আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

নিয়ন্ত্রণে আসছে না পশ্চিমা বিশ্বের মূল্যস্ফীতি

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইউরোপ ও আমেরিকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যেন দিন দিন খারাপের দিকেই যাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিশ্ব রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপটে উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ নানাবিধ অর্থনৈতিক সংকটে ধুকছে উন্নতবিশ্বের দেশগুলো। দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করতে রেকর্ড পরিমাণ নীতি সুদহার বাড়িয়েছে ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক (ইসিবি), যদিও এবারের মূল্যস্ফীতি ঠিক চাহিদাজনিত নয়। তবে শুধু ইসিবি নয়, বিশ্বের প্রায় সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংই নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। এমনিতেই ইউরোপের বড় দেশগুলোতে মন্দাভাব বিরাজ করছে। তাছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চলেছে ইউরোপ। এর জবাবে রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।

ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেওয়াসহ রাশিয়ার বিভিন্ন কৌশলগত নীতির ফলে ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। আপাতত ইউরোপে গ্যাস সরবারহ পুরোপুরি বন্ধ রেখেছে রাশিয়া। ফলে ইউরোপে গ্যাসসহ সব ধরনের জ্বালানির দাম আকাশ ছুঁয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব কিছুর জেরে ইউরোপজুড়ে ভয়াবহ মন্দা আসতে চলেছে।

এদিকে, ২০২১ সালের জুলাইয়ে আমেরিকা ও ইউরোপের অর্থনৈতিক নীতি-নির্ধারকরা মূল্যস্ফীতির ঝুঁকিকে অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির কেন্দ্রীয় ব্যাংক সে সময়েই মূল্যস্ফীতি নিয়ে আগাম পূর্বাভাস দেওয়ার পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ জোরেশোরে কাজ শুরু করেছিল। চিলির কেন্দ্রীয় ব্যাংক সে সময় সতর্ক করে বলেছিল, মূল্যস্ফীতি বাড়বে ও তার হার উচ্চ থাকবে। এরপরই দেশটির নীতিনির্ধারকরা সর্বসম্মতভাবে সুদের হার ০.৫% থেকে ০.৭৫% এ উন্নীত করার পক্ষে ভোট দেন। এরপর থেকেই দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বারবার বাড়িয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে সুদের হার ১১.২৫ শতাংশ। সম্ভবত অন্যকোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূদ্রাস্ফীতি নিয়ণ্ত্রণের মাধ্যমে মূল্য স্থিতিশীলতা আনতে এত বেশি তৎপরতা দেখায়নি।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে চিলির মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, দেশেটিতে প্রতিবছর ১১ শতাংশ হারে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক শংকা, আগামী বছর দেশটির জিডিপিও সঙ্কুচিত হবে। চিলির এ উদাহরণ একটি বিস্তৃত সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। অনেকের মতে, যদি শুধু ফেডারেল রিজার্ভ, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অন্যরা গত বছর থেকেই সুদের হার বাড়াতো, তাহলে বিশ্বকে আজ উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে ভুগতে হতো না। তবে চিলির এমন অভিজ্ঞতা ও অন্য যেসব দেশ পূর্বাভাস পেয়েই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছিল, সেসব দেশের ব্যর্থতা বিশেষজ্ঞদের ওই যুক্তিতে সন্দেহ জাগিয়েছে। পরিস্থিতি এমন হয়ে উঠেছে যে, সারাবিশ্বে মূল্যস্ফীতি কমানো ব্যাপকভাবে কঠিন হয়ে উঠছে।

সম্প্রতি চিলি সহ ব্রাজিল, হাঙ্গেরি, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, পেরু ও পোল্যান্ডের মূল্যস্ফীতি পর্যালোচনা করেছে দ্য ইকোনমিস্ট। সেখানে এ দেশগুলোকে একত্রে বলা হচ্ছে হাইকল্যান্ডিয়া। রাশিয়াকেও এ দলে রাখা যেত, কিন্তু যুদ্ধের কারণে দেশটিকে এ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। দ্য ইকোনমিস্টের তথ্য অনুযায়ী, ওই আটটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো কমপক্ষে এক বছর আগে থেকে সুদের হার সর্বনিম্ন করার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নেয়। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত এসব দেশের কর্তৃপক্ষ সুদের হার প্রায় ছয় শতাংশ বাড়িয়েছে। যদি ২ নভেম্বরের মধ্যে দেশগুলো কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ০.৭৫% হারে বাড়ায়, তাহলে গত বছরের তুলনায় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সিদ্ধান্তগুলো দেশগুলোর অর্থনীতিকে ধীরগতি করে দিয়েছে। বন্ধকী হার বেড়ে যাওয়ায় আটটি দেশের আবাসন খাত লোকশানের মুখে পড়েছে।

গোল্ডম্যান স্যাকসের তথ্য থেকে জানা যায়, দেশগুলোর অর্থনীতি বিশ্ব অর্থনীতির তুলনায় দুর্বল হয়ে পড়ছে ও দিনদিন খারাপ হচ্ছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দেশগুলোর অর্থনীতিতে কেন্দ্রীয় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৫%, যা মার্চের থেকে ৩.৫% বেশি। তাছাড়া, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি এবং ওই আটটি দেশের মূল্যস্ফীতির ব্যবধান ক্রমেই বাড়ছে। জাতীয় পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পরিস্থিতি আরও বেশি উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বরে শ্রম-নিবিড় পরিষেবাখাতে দক্ষিণ কোরিয়ার মূল্যস্ফীতির হার ছিল- বছরে ৪.২ শতাংশ, যা এ শতকের সর্বোচ্চ। অন্যদিকে, গত ছয় মাসে হাঙ্গেরির পরিষেবাখাতের মূল্যস্ফীতি ৭.২% থেকে বেড়ে ১১.৫% হয়েছে। সেপ্টেম্বরে নরওয়ের ৮৯ শতাংশ দ্রব্যের দাম ২ শতাংশ হারে বেড়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে পোল্যান্ডের ওপর গবেষণা চালিয়ে গোল্ডম্যান স্যাকসের অর্থনীতিবিদরা প্রমাণ পেয়েছেন, দেশটিতে অন্তর্নিহিত মুদ্রাস্ফীতির গতিবেগ আবারও বেড়েছে।

নিউজ ট্যাগ: মূল্যস্ফীতি

আরও খবর



গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উড়ে গেল বাসের ছাদ, নিহত ১

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাবনা থেকে ঢাকাগামী সি লাইনের যাত্রীবাহী এক বাস সড়কের গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খেয়ে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শাহজাদপুরে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের টেটিয়ারকান্দি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ওয়াদুদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আল-শামীম পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার মধুপুর গ্রামের রাশিদুল ইসলামের ছেলে। এদিকে, আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নামপরিচয় জানা যায়নি।

ওসি এম এ ওয়াদুদ জানান, সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পাবনা থেকে ছেড়ে আসা সি লাইন পরিবহনের বাস পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়কের শাহাজাদপুরের টেটিয়ারকান্দা এলাকায় পৌঁছালে অন্য একটি গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাসের পুরো ছাদটি উড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই আল শামীম নামের এক যাত্রী নিহত হয়। আহত হয় আরও সাতজন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতর পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করে হেফাজতে রাখা হয়েছে।’


আরও খবর



পাকিস্তানে বাস উল্টে নিহত ২০, আহত ২১

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে তিনজন নারীসহ অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২১ জন। শুক্রবার (৩ মে) ভোরে দেশটির গিলগিট-বালতিস্তানের দিয়ামার জেলার কারাকোরাম হাইওয়েতে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে জানায়, বেসরকারি সংস্থার ওই বাসটি রাওয়ালপিন্ডি থেকে গিলগিটের দিকে যাচ্ছিল। বাসটি কারাকোরাম হাইওয়েতে বাক নেওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। পরে বাসটি উল্টে সিন্ধু নদীর তীরে পড়ে যায়।

ভয়াবহ এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের সম্ভাব্য সকল চিকিৎসা’ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।


আরও খবর



চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (৯ মে) দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ৯ মে দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলায় আসামিরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, ফারুক আব্বাসী,আদনান সিদ্দিকী, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন, আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

সবশেষ ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত আসলে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত। বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।


আরও খবর



সোমবার থেকে ঢাকাসহ ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে চলমান তাপদাহের কারণে পাঁচ জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদফতরের পরামর্শে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামীকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) তারিখ বন্ধ থাকবে।

তবে যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ চাইলে খোলা রাখতে পারবে। সোমবার পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।

উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। ফলে রবিবার থেকে নতুন করে সারা দেশে আবারও ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিনের হিট অ্যালার্ট (তাপপ্রবাহ) জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ ২৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ ১ মে সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এই সময়ে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার থেকে তিন দফা ৭২ ঘণ্টা করে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে গরমের কারণে ঈদের ছুটির পর থেকে বন্ধ ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আজ রবিবার থেকে প্রাক-প্রাথমিক ছাড়া বাকি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। তবে তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




৫১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাস করেনি কোন শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সারা দেশে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২ হাজার ৯৬৮। আর ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনও শিক্ষার্থীই পাস করেনি। রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, এবার মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ৮৬১। এর মধ্যে শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২ হাজার ৯৬৮। আর ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনও শিক্ষার্থীই পাস করেনি।

এর আগে রবিবার (১২ মে) ১১টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ বছর ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এ বছর পাসের হারে এগিয়ে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

এ ছাড়া ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।

এবার মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪