আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

অপরাধ বাড়ছে ঢাকায়!

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৮ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ

Image

রাজধানীতে অপরাধ বেড়েই চলছে। বেশি বেড়েছে খুন, চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা ও মাদকসংক্রান্ত অপরাধ। তাছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার সংখ্যাও উদ্বেগজনক। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন কেন্দ্র করে রাজনীতির মাঠে যেমন উত্তাপ ছড়াচ্ছে তেমনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আশঙ্কা বাড়ছে। 

অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আশঙ্কা আরো ঘনীভূত হচ্ছে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কয়েকজন জামিনে বের হওয়ার পর। তাদের কয়েকজন সহযোগীও জামিন পেয়েছেন। জামিনে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ মামুনের ওপর হামলার ঘটনায় নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে অপরাধজগৎ নিয়ে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কারাবন্দি আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগীরাই এ হামলা চালায়।

আরও পড়ুন>> শাহজালালে দেড় কোটি টাকারস্বর্ণসহ আটক ১

গত মাসের ১৮ সেপ্টেম্বর মামুনের ওপর হামলার একদিন আগে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী নাঈম আহমেদ টিটন জামিনে মুক্তি পান। দুই দশক ধরে তিনি কারাবন্দি। টিটন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের শ্যালক। টিটনের মুক্তির চারদিন পর ২২ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী খোরশেদ আলম রাসু। কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পর তারা নতুন করে আরো কোনো সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।

১৪ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুর মাজার রোডে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাবিল খান গ্রুপ ও ইসলাম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে ছুরিকাঘাতে ৩০ বছর বয়সী শাহ আলম নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুন হন।

দুদিন পর ১৬ অক্টোবর রাত পৌনে ৩টার দিকে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ৪৩ বছর বয়সী রমজান ওরফে পেটকাটা রমজান নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পূর্বশত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা পুলিশের। কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা আনোয়ার বলেন, রমজানের বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।

১৯ সেপ্টেম্বর দিনদুপুরে রাজধানীর বংশালে আলুবাজার এলাকায় চাঁদা না দেয়ায় নারীসহ তিনজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা। আহতরা হলেন-রানু বেগম (৭০), তার ছেলে মো. মাসুদ রানা (৪৫) ও আব্দুল মাসুম (৪৮)।

আহতদের আত্মীয় রিতা বেগম বলেন, আলুবাজার বড় মসজিদ এলাকায় আমাদের ছোট একটি সেলুনের দোকান। এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও মাদক কারবারিরা কয়েকবার আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। কিন্তু আমার ভাই চাঁদা না দেয়ায় শুভ, প্রিন্স, সাফরানসহ ১২ থেকে ১৫ জনের দল দেশি অস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা মা রানু বেগম, ভাই মাসুদ রানা ও চাচা আব্দুল মাসুমকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।

আরও পড়ুন>> নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনেরযোগ্যতা নেই তবুও পবিপ্রবি'র অধ্যাপক!

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় রাত ১০টার দিকে প্রাইভেটকার আরোহী এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় একদল সন্ত্রাসী। সেই গুলি লাগে মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীলের (৫২) মাথায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ওই রাতেই তাকে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। টানা সাতদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ২৫ সেপ্টেম্বর ভুবন চন্দ্র শীল মারা যান।

ধারাবাহিকভাবে প্রায় দিনই রাজধানীতে চুরি, ছিনতাই ও খুনের মতো ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় একদিকে বেড়েছে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রভাব এবং অন্যদিকে শঙ্কা রয়েছে সাধারণ মানুষের।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মামলার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ৮ মাসে শুধু ঢাকায় খুনের ঘটনা ঘটে ১১৩টি। চুরির ঘটনা ঘটে এক হাজার। ধর্ষণের ঘটনা ৩২০টি। বিভিন্ন অভিযোগে ঢাকার ৫০ থানায় মামলা হয় ১৭ হাজার ৪৩২টি। এসব মামলায় গ্রেফতার ৩৯ হাজার ৬৬৮ জন।

ডিএমপি বলছে, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ রাজধানীর সবচেয়ে বেশি অপরাধপ্রবণ এলাকা। এরপরই আছে ওয়ারী, মিরপুর, উত্তরা, লালবাগ, গুলশান, মতিঝিল ও রমনা বিভাগ। ডিএমপির করা গত সাড়ে তিন বছরের (২০২০-২০২৩ আগস্ট) তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতিটি বিভাগেই আগের বছরের তুলনায় অপরাধ বেড়েছে।

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর ৫০ থানা আটটি অপরাধ বিভাগে ভাগ করে কাজ করছে ডিএমপি। পুলিশের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, তেজগাঁও বিভাগে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণ ও মাদকের কারবার সবচেয়ে বেশি। ওয়ারী বিভাগে খুন ও ধর্ষণের ঘটনা বেশি। মিরপুরে বেশি চাঁদাবাজি। উত্তরা বিভাগে চোরাচালান, লালবাগে বিস্ফোরকদ্রব্য, গুলশান বিভাগে দাঙ্গা ও রাজনৈতিক খুনের মতো ঘটনা বেশি।

র‌্যাবের তথ্য বলছে, ২০২০ সালে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয় ৬৯৮টি, ২০২১ সালে উদ্ধার হয় ৮৪৬টি, ২০২২ সালে উদ্ধার হয় এক হাজার ৩৯৪টি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয় ৪৯৭টি। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত র‌্যাব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে ১৯ হাজার ৬৩৪টি। আর অবৈধ অস্ত্র সংক্রান্ত ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ১৪ হাজার ৩২৩ জন আসামিকে।

ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের ছয়টি থানা হলো- ওয়ারী, ডেমরা, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, গেন্ডারিয়া ও কদমতলী। গত ৮ মাসের ওয়ারী বিভাগে সর্বাধিক ২২টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের ঘটনা এই বিভাগে সবচেয়ে বেশি। এ সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩৮ জন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র জানায়, নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে পেশাদার অপরাধীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় খুনসহ বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে তারা। প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা গেলে নির্বাচনের আগে বিশেষ করে ঢাকায় অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে।

ঢাকা মহানগরী ছিনতাইমুক্ত করতে নগরবাসীর নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিতকরণ এবং অপরাধভীতি দূর করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। ডিএমপি সদরদপ্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম বিভাগ) শচীন চাকমাকে সভাপতি করে ১৯ সদস্যবিশিষ্ট টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। টাস্কফোর্সের অন্য সদস্যরা হলেন ডিএমপি সদরদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম-১) একজন, ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগের আটজন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের আটজন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এবং অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার/সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) একজন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, কেউ কেউ রাজনৈতিক পরিচয় শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, অপহরণ, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা ও নিজ দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল তৈরি করে পদ-পদবি নিশ্চিত করার কারণে কখনো কখনো সাধারণ মানুষকে বলি হতে হয়। এ ধরনের রাজনৈতিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দল থেকে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয় সেটিও স্পষ্ট নয়।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে সাধারণ মানুষের চলাচলের যে নিরাপত্তা সেই জায়গাটি শতভাগ তৈরি করা যায়নি। যতটুকু তৈরি করা গেছে সেটিও বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক বিভেদের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ বা সন্তোষের জায়গা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। রাস্তায় চলাচলের সময় একজন আইনজীবী, কলেজছাত্রী কিংবা নিজ দলের মধ্যে কোন্দলকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনায় যারা মারা যাচ্ছেন তারা সবাই এ দেশের নাগরিক। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হয়তো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে কিন্তু একজন সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এ ধরনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে সে জায়গায় প্রশ্ন রয়েছে। আমরা দেখেছি বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাদী হয়ে মামলা করে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার প্রশ্নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের উদ্যোগ কতটা অতীতে হয়েছে তা খতিয়ে আমরা খুব একটা পাই না।

অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক আরো বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার সেন্টিমেন্ট থেকে দেখা যায়, গোলাগুলিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা মারা গেলে সে যে দলেরই হোক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মন্তব্য দেখলে মনে হয় তারা একপ্রকার খুশিই হয়। সাধারণ মানুষের মনে বিদ্বেষ-অসন্তোষ রয়েছে। তারা মনে করে তাদের কারণে সাধারণ মানুষের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। কিন্তু যখন সাধারণ কেউ মারা যায় তখন সেন্টিমেন্টে দেখা যায় সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপনের ক্ষেত্রে, রাস্তাঘাটে চলাচলের ক্ষেত্রে তাকে অনেক কিছু ভাবতে হচ্ছে। সেই ভাবনাগুলো তাকে তটস্থ করে। সামগ্রিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে আসলে বলার কেউ নেই। যারা বলছে সেটা সাময়িক বা পরিস্থিতির কারণে কিংবা এক ধরনের মৌখিক প্রতিশ্রুতিতে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, যেসব শীর্ষ অপরাধী কারাগারে আছে সেটা আমরা মনিটরিং করছি। যারা জামিন পেয়ে বের হয়ে এসেছে সেটাও আমরা মনিটরিং করছি। নির্বাচন সামনে রেখে কোনো অরাজকতা করছে কি না, চাঁদাবাজি করছে কি না, মানুষকে হুমকি দিচ্ছে কি না- সেটা ডিএমপি ও ডিবির টিম তদন্ত করছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পর এসব অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। জামিনে বের হয়ে কিংবা কারাগারে বসে কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা করলে ছাড় দেয়া হবে না। ঢাকার অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিরোধকে কেন্দ্র করে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের মুখচ্ছবি। পেশাদারত্ব, নিষ্ঠা, দক্ষতা, আন্তরিকতা, সততা ও ত্যাগের মাধ্যমে ডিএমপি আজকের এ অবস্থানে পৌঁছেছে। আগামী দিনেও যে কোনো কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিএমপি প্রস্তুত। নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের সময় ঢাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা যা করা প্রয়োজন সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নির্বাচন টার্গেট করে কিছু শীর্ষ সন্ত্রাসী ফায়দা লুটতে পারে। এ জন্য আগে থেকেই র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জামিনে মুক্তি পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্রের চালান ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। র‌্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন একযোগে কাজ করছে। এক কথায় নির্বাচনের আগে ও নির্বাচন চলাকালীন এবং নির্বাচন পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাবও কাজ করবে।

এ বিষয়ে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, নির্বাচনের আগে যে বা যারাই অবৈধভাবে মাঠ গরম করার চেষ্টা করুক তাদের প্রতিহত করা হবে। ঢাকা শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সর্বদা সচেষ্ট। সম্প্রতি আমরা বেশকিছু অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছি।

নিউজ ট্যাগ: রাজধানী ডিএমপি

আরও খবর



মোংলা বন্দরে এ মাসে ভিড়ল ৮টি কন্টেইনারবাহী জাহাজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

মার্কস লাইনের ১৮৬ মিটারের লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী মার্কস হাই পং কন্টেইনারবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরের ৯ নং জেটিতে আগমনের মধ্য দিয়ে করোনা মহামারি পরবর্তী মোংলা বন্দরের জেটিতে এক মাসে সর্বোচ্চ ৮ টি কন্টেইনারবাহী বাণিজ্য জাহাজ আগমনের রেকর্ড করে।

এ সময়ে জাহাজে ১৮৭৫ টিইইউজ কন্টেইনারজাত মালামাল আমদানি-রপ্তানি করা হয়।

এ সকল বাণিজ্যিক জাহাজের মাধ্যমে ফেবরিকস, মেশিনারি, আপেল, ট্রাই সাইকেলপার্টস, ইলেকট্রিক্যাল গুডস, হোয়াইট ক্লিংকার, ফার্টিলাইজার, ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, কপার ক্যাথোডস ইত্যাদি আমদানি এবং জুট, জুট গুডস, সিরিমপস, কার্বস, হোয়াইট ফিস, ক্লে টাইলস, ড্রাইড ফিস, মেশিনারি, গার্মেন্টস প্রোডাক্টস, কটন ইয়ার্ন ইত্যাদি রপ্তানি করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) মোংলা বন্দরের পি.পি জেটি নং-৭ এ সিংগাপুর পতাকাবাহী কোটা টেনেগা এবং এমভি কোটা রানচাক, এমভি মার্কস ভিলাডিভসটক, এমভি মার্কস কুইনজু, এমভি মার্কস চট্টগ্রাম, এমভি মার্কস ঢাকা বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে নোঙর করে। বর্তমানে বন্দর জেটিতে গড়ে প্রতি সপ্তাহে ২ টি করে কন্টেইনার জাহাজ আগমন করছে।

শিপিং এজেন্ট, মোংলা কাস্টমস এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন, চেম্বার অব কমার্স খুলনা ও বাগেরহাট, আমদানি-রপ্তানিকারক ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সাথে ধারাবাহিকভাবে মিটিং ও সমন্বয়সহ বন্দরে আধুনিক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট সংযোজনের ফলে জেটি থেকে দ্রুততার সাথে স্বল্প সময়ের মধ্যে কন্টেইনার খালাস বোঝাই সম্ভব হচ্ছে।

একই সাথে গিয়ারলেস জাহাজ হ্যান্ডলিং এর সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কন্টেইনারবাহী সমুদ্রগামী জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে বন্দর ব্যবহারকারীদের মোংলা বন্দরের প্রতি আস্থা বাড়ার পাশাপাশি তাদের সময় এবং অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে মোংলা বন্দর বদ্ধ পরিকর। বন্দরকে আধুনিক ও বিশ্বমানের স্মার্ট বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



সুন্দরবনে আগুন, নেভানোর চেষ্টায় বনকর্মীরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পূর্ব সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৪ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া ও গুলশাখালীর মাঝামাঝি এলাকায় এ আগুনের ঘটনা ঘটে। বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ বনরক্ষীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বনের ভিতর মধু সংগ্রহে মৌওয়ালের আগুনে এ আগুনের সূত্রপাত বলেও জানান তিনি।

আনিসুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ বনবিভাগের চারটি ফাঁড়ির বনরক্ষীরা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়া পূর্ব সুন্দরবনের বন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে তদারকির কাজ করছেন।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আবু তাহের মিয়া জানান, আমুরবুনিয়া ফাঁড়ির কাছেই আগুন লেগেছে। বেশ বড় এলাকা। অন্তত দুই কিলোমিটারজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। যেভাবে আগুন ছড়িয়েছে সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিনই হবে।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুল আলম চৌধুরী জানান, আগুনের খবর পেয়ে এরই মধ্যে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। আগুনের এ ঘটনায় বনের পশু এবং কী পরিমাণ বনাঞ্চল পুড়ে গেছে, তা আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।

এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হবে বলেও জানান তিনি। 

নিউজ ট্যাগ: সুন্দরবনে আগুন

আরও খবর



দুই দিনে সোনার দাম বাড়ল ১৭৮৫ টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

টানা আট দফায় কমানোর পর দেশের বাজারে গত দুই দিনে প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৮৫ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এর মধ্যে শ‌নিবার বে‌ড়ে‌ছিল ১০৫০ টাকা এবং রোববার প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়েছে ৭৩৫ টাকা।

দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা। যা সোমবার থেকে কার্যকর হবে। আজ প্রতিভরি সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

আজ রোববার সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৫ হাজার ১৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৯০ হাজার ১৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৪ হাজার ৯৮৯ টাকায় বিক্রি হয়।


আরও খবর



গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: স্টেশন মাস্টারসহ বরখাস্ত ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়েছে অন্তত ৬টি ট্রেন।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী মিয়া বলেন, আজ পৌনে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল কমিউটার ও তেলবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। রেললাইনের পয়েন্টের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে তেলবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম থাকায় হতাহতের সংখ্যা কম। কমিউটার ট্রেনের লোকোমাস্টারসহ চারজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আপঘুন্টি স্টেশন মাস্টার হাশেম ও পয়েন্টসম্যান সাদ্দাম হোসেনসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বগি উদ্ধারের জন্য ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুস সামাদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এরই মধ্যে রেলের সব বগি তল্লাশি করা হয়েছে। তবে ভেতরে কেউ আটকা নেই। ট্রেনের চালক ও সহকারী চালকসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তিনি বলেন, জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিগন্যাল ভুল, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন যাত্রা বিরতি করা হয়েছে। দ্রুত উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

এরআগে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সঙ্গে একটি তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, রেল দুর্ঘটনায় দুই ট্রেনের চালক ও সহকারীরা আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রেল দুর্ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে কমলাপুর রেলস্টেশনে আটকা পড়েছেন ৪-৫টি ট্রেনের যাত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।

একজন উদ্ধারকর্মী জানান, শুক্রবার টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিন ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনে থামে। আজ বন্ধ থাকায় এটির থ্রোপাস করার কথা। আর অপরদিকে ঢাকা থেকে আসা তেলবাহী ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়ানো ছিল। এখানে আপলাইন ও ডাউনলাইন আছে, কিন্তু কী কারণে ট্রেন দুটি মুখোমুখি হল সে বিষয়ে তদন্তের পর জানা যাবে।

এর আগে গতকাল রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ৩ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে।

রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। তখন এ রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন সাড়ে ১০টার দিকে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে। বর্তমানে রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় মালবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে মেইন লাইন ব্লক হয়ে যাওয়ায় রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে তিন ঘণ্টা পর ট্রেনটি উদ্ধার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রাজবাড়ীর সঙ্গে স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন চলাচল।


আরও খবর



নির্বাচনি সহিংসতায় যুবক নিহত: চেয়ারম্যানসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগ‌ঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ওসিকুর ভূঁইয়া (২৭) নামের এক যুবক নিহতের ঘটনায় বিজয়ী চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান ভূঁইয়াসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্প‌তিবার রাতে নিহতের বোন পারুল বেগম বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আজ শুক্রবার গোপালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ওসি বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তী সহিংসতায় বিজয়ী প্রার্থী কামরুজ্জামান ভূঁইয়ার সমর্থকের গুলিতে পরাজিত প্রার্থী বি এম লিয়াকত আলীর সমর্থক মো. ওসিকুর ভূঁইয়া নিহত হন। এ ঘটনায় কামরুজ্জামান ভূঁইয়াসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে আসামি করে নিহতের বোন একটি হত্যা মামলা করেন। তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

অন্যদিকে, হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আগামী রবিবার গোপালগঞ্জ ডিসি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন বি এম লিয়াকত আলী।


আরও খবর