আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
জনতার আদালতে

ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীসহ ২এমপির বিরুদ্ধে কাদের মির্জার জিডি

প্রকাশিত:বুধবার ০২ মার্চ 2০২2 | হালনাগাদ:বুধবার ০২ মার্চ 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
Image

নোয়াখালী  প্রতিনিধি:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদের সহ ১৮জনকে অভিযুক্ত করে জনতার আদালতে (সাধারণ ডায়েরি) জিডি করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। তাঁর দাবি তাকে হত্যা ও নেতা-কর্মী শূন্য করার জন্য তারা নীলনঁকশা এঁকেছে।

ওই জিডিতে ফেনী-২ ( ফেনী সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী ও নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী এবং নোয়াখালীর এসপি ও কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও-ওসিসহ ১৮জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগের তীর ছোঁড়ে কাদের মির্জা। কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। 

বুধবার (২ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কাদের মির্জা তাঁর ফেসবুক পেজ থেকে এক স্ট্যাটাসে জনতার আদালতে এ জিডি করেন। এ ছাড়াও জিডিতে তাঁর দুই ভাগনের নামও রয়েছে। তারা হলেন কাদের মির্জার ছোট বোনের ছেলে তাঁর অন্যতম প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত ফখরুল ইসলাম রাহাত ও রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকিন রিমন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রীর ভাগনে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকিন রিমন বলেন, কাদের মির্জার এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহিন। বরং কোম্পানীগঞ্জের গত এক বছর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির নৈপথ্যের মূল নায়ক তিনি। কোম্পানীগঞ্জে যখন কাদের মির্জার পেশীবাদী রাজনীতি ও লুটপাটের রাজনীতি বন্ধ হতে যাচ্ছে। এটার বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ স্বোচ্ছার। তখনই তিনি কূটচাল শুরু করেছেন। প্রশাসননের কর্মকর্তারা যখন ওনার অন্যায় আবদার ও পেশীবাদী মানসিকতাকে সাপোর্ট দিচ্ছেনা। তখনই এসপি, ইউএনও, ওসির বিরুদ্ধে তিনি বিষেদাগার করছেন। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিষেদগারই এখন তাঁর মূল হাতিয়ার। 

কাদের মির্জার ফেসবুক স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়। তিনি ফোন ধরেননি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনী ২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, কাদের মির্জা কি করছে, না করছে, এটা আমার বিবেচ্য বিষয় নয়। সে কি করে, না করে, এটা আমি জানতেও চাইনা। আমি হচ্ছি ফেনীতে। আমি ফেনীর বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাবো। নোয়াখালীর কোন বিষয়, এগুলো আমার চিন্তা চেতনার মধ্যে নেই। মির্জা আমার বিরুদ্ধে কি করল না করল, সেটা নিয়ে আমি চিন্তাও করিনা।

কাদের মির্জার স্ট্যটাসটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো। স্ট্যাটাসে কাদের মির্জা অভিযোগ করে লিখেন, আমাকে হত্যা ও নেতা-কর্মী শূন্য করার জন্য যারা নীলনঁকশা এঁকেছে তাদের বিরুদ্ধে জনতার আদালতে জি.ডি করলাম। ১। ইসরাতুনেসা কাদের ২।  নিজাম হাজারী ৩। একরামুল করিম ৪।  ফখরুল ইসলাম রাহাত ৫।  মিজানুর রহমান বাদল ৬।  খিজির হায়াত ৭।  আজম পাশা রুমেল ৮।  সিরাজিস সালেকিন রিমন । কানা আবদুর রেজ্জাক ১০।  জাহেদুল হক কচি ১১।  হানিফ সবুজ ১২।  নজরুল ইসলাম শাহিন ১৩।  আজ্জুমান পারভীন রুনু ১৪।  শহীদুল হক (এস.পি, নোয়াখালী)১৫। জিয়াউল হক মীর (U.N.O কোম্পানীগঞ্জ) ১৬।  সাজ্জাদ রোমন (OC কোম্পানীগঞ্জ) ১৭।  দিদারুল কবির রতন। ১৮ জাহাঙ্গীর (মন্ত্রী মহোদয়ের কথিত সহকারী)। 

তিনি আরো লিখেন, বিচারপতির কাছে বিচার চেয়েছি বিচার পাইনি। তাই বিচারপতির বিচার করে যেই জনতা বিচার দিলাম সেই জনতার কাছে। যে জনগণ আমার প্রাণ শক্তি সেই জনগণ আমাকে প্রেরণা যোগাবেন। সত্যের যে প্রদীপ শিখা জ্বালিয়েছি- রাজভয়/লোকভয় তা কখনোই নেবাতে পারবে না। মহান আল্লাহ আমার সহায় হোক। দোয়া করবেন সকলে।


আরও খবর



খারকিভে ‘কঠিন লড়াই’ চলছে: জেলেনস্কি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন দেশটির খারকিভ শহর ঘিরে কঠিন লড়াই চলছে। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন, তবে তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) খারকিভের শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের পর জেলেনস্কি এসব কথা বলেন।

এর আগে গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ সীমান্তে আকস্মিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ইতোমধ্যে তারা বেশকিছু এলাকা নিজেদের দখলে নিয়েছে, যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বলছে, বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে জেলেনস্কি লিখেছেন, ইউক্রেনের সেনারা রুশ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। এলাকাটির বর্তমান পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেখানে আমাদের আরও সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।

মূলত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার শুরুতেই খারকিভ শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে যায় রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে তারা আবারও সীমান্তে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। নতুন করে খারকিভ সীমান্তে রাশিয়ার আকস্মিক হামলায় কিছুটা হকচকিত হয়ে পড়ে সেনা ও অস্ত্র সংকটে ভুগতে থাকা ইউক্রেনীয় বাহিনী।

২০২২ সালের মধ্য ডিসেম্বরের পর এই প্রথম ভূখণ্ড দখলে বড় সাফল্য পেয়েছে রুশ বাহিনী। বুধবারও খারকিভের দুটি গ্রাম দখলে নেয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ারের তথ্য বিশ্লেষণ করে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ৯ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ইউক্রেনের ২৭৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখলে নিয়েছে রাশিয়া।

তবে ইউক্রেনের দাবি, কিছু কিছু স্থানে রুশ বাহিনীকে তারা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজার ভলোশিন বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, তাদের সেনারা রুশ দখলদার বাহিনীর তৎপরতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে। তবে শত্রুরা অগ্রসর হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।


আরও খবর



এক রাতে ৮০টির বেশি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

একে একে ৮০টির বেশি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান। স্থানীয় সময় সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোররাত পর্যন্ত তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে এসব ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পনটি ছিল ৬ দশমিক ৩ মাত্রার। দ্বীপ ভূখণ্ডটির আবহাওয়া প্রশাসন এসব এতথ্য নিশ্চিত করেছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একের পর এক আঘাত হানা এসব ভূমিকম্পের কয়েকটি আবার রাজধানী তাইপেইর ভবনগুলোতেও কম্পন সৃষ্টি করে।

তাইওয়ানের আবহাওয়া প্রশাসন বলেছে, পূর্বাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত হুয়ালিয়েন কাউন্টি ছিল এসব ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। ওই এলাকায় চলতি মাসের শুরুর দিকে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।

হুয়ালিয়েনের দমকল বিভাগ মঙ্গলবার ভোরে জানিয়েছে, গত ৩ এপ্রিল ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া একটি হোটেল আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ঝুঁকে পড়েছে। অবশ্য আগের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে এটি বন্ধই ছিল। তবে এতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ২

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিস শহরে খোলা জায়গায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে (ব্লক পার্টি) বন্দুকধারীর হামলায় কমপক্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও ছয়জন।

স্থানীয় সময় শনিবার (২০ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক বিবৃতিতে মেমফিস পুলিশ বলেছে, তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, হামলায় আটজন হতাহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। খবর রয়টার্স।

এর আগে পুলিশ জানিয়েছিলেন, ওই ঘটনায় ১৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং আহতদের একজনের অবস্থা গুরুতর। আরেকজন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। অনুমতি ছাড়াই এ ব্লক পার্টি আয়োজন করা হয়েছিল। প্রায় ২০০-৩০০ মানুষ সেখানে যোগ দিয়েছিলেন।

মেমফিস পুলিশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান সেরেলিন ডাভিসের বরাতে সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত দুজন সন্দেহভাজনকে ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। সিবিএস নিউজকে ডাভিস বলেন, আমাদের ধারণা, এ ঘটনার সময় অন্তত দুজন গুলি চালিয়েছেন।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে তাৎক্ষণিকভাবে মেমফিস পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স।

ব্লক পার্টি হলো কোনো একটি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে সৌহার্দ্য বাড়াতে তাদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠান। এ ধরনের অনুষ্ঠান সড়ক, খোলা জায়গা কিংবা জনসমাগমের জায়গায় আয়োজন করা হয়ে থাকে।


আরও খবর



২৩ নাবিকসহ আজই কুতুবদিয়ায় ভিড়বে এমভি আব্দুল্লাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে সোমবার (১৩ মে) রাতে কুবুবদিয়াতে পৌঁছাতে পারে। সেখানে আংশিক পণ্য খালাস হবে। মঙ্গলবার বিকালে বোট বা লাইটার জাহাজে নাবিকদের আনা হবে জেটিতে। রবিবার (১২ মে) জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, রবিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে জাহাজটি কুতুবদিয়া থেকে প্রায় ৩৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। জাহাজটি যে গতিতে চলছে তাতে আগামীকাল সন্ধ্যা বা রাতের মধ্যে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, জাহাজটি এখন দেশের উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে। সবাই বাড়িতে পৌঁছে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, কুতুবদিয়ায় কিছু চুনাপাথর আনলোড করে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা হবে জাহাজটি। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা নাগাদ ২৩ নাবিক নিয়ে জাহাজটি কুতুবদিয়াতে পৌঁছার কথা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জানি জাহাজে থাকা সব নাবিক সুস্থ রয়েছেন। তারা কুতুবদিয়াতে পৌঁছানোর পর পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে আমরা বলতে পারব।

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এমভি আব্দুল্লাহ আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে।

উল্লেখ্য, সোমালি জলদস্যুদের হাতে অপহরণের দীর্ঘ ১ মাস পর গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। এর আগে জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছানো হয় একটি বিশেষ এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে। এই এয়ারক্রাফট থেকে দস্যুদের নির্ধারিত স্থানে তিনটি ব্যাগভর্তি ডলার পৌঁছানো হয়।

মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি।


আরও খবর
বাবর আলীর এভারেস্ট জয়

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




প্রবাসে নিয়ে দালালের হাতে বিক্রি, দেশে ফেরাতে পরিবারের আকুতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে পাথরঘাটার একাধিক ব্যক্তিকে প্রবাসে পাঠিয়ে দালালের হাতে বিক্রি করেছে প্রতারক আ. জলিল চৌধুরী। সৌদিতে থাকা সন্তানদের ফিরে পেতে বরগুনার পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী পরিবার।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১ টায় পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সৌদি আরব থেকে সদ্য ফিরে আসা ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানসহ ফোরকানের বাবা আ. কাদের, সুমনের বাবা শাহ আলম, ইমরানের মা শাহিনুর বেগম, মামুনের বাবা আবুল হোসেনসহ ৬ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলো।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মামুন মিয়া, মো.সুমন, ইমরান ও ফোরকানকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা করে নিয়ে বিদেশে পাঠায় পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দা প্রতারক আ. জলিল চৌধুরীর। সৌদি আরব যাওয়ার পরে একের পর এক দালাল বিক্রি করে তাদের। সেখানে কাজ না দিয়ে আটকে রাখা হয় তাদের।

তারা আরো জানান, পাথরঘাটাসহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক লোককে সৌদি আরব পাঠিয়ে ৭০ লাখ টাকারও বেশি আত্মসাৎ করেছে জলিল। প্রবাসে পাঠাতে অনেকে ঋণ, ধার কর্জ এবং জমি বিক্রি করে পরিবার গুলো এখন প্রায় নিঃস্ব। দেশে টাকা পাঠানো দূরে থাক সেখানে নিজেরাই খেতে পারছে না।

ফোরকানের বাবা আ. কাদের বলেন, আমি ও ছেলে রিকশা চালাতাম অনেক কষ্ট করে জমি বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠাই। আজ বাবায় বড় কষ্টে আছে।

সৌদি থেকে সদ্য দেশে আসা মিজানুর রহমান বলেন, অঙ্গীকার অনুযায়ী বিদেশে যাওয়ার পর ভিসার মেয়াদ শেষ হলে ইকামা না দেয়ার কারনে ওই দেশের পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেলে থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আ. জলিল চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, আমি সরকারের নিয়ম মেনেই তাদের বিদেশে পাঠিয়েছি। শর্ত অনুযায়ী তাদের ভিসা এবং কাজ দিয়েছি। কাজ না করে যদি দেশে চলে আসে এর দায়ভার তো আর আমি নিব না।

তিনি আরও বলেন, তাদের ছাড়াও অনেক মানুষকে আমি বিদেশে পাঠিয়েছি তারা তো ঠিকঠাক মতো কাজ করছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, সকল কাগজপত্র আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।

সাকিল আহমেদ, পাথরঘাটা (বরগুনা)


আরও খবর