আজঃ শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

অবৈধ সম্পদ অর্জন : সাবেক ডিআইজির ৫ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) বজলুর রশীদের ৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।রোববার ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় দেন।গত ২২ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।

২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সকাল ১০টায় সস্ত্রীক বজলুর রশীদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের পর বজলুরকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিনই দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন। ২২ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

যুক্তিতর্কের সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।তিনি অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিলেন।

এর আগে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গুরুদণ্ড দিয়ে তাকে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

ডিআইজি বজলুর রশীদের জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে দুদক অনুসন্ধানে নামে। ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর জবানবন্দি নিতে তাকে দুদকে তলব করা হয়। সেখানে তাকে বেইলী রোডে রূপায়ন সেন্টারে প্রায় ৩ হাজার স্কয়ার ফিটের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনার অর্থের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ফ্ল্যাটটি তিনি ৩ কোটি ৮ লাখ টাকায় কেনেন। কিন্তু এ বিপুল অঙ্কের টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। এরপর ওইদিনই তার বিরুদ্ধে মামলাসহ তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। 


আরও খবর



সাবেক আইজিপির অঢেল সম্পদে হতবাক হাইকোর্ট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

একজন আইজিপি কীভাবে এত অঢেল সম্পদের মালিক হলেন তা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন রাখেন হাইকোর্ট। এ সময় বিচারপতি কামরুল কাদের ও খিজির হায়াতের বেঞ্চ বলেন, আমাদের বিষয়টি হতবাক করেছে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) যশোরে স্থানীয় সরকার বিভাগের কয়েকটি সেতু নির্মাণে অনিয়মের শুনানিকালে বিচারপতি কামরুল কাদের ও খিজির হায়াতের বেঞ্চ সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন। রিটকারী আইনজীবী শামসুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শুনানিকালে আদালত বলেন, আপনাদের অনিয়মের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। দেশ-বিদেশে আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে একজন সরকারি কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতি। একজন আইজিপি কীভাবে এত অঢেল সম্পদের মালিক হলেন। এটি আমাদের বিস্মিত করেছে।

উল্লেখ্য, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেছেন, রাজধানীর গুলশানে মোট ৯ হাজার ১৯২ বর্গফুট আয়তনের চারটি ফ্ল্যাট মাত্র ২ কোটি ১৯ লাখ টাকায় কিনেছেন। সেই হিসেবে প্রতি বর্গফুটের দাম পড়েছে ২ হাজার ৩৮২ টাকা। তবে রাজধানীতে ফ্ল্যাট ও জমি ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, এই দামে গুলশানের মতো অভিজাত এলাকা তো দূরের কথা, ঢাকার আশপাশের এলাকায়ও ফ্ল্যাট পাওয়া যাবে না।

রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) একাধিক সদস্য জানান, জমির দামের সঙ্গে নির্মাণ ব্যয় সমন্বয় করে ফ্ল্যাটের দাম নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে গুলশান-বনানীতে নির্মাণাধীন ফ্ল্যাট প্রতি বর্গফুট ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নামী রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলোর ফ্ল্যাটের দাম আরও বেশি। সে হিসেবে ৯ হাজার বর্গফুট রিয়েল এস্টেটের মূল্য কমপক্ষে ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

তারা জানান, কর ফাঁকি দিতে অনেকে কম দাম দেখিয়ে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন করেন। আবার কিছু গ্রাহক অবৈধ আয় (আয়কর রিটার্নে দেখানো হয় না) দিয়ে ফ্ল্যাট কেনেন। তাই তারা কম দামে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন করেন।

দুদকের নথিপত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের পরিবার ২০২৩ সালের ৫ মার্চ গুলশান সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে চারটি দলিলে ৯ হাজার ১৯২ বর্গফুট (বর্গফুট) ফ্ল্যাট কেনেন।

আদালতে উপস্থাপিত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বেনজীর রহমান ও তার পরিবার গুলশান আবাসিক এলাকার সিইসি (জি) ব্লকের ১৩৪ নম্বর প্লটে (পুরাতন নম্বর ১৩০ নম্বর) দুটি বেজমেন্টসহ নির্মিত র‌্যাংকন আইকন টাওয়ারের চারটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। এর মধ্যে ১২/এ, ১২/বি এবং ১৩/এ এই তিনটি ফ্ল্যাট সাভানাহ ইকো রিসোর্ট প্রাইভেট লিমিটেডের নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে এবং এর চেয়ারম্যান জিশান মির্জা এই কোম্পানির পক্ষে দলিলে সই করেন।

র‌্যাংকন আইকন টাওয়ারের ১৩/বি ফ্ল্যাটটি কেনা হয়েছে বেনজীর আহমেদের নাবালিকা কন্যা জাহরা জেরিন বিনতে বেনজীরের নামে। জাহরা জেরিন বিনতে বেনজিরের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বেনজীর আহমেদ।

দলিল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সাভানা ইকো রিসোর্ট প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষে জিশান মির্জা যে ১২/এ ফ্ল্যাটটি কিনেছেন তার দাম দেখানো হয়েছে ৫৬ লাখ টাকা। ১২/বি ফ্ল্যাটের দাম দেখানো হয়েছে ৫৬ লাখ টাকা এবং ১৩/এ ফ্ল্যাটের দাম দেখানো হয়েছে সাড়ে ৫৩ লাখ টাকা। এছাড়া ১৩/বি ফ্ল্যাটের দামও সাড়ে ৫৩ লাভ টাকা দেখানো হয়েছে।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ মে ঢাকার একটি আদালত তার ৮৩টি দলিলে উল্লিখিত সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও, ২৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ আর্থিক লেনদেনকারী মোট ৩৩টি অ্যাকাউন্ট জব্দ করার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।

এদিকে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামী ৬ জুন বেনজীরকে এবং ৯ জুন স্ত্রী ও সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক।


আরও খবর



কোটাবিরোধী আন্দোলন : শাহবাগে ৫ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো শাহবাগ মোড়ে অবস্থান গ্রহণ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের কারণে দুপুর থেকে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা এই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ আছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল থেকে আলাদা মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন। পরে সেখান থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে হলপাড়া-ভিসি চত্বর-টিএসসি হয়ে বেলা সোয়া ১২টায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। এ প্রতিবেদন লেখার সময় শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড়ে বসে স্লোগান দিতে দেখা যায়। তাদের অবস্থানের কারণে ফার্মগেট-শাহবাগ, শাহবাগ-পল্টন-মগবাজার রোড, শাহবাগ-সাইন্সল্যাব রোড এবং শাহবাগ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ বন্ধ রয়েছে।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সালমান বলেন, আমরা দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না। সারাদেশের ছাত্রসমাজ আজ জেগে উঠেছে। শাহবাগ, সাইন্সল্যাব রোড এবং মেট্রোরেল বন্ধ করতে পারলে এই আন্দোলন সফল হবে। আমরা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আজকের আন্দোলন চালিয়ে যাব। এরপর আবার আগামীকাল আন্দোলন শুরু করব।

অবরোধ তুলতে পুলিশের কোনো পদক্ষেপ আছে কি না জানতে চাইলে শাহবাগথানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আল-আমিন বলেন, আমাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। শিক্ষার্থীরা যতক্ষণ মন চায় আন্দোলন করবে। যখন মন চায় চলে যাবে। যানবাহন বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করছে।

যানবাহন চলাচল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু গাড়ি শহীদ মিনারের রাস্তা ব্যবহার করছে আর কিছু যানবাহন ইন্টারকন্টিনেন্টালের রাস্তা ব্যবহার করছে। ফলে আপাতত তেমন কোনো সমস্যা নেই।

প্রসঙ্গত, চার দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো-

১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা।

২. পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠনপূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সমস্ত গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যতীত)।

৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া।

৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।


আরও খবর



জাল টাকার মাফিয়া জাকির আটক

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর কদমতলীতে বিপুল পরিমাণ জাল টাকাসহ মাফিয়া জাকিরকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ শনিবার কদমতলীর দনিয়া থেকে তাকে আটক করা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানায়, ডিবি লালবাগ বিভাগের অভিযানে কদমতলীতে কারখানাসহ কোটি কোটি জাল টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় জাল টাকার মাফিয়া জাকিরকেও আটক করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলমান আছে।

সূত্র জানিয়ছে, এই কোটি কোটি জাল টাকা আসন্ন ঈদুল আজহা কেন্দ্রিক পশুর হাটগুলোকে সরবরাহ করার চেষ্টা করছিল চক্রটি।

ডিবি লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মশিউর রহমান জানান, জাল টাকার বিষয়ে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

২০১২ সাল থেকে এ কাজটি করে আসছিলো জাল টাকার অন্যতম পথিকৃত জাকির। বাগেরহাট, খুলনাতেও তার কারখানা ছিল। এক নারী ক্রেতার সূত্র ধরে এই কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ। এই কারখানায় ভারতীয় মুদ্রাও তৈরি হতো। এই চক্রে আরও অনেকে জড়িত আছেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের আনোয়ারা-পটিয়া ক্রসিং এলাকায় অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। অভিযানে ১৮টি গাড়িকে ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৭টি গাড়িকে ডাম্পিং করা হয়।

সোমবার (২৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো বিআরটিএ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের আনোয়ারা-পটিয়া ক্রসিং এলাকায় এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত ১২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাতুল তামান্না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী, চট্ট মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক ফাহাদ শিকদার, জেলা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোঃ আব্দুল মতিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী। অভিযানের সহযোগিতা করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

বিআরটিএ জানায়, ফিটনেসবিহীন, রুট পারমিটবিহীন, ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালনাসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৮টি গাড়িকে ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও কাগজপত্র (ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিট) দীর্ঘদিন হালনাগাদ না থাকায় ১টি বাস ও ১টি অ্যাম্বুলেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন বিহীন ৫টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ডাম্পিং করা হয়।


আরও খবর
জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপরে

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




দুর্নীতিবাজ কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে দুর্নীতিবাজ কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দলের নেতাকর্মীদেরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে প্রস্তুত হতে হবে। সারা বাংলাদেশে সবার উদ্দেশ্যে বলছি, বাড়াবাড়ি করবেন না। ক্ষমতার দাপট কেউ দেখাবেন না। কাউকে ক্ষমা করা হবে না। শেখ হাসিনার শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে। 

তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজরা এই দেশে বেশি দুর্নীতি দুর্নীতি করে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের মধ্যে কত যে দুর্নীতিবাজ, একটু খুঁজে দেখেন, পেয়ে যাবেন। দুর্নীতিবাজ আছে আশে-পাশে। দুর্নীতিবাজের ক্ষমা নেই।

বিএনপির দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই, দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিএনপির কোনো কথা বলার থাকে না। কারণ, বিএনপি মানেই দুর্নীতিবাজ। জাতীয়তাবাদী দুর্নীতিবাজ দল, আমরা শক্তি আমরা বল।

বিএনপি নেতা তারেক রহমানের দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারেক রহমান পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। কীসের অভিযোগ হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার। এখন বিএনপির নেতারা দুর্নীতির বিরেুদ্ধে কথা বলে। আপনাদের এক নাম্বার নেতাই তো দুর্নীতিবাজ, হাজার হাজার টাকা পাচার করে আরাম-আয়াশে দিন কাটাচ্ছে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি, সাঈদ খোকন প্রমুখ। 


আরও খবর