আজঃ বুধবার ২২ মে ২০২৪
শিরোনাম

নিষেধাজ্ঞা থামাতে পারেনি উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কার্যক্রম

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৬ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এশিয়ার পরমাণু শক্তিসমৃদ্ধ দেশ উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কার্যক্রম থামাতে দেশটির ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্রই বলছে তাদের এ কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। নিজেদের একটি বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। উত্তর কোরিয়ার ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে শক্তি-সামর্থ্য দুর্বল করে দিয়ে তাদের আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য করা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা। কিন্তু এটি কাজে দেয়নি। এর বদলে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক শক্তি কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হয়েছে। এ বছর তারা রেকর্ড পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে- যার মধ্যে রয়েছে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আঘাত হানতে তৈরি করা হয়েছে। এখন ধারণা করা হচ্ছে পাঁচ বছর আবারও পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে পারে তারা।

এখন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও সাবেক নীতি-নির্ধারকরদের এ বিষয়ে করার মতো তেমন কিছু আর নেই। তবে তারা এখন বিশ্লেষণ করতে পারেন কি ভুল হলো আর এ ভুলের জন্য কে দায়ী। সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিংটন ও বারাক ওবামার প্রশাসনে উত্তর কোরিয়া ও ইরান নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কাজ করা কূটনীতিক জোসেফ ডে থমাস রয়টার্সকে বলেছেন, আমরা নীতিগতভাবে ব্যর্থ হয়েছি। এটি একটি পুরো প্রজন্মের ব্যর্থতা। পুরো একটি প্রজন্ম এ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কাজ করেছে, আর এটি ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমাদের এখন পরবর্তী ধাপে যেতে হবে, খুঁজে বের করতে হবে এখন কি করতে হবে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনও ব্যর্থতার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাবে তারা দাবি করছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কার্যক্রম ধীরগতিতে চলেছে। নিষেধাজ্ঞা না দেওয়া হলে তাদের অস্ত্র শক্তি আরও বাড়ত।

এ ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ হয়েছে, এটির সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করব। আমি মনে করি যদি নিষেধাজ্ঞা না থাকত তাহলে উত্তর কোরিয়া আরও অনেক অনেক এগিয়ে থাকত এবং বিশ্ব ও এর প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য আরও বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াত। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইউএস ট্রেজারি এবং হোয়াইট হাউজের নিরাপত্তা কাউন্সিলের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি। সাবেক কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকরা বলছেন নিষেধাজ্ঞাগুলো কখনো দৃঢ়ভাবে আরোপ করা হয়নি। তারা উত্তর কোরিয়ার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নড়েবড়ে অবস্থান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং চীন-তাইওয়ান উত্তেজনাকে দায়ী করছেন। তাদের ভাষ্য অন্যান্য ঝামেলার কারণে উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অকার্যকর করে দিয়েছে এবং নিষেধাজ্ঞাগুলো উত্তর কোরিয়া সহজেই পাশ কাটিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছে। এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ অনেক আগে থেকেই উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে।

উত্তর কোরিয়া পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম চালাতে যেন পর্যাপ্ত অর্থ না পায় সেজন্য ২০০৬ সালে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নিরাপত্তা পরিষদ। বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার কয়লা, লোহা, সীসা, টেক্সটাইল এবং সামুদ্রিক খাবার রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে জাতিসংঘের এ সংস্থাটি। তাছাড়া উত্তর কোরিয়ায় অপরিশোধিত জ্বালানি এবং শোধিত জ্বালানি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আরোপ করে রাখা হয়েছে। তারপরও জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই জানান উত্তর কোরিয়া নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করছে এবং নির্বিঘ্নে তাদের অস্ত্র কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়া যখন পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল তখন নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য রাশিয়া-চীন শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞার পক্ষে মত দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তারা কি করবে এ নিয়ে সন্দেহ আছে।

সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়া যেসব ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে সেগুলো নিয়ে শুক্রবার বৈঠকে বসে নিরাপত্তা পরিষদ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া-চীনের প্রতি অভিযোগের আঙ্গুল তুলে বলেছে উত্তর কোরিয়াকে ঠেকাতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না তারা।

নিউজ ট্যাগ: উত্তর কোরিয়া

আরও খবর



প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১০ শতাংশ: ইসি

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। শুরুর পর প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১০ শতাংশ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)

বুধবার (৮ মে) বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) তথ্য অনুযায়ী- উপজেলায় এ পর্বে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন দুই কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ। প্রায় সব উপজেলায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রায় ১৬০০ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হচ্ছে। এ ধাপে মোট এক হাজার ৬৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ প্রার্থী এরই মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

এদিকে, যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করে ইসি।

প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৫৫৬ কেন্দ্রের ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট কক্ষে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১ কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার ২২৪, নারী ১ কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ ও ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



মিয়ানমার চেকপোস্টে বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবুল কালাম নামে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মি। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বামহাতির ছড়া এলাকার মো. বদিউজ্জামানের ছেলে। রোববার (১২ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

বিশেষ একটি সূত্রে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর অধীনস্থ ফুলতলী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার-৪৮/২ এস এর জিরো লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করেন আবুল কালাম। ওই সময় মিয়ানমারের বান্ডুলা চেকপোস্ট এলাকায় আরাকান আর্মি তাকে গুলি করে হত্যা করে। সূত্রটি আরও জানায়, মরদেহটি বর্তমানে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মির হেফাজতে রয়েছে।

নিহত আবুল কালাম বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে খাদ্য সামগ্রী ও ইয়াবা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

গত কয়েকদিন আগে চোরাচালানের জন্য মিয়ানমার অনুপ্রবেশ করার সময় ৫ বাংলাদেশি মাইনবিস্ফোরণে আহত হয়েছিলো।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড বসছে শনিবার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা হবে। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় এ সভা হওয়ার কথা রয়েছে।

শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান সভার বিষয়টি বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।

সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

গত ১৬ মার্চ জাতীয় সংসদের ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ফলে আসনটি শূন্য হয়। শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।


আরও খবর



কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় অন্তঃসত্ত্বা মা ও ছেলের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরে গাছ পড়ে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার ৫ বছর বয়সী সন্তান নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিয়ামতপুর হাজিপাড়া ঘোনারবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছা. রুপ তারা (৪৫) এবং তার ছেলে তাইজুল ইসলাম (৫)।

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার দিবাগত রাত অনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় প্রচণ্ড ঝড় শুরু হলে করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর হাজিপাড়া ঘোনারবাড়ি গ্রামে কৃষক আ. কাইয়ুমের দোচালা টিনের ঘরে একটি গাছ উপড়ে পড়ে। এতে ঘর ভেঙে আ. কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মোছা. রুপ তারা এবং তার ছোট ছেলে তাইজুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় রুপ তারার মা আহত হয়েছেন।


আরও খবর



স্কুল ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার সুজানগরে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

রোববার (১৯ মে) সকালে সুজানগর সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া এলাকায় ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবি জানিয়ে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে ভাটপাড়া এলাকার সাবিনা খাতুন বলেন, ক'দিন হলো দেখছি এলাকায় বখাটেদের উৎপাত খুব বেড়ে গেছে, বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর থেকে শুরু করে এখন ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। এ ধরনের ঘটনায় এলাকার মেয়েরা খুব আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

একই এলাকার রানা ও নাড়ুহাঁটি গ্রামের মোহাম্মদ আলী বলেন, স্কুল শিক্ষার্থী যে মেয়েটির সাথে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে মেয়েটির মা স্বামী পরিত্যক্তা, মামার বাড়ি থেকে মেয়েটি পড়াশোনা করে। শুক্রবার রাতে বাড়িতে কেউ না থাকায় ওত পেতে থাকা বখাটেরা তাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। তারা জানান, ধর্ষণের ঘটনায় অনেক ভুক্তভোগী নারী ন্যায়বিচার পায় না। যার কারণে অপরাধীরা এ ধরণের ঘটনা ঘটানোর সাহস পায়। ধর্ষণকান্ডে অভিযুক্তদের অতিবিলম্বে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তারা।

এদিকে নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর নানীর দাবি, ৩২ বছর ধরে তারা ভাটপাড়ার বাসিন্দা হলেও এমন পরিস্থিতি আগে কখনো হয়নি। গত ৮ মে উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকে শাহীনুজ্জামানকে ভোট দেয়ায় তাদের উপর এই অমানবিক নির্যাতন চলছে বলে জানান তিনি।

রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।

উল্লেখ্য: গত শুক্রবার রাতে ভাটপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে বারেক, সাজিদ ও ইমন নামের তিন বখাটে ওই শিক্ষার্থীকে মুখ চেপে ধরে পাশের নির্মানাধীন ভবনে নিয়ে যায়। পরে সাব্বির ও তুহিন নামের আরও দুজন যোগ দিয়ে ওই শিক্ষার্থীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর নানি বারেককে প্রধান আসামি করে ৫ জনের নামে সুজানগর থানায় মামলা দায়ের করলেও এখনো কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।


আরও খবর