আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে ইতিহাস গড়লেন দুই বাংলাদেশি

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে ইতিহাস গড়লেন দুই বাংলাদেশি নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে ডিস্ট্রিক্ট-৩৯ থেকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শাহানা হানিফ। অন্যদিকে কুইন্স কাউন্টি বিচারক পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন অ্যাটর্নি সোমা সাঈদ। তাদের এই বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশিদের নতুন ইতিহাস রচিত হলো যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) নিউইয়র্ক সিটির সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। রাত ৯টার পর থেকে ভোটের ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ করতে থাকে নিউইয়র্ক সিটি বোর্ড অব ইলেকশন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া মোট ভোটের ৯৮ দশমিক ৮১ ভাগ ফলাফলে ডেমোক্রেট প্রার্থী শাহানা হানিফ পেয়েছেন ২৮ হাজার ২৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির ব্রেট উইনকুপ পেয়েছেন ২ হাজার ৫২২ ভোট।

এদিকে কুইন্স কাউন্টি বিচারক পদে অ্যাটর্নি সোমা সাঈদ পেয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির উইলিয়াম ডি. শানাহান পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৬২ ভোট।

প্রাপ্ত ভোটের যে ব্যবধান রয়েছে তাতে শাহানা হানিফ এবং অ্যাটর্নি সোমা সাঈদ বেসরকারিভাবে চূড়ান্ত বিজয়ের পথে রয়েছেন। মেইল ইন এবং অ্যাবসেন্টি ব্যালট গণনার জন্য চূড়ান্ত ফল পেতে অপেক্ষা করতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে তা হবে শুধুই আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

এর আগে চলতি বছরে তিনি ২২ জুনের প্রাইমারিতে জয়ী হয়ে সাধারণ নির্বাচনে ডেমোক্রাটিক পার্টির আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন পান অ্যাটর্নি সোমা সাঈদ। দশ বছরের জন্য তিনি এই পদে আসীন থাকবেন। তাঁর আদালতে ২৫ হাজার ডলার পর্যন্ত মামলার শুনানি করার এখতিয়ার থাকবে।

অ্যাটর্নি সোমা সাঈদ বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী ছিলাম সব সময়। জয়ের পথে রয়েছি এটা জানলেও কখনো সেটা নিজে মনে করিনি এবং কাউকে বুঝতে দেইনি। কারণ আমাদের জয়ের পুরো বিষয়টি নির্ভর করছিল ভোটারদের ওপর। তারা ভোট না দিলে জয়ী হতে পারতাম না। এ কারণে নিশ্চিত করে বলার কোন সুযোগ ছিল না যে আমি জয়ী হবে। তিনি বলেন, আমার জয়ে আমি আনন্দিত। আনন্দিত তারাও যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন।

সোমা সাঈদ বলেন, কুইন্স ডেমোক্র্যাটিক কাউন্টি। সবাই মনে করেন এখান থেকেই যিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নমিনি হবেন তিনি জয়ী হতে পারবেন। এই কারণে প্রাইমারির জয়কেই অনেকেই আসল জয় মনে করেন। কিন্তু আসলে বিষয়টি এই রকম ছিল না। সাধারণ নির্বাচনের দিনে ভোট দেওয়া যেমন জরুরি ছিল, তেমনি জয় পাওয়া এবং আনুষ্ঠানিক ঘোষণার প্রয়োজন রয়েছে। তাই সব মিলেয়ে বলা যায়- আমি জানতাম জয়ী হবো, তবু কাজ করে গেছি। এটাই নির্বাচনের নিয়ম। কখনো বেশি আত্মবিশ্বাসী হতে নেই।

তিনি বলেন, ভাগ্য আমার সহায়ক হয়েছে এটা অনেকেই মনে করেন। সেটাতে, অবশ্যই কিন্তু কাজ করতে হয়েছে। এই কাজ একদিনে করিনি ধীরে ধীরে কাজ করে গেছি। কষ্টের ও পরিশ্রমের ফসল হচ্ছে আমার মতো একজন মানুষের এই পদে আসীন হওয়া। তিনি বলেন, আমি নিষ্ঠার সাথে কাজ করে গেছি। ভবিষ্যতেও করে যাবো।

ডিসট্রিক্ট-৩৯ থেকে কাউন্সিলওমেন পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী শাহানা হানিফ বলেন, আমার এলাকায় বাংলাদেশি ভোটার আছেন। তবে সংখ্যা অনেক বেশি নয়। তারপরও তাদের ভোট আমার জন্য খুবই জরুরি ছিল। পাশাপাশি আমার এলাকায় বিভিন্ন কমিউনিটির মানুষ বাস করেন। তাই তাদের ভোটের ওপর আমাকে নির্ভর করতে হয়েছে, যাতে আমি সব কমিউনিটির ভোট পেয়ে জয়ী হতে পারি। জয় পাবো এটা জানতাম। তবে জয়ী হবোই সেটা বলতে চাইনি।

তিনি বলেন, আমি প্রাইমারীতে জয়ের পর এটা মনে করেছিলাম যে আমি সিটি হলে যেতে পারবো। কিন্তু এই চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছার জন্য সাধারণ নির্বাচনে জয় প্রয়োজন। সেই জয়ের মাধ্যমে সেটি হলে যাওয়ার সুযোগ মেলে। এই জয়ের মধ্য দিয়ে নতুন ইতিহাস রচিত হতে যাচ্ছে।

শাহানা হানিফ বাংলাদেশি কমিউনিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাদের সহায়তা ছাড়া এটি কখনো সম্ভব ছিল না। আমি দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করে গেছি। দিনে দিনে আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে সেই সব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পেরেছি। সব মিলিয়ে বলা যায় যে অভিজ্ঞতা অর্জন করা আমার প্রয়োজন ছিল। আমি আমার ডিসট্রিক্টের সবার প্রতি এবং আমাকে যারা এনডোর্স করেছেন, ভোটে অংশ নেওয়া, জয়ী হওয়ার ব্যাপারে সহায়তা করছেন, যারা ভোট দিয়েছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

তিনি বলেন, আমার এলাকায় বিভিন্ন কমিউনিটির লোক রয়েছেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি আমেরিকানরাও আছেন। তাদের জন্য আলাদা একটি অফিস করবো। সেখানে মানুষ আসবেন এবং তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা সহায়তা করবো। বিশেষ করে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এখন বেড়েছে। সেই সমস্যা সমাধানের জন্য মানুষের সহায়তা প্রয়োজন, শিক্ষাখাতের বিভিন্ন পর্যায়ে অভিভবাকদের সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেখানে তাদের সম্পৃক্ত হতে উৎসাহিত করা ও সহায়তা করা হবে। এছাড়াও ইমিগ্রান্টদের অনেকেরই অনেক সমস্যা রয়েছে সেগুলোতেও সহায়তা করা হবে।

তিনি বলেন, সিটি হলে গিয়ে আমার কাজ হবে যেসব বিষয় জরুরিভিত্তিতে বিল পাস হওয়া দরকার কিন্তু তারপরও এতদিনে হয়নি সেইসব বিল পাস করাতে চাই। সময় লাগবে তবু চেষ্টা করে যেতে হবে। আমরা যে সময় টুকু পাবো এই সময়ের মধ্যে যখনই সম্ভব তা করবো। এরপর যারা পরে আসবেন তারা সেই সব কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমার এজেন্ডাগুলোতে আমি সব সমস্যাগুলো প্রাধান্য দিয়েছি।




আরও খবর



বিএনপির আরও ৫২ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে চলমান উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের ভোটে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও নারী) পদে অংশ নেওয়ায় ৫২ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আছেন ১৭, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) ২৬ এবং ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) ৯ জন। আজ বুধবার দলটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ৩য় ধাপে ১১২টি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৯ সাংগঠনিক বিভাগ থেকে ৫২ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে রংপুর বিভাগের ১২ জন। রাজশাহী বিভাগর ৪ জন। এ ছাড়া বরিশাল বিভাগে ৫ জন রয়েছে, ঢাকা বিভাগে ৪ জনের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১ জন। ময়মনসিংহ বিভাগে ৯ জন, সিলেট বিভাগে ৭ জন, কুমিল্লায় ৬ জন, খুলনায় ৪ জন এবং চট্টগ্রামে একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ৪৫ জন নেতাকে শোকজ নোটিশ প্রদান করে দলটি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে শোকজ নোটিশপ্রাপ্ত নেতাদের দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে জানায় বিএনপি। একই সঙ্গে উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গতকাল আরও পাঁচজনকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

এর আগে ১৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। দ্বিতীয় ধাপের ভোটে অংশ নেওয়ায় ৬৪ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। ৮ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশ নেওয়া ৮০ জন নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। গত রবিবার ছিল এই ধাপের নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন।

নিউজ ট্যাগ: বিএনপি বিএনপি

আরও খবর



মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত, এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই।

রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রিফিং-এ এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।?

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।

যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট চলছে এবং সেই সংকট বাংলাদেশেও আছে বলেন ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই বলে জানান তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে এ ভাবনা থেকে আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।

রোববারের ব্রিফিং-এ আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আরও খবর



১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। এ দফায় ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৪২ টাকা থেকে ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নতুন এ দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

ঘোষণায় জানানো হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তা পর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে অটো গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা। এর আগে এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।


আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

প্রথম ধাপে বিনা ভোটে ২৬ প্রার্থী নির্বাচিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এসব পদে ভোটের প্রয়োজন পড়ছে না।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা ওই প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা।

চেয়ারম্যান পদে সাত জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নয় জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এতে বালিয়াডাংগি (ঠাকুরগাঁও) উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, হাকিমপুরে (দিনাজপুর) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সাঘাটায় (গাইবান্ধা) চেয়ারম্যান, বেড়া (পাবনা) উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সিংড়ায় (নাটোর) চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, বাগেরহাট সদরে সব পদ, মুন্সীগঞ্জ সদরে সব পদ, শিবচরে (মাদারীপুর) সব পদ, বড়লেখায় (মৌলভীবাজার) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পরশুরামে (ফেনী) সব পদ, সন্দ্বীপে (চট্টগ্রাম) ভাইস চেয়ারম্যান, কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান, রোয়াংছড়িতে (বান্দরবান) চেয়ারম্যান পদ, কাউখালীতে (রাঙামাটি) ভাইস চেয়ারম্যান, চুয়াডাঙ্গার ডামুহুদায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ভোটের প্রয়োজন পড়বে না।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে দেড়শ উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন।


আরও খবর



বাংলাদেশের জলসীমায় এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছেছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে কুতুবদিয়া পৌঁছাবে জাহাজটি। সেখানে কিছু চুনাপাথর খালাস করা হবে। এর দুদিন পর (১৫ মে) জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস করা হবে।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে। গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) এটি বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছে।

কার্গো নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।

১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেন। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেন। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর