আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

নারায়ণগঞ্জে ট্রেনে বোমা বিস্ফোরণের সময় আটক ৩

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের সময় ৩ নাশকতাকারীকে হাতেনাতে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ। তারা রেললাইন লক্ষ্য করে হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করছিল।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোখলেসুর রহমান।

আটকরা হলেন- জয়নাল, হাবিবুর রহমান ও হাসান। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত কিনা সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আটকদের বিস্তারিত পরিচয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এসআই মোখলেসুর রহমান জানান, আমরা সকাল থেকে রেলওয়েজুড়ে কড়া নিরাপত্তা দিচ্ছিলাম। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশনে রেললাইন লক্ষ্য করে ৩ নাশকতাকারী হাতবোমা বিস্ফোরণে ঘটানোর চেষ্টা করছিল। আমরা তাদের হাতেনাতে আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতা, বিস্ফোরক ও দ্রুত বিচার আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



‘যুদ্ধে ব্যয় না করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থ খরচ করুন’

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে তা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যয় করলে বিশ্ব রক্ষা পেত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯ শত ৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ পৃথিবীর জন্য সবার সমন্বিত চেষ্টায় তাগিদ দেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী গড়তে জলবায়ু অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি, সহিষ্ণুতা শক্তিশালী করা এবং ঝুঁকি হ্রাসে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণে বিশ্বের সামনে পাঁচ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর
৪৬তম বিসিএসের প্রিলির ফল প্রকাশ

বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪




হাইকোর্টে ফের জামিন আবেদন করলেন মিন্নি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে আবারও জামিন আবেদন করেছেন। রোববার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে।

মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত বছরের ৮ মে বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। তবে জামিন আবেদনটি কার্যতালিকায় আসলেও পরে আর শুনানি হয়নি।

গত বছরের ১১ জানুয়ারি বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বিচারপতি শেখ হাসান আরিক ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনটি শুনতে অপারগতা জানান।

২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিন্নিসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৬ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার দণ্ডে দণ্ডিত করেন। বাকি ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

পরে নিয়ম অনুসারে একই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। খালাস পান, মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।

২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।

এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ/ছয়জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় প্রথমে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেছিলেন নিহত রিফাতের বাবা। পরে ২ জুলাই ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রধান আসামি নয়ন বন্ড (২৫) নিহত হন।

হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ওই বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় ওইদিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

একই বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট মিন্নিকে জামিন দেন। ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক, দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন রয়েছেন। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়।

অপরদিকে বিচার শেষে ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনের বিষয়ে রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জেলা নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান। রায়ে ছয়জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, চারজনকে পাঁচ বছর এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। বাকি তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।


আরও খবর



বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাঙালির আত্মিক মুক্তি ও সার্বিক স্বনির্ভরতার প্রতীক, বাংলাভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষের নায়ক, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী বুধবার (৮ মে)। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখের এই দিনে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

তার লেখা আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি গান বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার অনেক কবিতা ও গান ছিল সীমাহীন প্রেরণা উৎস।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে তার গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। কবির গান-কবিতা, বাণী এই অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তির ক্ষেত্রে প্রভূত সাহস যোগায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে শুধু নয়, চিরকালই কবির রচনাগুলো প্রাণের সঞ্চার করে। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ নোবেল বিজয়ী এই বাঙালি কবিকে স্মরণ করবেন তার অগণিত ভক্তরা। শুধু দুই বাংলার বাঙালিই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষাভাষী কবির জন্মবার্ষিকীর দিবসটি পালন করবে হৃদয় উৎসারিত আবেগ ও শ্রদ্ধায়।

বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী  উপলক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার পতিসরে, কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়ী, সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

কবি গুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বেলা ১১টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ছায়ানটের রবীন্দ্র-উৎসব ২৫ ও ২৬ বৈশাখ (৮ ও ৯ মে) ছায়ানট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। দুইদিনব্যাপী এই উৎসবে পরিবেশিত হবে একক ও সম্মেলক গান, নৃত্য, পাঠ-আবৃত্তি। অনুষ্ঠানে ছায়ানটের শিল্পী ছাড়াও আমন্ত্রিত শিল্পী ও দল অংশ নেবেন। ছায়ানট মিলনায়তনে আয়োজিত এই উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত।


আরও খবর
লিপি চক্রবর্তীর ‘আকণ্ঠ মরেছি’

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ওআইসির সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় আইনি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

ওআইসি সম্মেলনের শেষ দিনের অধিবেশনে স্থানীয় সময় রোববার (৫ মে) বিকেলে ওআইসি মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহার উপস্থিতিতে ওআইসি নেতৃবৃন্দের সামনে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার অগ্রগতি তুলে ধরেন পরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অধিবেশনে ড. হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গাদের আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করায় গাম্বিয়াকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আইন ও আর্থিক বিষয়ে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর সহযোগিতা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে সহায়ক হবে।

সভায় সৌদি আরব, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, প্যালেস্টাইনসহ উপস্থিত সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদৌ তাঙ্গারা মিয়ানমার হতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।


আরও খবর
৪৬তম বিসিএসের প্রিলির ফল প্রকাশ

বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪




যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান বিভ্রান্তিমূলক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবারের ঈদযাত্রায় ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন ও এক হাজার ৩৯৮ জন মানুষ আহত হয়েছেন এমন একটি তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল (শনিবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এই তথ্য প্রকাশ করেন সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) হতাহতের সংখ্যা কম প্রকাশ করে আত্মতুষ্টিতে ভোগার মধ্য দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করছে। এদিকে, তাদের এই তথ্যকে বিভ্রান্তিমূলক বলে মন্তব্য করেছে বিআরটিএ।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বনানীর বিআরটিএর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

তিনি বলেন, এবারের ঈদযাত্রার ১৭ দিনে সারা দেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ঘটা এসব সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২০ জন নিহত ও ৪৬২ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, পরিতাপের বিষয় একটি বেসরকারি সংগঠন (যাত্রী কল্যাণ সমিতি) আমাদের প্রকাশিত রিপোর্ট সম্পর্কে আমাদের পরিসংখ্যানগত কোনো গরমিল প্রসঙ্গে অবহিত না করে ৪-১৮ এপ্রিল অর্থাৎ ১৫ দিনের সড়ক দুর্ঘটনার যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে নিহতের সংখ্যা বিআরটিএর তথ্য থেকে শতাধিক বেশি। যা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। একই সঙ্গে এ তথ্য বিভ্রান্তিমূলক।

এদিকে, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ২০২৩ সালে সারা বছর দেশের বড় সাতটি মেডিকেল কলেজের রেকর্ড বইয়ের তথ্য বলছে, ওই বছর সারা দেশে প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই বছর বিআরটিএ বলল মাত্র সাত হাজার কি সাড়ে সাত হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। আমরা তাদের কাছে এটার ব্যাখ্যা চেয়েছি। কিন্তু তারা এটার কোনো ব্যাখ্যা আমাদের দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, অন্যজনকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্যর কথা বলতে হলে আপনাকে সঠিক তথ্য জানাতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত ১১টির বেশি রিপোর্ট বিআরটিএকে দিয়েছি। এখন আমরা বিআরটিএ রিপোর্ট যাচাই করতে চাই। কারণ কোন রিপোর্ট আমাদের খাতায় আছে, কিন্তু তাদের খাতায় নেই?

তিনি বলেন, হতাহতের সংখ্যা কম দেখানো মানে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা। কারণ সরকার তাদের রিপোর্টকেই প্রায়োরিটি দেয়। সরকার তাদের রিপোর্টকে প্রায়োরিটি দেওয়ার কারণে মনে করেন দুর্ঘটনা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হচ্ছে না, অর্থাৎ কম হচ্ছে। ফলে সরকার এটিতে কম মনোযোগ দেয়। বিআরটিএ কম সংখ্যা প্রকাশ করে আত্মতুষ্টিতে ভোগার মধ্য দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করছে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার দায় তাদেরই নিতে হবে।

মূলত বিআরটিএ সারা দেশে তাদের থাকা সার্কেল অফিসের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে।


আরও খবর
৪৬তম বিসিএসের প্রিলির ফল প্রকাশ

বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪