আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

নেইমারকে ছাড়াই ব্রাজিলের দল ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

প্রীতি ম্যাচের জন্য নিজেদের দল ঘোষণা করেছে ব্রাজিল। কাতার বিশ্বকাপের পর লম্বা সময় পার হলেও এখনো স্থায়ী কোচের সন্ধান পায়নি ব্রাজিল। অস্থায়ী কোচ মেনেজেস প্রীতি ম্যাচের জন্য ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন।

অস্ত্রোপচার শেষে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় দলে নেই নেইমার জুনিয়র। এছাড়া রাফিনহা, অ্যান্তোতি, গ্যাব্রিয়েল জেসুসদেরও ঠাই হয়নি স্কোয়াডে। ২৩ জনের এই স্কোয়াডে আছে পাঁচ নতুন মুখ। দলে সুযোগ পেয়েছেন নিনো, ভ্যান্ডারসন, আইরতন লুকাস, জোয়েলিন্টন ও ম্যালকম।

আরও পড়ুন<< রিজার্ভ ডেতে গড়াল আইপিএল ফাইনাল

ইএসপিএন ফুটবল জানিয়েছিল, লা লিগায় ভিনিসিউসকে নিয়ে করা বর্ণবাদের প্রতিবাদস্বরূপ আফ্রিকার দুইটি দেশের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। সেলেসাওদের দুই প্রতিপক্ষ গিনি ও সেনেগাল। আগামী ১৭ জুন গিনির বিপক্ষে মাঠে নামবে ভিনিসিউস-রদ্রিগোরা। দুইদিন বিরতি দিয়ে ২০ জুন সেনেগালের মোকাবিলা করবে ব্রাজিল।

আরও পড়ুন<< জাতীয় দল ছেড়ে চীনে যাচ্ছেন সাফজয়ী আঁখি

কাতার বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর ব্রাজিলের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন তিতে। এরপর পাঁচমাস পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনো স্থায়ী কোচ পায়নি দেশটি। ফলে এ দুই প্রীতি ম্যাচেও ক্যাসেমিরোদের নির্ভর করতে হবে অস্থায়ী কোচের ওপর। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন র‌্যামন মেনেজেস।

ব্রাজিল দল-

গোলরক্ষক: অ্যালিসন, এডারসন, এভারটন।

ডিফেন্ডার: ইবানেজ, মিলিতাও, মার্কিনহোস, নিনো, দানিলো, ভেন্ডারসন, অ্যালেক্স টেলস, আয়ারটন লুকাস।

মিডফিল্ডার: আন্দ্রে, গুইমারেস, ক্যাসেমিরো, জুয়েলিটন।

আক্রমণভাগ: লুকাস পাকুয়েতা, ম্যালকম, পেদ্রো, রাফায়েল ভেইগা, রিচার্লিসন, রদ্রিগো, রনি, ভিনিসিয়ুস।


আরও খবর
গেইলের রেকর্ড ভেঙে রোহিতের ইতিহাস

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




দুদকের মামলায় ওজোপাডিকোর পিয়ন কারাগারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ফরিদপুরের মধুখালীর ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) পিয়ন মোকছেদ মোল্লাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সাতচল্লিশ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ওই অফিস পিয়নকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মজিবুর রহমান আজকের দর্পণকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গতকাল (২৫ সেপ্টেম্বর) ওই ব্যক্তি আদালতে হাজিরা দিলে ফরিদপুর জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আকবর আলী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মোকছেদ মোল্লা জেলা সদরের কবিরপুর এলাকার মৃত আব্দুল মালেক মোল্লার ছেলে। মধুখালী উপজেলায় ওজোপাডিকোর পিয়ন পদে কর্মরত আছেন বলে দুদক ফরিদপুর জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মোকছেদের বিরুদ্ধে ৪৭ লাখ ১ হাজার ১২০ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৪২০ টাকার তথ্য গোপন করার দায়ে একটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। স্বেচ্ছায় তিনি আদালতের হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে মোকছেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার দিতে বিএনপিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শনিবার সকালে তার নির্বাচনি এলাকা আখাউড়া-কসবায় দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আখাউড়ায় এলে রেলওয়ে জংশন স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার ব্যাপারে এখনও আমার কাছে কাগজপত্র আসে নাই, তারা আবেদন করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, তারপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামত চাইতে পারে।

এ সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়া কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পরেও দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন। সেটাও কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে, এটা একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায়। আবেদন করলে পরে দেখা যাবে।

বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনায় তিনি বলেন, বিএনপি যদি আইন ভঙ্গ করে রাজপথ অবরোধ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সকালে আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতি এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে পৌঁছান। পরে তিনি সড়কপথে তার নির্বাচনী এলাকা কসবা উপজেলায় যান। আনিসুল হক বিকালে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে আন্তঃনগর মহানগর গোধূলি এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারওয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু প্রমুখ।


আরও খবর
খালেদা জিয়ার কোনও উন্নতি দেখছেন না চিকিৎসকরা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




শেখ হাসিনা: আজন্ম লড়াকু এক নির্ভীক যোদ্ধা

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
শ ম রেজাউল করিম

Image

শেখ হাসিনা। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা। বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের সুযোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা জীবনের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে লড়াই-সংগ্রাম করে নিজ অস্তিত্বের জানান দিয়ে গেছেন বারে বারে। সংকটে পড়ে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। বার বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও এদেশের মানুষের অধিকারের জন্য, এমনকি বিশ্ব মানবতার শান্তি ও কল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। কালক্রমে তিনি হয়ে উঠেছেন বিশ্ব মানবতার সোচ্চার কণ্ঠস্বর।

ভারতবর্ষ বিভাজনের পর ন্যায্যতা আর অধিকারের প্রশ্নে পর্যুদস্ত বাঙালিরা যখন শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে দ্রোহের সূচনায় সবেমাত্র মনোযোগী, ঠিক সে সময়টাতেই ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বাইগার নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়ায় বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান আর বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ঘর আলো করে এসেছে এক কন্যাশিশু। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদরের হাসু, গ্রাম বাংলার ধুলোমাটি ও সাধারণ মানুষের সংস্পর্শে বেড়ে উঠা একজন বঙ্গবন্ধুর আদরের হাসুই কালক্রমে হয়ে উঠেন বাঙালির মুক্তির অগ্রদূত, অন্ধকার জয়ের একমাত্র আলোকবর্তিকা, আশা-আকাঙ্খার শেষ আশ্রয়স্থল। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়।

১৯৫৬ সালে শেখ হাসিনা ভর্তি হন টিকাটুলির নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে। ১৯৬৫ সালে শেখ হাসিনা আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন ঢাকার বকশীবাজারের পূর্বতন ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ থেকে। ঐ বছরই ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি কলেজছাত্রী সংসদের সহসভানেত্রী পদে নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান শেখ হাসিনা শিক্ষা জীবনেই সম্পৃক্ত হোন রাজনীতির সাথে।

অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আত্মবিশ্বাসী দেশপ্রেমের অনন্য উদাহরণ একজন শেখ হাসিনাই একসময় হয়ে উঠেন আবহমান বাংলার প্রতিচ্ছবি। অসাধারণ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, সংগ্রামী চেতনা, আপোষহীন নেতৃত্ব, মানবিক মূল্যবোধ কালক্রমে তাঁকে অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকলের জন্য নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য অভিন্ন সঙ্কট মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি তাঁর ভাষণে বলেছেন, আমি নিজে নিপীড়িত এবং যুদ্ধ ও হত্যার নৃশংসতার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে যুদ্ধ, হত্যা, অভ্যুত্থান ও সংঘাতের ভয়াবহতার কারণে মানুষ যে বেদনা ও যন্ত্রণা সহ্য করে, তা অনুভব করতে পারি। তাই বিশ্বনেতাদের কাছে আবেদন, যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও সংঘাতের পথ পরিহার করে আসুন, আমাদের জনগণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্থায়ী শান্তি, মানবজাতির কল্যাণ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করি।

বঙ্গবন্ধু কন্যা তাঁর ভাষণে এটিও বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধান সকলের মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করে। সকলকে আইনগত সুরক্ষা প্রদান ও সুবিচার নিশ্চিতকরণে গত এক দশকে বাংলাদেশের আইনি ব্যবস্থার তাৎপর্যপূর্ণ সংশোধন করা হয়েছে। একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে, জনগণের মানবাধিকার রক্ষায় আমরা সম্পূর্ণরূপে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের আপামর জনগণের মানবাধিকার সংরক্ষণে অন্যান্য সদস্যগণের সঙ্গে যে কাজ করে যাচ্ছে তাও বঙ্গবন্ধু কন্যা তাঁর বক্তব্যে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে এও ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশ সংবিধানের আলোকে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে।

প্রসঙ্গতও বলে রাখা ভালো, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৮ হাজার বাংলাদেশী নারী ও পুরুষ ৪০টি দেশে ৫৫টি শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতিসংঘের অধীনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত শান্তিরক্ষীদের মধ্যে সংখ্যার হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। দেশে-বিদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা উদ্যোগ নিয়ে বিশ্বনেতারাও এখন তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বের বুকে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন তিনি।

মাত্র কয়েক মাস পূর্বে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে (ইউএনএইচআরসি) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে আগামী ২০২৩-২০২৫ মেয়াদকালের জন্য সদস্যপদ লাভ করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হওয়ার জন্য সমর্থন দিয়েছে ১৬০টি দেশের প্রতিনিধিরা। পঞ্চমবারের মতো জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। এটি মূলত বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন।

সাম্প্রতিক আরেকটি ঘটনা বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলেছে। যার কেন্দ্রে রয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সামনে হাটু গেড়ে বসে কথা বলছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ছবি এটি। এ ছবিটি যেমন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বিনয়ের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তেমনি বিশ্ব পরিমন্ডলে আস্থাভাজন ও গ্রহণযোগ্য একজন জ্যেষ্ঠ বিশ্ব নেতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অনবদ্য স্বীকৃতিরও বহিঃপ্রকাশ। প্রাসঙ্কিভাবে আরেকটি বিষয় স্মরণ করা যেতে পারে। তা হলো এ বছর স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লিখেছেন, আপনি বিশ্বের জন্য সহানুভূতি ও উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র আর অন্তত ২০ বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও সব প্রতিকূলতা পেছনে ফেলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের সাধারণ মানুষের সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আপোষহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অনবদ্য ভূমিকার প্রশংসা করেছেন বিশ্ব নেতারা অকপটে। তাঁর নেতৃত্বেই স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ। আর্থ-সামাজিক খাতেও এসেছে অভাবনীয় সাফল্য। বঙ্গবন্ধু কন্যার অর্জনের স্বীকৃতিওে মিলেছে। দেশে-বিদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা সম্মানিত করেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘ ২৫ বছরের গৃহযুদ্ধ অবসানের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে তাকে হুপে-বোয়ানি শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে ইউনেস্কো।

রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের রানডলপ ম্যাকন উইমেন্স কলেজ ২০০০ সালের ৯ এপ্রিল তাকে মর্যাদাসূচক পার্ল এস বাক পুরস্কারে ভূষিত করে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শেখ হাসিনাকে সম্মানজনক সেরেস মেডেল প্রদান করে। সর্বভারতীয় শান্তিসংঘ শেখ হাসিনাকে ১৯৯৮ সালে মাদার তেরেসা পদক প্রদান করে।

 ২০০৯ সালে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অসামান্য ভূমিকা পালনের জন্য শেখ হাসিনাকে ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কারে ভূষিত করে। এছাড়া তিনি যুক্তরাজ্যের গ্লোবাল ডাইভারসিটি পুরস্কার এবং দুইবার সাউথ সাউথ পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৪ সালে ইউনেস্কো তাকে শান্তি বৃক্ষ পুরস্কারে ভূষিত করে।

আদর্শ, চিন্তায়, কর্মে, আত্মবিশ্বাসে, মানবিকতায় শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সত্যিকারের প্রতিচ্ছবি। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি বিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের সোচ্চার কণ্ঠস্বর ছিলেন, যিনি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার অনবদ্য প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ জুলিও কুরি পদকে ভূষিত হয়েছেন, তাঁর উত্তরসূরি বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রদূত হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।

সার্বিক বিবেচনায় এ কথা আজ অবধারিতভাবেই বলা যায়। একজন মানবিক রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও তিনি পরীক্ষিত একজন বিশ্ব নেতা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর দুর্বিসহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ছোট বোন শেখ রেহানা, স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়া, পুত্র জয় ও কন্যা পুতুলকে নিয়ে দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটাতে হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে। বাবা-মা, কনিষ্ঠ সহোদর শেখ কামাল-শেখ জামাল, আদরের ছোট্ট রাসেল আর আত্মীয়-পরিজন হারিয়ে নিদারুণ যন্ত্রণা আর অবর্ণনীয় কষ্ট বুকে চেপে নির্বাসিত প্রবাস জীবনেও তিনি ভেবেছেন বাংলার মানুষের কল্যাণের কথা, তাদের অধিকারের কথা। ১৯৮১ সালের ১৭ মে  প্রত্যয়দীপ্ত শেখ হাসিনা তৎকালীন সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু, জনকের খুনিদের আস্ফালন ও সব ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।

সাধারণ মানুষের ভালোবাসা আর সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা সেদিন বলেছিলেন, আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই। ঐ বছরেই মানিক মিয়া এভিনিউয়ে আয়োজিত গণ-সংবর্ধনায় তিনি বলেছিলেন, আমি চাই বাংলার মানুষের মুক্তি। শোষণের মুক্তি। বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছিলেন। আজ যদি বাংলার মানুষের মুক্তি না আসে, তবে আমার কাছে মৃত্যুই শ্রেয়।

গত দেড় দশক একটনা সরকারের নেতৃত্বে আছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এ সময়ে বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বিশ্বাবাসীর কাছে বিস্ময় হয়ে ধরা দিয়েছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানদন্ড অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশে হতে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ অর্জন করেছে। এটি বাংলাদেশের বড় অর্জন। গত ১৪ বছরে দেশে গড় প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৭ শতাংশের বেশি। স্বাধীনতার পর মাত্র ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জিডিপি নিয়ে যাত্রা শুরু হওয়া বাংলাদেশের জিডিপি আটত্রিশ বছর পর ২০০৯ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলার হয়। গত ১৪ বছরে জিডিপির আকার ২০০৯ সালের তুলনায় চার গুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪৬০ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়। দেশ আজ বিশ্বের ৩৫ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নতুন ২ কোটি ৩৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

২০২৩ সালের জরিপ অনুযায়ী দেশে বর্তমানে মোট কর্মসংস্থানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ১১ লাখ জনে। বেকারত্বের হার ২০১০ সালের ৪ দশমিক ৫ শতাংশ হতে ২০২২ সালে ৩ দশমিক ২ শতাংশে নেমেছে। মাথাপিছু আয় ২০০৭-০৮ অর্থবছরের ৬৮৬ মার্কিন ডলার হতে চারগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ২হাজার ৭৯৩ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ, অথচ গত ১৪ বছরে নানা বৈশ্বিক সংকট সত্ত্বেও গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। দারিদ্র্যের হার ২০০৫ সালের ৪০ শতাংশ থেকে অর্ধেকের বেশি কমে ২০২২ সালে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে। এ সময়ে অতি দারিদ্র্যের হার ২৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে তিন-চতুর্থাংশ কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে।  গড় আয়ু বেড়ে বর্তমানে প্রায় ৭৩ বছর হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২০০৯ সালে ৪ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২ সালে ২৭ হাজার ৩৬১ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না এ কর্মসূচির আওতায় দেশের ৯টি জেলা ও ২১১টি উপজেলা গৃহহীন মুক্ত হয়েছে। অচিরেই অন্য জেলাগুলো গৃহহীন মুক্ত হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধের বিচার, সমুদ্রসীমা জয়, ছিটমহল সমস্যার সমাধান, ভূমিহীন ও গৃহহীনকে বিনামূল্যে ঘর প্রদান, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ বিজয়, সাবমেরিন যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ, সক্ষমতার প্রতিক হিসেবে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, নতুন নতুন উড়াল সেতু নির্মাণ, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু আর ঢাকায় বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নিমার্ণের সাফল্যসহ স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে এ যাত্রা বিশ্বের কাছেও বিস্ময়। এতো সব বড় বড় অর্জনের নেপথ্যের কারিগর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তারপরও একশ্রেণির মানুষ দেখেও দেখে না।

তারা সব সময় বর্তমান সরকারের সময়ে দেশ ভালো চলছে না, দেশ ভালো নেই, মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো নেই, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এমন বক্তব্য ও প্রতিবেদন উপস্থাপনের চেষ্টা করছে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রস্তুতি রাখতে হবে, স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সুযোগ পেলেই আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় না থাকলে এদেশে মুক্তযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হবে, আবারও জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের উত্থান হবে, এদেশ আবার অপরাধীদের অভয়ারণ্য হবে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার পাওয়া হবে অলীক কল্পনা, আবার দুর্নীতির মহোৎসব হবে, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে ছেয়ে যাবে বাংলার আকাশ, জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ হবে, এক ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন তাড়া করে ফিরবে এদেশের সাধারণ মানুষকে। আমরা সবাই চাই এ আশঙ্কাগুলো যেন সত্যি না হয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিনে আমাদের প্রত্যাশা দৃঢ়প্রত্যয়ী শেখ হাসিনা সব ষড়যন্ত্র, সব অন্ধকার দূর করে আলোর উৎস হয়ে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন দীর্ঘজীবন। তিনি ভালো থাকলে বাংলাদেশে ভালো থাকবে। বাংলাদেশ ভালো থাকলে আমরা সবাই ভালো থাকবো। আজন্ম লড়াকু নির্ভিক যোদ্ধা শেখ হাসিনার হাত ধরে বিশ্বশান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা আরও একধাপ এগিয়ে যাবে, তৈরি হবে একটি বৈষম্যহীন মানবিক বিশ্ব।

লেখক: শ ম রেজাউল করিম এমপি, মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

নিউজ ট্যাগ: শ ম রেজাউল করিম

আরও খবর
প্রধানমন্ত্রীর সফলতা ও জাতীয় উন্নয়ন

মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে সরকার বদ্ধপরিকর: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, এদেশে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি-ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সকল শ্রেণি-পেশা, সম্প্রদায়ের জনগণের উন্নয়নই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা সব সম্প্রদায়ের মানুষের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।

আজ বুধবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী সবাইকে জন্মষ্টমী উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা বাঙালির হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। শ্রীকৃষ্ণের মূল লক্ষ্য ছিল সমাজে ভ্রাতৃত্ব এবং সাম্য প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি আরও বলেন, শ্রীকৃষ্ণ আজীবন শান্তি, মানবপ্রেম ও ন্যায়ের পতাকা সমুন্নত রেখেছেন। তিনি তার জীবনাচরণ এবং কর্মের মধ্য দিয়ে মানুষের আরাধনা করেছেন।

সরকারপ্রধান বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট, উন্নত, অসাম্প্রদায়িক এবং শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। প্রতিষ্ঠা করব সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। বাণীতে দেশের সব নাগরিকের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



আজকের রাশিফল: বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

আজ নতুন কী ঘটতে চলেছে? আজ কি আপনার জন্য ভাল কিছু অপেক্ষা করে আছে? কেমন থাকবে আপনার আর্থিক অবস্থা? নাকি খারাপ কিছুর অপেক্ষা করে আছে আপনার ভাগ্যে। বিখ্যাত জ্যোতিষীর দ্বারা বিশ্লেষণের পর আজকের দিন নিয়ে ভবিষ্যত গণনা জানুন আপনার আজকের রাশিফলে।

মেষ রাশি: আজ অকারণ খরচ অনেকটা বেড়ে যাবে। আপনার শরীর ভালো রাখতে খেলাধূলায় অংশগ্রহণ করুন। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। প্রেমে আঘাত পেতে পারেন। নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করুন।

বৃষ রাশি: শরীর খারাপ থাকায় কিছু জরুরী কাজ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। বিদেশে ব্যবসা করা মানুষদের আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। অযথা আশঙ্কা করবেন না। নিজের সিদ্ধান্তের উপর জোর দিন।

মিথুন রাশি: মায়ের কাছ থেকে আজ আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন। আপনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন। স্ত্রীয়ের সাথে মনোমালিন্য হতে পারে। কোনও কিছুর সাথে সংযুক্ত হওয়ার আগে সবদিক ভেবে নিন।

কর্কট রাশি: শরীর আজ ভালো নাও থাকতে পারে। আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে তবে খরচ বেড়ে সঞ্চয় কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার মেধা আজ আপনাকে পেশাদার ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সিংহ রাশি: পরিবারের মানুষদের সাথে ছোট খাটো ব্যাপার নিয়ে বড় সমস্যায় পড়তে হতে পারে। আজ আপনি শিশুসুলভ মেজাজে থাকবেন। বন্ধুদের সাথে সময় কাটিয়ে আনন্দ পাবেন। কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন।

কন্যা রাশি: সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রেরণা দিন। তাদের জীবন সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করুন। কোনও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবদিক বিবেচনা করুন। সহকর্মীদের সহায়তায় সাফল্য আসবে।

তুলা রাশি: আজ আপনার কাজের চাপ কম থাকবে। পরিবারকে সময় দিতে পারবেন। অভিভাবকদের সহায়তায় আর্থিক সমস্যা কাটিয়ে উঠবেন। সমমনস্ক বন্ধুদের সহায়তায় কাজের ক্ষেত্রে উন্নতি হবে।

বৃশ্চিক রাশি : অতিরিক্ত খরচ কমানোর চেষ্টা করুন। তবেই সঞ্চয় করতে পারবেন। পরিবারের মানুষদের নিয়ে আজ সিনেমা বা নাটক দেখতে যেতে পারেন। বন্ধুদের সাথে ব্যবসায় সাবধান হোন।

ধনু রাশি : আজ নিজেকে বিশ্রাম দিন। শরীরচর্চার মধ্যে দিয়ে নিজেকে তরতাজা রাখুন। যেকোনো কাজে দায়বদ্ধ হওয়ার আগে সবদিক ভেবে দেখুন। প্রিয়জনদের সাথে ভবিষ্যতের ব্যাপারে পরামর্শ করতে পারেন।

মকর : নেশার দ্রব্যের জন্য অতিরিক্ত খরচ বন্ধ করুন। সকলের থেকে আজ প্রশংসা পাবেন। কোনও সামাজিক কাজের সাথে নিজেকে যুক্ত করুন। অন্যকে সাহায্য করার আনন্দ উপভোগ করুন।

কুম্ভ রাশি : অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া এড়িয়ে চলুন। অন্যথায় শরীর খারাপ হতে পারে। সন্তানদের জন্য দুশ্চিন্তা বাড়বে। ভালোবাসার মানুষের সাথে অবাঞ্ছিত ঝামেলা এড়িয়ে চলুন। কর্মক্ষেত্রে আপনার সিদ্ধান্ত সাফল্য আনবে।

মীন রাশি : আজ আপনাকে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে। যেকোনো রকম বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। কোনও নতুন অংশিদারিত্ব শুরু করার আগে সবদিক বিবেচনা করুন। ধর্মীয় স্থানে গিয়ে আনন্দ পাবেন।


আরও খবর
আজকের রাশিফল: বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩