আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘নিজেকেই ‌বিয়ে’ করছেন এক তরুণী, যাবেন হানিমুনেও

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল্লাহ আল মামুন

Image

সোলোগামি বা স্ব-বিবাহ পশ্চিমা দেশগুলোতে প্রচলিত হলেও ভারতীয় উপমহাদেশে খুব একটা পরিচিত নয়। কিন্তু সেই ধারা ভাঙার উদ্যোগ নিয়েছেন ভারতের এক তরুণী। আগামী ১১ জুন হিন্দুরীতি মেনে নিজেকেই বিয়ে’ করতে চলেছেন তিনি। কেশামা বিন্দু নামে ২৪ বছর বয়সী ওই তরুণীর দাবি, এটাই হতে চলেছে ভারতে প্রথম স্ব-বিবাহের ঘটনা। খবর পিটিআইয়ের।

নিজের অভিপ্রায় সম্পর্কে বলতে গিয়ে গুজরাটের ভাদোদারা শহরের ওই তরুণী জানান, তিনি বিয়ের গৎবাঁধা রীতি ভেঙে সত্যিকারে ভালোবাসা খুঁজে না পাওয়া’ মানুষদের প্রেরণা জোগাতে চান।

নিজেকে উভকামী পরিচয় দেওয়া বিন্দু সাংবাদিকদের বলেন, জীবনের একপর্যায়ে আমি বুঝতে পারি, আমার কোনো রাজকুমারের প্রয়োজন নেই। কারণ, আমি নিজেই নিজের রানি। আমি বিয়ের দিন চাই, কিন্তু পরের দিন নয়। তাই আগামী ১১ জুন নিজেকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেদিন আমি কনের সাজে সাজবো, আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নেবো, বন্ধুরা আমার বিয়েতে যোগ দেবে এবং তারপর আমি বরের সঙ্গে না গিয়ে নিজের বাড়িতেই ফিরে আসবো।

ভারতীয় এ তরুণী জানিয়েছেন, বর-বিহীন’ এই বিয়েতে সম্মতি দিয়েছেন তার মা। বিন্দু বলেন, আমি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য একজন পণ্ডিত (পুরোহিত) ঠিক করেছি। আমি লক্ষ্য করেছি, পশ্চিমা দেশগুলোর মতো ভারতে স্ব-বিবাহ জনপ্রিয় নয়। তাই, আমি এই ধারা শুরু এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বিন্দুর কথায়, মানুষ আমার চিন্তা-ভাবনা পছন্দ না-ও করতে পারে। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ঠিক কাজটাই করছি। সহজ প্রচারণার জন্য এমনটি করছেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তরুণী বলেন, তিনি এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে বেশ জনপ্রিয়।

বিন্দুর ভাষ্যমতে, আমি শুধু গৎবাঁধা রীতিগুলো ভাঙতে এবং অন্যদের নিজেকে ভালোবাসতে অনুপ্রাণিত করতে চাই। এমন অনেক মানুষ রয়েছে, যারা ভালোবাসা খুঁজে পেতে কিংবা একাধিকবার বিয়েবিচ্ছেদ করতে করতে ক্লান্ত। একজন উভকামী হওয়ায় আমি আগে এক পুরুষ ও এক নারীর প্রেমে পড়েছিলাম। কিন্তু এখন আমি নিজেকেই সবটুকু ভালোবাসা দিতে চাই।

তরুণীর দাবি, তার বিয়েই হতে চলেছে ভারতে প্রথম স্ব-বিবাহের ঘটনা। তবে ভারতীয় আইনে এটি বৈধ হবে না বলে জানিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।

ভারতীয় হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট কৃষ্ণকান্ত ভাখারিয়া বলেন, ভারতীয় আইন অনুযায়ী আপনি নিজেকে বিয়ে করতে পারবেন না। একটি বিয়েতে দুজন থাকতে হবে। এখানে সোলোগামি বৈধ নয়।

চন্দ্রকান্ত গুপ্ত নামে আরেক প্রবীণ আইনজীবী বলেন, হিন্দু বিবাহ আইনে পতি-পত্নীর যেকোনো একজন’ পরিভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, যার অর্থ- বিয়ে করার জন্য অবশ্যই দুজন থাকতে হবে। সোলোগামি কখনোই আইনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে না।


আরও খবর



শিল্প-সংস্কৃতির উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব দ্বাদশ লিবারেশন ডকফেস্ট বাংলাদেশ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মেন্টর এক্সপোজিশন অব ইয়াং ফিল্ম ট্যালেন্ট নীলোৎপল মজুমদার এবং ভারতের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা হাওবাম পবন কুমার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর এমপি এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও উৎসব পরিচালক মফিদুল হক। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা যাকের।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ যে চিন্তা-চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে সেটি হলো একটি অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ তৈরি হবে, যেখানে উগ্রবাদ-মৌলবাদের কোনো জায়গা থাকবে না। এ রকম একটি সমাজ তৈরি করতে গেলে আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিনিয়োগ দরকার।

তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হওয়ার জন্য কতগুলো ভিত্তি দরকার। এ ভিত্তিগুলো তৈরি করার জন্য আমাদের অনেক অর্জন ইতোমধ্যে হয়েছে। গত পনেরো বছরে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেক হয়েছে, আরও উন্নয়ন করতে হবে। তবে আগামী পাঁচ বছর শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কারণ আমরা যদি উগ্রবাদ, মৌলবাদ ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাই, তাহলে শিল্প ও সাংস্কৃতির চেয়ে বড় কোন অস্ত্র হতে পারে না। শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন এখন আমাদের দরকার। একইসাথে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গণে উদ্ভাবনী মেধা খুবই দরকার।

প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, রাষ্ট্রের কাজ অর্থনৈতিকভাবে শিল্পকে সহযোগিতা দেওয়া এবং এগিয়ে নেয়া যাতে যে মেধার জন্ম হয় সমাজে সেটা বিকশিত হতে পারে, শিল্পের মাধ্যমে আরো মানবতা ও মানবিকতা ছড়িয়ে যেতে পারে। দিন শেষে আমরা মানবিক বিশ্ব গড়তে চাই ও বিশ্ব নাগরিক হতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা সুস্থ শিল্প বিকাশের পরিবেশ দেশে নিশ্চিত করতে চাই। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা এই কাজটি করার চেষ্টা করবো।


আরও খবর



২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার মূল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় এ উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রণয়নে গত ১৪ মার্চ নির্দেশনা দেয় পরিকল্পনা কমিশন। সেই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সব বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছ থেকে এডিপির জন্য মোট দুই লাখ ৭৬ হাজার ৪০২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার প্রাথমিক চাহিদা পাওয়া যায়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক লাখ ৮৫ হাজার ৩৯১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ও প্রকল্প ঋণ-অনুদান ৯১ হাজার ১১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

পরে অর্থ বিভাগ থেকে পাঠানো নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপির আকার দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণপূর্বক কার্যক্রম বিভাগকে অবহিত করা হয়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বা ৬২ দশমিক ২৬ শতাংশ। উন্নয়ন ব্যয় মেটাতে বৈদেশিক ঋণ-অনুদানের টার্গেট এক লাখ কোটি টাকা বা ৩৭ দশমিক ৭৪ শতংশ।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এডিপিতে এক অর্থবছরের ব্যবধানে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বাড়ছে ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।


আরও খবর



টিপু-প্রীতি হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি শেষ, আদেশ ২৯ এপ্রিল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ৩৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসাইনের আদালতে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য ধার্য ছিল। এদিন ২৬ আসামির পক্ষে অব্যাহতি ও ১৯ আসামির জামিন চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য ২৯ এপ্রিল ধার্য করেন।

এর আগে গত বছরের ৫ জুন শাহজানপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় এ চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার। প্রতিবেদনে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার। তবে এক্সেল সোহেল নামে এক আসামির পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিচারের জন্য ৩৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পরে ২০ জুন এ মামলায় বিদেশে পলাতক দুই সন্ত্রাসী জিসান ও ফ্রিডম মানিকসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত।

চার্জশিটভুক্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ তালুকদার,ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মারুফ আহমেদ মনসুর, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, মতিঝিল থানা জাতীয় পার্টির নেতা জুবের আলম খান রবিন, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল শাহরিয়ার, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মারুফ রেজা সাগর, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সদস্য কাইল্যা পলাশ, একই ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল, ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ঘাতক সোহেল, সুমন শিকদার মুসা, মুসার ভাগনে সৈকত, মুসার ভাতিজা শিকদার আকাশ, ইমরান হোসেন জিতু, মোল্লা শামীম, রাকিব, বিডি বাবু, ওমর ফারুক, কিলার নাসির, রিফাত, ইশতিয়াক হোসেন জিতু, মাহবুবুর রহমান টিটু, হাফিজ, মাসুম ও রানা মোল্লা। এদের মধ্যে মুসা, শুটার আকাশ ও নাসির উদ্দিন মানিক আদালতে সেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। এছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর ওইদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে টিপুর স্ত্রী অভিযোগ করেন, ২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুর থানার ২০২ উত্তর শাহজাহানপুর মানামা ভবনের বাটার দোকানের সামনে পৌঁছামাত্র অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা হামলা করেন। তারা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করেন।


আরও খবর



টাইম ম্যাগাজিনে ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের স্বাস্থ্য ক্যাটাগরির ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তাকে ডিজিজ ফাইটার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে তালিকায়।

টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে জাহিদ মালেকের ব্যাপারে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে জাহিদ মালেকের পাঁচ বছর বিতর্কমুক্ত ছিলেন না। করোনা মহামারি নিয়ে তার প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়ে অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। এরপর তিনি একটি কার্যকর টিকাদান কর্মসূচি সম্পাদন করেন। যার ফলে ঘনবসতিপূর্ণ দক্ষিণ এশীয় দেশটিতে মাথাপিছু মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিবেশী ভারতের তুলনায় অর্ধেকেরও কম ছিল। জানুয়ারিতে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া সত্ত্বেও, মালেক তার সাড়ে ১৭ কোটি দেশবাসীর উন্নতির জন্য প্রশংসিত হচ্ছেন।

মার্কিন সাময়িকীটি জানায়, ২০২৩ সালে বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে কালাজ্বর নির্মূল করে আলোচনায় আসে বাংলাদেশ। এটি মাছি দ্বারা সংক্রামিত একটি রোগ, যা চিকিৎসা না করা হলে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যু হয়। একই বছর বাংলাদেশ লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস, মশা দ্বারা সংক্রামিত একটি দুর্বল পরজীবী রোগ নির্মূল করতে সফল হয়েছে। এই জোড়া সাফল্যের মাধ্যমে ইতিহাসের প্রথম জাতি হিসেবে বাংলাদেশ এক বছরে দুটি অসংক্রামক রোগ নির্মূল করেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শিশুমৃত্যুর হার ব্যাপকভাবে কমানোর জন্য জাহিদ মালেক বাংলাদেশে হলুদের মধ্যে সিসার উপাদান কমানোর প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিষয়টি জন্য ডব্লিউএইচওর দ্বারা সম্মানিতও হয়েছেন জাহেদ মালেক।


আরও খবর



অনুমোদনহীন স্টিকার: ৩৬৩ গাড়ির বিরুদ্ধে ট্রাফিক বিভাগের মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী, সরকারি-আধা সরকারি সংস্থা, বেসরকারি সংস্থার স্টিকার ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে যাতে কেউ অপরাধ করতে না পারে এজন্য স্টিকারযুক্ত গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

গত ১২ এপ্রিল শুরু হওয়া এই অভিযানে ৩৬৩টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ৪৬১টি এবং ১ হাজার ৩৫০টি অবৈধ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৫ মে) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির দক্ষিণ ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান।

মেহেদী হাসান বলেন, মামলা দেওয়ার পাশাপাশি অনুমোদনহীন গাড়িকে জরিমানাও করা হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়িগুলোতে যেসব প্রতিষ্ঠানের স্টিকার পাওয়া যাচ্ছে, কোন কর্মকর্তার আত্মীয়দের গাড়িতে স্টিকার পাওয়া যাচ্ছে আমরা সংশ্লিষ্টদেরকে চিঠি দিয়ে অবগত করছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অনুমোদনহীন গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে সড়ক আইনের ৯২ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ডিএমপি মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, এই অভিযানে ডিএমপি ট্রাফিক রমনা বিভাগ ৪০টি অনুমোদনহীন, ৭৪টি ফিটনেসবিহীন ও ১৮৮ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ ১৬৪টি অনুমোদনহীন, ৪৬টি ফিটনেসবিহীন ও ৩টি ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; লালবাগ বিভাগ ৯টি অনুমোদনহীন, ২০টি ফিটনেসবিহীন ও ২০৭টি ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ ৪৪টি অনুমোদনহীন, ৪২ ফিটনেসবিহীন ও ২১৫ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; তেজগাঁও বিভাগ ৩৪টি অনুমোদনহীন, ৫৩টি ফিটনেসবিহীন ও ২০৪ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; গুলশান বিভাগ ১৫টি অনুমোদনহীন, ৬১ ফিটনেসবিহীন ও ১২৩ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; উত্তরা বিভাগ ১৫টি অনুমোদনহীন, ৯৪ ফিটনেসবিহীন ও ৭৬ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে; মিরপুর বিভাগ ৪২টি অনুমোদনহীন, ৭১ ফিটনেসবিহীন ও ১৩৩৪ ডাম্পিং গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।

সব মিলিয়ে এই সময়ে ৩ হাজার ১৭৪ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।


আরও খবর