আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

অবশেষে বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে ‘পাঠান’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বেশ কিছুদিন ধরেই দেশে হিন্দি সিনেমা আমদানিতে আলোচনা-সমালোচনা হয়ে আসছিল। কেউ আমদানির পক্ষে কথা বলেছেন, আবার কেউ বা এর বিপক্ষে। কিন্তু সব আলাপন উপেক্ষা করে দেশে হিন্দি সিনেমা আমদানিতে আর কোনো বাধা থাকছে না বলে জানিয়েছেন তথ্য মন্ত্রণালয়।

তবে কিছু শর্তসাপেক্ষে হিন্দি সিনেমা আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জটিলতা কেটে যাওয়ায় ঈদের পরে দেশে আমদানি হচ্ছে শাহরুখ-দীপিকা অভিনীত সিনেমা পাঠান

এ ছাড়া ভারতের বিভিন্ন ভাষার শীর্ষ সিনেমাগুলোও আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ইতোমধ্যে কাট অ্যান্ড কাট এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে পাঠান সিনেমা আমদানির জন্য আবেদনও করেছেন এই নির্মাতা।

আরও পড়ুন: দেশে শর্তসাপেক্ষে হিন্দি সিনেমা আমদানির অনুমোদন

অনন্য মামুন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সিনেমাটি আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ঈদের পরে পাঠান আসবে। যেহেতু সেন্সরে জমা দিতে হবে আর আমরা সেভাবেই কাজ করছি। সেন্সর করানোর পর সিনেমাটি মুক্তি দেব।


আরও খবর



শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ২০ দিনের যে ছুটি চলছে, তা কমিয়ে আনা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২৬ জুন খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শিক্ষাপঞ্জি অনুসারে এবার ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হয়েছে ১৩ জুন, যা চলার কথা ২ জুলাই পর্যন্ত।

এর আগে মাধ্যমিক-১ শাখার একজন উপসচিব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বছরের শুরুতে তীব্র শীত ও মাঝামাঝি সময়ে প্রচণ্ড গরমের কারণে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে। নতুন কারিকুলামে জুলাই মাসে যে ষাণ্মাসিক মূল্যায়ন হবে, তার প্রস্তুতি ভালো হয়নি। আমাদের কাছে খবর আছে, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সিলেবাস শেষ করতে পারেনি।

তিনি আরও জানান, অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ জুলাই পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে। তবে অনেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৩ জুন পর্যন্ত ছুটি দিয়েছে। অর্থাৎ, ২৪ জুন থেকে তারা ক্লাস নেবেন। ওইদিন অথবা একদিন আগে বা পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশনা আসতে পারে। এ নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে অফিস খুললে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া শনিবার পুনরায় ছুটি দেওয়া হতে পারে।

সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল ইসলাম চৌধুরীও সেরকম ঈঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ঈদুল আজহার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এখন পর্যন্ত শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা আছে। আমরা চেষ্টা করছি, শনিবার যে বন্ধ পূর্বে ছিল, সেটা যাতে করে বলবৎ রাখতে পারি। ইতোমধ্যে আমরা (শিক্ষাবর্ষের) ক্যালেন্ডারের হিসাব নিয়েছি।

বছরের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সূচি ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে স্কুল এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়।

অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ছুটির তালিকা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সূচি জানানো হয়। এটি শিক্ষাপঞ্জি নামে পরিচিত।


আরও খবর



কঙ্গনাকে থাপ্পড় মারা সেই নারী জওয়ানের জন্য পুরস্কার ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতের চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে থাপ্পড় মারা দেশটির কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর (সিআইএসএফ)ওই নারী সদস্যের জন্য এক লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছেন পাঞ্জাবের এক ব্যবসায়ী। তার নাম শিবরাজ সিং বেইনস।

এ ঘটনায় তিনি কুলবিন্দর কাউর নামে সাহসী ওই নারী নিরাপত্তারক্ষীকে অভিবাদন জানিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে তিনি পাঞ্জাবের জনগণ ও পাঞ্জাবের সংস্কৃতি রক্ষার জন্য কুলবিন্দরকে অভিবাদন জানানা।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন কঙ্গনা। নির্বাচনে তিনি দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রার্থী হিসেবে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। গত মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দুই দিন পর বৃহস্পতিবার বিকালে দিল্লি আসার পথে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে অনাকাঙ্ক্ষিত ওই ঘটনার মুখোমুখি হন কঙ্গনা।

কঙ্গনা বলেছেন, ওই কনস্টেবল আমার মুখে আঘাত করেন এবং আমাকে নিপীড়ন করতে শুরু করেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম তিনি কেন এটা করছেন। তখন তিনি (নারী নিরাপত্তারক্ষী) বললেন যে তিনি কৃষক আন্দোলন সমর্থন করেন।”

ভিডিও বার্তায় কঙ্গনা আরও বলেন, আমি নিরাপদ আছি। কিন্তু আমি উদ্বিগ্ন পাঞ্জাবে যেভাবে উগ্রপন্থা বাড়ছে...তা কীভাবে আমরা সামলাব?

কনস্টেবল কুলবিন্দর কী বললেন?

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ক্ষুব্ধ কুলবিন্দর কাউর উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন। ধারণা করা যায়, ঘটনাটির পর তিনি এ কথা বলেন। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, কঙ্গনা বলেছিলেন- কৃষকেরা দিল্লিতে বিক্ষোভ করছেন; কারণ, তাদের ১০০ বা ২০০ রুপি করে দেওয়া হয়েছিল। সেই বিক্ষোভকারীদের একজন ছিলেন আমার মা।”

কৃষক আন্দোলন নিয়ে কঙ্গনা রানাউতের অবস্থানের কারণে তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন কনস্টেবল কুলবিন্দর কাউর। ঘটনাটির পর তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের হয়েছে। বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করা সিআইএসএফ এ ঘটনা তদন্তেরও পদক্ষেপ নিয়েছে।

কুলবিন্দরের বিরুদ্ধে এসব ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে তার পক্ষে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন এই নিরাপত্তাকর্মীর ভাই শের সিং মহীভাল। যিনি নিজে কৃষক আন্দোলনের একজন সংগঠক। একটি ভিডিওতে তিনি বলেছেন, সংবাদমাধ্যমের খবরে আমি চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আমি এখন বুঝতে পেরেছি যে ঘটনাটি ঘটেছে কঙ্গনার মুঠোফোন ও পার্স তল্লাশির সময়ে। কঙ্গনা বলেছিলেন যে কৃষক বিক্ষোভের সময় নারীরা সেখানে গেছেন ১০০ রুপির জন্য। এই তর্কাতর্কির মধ্যে আমার বোনের ক্ষুব্ধ হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেটা থেকেই ঘটনাটি ঘটেছে।”

সেনা ও কৃষক—উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিদিন তারা তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন উল্লেখ করে শের সিং মহীভাল বলেন, এ ঘটনায় আমরা তাঁকে সর্বাত্মক সমর্থন করছি।”

জানা গেছে, শের সিং মহীভাল একজন কৃষকনেতা। তিনি পাঞ্জাবের কাপুরথালা শহরের কিষান মজদুর সংহর্ষ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক।


আরও খবর



ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে রাবি শিক্ষকরা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মচারীরা। ফলে বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার ক্লাস-পরীক্ষা।

সোমবার (১ জুলাই) সকাল থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতিও ১ থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হোসেন বকুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের অনেক সুবিধা উঠিয়ে দেওয়া ও আর্থিক সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে কার্পণ্য হতে দেখেছি। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি সঠিকভাবে না চলে তাহলে জাতির সামনে অশনি সংকেত অপেক্ষা করে। যেসব মেধাবী শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে তারা যদি মেধাবী শিক্ষক না পান তাহলে তারা দেশকে কিছুই দিতে পারবে না। মেধাবী শিক্ষক পেতে গেলে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করতে হবে। যেন তারা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসেন। তাদের আকর্ষণ করার জন্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। আরও কত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায় সেই চেষ্টা করবেন। প্রতিবেশী অনেক দেশে শিক্ষকদের বেতন সাধারণ চাকরি থেকে অনেক বেশি৷ কিন্তু বাংলাদেশে স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের কথা বারবার বলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি৷

রাবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গত দুই মাস থেকে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। ভেবেছিলাম এমন পরিস্থিতি আসবে যে আমাদের আর লাগাতার কর্মসূচির মধ্যে যেতে হবে না। যেহেতু তেমন কিছু হয়নি তাই আমাদের লাগাতার কর্মসূচিতে যেতে হচ্ছে এবং সরকারের অবস্থান খুব অনড় বলেই মনে হচ্ছে। এজন্য আমাদের এটা আরও চালিয়ে যেতে হবে। গতকাল থেকে আন্তঃকর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিষদ আছে তারাও আমাদের সাথে একাগ্রতা প্রকাশ করেছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে যখনি কোনো কিছু ঘটে তখন সবকিছু শিক্ষকদের ওপরেই সব সময় আসে। আর্থিক খাত থেকে বিভিন্ন জায়গায় বঞ্চিত করা হয়েছে। আপনারা জানেন ২০১৫ সালে অবনবন করা হয়েছে। আবার সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নামে আর্থিকভাবে ক্ষতি করছে। শুধু আর্থিকভাবে নয় আমি মনে করি এটার সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। এটা উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বলে মনে করি। সরকার এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু সরকারের মধ্যে থাকা কিছু ষড়যন্ত্রী আমাদের সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। আমরা দ্রুত এর প্রত্যাহার চাই।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে বিবৃতি প্রদান, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, মানববন্ধন, প্রতীকী কর্মবিরতি, স্মারকলিপি প্রদান এবং অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালিত হয় এবং ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন। আজ ১ জুলাই সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।


আরও খবর



বাংলাদেশকে ৬৫ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের জন্য ৬৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার ৬৩৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১১৭.৫১ টাকা ধরে)।

আজ শনিবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস এ তথ্য জানায়। শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বোর্ড এই অর্থ অনুমোদন করে।

সংস্থাটি জানায়, চট্টগ্রামের বে-টার্মিনাল গভীর সমুদ্রবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বিনিয়োগ ও উন্নয়নের জন্য ৬৫ কোটি অর্থ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এটি বিশ্ববাণিজ্য প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করবে বাংলাদেশকে। পাশাপাশি বন্দরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানি-রফতানি ব্যয় কমিয়ে আনবে বলে মনে করে সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংক জানায়, বে টার্মিনাল সামুদ্রিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ কিলোমিটার জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক ব্রেকওয়াটার নির্মাণ করা হবে। নতুন এই আধুনিক বে টার্মিনাল আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত হবে। এই টার্মিনালে প্যানাম্যাক্স জাহাজের মতো বড় আকারের জাহাজগুলোর জন্য সুযোগ বাড়াবে এবং জাহাজের টার্নঅ্যারাউন্ড সময়কে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে।

বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৯০ শতাংশ এবং এর ৯৮ শতাংশ কনটেইনার প্রবেশ করে। তবে এই বন্দর দিয়ে ছোট ফিডার জাহাজগুলো প্রবেশ করতে পারে।

বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে। যা উল্লেখযোগ্য সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হয়। বে টার্মিনাল একটি গেম চেঞ্জার হবে। এটি বর্ধিত বন্দর সক্ষমতা এবং পরিবহন খরচ ও সময় হ্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতার উন্নতি ঘটাবে। এর মাধ্যমে মূল বৈশ্বিক বাজারে নতুন সুযোগ উন্মোচন করবে।

তিনি বলেন, প্রকল্পটি কন্টেইনার টার্মিনালগুলোর উন্নয়নের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকে একত্রিত করবে। সরকারি অর্থায়নের সাথে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগ বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে এবং সামগ্রিক বে টার্মিনাল উন্নয়নের সাথে যুক্ত ঝুঁকি কমাতে অবদান রাখবে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট এবং প্রকল্পের দলনেতা হুয়া টান বলেছেন, বে টার্মিনাল দেশের সমুদ্রবন্দর অবকাঠামোর আধুনিকীকরণ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারের সংযোগ উন্নত করতে অবদান রাখবে। বে টার্মিনাল, চট্টগ্রাম বন্দরের পশ্চিমে আনন্দনগর/সন্দ্বীপ চ্যানেলে অবস্থিত এবং ঢাকার সাথে বিদ্যমান সড়ক ও রেল যোগাযোগের কাছাকাছি, বাংলাদেশের কন্টেইনারের পরিমাণের ৩৬ শতাংশ পরিচালনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিপিং কোম্পানি, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক এবং মালবাহী ফরওয়ার্ডারসহ টেকসই পরিবহন পরিষেবাগুলোতে উন্নত অ্যাক্সেসের মাধ্যমে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পসহ বাংলাদেশকে ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানানো হয় এক বিজ্ঞপ্তিতে।


আরও খবর



ঈদে এলো ১৯ হাজার ৪৩২ কো‌টি টাকার প্রবাসী আয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিবছর ঈদের আগে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বেড়ে যায়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের সময় ১৪ দিনে ১৯ হাজার ৪৩২ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদে‌শিরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসের প্রথম ১৪ দিনে বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১৮ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ ১৯  হাজার ৪৩২ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ঈদের সময় দৈনিক রেমিট্যান্স এসেছে ৯৯১ কোটি টাকার বেশি সমপরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা।

আলোচিত সময় অর্থাৎ জুনের প্রথম ১৪ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২০ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে গত মে মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে দে‌শে রেমিট্যান্স এসেছে ২২৫ কোটি মার্কিন ডলার। গত ৪৬ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ এবং এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৬০ কোটি ডলার।

চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২১০ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ ডলার। মার্চ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে আসে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার এবং এপ্রিলে আসে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার, যা সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স।


আরও খবর