আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

নোয়াখালীতে ছাত্রলীগ নেতাকে কোপালো জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকপদ প্রত্যাশি আমজাদ হোসেন শিবু (২৬) কে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে।

গতকাল বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

হামলার শিকার ছাত্রলীগ নেতা শিবু বলেন, বীজবাগ ইউনিয়নের জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা হচ্ছে জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা। এই এলাকায় অতীতে কেউ জোরালে ভাবে ছাত্রলীগের কর্মকান্ড চালাতে পারেনি। তিনি ওই এলাকায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট খেলা দেখে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলে সাবেক ইউপি চেয়াম্যান ও স্থানীয় জামায়াত নেতা হারুনুর রশীদ ওরফে ল্যাংড়া হারুনের (৪৫) নেতৃত্বে ৮-১০ জন জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মি তার পথরোধ করে। এরপর অস্ত্রধারী শিবির নেতা ছানা উল্যাহ (৩২),রাজু (২৮), কামরুল (২৭) ও জামায়াত নেতা সুন্দর হারুন (৪৪) আমার ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে ছানা উল্যাহ ধারারো কিরিচ দিয়ে আমার মাথায় কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। পরে আমার শৌরচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তারা আমাকে রাস্তার ওপর ফেলে চলে যায়।     

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বীজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা হারুনুর রশীদ ওরফে ল্যাংড়া হারুন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ছানা উল্যাহ কে গত দুই মাস ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তার বাড়িতে থাকতে দিচ্ছেনা। সে গতকাল একটি মামলার হাজিরা দিতে এলাকায় আসে। তখন ছাত্রলীগের ২৫-৩০ জন নেতাকর্মী তার উপর হামলা চালায়। ওই সময় তাদের স্ট্যাম্পের আঘাতে ছাত্রলীগ নেতা শিবুর মাথা পেটে যায়। ছানা উল্যাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্রগ্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেনবাগ উপজেলা জামায়াতের আমীর ইয়াছিন করিম বলেন, হারুন সহ অন্য যারা এ হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তারা আমাদের সংগঠনের কেউ নয়। এক সময় তারা ছিল কিন্ত অনেক আগেই তাদের সংগঠন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তারা নিজেরা নিজেদের মত করে দলের পরিচয় দেয়।   

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।  

নিউজ ট্যাগ: নোয়াখালী

আরও খবর



রাজধানীতে এবার চালু হলো বাসের গেটলক সিস্টেম

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর যানজট সমস্যা নিরসনে এবার চালু হলো আন্তঃজেলা বাসের গেটলক সিস্টেম। এর ফলে যাত্রীদের নির্দিষ্ট পথের যাত্রার সময় বাঁচবে এবং ভ্রমণ নিরবচ্ছিন্ন ও আনন্দদায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। রোববার (১২ মে) দুপুরে এ কার্যক্রম চালু করা হয়।

গেটলক সিস্টেম চালুর পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনাল একটি সংবেদনশীল জায়গা। এখানে শ্রমিকরা আছেন, যাত্রীরা বাসে চলাচল করেন। সুতরাং সকল প্রকার সংবেদনশীলতা মাথায় রেখে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়, যাতে যাত্রীরা কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন। যে কারণে আমরা কখনো কঠোর হই কিংবা একটু নরমভাবে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। আন্তঃনগর গেটলক সিস্টেম নগরবাসী ও যাত্রীদের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো বনানী পর্যন্ত যত্রতত্র যাত্রী উঠায়। এর ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। সম্প্রতি আমরা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান ও গুলশান ডিভিশনের ট্রাফিকের উপ-কমিশনার আব্দুল মোমেনসহ শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিই যে মহাখালী থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো গাড়ি বনানী পর্যন্ত কোনো যাত্রী উঠাবে না। এর মাধ্যমে এই এলাকায় যানজট নিরসন হবে। মহাখালী থেকে ছেড়ে যাওয়া গাড়িগুলোতে যাত্রীদের তালিকা, ড্রাইভারের নাম ও গাড়ির নম্বরসহ একটি প্রস্থান পত্র দেওয়া হবে। পরে বনানীতে আমাদের সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্তরা দেখবেন যে যাত্রীর সংখ্যা সঠিক আছে কি না।

ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন বলেন, পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ প্রতিনিয়ত গেটলক সিস্টেম তদারকি করবে। কোনো পরিবহন এ নিয়ম অমান্য করে যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, ৪২.৬ ডিগ্রি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
যশোর প্রতিনিধি

Image

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। শনিবার বিকেলে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার যশোরে তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ।

শনিবার গত কয়েকদিনের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রা হয় ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে চুয়াডাঙ্গায় শনিবার বিকেল তিনটায় তাপমাত্রা উঠেছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। চলমান মৌসুমের এই এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এটি। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান এই তথ্য জানান।

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহ অব্যাহত রয়েছে। সকাল থেকেই রোদের তাপ ও ভ্যাপসা গরম। জনজীবন হয়ে পড়েছে দুর্বিষহ। তীব্র রোদের তাপে মানুষ বাইরে আসতে পারছেন না। সকাল ৯টার পর থেকে রোদের তাপ অসহনীয় হয়ে উঠেছে।


আরও খবর



কী করবেন গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। এই সময়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা আছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। ভরদুপুরে গরমে বাইরে কোথাও যাওয়ার পথেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা হরহামেশাই হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই এই ভ্যাপসা গরমে একেবারে অচেতন হয়ে যান।  প্রচণ্ড রোদ আর গরমে হিটস্ট্রোক হতে পারে যে কোনো বয়সের মানুষের।

যদি মনে হয় কেউ  হিটস্ট্রোক হয়েছে তাহলে সবার আগে অসুস্থ ব্যক্তিকে একটু শীতল জায়গায় নিন, গাছের নিচে বা কোনো দোকানের ভেতরে ফ্যানের বাতাসের নিচে। সম্ভব হলে ঠান্ডা পানিতে বা বরফে ভেজা কাপড় দিয়ে বারবার গা মুছে দিন বা শরীরে পানি স্প্রে করুন এবং শিগগির হাসপাতালে স্থানান্তর করুন।

সারাদিন নানা কাজে রোদের মধ্যেই ঘুরেছেন। গরমে অসুস্থতা আচমকা আপনার পেটে ও পা দুটোয় যেন টান লাগল বা কেউ খামচে ধরল। এ সমস্যার নাম হিট ক্র্যাম্প। শরীরে পানি ও লবণের অভাবে এমনটা ঘটে। এমন অবস্থায় দ্রুত গরম ও রোদ থেকে সরে যান। তুলনামূলক ঠান্ডা জায়গায় বসে পড়ুন। প্রচুর পানি ও লবণসমৃদ্ধ তরল (যেমন: ডাবের পানি, লেবু-লবণের শরবত) পান করুন। পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন। খুব ধীরে মাংসপেশি নাড়াচাড়া এবং পায়ের হালকা ব্যায়াম করুন।

সারা দিন রোদে গরমে ঘুরে দেখলেন ত্বক লালচে হয়ে গেছে বা পুড়ে গেছে। র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। এটাকে বলা হয় হিট র‍্যাশ। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ত্বকে ঠান্ডা বরফ বা ভেজা কাপড় লাগান।

তীব্র গরমে যে কেউ এমন আকস্মিকভাবে যে কেউ অসুস্থ হতে পারে তাই সাবধান থাকতে হবে। গরমে বাড়ির বাইরে গেলে সঙ্গে রাখুন পানি, ছাতা এবং সানগ্লাস। সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল পান করবেন। বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। গরমে ঘরে ফিরেই ঠান্ডা পানি খাবেন না কিংবা গোসল করা থেকে বিরত থাকুন। আগে শরীরটা বাতাসে জুড়িয়ে নিন। প্রচণ্ড গরমে ঘরের ভেতরের বদ্ধ পরিবেশে হাঁসফাঁস লাগলে ছাদে যান কিংবা বারান্দায় গিয়ে বসুন।


আরও খবর



কক্সবাজারে খাল থেকে দুই জেলের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুস্কুল ইউনিয়নের মনুপাড়া এলাকার একটি চিংড়ি ঘের থেকে দুই জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মারধর ও ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে তাদের দুজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে খুরুস্কুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে একটি চিংড়ির ঘের এলাকা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতেরা হলেন খুরুস্কুল ইউনিয়নের মনুপাড়া গ্রামের মো: জামালের ছেলে আব্দুল খালেক এবং আবু তাহেরের ছেলে মো: ইয়াসিন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে খুরুস্কুল আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশে একটি চিংড়ির ঘের এলাকায় লাশ দুটি দেখতে পেলে লোকজন পুলিশে খবর দেয়। কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ ও সিআইডি পুলিশের টিম লাশ দুটি উদ্ধার করে। এ সময় খুরুস্কুল ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান সিদ্দিকী ও তাদের আত্মীয়-স্বজন এসে লাশ শনাক্ত করে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজাহান সিদ্দিকী জানান, তাদের দুজনের শরীরে মারধর ও বৈদ্যুতিক শর্টের দাগ রয়েছে।

নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে তারা দুজন চিংড়ির ঘেরে মাছ শিকার করতে গিয়ে আর বাড়িতে ফিরেনি। চিংড়ি ঘেরের মালিকের লোকজন মারধর ও ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে তাদের দুজনকে হত্যা করে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রাকিবুজ্জামান জানান, তাদের দুজনকে হত্যা করা হয়েছে কি-না তা তদন্ত করা হচ্ছে।

নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবার মজুরি বাড়িয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। এ সময় কারখানা বা প্রতিষ্ঠান মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখার আহ্বান জানান। বুধবার (০১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, কেউ শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে, তিনি যদি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন হন, তাহলেও তাকে আমরা ছাড়ি না, ছাড়বোও না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল। খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। সরকার চায়, দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠুক। তাই আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততোবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। কারখানা বা প্রতিষ্ঠান মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখারও আহ্বান জানান।’

তিনি বলেন, আমি এক প্রতিষ্ঠানের মালিককে জিজ্ঞাস করলাম, ৮০০’ টাকা বেতনে একজন শ্রমিক চলে কীভাবে- এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী, আবারও মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখার কথা বলেন। মালিকদের মুনাফা বাড়াতে হলে, অবশ্যই শ্রমিকদের দিকে তাকাতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় আমাদের শ্রমজীবী মানুষের মজুরি বাড়ানোর ব্যবস্থা নিয়েছি। বিলাসিতা একটু কমিয়ে মালিকরা শ্রমিকদের দিকে একটু নজর দেবেন সেটাই আমরা চাই। কিছু ভাড়াটে লোক কথায় কথায় শ্রমিকদের রাস্তায় নামায় আন্দোলন করানোর জন্য। কারখানা ভাঙচুর করায়। কারখানায় আগুন দিলে শ্রমিকদের নিজেদেরই ক্ষতি হচ্ছে, পরিবারের ক্ষতি হচ্ছে, দেশের মালিকদের ক্ষতি হচ্ছে। কোনো অসুবিধা হলে আলোচনা করে সমাধান করার জন্য আমার দুয়ার খোলা। আপনারা যোগাযোগ করবেন। কারও প্ররোচণা বা উসকানিতে নিজের রুটি-রুজি যেখান থেকে আসে, সেখানকার ক্ষতি করবেন না।’

তিনি বলেন, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা পণ্যের ক্রয় মূল্য বাড়ালে আমিও মালিকদের বলতে পারি, তারা যেন শ্রমিকদের সুবিধা বাড়ান।

এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনের নামে বাসে ট্রাকে-আগুন দিয়ে শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে তারা। প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক-মালিককে আমরা সহায়তা দিয়েছি। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব বলে মনে করি। মানুষের কল্যাণ করাই আমাদের প্রচেষ্টা।’

শ্রমিকদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে- এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল। আমরা যতটা আইএলও কনভেশন বা প্রটোকল সই করেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ততটা করেনি। আমি যদি এখন জিজ্ঞাস করি, তারা কতটা সই করেছে? তারা জবাব দিতে পারবে না। খুব বেশি হলে দুটা করেছে। আর সেখানে কেউ আন্দোলন করলে, সাথে সাথে চাকরি চলে যায়। আর আমাদের এখানে কেউ আন্দোলন করলে আমরা তার সাথে কথা বলি, আলোচনা করি, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। অথচ আমাদের ওপর খবরদারি করা হয়।’

তিনি আরও বলেন,  সবাই এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোনো সমস্যা হলে যা করণীয়, আমরা করবো। সে জন্য কারও দুয়ারে গিয়ে ধরনা দিতে হবে না। দেশ আমাদের। আমরা চাই, শ্রমিকরা নিরাপদে কাজ করবেন। সব ধরনের সুবিধা পাবেন। এখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলবো। আর গরমে সাবধানে থাকবেন, নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখবেন।


আরও খবর
বাবর আলীর এভারেস্ট জয়

রবিবার ১৯ মে ২০২৪