আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

নতুন সিনেমায় অভিনয়ের ঘোষণা দিলেন সোনাক্ষী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

খ্যাতিমান বলিউড তারকা সোনাক্ষী সিনহা বার্লিন থেকে ফিরেই কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তার হাতে এখন বড় কাজের প্রস্তাব। এমন সুযোগ পেয়ে তিনি দারুণ খুশি। খবরটি তার ভক্তদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে নিয়েছেন। খবরটি হচ্ছে, নতুন সিনেমায় অভিনয়ের ঘোষণা দিয়েছেন সোনাক্ষী।

জানা গেছে, বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁসিনেমার সেটে যোগ দিচ্ছেন সোনাক্ষী। সম্প্রতি মুম্বাইয়ে এক দফা শুটিং শেষ হয়েছে এই সিনেমার। প্রযোজক জ্যাকি ভগানি এবার তার দলকে নিয়ে গেছেন স্কটল্যান্ড। সেখানেই পৌঁছে যাবেন সোনাক্ষী। তাই শেষ মুহূর্তের উত্তেজনা ধরে রাখতে পারছেন না। এই সিনেমার মূল দুই আকর্ষণ দুই মিয়াঁ, অক্ষয় কুমার এবং টাইগার শ্রফ।

সোনাক্ষী সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগদানের কথা জানিয়ে লিখেছেন, বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ সিনেমার মতো অসাধারণ প্রকল্পটির অংশ হতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। অক্ষয়ের সঙ্গে কাজ করা সব সময়ই আনন্দের। কিন্তু এই প্রথমবার টাইগারের সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি। আমার আর তর সইছে না!

পরিচালক আলি আব্বাস জাফরেরও প্রশংসা করলেন সোনাক্ষী। এ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, আলি আব্বাসের মতো গুণী পরিচালকের কাজ, এই সিনেমা ব্লকবাস্টার না হয়ে যায় না। দর্শকের জন্যও আমরা কী জমিয়ে রাখছি তা কেউ কল্পনা করতে পারবেন না! এরই মধ্যে মধ্যেই সঞ্জয় লীলা ভানশালীর হীরামান্ডি ওয়েব সিরিজের শুটিং শেষ করেছেন সোনাক্ষী।

এই সিরিজ দিয়েই ওটিটিতে আত্মপ্রকাশ করবেন নায়িকা। সব মিলিয়ে সোনাক্ষীর ভক্ত-অনুরাগীরা নতুন কিছু পেতে যাচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: সোনাক্ষী সিনহা

আরও খবর



‘সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষায় শিক্ষক ও গবেষকদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে’

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে যথাক্রমে মিয়ানমার এবং ভারতের সাথে বাংলাদেশ সরকারের সমুদ্র বিজয়ের বিষয়। সমুদ্র সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে মেরিন সায়েন্স এবং সমুদ্র সম্পদ নিয়ে কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষক-গবেষকদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষ্যে চবি সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের উদ্যোগ বিভিন্ন কর্মসূচি উদযাপন করা হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলনে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির ব্যক্তব্য রাখেন চবি মেরিন সাইন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম। সেমিনারে উক্ত ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

চবি উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন ও লক্ষমাত্রা অর্জনে কাজ করার আহবান জানান।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অব মেরিন সাইন্সেস এর পরিচালক প্রফেসর ড. শেখ আফতাব উদ্দিন সভাপতিত্বে সেমিনারে কী-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি ইনস্টিটিউট অব মেরিন সাইন্সেস এর প্রফেসর সাইদুর রহমান চৌধুরী, প্রফেসর ড. মোঃ সাহাদাত হোসেন এবং প্রফেসর মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধুরী।

৭০০ কোটি মানুষের বসবাসের এই ছোট্ট সবুজ পৃথিবীর তিন-চতুর্তাংশই সমুদ্র। সভ্যতার এই অত্যাধুনিক যুগে বিশাল এই সমুদ্রকে জানতে, সমুদ্র নির্ভর অর্থনীতিকে বেগবান করতে বহুবছর ধরেই কাজ করে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস। এরই ধারাবাহিকতায়, অত্র ইনস্টিটিউটের তরুণ সমুদ্র বিজ্ঞানীদের মধ্যে সমুদ্র বিষয়ক জ্ঞান, সমুদ্র সম্পদ সংরক্ষণ এবং সমুদ্র সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করতে বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষ্যে একটি র‍্যালি চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

উল্লেখ্য, একুশ শতকে সমুদ্র সম্পর্কিত জ্ঞানকে পৃথিবীর সর্বত্র পৌঁছে দিতে, বিশাল সমুদ্রের মৎস্যসম্পদ আহরণ, সমুদ্রের প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান, সমুদ্রের পরিবেশ ও আবহাওয়া বিষয়ক গবেষণা পরিচালনা, উপকূলীয় জনসাধারণের উপর জলবায়ুর প্রভাব নিরুপণ এবং সমুদ্র সম্পদের টেকশই ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সাল থেকে সমুদ্র বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার উপর পাঠদান করে আসছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট।


আরও খবর



জলঢাকায় ৩৪৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক ২

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল বসুনীয়া, নীলফামারী

Image

নীলফামারীর জলঢাকায় ৩৪৫ বোতল ফেনসিডিল ও একটি পাথর বোঝাই ট্রাকসহ দুইজনকে আটক করেছেন থানা পুলিশ। সোমবার ভোর রাতে বালাগ্রাম ইউনিয়নের মন্তেরডাঙ্গা মেইন সড়ক হতে ট্রাকসহ তাঁদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন লালমনিরহাট জেলার পাঠগ্রাম থানার বাউরা নবীনগর ঝুমুর আলীর বাজার এলাকার ফারুক হোসেনের পুত্র ট্রাকচালক সোহেল রানা মিঠু(২৮), একই এলাকার হোসেন আলীর পুত্র মোঃ হুমায়ুন কবির জসিম (২৮)।

পরে আটককৃতদের দেখানো মতে ট্রাকের বডির সামনে পাথরের ভিতরে থাকা দুইটি প্রিন্টের কালো খয়েরি ও হালকা গোরাপী রং এর ব্যাগের ভিতর ৩ শত ৪৫ বোতল ফেনসিডিল সহ ২ জন হাতেনাতে আটক ও রংপুর মেট্রো  ট ১১-০০৭৪ নাম্বারের ট্রাকটি জব্দ করে থানায নিয়ে আসে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩ লক্ষ টাকা।

থানা সূত্রে জানা যায়, আটককৃতদের বিরুদ্ধে জলঢাকা থানার মামলা নং- ০১। তারিখ ১/৭/২৪, ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণীর ১৩(গ)/৩৬(১)সারনীর ১৪(গ) ৪১. রুজু করা হয়।

থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুক্তারুল আলম জানান, সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গঠন করতে হলে সমাজ থেকে মাদকমুক্ত করতে হবে। তাই জলঢাকাকে মাদকমুক্ত করতে আমাদের অভিযান চলবে।


আরও খবর



স্বরূপকাঠিতে বাস চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। রবিবার (৯ জুন) সকালে স্বরূপকাঠি-বরিশাল মহাসড়কের কুনিয়ারি প্রাইমারি স্কুলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন মো. সাইফুল (৩৭) ও শরিফুল ইসলাম সাকিল (২৬)।

নিহত সাইফুল উপজেলার সদর ইউনিয়নের জগন্নাথকাঠি গ্রামের মো. ফজলুল করিমের ছেলে এবং সাকিল একই এলকার সাবেক ইউপি সদস্য মো. শাহিদুল ইসলামের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাকিল ও সাইফুল মোটরসাইকেলে করে বরিশালের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। তাঁরা বাসটি দেখে ধীরগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে কুনিয়ারি প্রাইমারি স্কুলের সামনে আসলে বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা শুভেচ্ছা নামের একটি যাত্রীবাহী বাস তাঁদের চাপা দেয়। পরে স্থানীয়রা হাত ইশারা দিয়ে ড্রাইভারকে থামতে বললেও তা না শুনে তাদের চাপা দিয়ে মোটরসাইকেলসহ অনেক দূর নিয়ে যায়।

শাকিল ও সাইফুলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. শাহারুখ মল্লিক।

নেছারাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. পনির খান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর বাসটি জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে বাসটির চালক ও তাঁর সহকারীকে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



বন্যায় সিলেটের ১৫ হাজার ৭৮৯ হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ১৫ হাজার ৭৮৯ হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত হয়েছে। এতে কি পরিমাণ ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখন নির্ধারণ করা সম্ভব হবে না, পানি নেমে যাওয়ার পর নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

এদিকে গত বন্যায় প্লাবিত হয়ে কৃষিতে প্রায় ৯৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেই ধাক্কা সামলানোর আগেই আবারও সিলেটের বেশিরভাগ ফসল প্লাবিত হয়েছে। এতে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলার মাঠে এখনো ফসল আছে ২০ হাজার ৩৮৪ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে প্লাবিত হয়েছে ১১ হাজার ৭০৭ হেক্টরের ফসল। প্লাবিত হওয়া ফসলের মধ্যে ৫ হাজার ৯৮২ হেক্টর আউশ ধান, ৮৫৬ হেক্টর আউশ বীজতলা, ৪ হাজার ৭০৮ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি এবং ১৬১ হেক্টর বোনা আমন। আউশ ধানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে জৈন্তাপুর উপজেলায়। এখানে ২ হাজার ৮৪৫ হেক্টর আউশ ধানের মধ্যে প্লাবিত হয়েছে ১ হাজার ৪৩২ হেক্টর। সিলেট সদর উপজেলায় ১ হাজার ১৩০ হেক্টর আউশ ধানের মধ্যে ১ হাজার ৪৪ হেক্টরই প্লাবিত হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, সিলেট জেলার উপজেলাগুলোতে প্লাবিত হওয়া আউশ ধানের মধ্যে বিশ্বনাথে ৮৬১ হেক্টর, গোলাপগঞ্জে ৭৫০, ফেঞ্চুগঞ্জে ৫৬০, গোয়াইনঘাটে ৪১৫, জকিগঞ্জে ৩৫০, ওসমানীনগরে ৩১০, বিয়ানীবাজারে ৯০, কানাইঘাটে ৭৫, দক্ষিণ সুরমায় ৫০, কোম্পানীগঞ্জে ৪০ ও বালাগঞ্জে ৫ হেক্টর রয়েছে। প্লাবিত হওয়া আউশ বীজতলার মধ্যে গোলাপগঞ্জে ১৬০ হেক্টর, বিশ্বনাথে ১৫৪, সিলেট সদরে ১০০, জৈন্তাপুরে ৯৫, দক্ষিণ সুরমায় ৮০, বিয়ানীবাজারে ৫৫, ফেঞ্চুগঞ্জে ৪৮,  কানাইঘাটে ৪২, বালাগঞ্জে ৩৫, ওসমানীনগরে ২৯, কোম্পানীগঞ্জে ২৭, জকিগঞ্জে ২৩ ও গোয়াইনঘাটে ৮ হেক্টর রয়েছে। জেলায় মোট ৬ হাজার ৬১৩ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি আছে। এর মধ্যে বিশ্বনাথ উপজেলার ১ হাজার ১২০ হেক্টর, সিলেট সদরে ৭২০, বিয়ানীবাজারে ৫৩০, জকিগঞ্জে ৪৬৫, গোলাপগঞ্জে ৪৫০, ফেঞ্চুগঞ্জে ৪৪৮, দক্ষিণ সুরমায় ৪৩৫, বালাগঞ্জে ১৭৫, গোয়াইনঘাটে ১০৫, ওসমানীনগরে ১০০, জৈন্তাপুরে ৮০, কোম্পানীগঞ্জে ৫২ ও কানাইঘাটে ২৮ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি প্লাবিত হয়েছে।

সিলেটের প্লাবিত হওয়া বোনা আমনের মধ্যে গোয়াইনঘাটে ৮২ হেক্টর, কানাইঘাটে ৩৬, জকিগঞ্জে ১৮, দক্ষিণ সুরমায় ১১, জৈন্তাপুরে ১০ ও বালাগঞ্জে ৪ হেক্টর রয়েছে। জেলায় মোট বোনা আমন আছে ১৬৭ হেক্টর জমিতে।

গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের মাসুদ আহমেদ জানান, কয়েকদিন আগের বন্যায় ৬০শতক জমির ফসল নষ্ট হয়েছে, সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগে আবারও নতুন করে প্লাবিত হয়েছে, নিজ শ্রম বাদে ফসল রোপণ পর্যন্ত ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ অবস্থায় তিনি দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন।

গোয়াইনঘাট উপজেলার কৃষক লোকমান আলী জানান, ধার-দেনা করে ৩০শতক কৃষিজমিতে সবেমাত্র আউশ ধান লাগিয়েছেন, লাগানোর একদিন পর বন্যার পানিতে সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা বলেন, বন্যায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা কঠিন। পানি নেমে গেলেই এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হবে।

 তিনি আরও বলেন, বুধবারের তথ্য অনুযায়ী জেলার মাঠে এখনও ফসল আছে ২০ হাজার ৪৩৬ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে প্লাবিত হয়েছে ১৫ হাজার ৭৭৯ হেক্টরের ফসল। প্লাবিত হওয়া ফসলের মধ্যে ৮ হাজার ৮৫৫ হেক্টর আউশ ধান, ১ হাজার ৯৩ হেক্টর আউশ বীজতলা, ৫ হাজার ৬৬৪ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি এবং ১৬৭ হেক্টর বোনা আমন।


আরও খবর



এইচএসসি পরীক্ষা আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারাদেশে ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ সকাল ১০টায়। তবে বন্যার কারণে সিলেট শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। আগামী ৯ জুলাই থেকে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল সেগুলো যথারীতি হবে।

এবার প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবে। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৯১ হাজার। সময়সূচি অনুযায়ী ৩০ জুন বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্রের মাধ্যমে শুরু হবে এই পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট। এরপর ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে। জানা গেছে, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, পুনর্বিন্যাসকৃত (সংক্ষিপ্ত) পাঠ্যসূচিতে অনুষ্ঠিত হবে এই পরীক্ষা।

বিদেশে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা মোট ২৮১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে জেদ্দায় ৪৭টি, রিয়াদে ৪৩টি, ত্রিপোলিতে দুটি, দোহায় ৬৩টি, আবুধাবিতে ৪৪টি, দুবাইয়ে ২২টি, বাহরাইনে ৩৪টি এবং ওমানে ২৬টি।

এদিকে শিক্ষাবোর্ডগুলো চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে। সেগুলো হলো

১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ (ত্রিশ) মিনিট পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।

২. প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

৩. ৩০ নম্বররের বহুনির্বাচনি (MCQ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (CQ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট; ব্যবহারিক বিষয় সম্বলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি (MCQ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল (CQ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট; পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় পর্যন্ত চলবে। MCQ এবং CQ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না; (ক) সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল ৯.৩০ মি. অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি OMR শিট বিতরণ; সকাল ১০টা বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ; সকাল ১০.৩০ মিনিটে বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র (OMR শিট) সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ; (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০.২৫ মিনিট)। (খ) বেলা ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে বেলা ১.৩০ মিনিটে অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি OMR শিট বিতরণ; দুপুর ২টা বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ; বেলা ২.৩০ মি. বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র (OMR শিট) সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ, (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ২.২৫ মিনিট)।

৪. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

৫. পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট হতে সংগ্রহ করবেন।

৬. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবেন। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোন প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।

৭. পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে।

৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্রে উল্লিখিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন; কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

৯. কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না, পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।

১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর (Non programmable) ব্যবহার করতে পারবেন। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।

১১. পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবেন না।


আরও খবর