আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

অনিন্দ্য সুন্দরী জয়া আহসানের জন্মদিন আজ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অনিন্দ্য সুন্দরী আবার কখনো-বা চিরসবুজ এমন তারকার কথা মনে হলেই প্রথমে যে মুখ ভেসে আসে তিনি দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। আজ তার শুভ জন্মদিন।

বাংলাদেশ ও কলকাতায় জয়ার অবস্থান প্রথম সারিতে। দুই বাংলার নির্মাতা-প্রযোজক এবং দর্শকের কাছে জয়া আহসানের জনপ্রিয়তা একদম উপরের দিকে। একের পর এক সফল ও দর্শকনন্দিত সিনেমায় অভিনয় করে নিজেকেই ছাড়িয়ে যাচ্ছেন এ অভিনেত্রী।

বর্তমানে এপার বাংলার কাজের চেয়ে ওপার বাংলাতেই কাজের পরিমাণ তার বেশি। অভিনয়কে যিনি ধারণ করেছেন প্রতিটি শিরা-উপশিরায়, যেন অভিনয়ের জীবন্ত এক দেবী জয়া।

ছোটবেলা থেকে নাচ-গানের প্রতি আগ্রহী ছিলেন জয়া। প্রাতিষ্ঠানিক অভিনয়টা না শিখলেও পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ছবি আঁকা শিখেছিলেন। জয়া আহসানের ক্যারিয়ার শুরু হয় ছোট পর্দা দিয়ে। নাটক ও টেলিফিল্মে অভিনয় দিয়ে দর্শকজনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। মডেল হয়েছেন অনেক বিজ্ঞাপনের। গুণী এই অভিনেত্রীর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ব্যাচেলর সিনেমা দিয়ে।

ব্যাচেলর সিনেমার পর ছয় বছর বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় সিনেমায় কাজ করেন তিনি। সেটি ছিল নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ডুবসাঁতার। জয়া বরাবরই সময় নিয়ে সিনেমা করেন। যার ফলে তার একটি সিনেমা থেকে অন্য সিনেমার বিরতি বেশ লম্বা।

 প্রথম দুটি সিনেমায় জয়া তার অভিনয় দক্ষতা ফুটিয়ে তুললেও সেভাবে জনপ্রিয়তা পাননি। তবে ২০১১ সালে জনপ্রিয়তা আর প্রশংসা সব একসঙ্গে নিজের করে নেন জয়া। সে বছর তিনি তানিম নূর পরিচালিত ফিরে এসো বেহুলা এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু পরিচালিত গেরিলা-য় অভিনয় করেন। গেরিলা তাকে এনে দেয় সাফল্যের স্বাদ। এ সিনেমার জন্য জয়া ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জুরিদের বিচারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন।

গেরিলার পর কলকাতার নির্মাতা-প্রযোজকদেরও নজরে আসেন জয়া আহসান। সেই সুবাদে তিনি টালিউডেও কাজ শুরু করেন। ২০১২ সালে তরুণ নির্মাতা রেদওয়ান রনি পরিচালিত চোরাবালি সিনেমায় কলকাতার ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের সঙ্গে অভিনয় করে কলকাতায়ও আলোচিত হন।

জয়ার অর্জনের ঝুঁলিতে রয়েছে এপার-ওপার বাংলার একঝাঁক পুরস্কার। অভিনয়ের দক্ষতায় জয়া যেমন মুগ্ধ করেছেন সবাইকে, তেমনি ভারী হয়েছে তার পুরস্কারের পাল্লাও। এ পর্যন্ত তিনি পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুবার বাচসাস পুরস্কার, সাতবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, তিনবার ভারতের ফিল্মফেয়ার এবং একবার টেলি সিনে পুরস্কার অর্জন করেছেন। এ ছাড়া অসংখ্যবার পেয়েছেন মনোনয়ন।

ব্যক্তিজীবনে প্রাণিপ্রেমী অন্য এক জয়াও রয়েছে। আর এ জন্য তিনি পেয়েছিলেন সম্মাননাও। দুই বাংলায় অসামান্য জনপ্রিয়তা ও সাফল্য অর্জন করা এই অভিনেত্রীর জন্মদিন আজ। বয়স যেন আজও আটকে আছে তার সৌন্দর্যে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে জয়া ছিলেন মডেল ও অভিনেতা ফয়সাল আহসানের সহধর্মিনী। ১৪ মে ১৯৯৮ সালে বিয়ে করেন। ২০১১ সালে ফয়সালের সাথে তার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।

নিউজ ট্যাগ: জয়া আহসান

আরও খবর



আ.লীগ নেতা গ্যাস বাবুকে ঝিনাইদহ কারাগারে স্থানান্তর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ঝিনাইদহে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের জেলার মহিউদ্দিন হায়দার বলেন, কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে আমরা বুঝে পেয়েছি। ঢাকা সিএমএম আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে পুলিশ ভ্যানের মাধ্যমে তাকে এখানে পাঠানো হয়। পৌনে ৪টার দিকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে গ্যাস বাবুকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের স্থানান্তর উপলক্ষে কারাগারের প্রধান ফটকে জোরদার করা হয় নিরাপত্তাব্যবস্থা। এসময় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে প্রটোকলের মাধ্যমে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে নিয়ে আসা হয় গ্যাস বাবুকে। এরপর একে একে জেলা কারাগারের মধ্যে গাড়িগুলো প্রবেশ করে। এসময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে গেলে আর সামনে এগোতে দেওয়া হয়নি। পরে গ্যাস বাবুকে ঝিনাইদহ কারাগারে হস্তান্তর করে গাড়িটি ফিরে যায়।

গ্যাস বাবুকে নিয়ে যেকোনো সময় মোবাইলফোনসহ আলামত উদ্ধারে অভিযান চালানো হতে পারে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



চবি বিএনসিসি’র উদ্যোগে কাউন্সেলিং ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসির উদ্যোগে বিএনসিসিতে ভর্তিকৃত নবীন ক্যাডেটদের কাউন্সেলিং ও বৃক্ষরোপন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, বিএনসিসি একটি আধাসামরিক সেচ্ছাসেবী বাহিনী। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত বিএনসিসি'র মূলমন্ত্র হলো- জ্ঞান ও শৃঙ্খলা। এই সংগঠন জনকল্যাণমূলক কাজ করার পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ, স্বেচ্ছায় রক্তদানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের শৃংখলা আনয়নে যে ভূমিকা রাখে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

রবিবার সকালে বিএসসিসির অফিস প্রাঙ্গন প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথক বলেন। রাখেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের। এসময় দ্রুত সময়ের মধ্যে বিএনসিসির নিজস্ব ভবন নির্মাণকাজ শুরুর ঘোষনা দেন।

তিনি বলেন, সৎ, সাহসী, পরিশ্রমী, শৃংখলাপূর্ণ, দক্ষ, দেশপ্রেমিক ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির মহান উদ্দেশ্যে বিএনসিসি যে যাত্রা শুরু করেছে তা সমুন্নত রাখতে সকল ক্যাডেটদের আন্তরিকতার সাথে একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি স্বাধীন এ দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চবি বিএনসিসির সমন্বয় কর্মকর্তা দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট প্রফেসর ড. বায়েজীদ মাহমুদ খান, সেনা শাখার বি কোম্পানী কমান্ডার ও ১ নং প্লাটুনের দায়িত্বে নিয়োজিত দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, এ কোম্পানীর ২নং প্লাটুন কমান্ডার এর দায়িত্বে নিয়োজিত পিইউও ড. মোঃ শহীদুল হক, নৌ শাখা প্রধান পিইউও ড. মোঃ আহসানুল কবীর (ভারপ্রাপ্ত), বিমান শাখার ক্লাইট-২ ও বিমান শাখা প্রধান পিইউও প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল কাইয়ুম ও বিএনসিসি অফিসের সহকারী রেজিস্ট্রার বিধান রায়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এ কোম্পানীর ৩নং ও ফরেস্ট্রির প্লাটুনের দায়িত্বে নিয়োজিত পিইউও ড. সোহাগ মিয়া (ভারপ্রাপ্ত)।

অনুষ্ঠানে বিএনসিসির পক্ষ থেকে চবি উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এর আগের একটি করে ঢাকি জাম ও পলাশ গাছ লাগিয়ে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।


আরও খবর



সোমবার থেকে মেট্রোরেলের টিকিটে বসছে ১৫ শতাংশ ভ্যাট

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর সোমবার (১ জুলাই) থেকে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট বসতে যাচ্ছে। মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর বর্তমানে ভ্যাট মওকুফ রয়েছে, যার সময়সীমা আজ (৩০ জুন) শেষ হবে।

২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ওই সুবিধা দিয়ে আসছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কিন্তু এই জুনের পরে ওই ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা বাতিল করছে প্রতিষ্ঠানটি। এ কারণে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ১ জুলাই থেকে মেট্রোরেল সেবার ওপর প্রযোজ্য ভ্যাট কর্তন ও রাষ্ট্রীয় কোষাগারের জমা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করে ঢাকা দক্ষিণ এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা দক্ষিণ এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার শওকত আলী সাদীর সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ জুন। এনবিআর ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মেট্রোরেল সেবার ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান করে। পরবর্তী সময়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পুনরায় আলোচনা হলেও মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি প্রদানে অপারগতা জ্ঞাপন করে এনবিআর।

এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর আদায় করতে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা পরিপালন যেমন-১৫ শতাংশ মূসকসহ টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করে মূসক আদায় এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদান করার বিষয়ে প্রস্তুতি সম্পর্কে বিভাগীয় দপ্তরকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।

২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর দেশের প্রথম মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর পর্যায়ক্রমে মেট্রোরেল চলাচল মতিঝিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনো ক্লাস বা শ্রেণিবিন্যাস নেই। সব যাত্রী একই ভাড়ায় নির্ধারিত গন্তব্যে আসা-যাওয়া করতে পারেন।

এছাড়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিন ফুট উচ্চতার শিশুরা বিনা ভাড়ায় এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারেন। কিন্তু, সবার জন্য মেট্রোরেল ও মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনো ক্লাস বা শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় মেট্রোরেলের সেবার ওপর এই মুহূর্তে কোনো ধরনের মূসক বা ভ্যাট প্রযোজ্য ছিল না এতদিন।


আরও খবর



বাংলাদেশের নির্বাচন কর্মকর্তাদের ওপর মিয়ানমার থেকে গুলি বর্ষণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

সেন্টমার্টিন থেকে নৌ-পথে ফেরার সময় মিয়ানমার সীমান্ত থেকে নির্বাচন কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি বলে জানা গেছে। বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে স্থগিত থাকা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে টেকনাফে ফেরার পথে সাগরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, স্থগিত থাকা টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সেন্টমার্টিন দ্বীপের একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে স্পিডবোটযোগে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ ফেরার পথে সাগরের মাঝপথে নির্বাচন কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গুলি চালানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, সেন্টমার্টিন থেকে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে শাহপরীর দ্বীপের কাছাকাছি এলে মিয়ানমার অংশ থেকে অন্তত ২৫-৩০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। এ ছোঁড়া গুলি এসে পড়ে আমাদের বহনকারী স্পিডবোটে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হননি।’

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনি সরঞ্জাম বহনকারী স্পিডবোটে টেকনাফ সহকারী কমিশনার (ভূমি), প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পুলিং অফিসারসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের একটি টিমও ছিল। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা নিরাপদে টেকনাফে পৌঁছেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা গুলি ছুড়েছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, গুলি চালানোর ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদলিপি পাঠানো হবে।’


আরও খবর



কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

বাংলাদেশে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আন্দোলনে সমবেত হন শত শত শিক্ষার্থী। এসময় কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় তারা।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফের সঞ্চালনায় আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সানজিদা বলেন, আমি একজন নারী এবং আমার ১ম শ্রেণির কোটা থাকা সত্ত্বেও আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কারণ আমি বিশ্বাস করি আমার মধ্যে যদি মেধা থেকে থাকে, দক্ষতা থাকে তবে আমি আমার মেধা, দক্ষতা দিয়ে প্রথম শ্রেণির চাকরি অর্জন করতে পারব। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের প্রতিটা মেয়েরই এই সক্ষমতা আছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তার জন্য কোনো কোটার দরকার হয়েছিল? নিশ্চয়ই হয়নি। তাই আমরা যারা মেয়েরা আছি আমাদেরও কোনো কোটা দরকার নেই।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও আমি আমার মেধার জোরে চান্স পেয়েছি। কোটায় সাবজেক্ট আসা সত্ত্বেও আমি ভর্তি হয়নি। আমার মেধার ভিত্তিতে যে সাবজেক্ট এসেছে সেটায় ভর্তি হয়েছি। আমি এই কোটা সংস্কৃতির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মেধার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হোক। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের  বিরুদ্ধে নয়। তবে কোনো বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিব না।

পপুলেশন সাইন্সের শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ আমান বলেন, আজকে এই আন্দোলনের মানে আমাদের দাবি আদায় হয়ে গেছে এমন নয়। যতদিন না আমাদের দাবি আদায় হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করে যাব। পরবর্তীকালে আমরা রাবি মেইন গেটে দাঁড়াব। যেহেতু শিক্ষার্থীরা বাসায় চলে যাবে আমরা কবিতা, গান, কথা, লেখার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন গড়ে তুলব। এজন্য তিনি সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এসময় 'কোটা বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক', 'কোটা দিয়ে কামলা নয়, মেধা দিয়ে আমলা চায়'- স্লোগানে দিতে শোনা যায়। আন্দোলন বিভিন্ন বিভাগের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর