। প্রতিবেদন আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এটি মূলত ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটি হয়ে পরবর্তীতে সিন্ডিকেটে আসবে। এখানে একটু মিসটেক হয়েছে তাই দেরি হয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে সবজায়গায় দ্রুত সমাধানের জন্য বলেছি। আশা করি শীঘ্রই এর সমাধান হবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সাধারণ সম্পাদক ডিপজল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু।

মিশা সওদাগর ভোট পেয়েছেন ২৬৫টি। অন্যদিকে মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। আর অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। তার থেকে ১৬ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার, তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট।

সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল, তিনি পেয়েছেন ২৩১ ভোট, ও ডি এ তায়েব, তিনি ২৩৪ ভোট পেয়েছেন। সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, তিনি পেয়েছেন ২৩৭ ভোট, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, তিনি পেয়েছেন ২৫৫ ভোট, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, তিনি পেয়েছেন ২৯৬ ভোট, দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, তিনি পেয়েছেন ২৪৫ ভোট, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন, তিনি পেয়েছেন ২৩৫ ভোট এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল, তিনি পেয়েছেন ২৩১ ভোট।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন সুচরিতা, তিনি পেয়েছেন ২২৮ ভোট, রোজিনা, তিনি পেয়েছেন ২৪৩ ভোট, আলীরাজ, তিনি পেয়েছেন ২৩৯ ভোট, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, তিনি ২১৮ ভোট, শাহনূর, তিনি পেয়েছেন ২৪৫ ভোট, নানা শাহ, তিনি পেয়েছেন ২১০ ভোট, রত্না কবির, তিনি পেয়েছেন ২৬৩ ভোট ও চুন্নু, তিনি পেয়েছেন ২৪৮ ভোট।

কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি, তিনি পেয়েছেন ২২০ ভোট, ও সনি রহমান, তিনি ২৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এর আগে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে ৯টায় এফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি।


আরও খবর



প্রত্নসম্পদ আইন অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রিসভা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন হয়নি প্রত্নসম্পদ আইন, ২০২৪। প্রত্নসম্পদ আইনের খসড়া কপি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপিত হওয়ার পর কয়েকটি জায়গায় পরিমার্জনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপর পুনরায় মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটি উপস্থাপন করা হলেও পরে তা ফেরত পাঠানো হয়।

বৈঠক শেষে সোমবার বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ১৯৮৬ সালের একটি আইনকে পরিবর্তন করে বাংলায় এটিকে নতুনভাবে করা হচ্ছে। বাংলাদেশে যত প্রত্নসম্পদ আছে সেগুলোকে সংজ্ঞায়িত করা, সংরক্ষণ করা, সেগুলোর হস্তান্তর ও নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়গুলো সেখানে আছে। নির্দেশনা অমান্য করলে শাস্তির বিষয়ও আছে।

মাহবুব হোসেন আরও বলেন, বৈঠকে জাতীয় পরিকল্পনা উন্নয়ন অ্যাকাডেমি আইন, ২০২৪ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। আগের আইনকে পরিবর্তন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নতুন এই আইন করতে চেয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রিসভায় আলোচনার প্রেক্ষিতে এটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২৩ জুলাই জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস পালন করা হয়। এটি শ্রেণিভুক্ত দিবস ছিল। এটিকে শ্রেণিভুক্ত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু  আলোচনার পর মন্ত্রণালয় এটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।


আরও খবর



মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের জেরে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শরীফুল ইসলাম বলেন, আজ ভোরে বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর উপলক্ষে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট কাছে বিজিবির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। পরে কোস্টগার্ডদের একটি জাহাজ মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইনের উদ্দেশে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট ত্যাগ করে। ফেরত পাঠানোদের মধ্যে রয়েছে বিজিপি সদস্য, চারজন সেনা সদস্য, ইমিগ্রেশন সদস্য রয়েছেন।

এর আগে মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজে করে আগত বিজিপি সদস্যদের কাছে আশ্রয় প্রাপ্তদের হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর



বিএমডিসি ছাড়া 'ভুল চিকিৎসা' বলার অধিকার কারো নেই

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ছাড়া ভুল চিকিৎসা নির্ণয় ও দাবি করার অধিকার কারও নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারো নেই এমনকি আমারও। এটা বলার অধিকার আছে শুধু বিএমডিসির। এই ভুল চিকিৎসা অজুহাতে চিকিৎসকদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয় এটা খুবই নেক্কারজনক। ভুল চিকিৎসার নামে চিকিৎসককে মারধর এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।

বুধবার (১ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নিউরো সার্জন সোসাইটির ১২তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক শফিউল আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন।

চিকিৎসকদের সুরক্ষা আইন পাস করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চিকিৎসক সুরক্ষা আইন পাশ করাবো। আমাদের দ্বায়িত্ব চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেওয়া। তেমনি চিকিৎসকদেরও দায়িত্ব রোগীকে সুরক্ষা দেওয়া। তাই চিকিৎসকদের কোনো অবহেলাও আমি সহ্য করবো না। আপনাদের কাছে আমার একটাই দাবি, আপনারা সেবা দেন আমি আপনাদের জন্য সব কিছু করবো।

এর আগে গতকালও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে ডা. সামন্ত লাল একই কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি প্রায়ই পত্র-পত্রিকা ও টিভিতে দেখি ভুল চিকিৎসার কথা। ভুল চিকিৎসা বলে কিছু নাই৷ এটা আমি-আমরা বলতে পারি না। ভুল চিকিৎসার ব্যাপার যদি থেকেও থাকে, সেটা বলার অধিকার একমাত্র বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের আছে। আমরা বললে চিকিৎসার অবহেলার কথা বলতে পারি।


আরও খবর