কোনো ধরনের
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন সাকিব আল হাসান, এমনটি দাবি করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের
ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়। তিনি সাকিবকে নির্দোষ ঘোষণা করেছেন।
বিজয় মনে করছেন,
সাময়িক সংকটের মুখে পড়েছেন সাকিব। অবিলম্বে এই সংকট কেটে যাবে। শীঘ্রই অন্ধকার পেরিয়ে
আলো ফুটবে।
হত্যা মামলার
প্রেক্ষিতে সাকিব নিষিদ্ধ হতে পারেন, এমতাস্থায় তার পাশে দাঁড়িয়েছেন সতীর্থ বিজয়।
এক হৃদয়গ্রাহী
ফেসবুক পোস্টে বিজয় লিখেছেন, ‘সাকিব ভাই, বাংলাদেশের ক্রিকেটে আপনার অবদান অনস্বীকার্য। আপনি আমাদের
ক্রিকেটকে বিশ্ব মানচিত্রে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছেন। আমরা সবাই আপনার সাথে আছি।
ইনশাআল্লাহ, এই অন্ধকার কেটে যাবে। আমি দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করছি, আপনি নির্দোষ। আল্লাহ
আপনাকে আশীর্বাদ করুন।’
বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের সময় পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অন্যতম আসামি
করা হয় সাকিবকে। এরপর সাকিবকে জাতীয় দল থেকে সরিয়ে দিতে ও দেশে ফিরিয়ে আনতে বিসিবির
কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ আলম। নোটিশে
দাবি করা হয়, সাকিব ফৌজদারি মামলার আসামি। আইসিসির নিয়ম অনুসারে তিনি জাতীয় দলে খেলতে
পারেন না।
যদিও রুবেল
হত্যাকাণ্ডের দিন দেশে ছিলেন না সাকিব। সেদিন কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে খেলছিলেন
তিনি এবং ম্যাচসেরাও হয়েছিলেন।
অনেকে মনে করছেন,
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়ানোই সাকিবের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। এই ভুলের কারণেই মামলার
মুখোমুখি হতে হচ্ছে সাকিবকে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যই এই অলরাউন্ডারের বিরুদ্ধে
মামলাটি করা হয়েছে।
রুবেল হত্যার
ঘটনায় করা মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে রাজধানীর আদাবর থানায় ৫০০ জনের বিরুদ্ধে
মামলা করা হয়। মামলাটিতে ২৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে সাকিবকে।
মামলার এজাহারে
বলা হয়, তাদের নির্দেশেই গুলি করে হত্যা করা হয় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়া রুবেলকে।
বাংলাদেশের
অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এখন রয়েছেন জাতীয় দলের সঙ্গে। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের
বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে রয়েছেন তিনি।