আজঃ শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে এখন পর্যন্ত নিহত ১২

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন আজ রোববার (৪ আগস্ট) দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত দেশের ছয় জেলায় অন্তত ১২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে পাবনায় চারজন, বগুড়া, মুন্সীগঞ্জ ও রংপুরে ২ জন করে ছয়জন এবং মাগুরা ও সিরাজগঞ্জে নিহত হয়েছেন একজন করে।

মুন্সীগঞ্জ: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে মুন্সিগঞ্জে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।

শহরের সুপার মার্কেট ও কৃষি ব্যাংক মোড় এলাকায় সকাল পৌনে ১০টা থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিবর্ষণ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

সংঘর্ষে সাত জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল।

রংপুর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। রংপুর নগরীর পায়রা চত্বরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

মাগুরা: পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাব্বী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। আজ বেলা ১১টার দিকে শহরের পারনানন্দুয়ালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জেলা বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কোটা সংস্কারের আন্দোলন ১৪ জুলাই পর্যন্ত আন্দোলন শান্তিপূর্ণই ছিল। আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার সূত্রপাত ঘটে ১৫ জুলাই। এ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে পুলিশসহ ক্ষমতাসীন দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। হামলায় আহত হন তিন শতাধিক। পরের দিন (১৬ জুলাই) ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ছয়জনের মৃত্যু হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বন্ধ ঘোষণা করা হয় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু সহিংসতার তীব্রতা ও ব্যাপ্তি বাড়তে থাকে। ১৮ জুলাই সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দেন আন্দোলনকারীরা। এ দিন মৃত্যু হয় ২১ জনের। সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটে ১৯ জুলাই, এ দিন মৃত্যু হয় ৫৮ জনের। এর মধ্যে রাজধানীতেই প্রাণ হারান ৪৯ জন।


আরও খবর
তিন উপকূলীয় এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




স্থগিত ট্রেনের টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে করে নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ থাকা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিটের টাকা যাত্রীদের ফেরত দিচ্ছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল।

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সহিংসতার প্রেক্ষাপটে ২৭ দিন বন্ধ থাকার পর সারা দেশে আবার আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই থেকে সাময়িক ট্রেনচলাচল স্থগিত থাকায় যেসব ট্রেন সম্পূর্ণ চলাচল করেনি সেসব ট্রেনের টিকিটের টাকা যাত্রীদের ফেরত দেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল থেকে ট্রেনের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।  আগামী ১০দিন টাকা ফেরত পেতে রিফান্ড রিকোয়েস্ট সাবমিট করা যাবে। যাদের টিকিট অনলাইন থেকে কেনা হয়েছে, তাদের অনলাইনে এবং যারা কাউন্টার থেকে কিনেছেন, তাদের কাউন্টারের মাধ্যমে টিকিটের বিপরীতে টাকা রিফান্ড করতে পারবেন।

এছাড়া পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল মিলিয়ে রেলওয়ের মোট ক্ষতি হয়েছে ২২ কোটি ৩ লাখ ৮ হাজার টাকার বেশি হবে। কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় হামলাকারীরা  সোনার বাংলা, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পারাবত এক্সপ্রেসসহ দেশের ট্রেনের বিভিন্ন কোচে হামলা করে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বিভিন্ন স্টেশনে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ এবং সিগন্যালও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তারা।


আরও খবর
তিন উপকূলীয় এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সিলেটে সাংবাদিকদের সাথে ছাত্রশিবিরের মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে সিলেটে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১৮ আগষ্ট) দুপুরে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ রিচমন্ড হোটেলের মিলনায়তনে মহানগর ছাত্রশিবির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য শরীফ মাহমুদের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মহানগর শাখার প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক নাঈম হোসাইনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুর রহিম।

মতবিনিময় সভা কুরআন তিলাওয়াত এর মাধ্যমে শুরু হয়, পরবর্তীতে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করা হয়। ইসলামী সংগীতের পর শিবিরের সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন ক্যাম্পাসের সভাপতি ও নগরীর নেতৃবৃন্দরা তাদের পরিচয় পর্ব প্রদান করেন।

অনুষ্টানে সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি শরীফ মাহমুদ বলেন, আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মান করতে চাই, যেই বাংলাদেশে কোন বৈষম্য থাকবে না। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহা মর্যাদাপূর্ণ পেশা, এবং আল্লাহ প্রদত্ত আমানত। জাতির সামনে সব সময় সুন্দর ও সত্য সংবাদ প্রচার করে আপনারা সেই আমানত রক্ষা করবেন ছাত্রশিবির সেই প্রত্যাশা করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বলেন, জাতিকে সত্য জানানোর যে সুযোগ আল্লাহ দিয়েছেন তা সৎ সাহস নিয়ে জাতির সামনে উপস্থাপন করা। তিনি তার বক্তব্য আরো বলেন, সাংবাদিকদের যদি স্বাধীন সংবাদ প্রকাশে হেনেস্তা করা হয় তাহলে ছাত্রশিবির ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে তার প্রতিরোধ করবে। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ও সাংবাদিকদের পরামর্শ গ্রহণ করেন নেতৃবৃন্দ।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির সভাপতি জহির উদ্দীন শিপন, সিলেট জেলা পূর্বের সভাপতি মারুফ আহমদ, জেলা পশ্চিম সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সিলেট মহানগর সেক্রেটারি শাহিন আহমদসহ সিলেট মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ।

উক্ত মতবিনিময়ে সিলেট প্রেসক্লাব, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব ও অনলাইন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন গণ্যমান্য সাংবাদিক ব্যক্তিত্বসহ প্রায় শতাধিক সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
তিন উপকূলীয় এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ফেনীতে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজিব মাসুদ, ফেনী

Image

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির পর খাল-বিলে ও বিভিন্ন স্থানে ভেসে আসছে মরদেহ। বন্যায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ফেনীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, ফেনীতে বন্যায় নিহতদের মাঝে ১৭ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী রয়েছেন। উদ্ধারকৃত মরদেহের ১৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেলেও এখনও শনাক্ত করা যায়নি ৭ মরদেহ।

উদ্ধারকৃত মরদেহের মাঝে ফেনী সদর উপজেলায় ৩ জন, দাগনভূঞা উপজেলায় ২ জন, ফুলগাজী উপজেলায় ৭ জন, সোনাগাজী উপজেলায় ৬ জন, ছাগলনাইয়া উপজেলায় ৩ জন ও পরশুরাম উপজেলায় ২ জন রয়েছেন। অজ্ঞাত মরদেহের মাঝে ফেনী সদর উপজেলায় ২ জন মাঝ বয়সী পুরুষ, সোনাগাজী উপজেলায় ৪ অজ্ঞাত মরদেহের মাঝে ৩ জন পুরুষ ও ১ জন নারী রয়েছে। এ ছাড়াও ছাগলনাইয়া উপজেলার শিলুয়া থেকে উদ্ধার হওয়া বৃদ্ধার পরিচয় মেলেনি।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ফেনীতে বন্যায় এখনো অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। যাদের মাঝে অনেকেরই মরদেহ বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।

ফেনীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ফেনীর গ্রামগঞ্জে এখনো পানি পুরোপুরি নামেনি। পানি পুরোপুরি নামার পর বন্যায় নিহতের পরিপূর্ণ সংখ্যা জানা যাবে।


আরও খবর
তিন উপকূলীয় এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




কুষ্টিয়ায় পুকুরে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের লক্ষিকোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া দুই শিশু হলো- লক্ষিকোলা গ্রামের রাকিবুল ইসলামের ছেলে তামিম হোসেন (১২) ও আকছেদ মণ্ডলের ছেলে আশিক আহমেদ (১১)। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরের দিকে খেলাধুলা করতে করতে বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুরের পানিতে পাঁচ শিশু গোসল করতে নামে। এ সময় তামিম ও আশিক পানিতে ডুবে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজির পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করেন। মৃত্যুর খবর শুনে সবাই যেন বাকরুদ্ধ। তাদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের বাড়িতে শোকার্ত স্বজনদের আহাজারি-কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে। নিহত শিশু দুটির মা-বাবার কান্না কিছুতেই থামছে না।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, শনিবার দুপুরে পুকুরের পানিতে গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। এ ছাড়া পানিতে ডুবে আরও এক শিশু আহত হয়েছে। নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের মরদেহ দাফন সম্পন্ন হবে।

নিউজ ট্যাগ: কুষ্টিয়া

আরও খবর
তিন উপকূলীয় এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা সদা প্রস্তুত: নানক

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, শেখ হাসিনা পাহাড় সমান কষ্ট নিয়েও হিমালয় সমান মনোবলে অটুট আছেন। তার হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা সদা প্রস্তুত। এই আঁধার কেটে যাবে খুব শিগগিরই ইনশাল্লাহ।

শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

নানক বলেন, ইতিহাসের ভয়াবহতম নির্মম, পাশবিক ও অমানবিক নির্যাতন ও নিপীড়নের স্বীকার হয়েছে আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে সব পর্যায়ের নেতাকর্মী, সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সারা বাংলার স্বাধীনতার স্বপক্ষের আপামর দেশবাসী। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের হত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবার বাড়ি-ঘর, শিল্প-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে গোয়ালের গরু, পুকুরের মাছ, ক্ষেতের শস্য জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কোটি কোটি নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর লুটপাট করেছে। আওয়ামী লীগের কোটি কোটি নেতা কর্মী ঘর ছাড়া, অর্ধাহারে-অনাহারে দিন অতিবাহিত করছে। বাঙ্গালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যে বর্বরোচিত ভাবে চরম অপমানিত করেছে, এ যেন একাত্তরের বিজয়ী বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে পরাজিতদের প্রতিশোধের উন্মত্ততা।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এই নেতা আরও বলেন, মনোবল হারাবেন না, যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রাখবেন। মাননীয় সভানেত্রী, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাহাড় সমান কষ্ট নিয়ে ও হিমালয় সমান মনোবল অটুট আছেন। তার হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা সদা প্রস্তুত। এই আঁধার কেটে যাবে খুব শিগগিরই ইনশাল্লাহ। সবার সুস্থতা ও নিরাপত্তার দোয়া কাম্য।

বিবৃতির শেষাংশে বিশেষ দ্রষ্টব্যে বলা হয়, পহেলা জুলাই থেকে এই পর্যন্ত আমাদের যে সকল নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী সমর্থককে হত্যা করেছে এবং যাদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট ও আগুন দিয়েছে তাদের তালিকাসহ গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা অতিসত্বর তৈরি করে নিজের কাছে রাখুন এবং এই হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিন। জনমত সৃষ্টির জন্য কাজ করুন।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দলটির নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে আছেন। এরপর থেকে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম এবং সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক গণমাধ্যমে একাধিক বিবৃতি পাঠিয়েছেন। যদিও এসব বিবৃতি অফিশিয়ালি না পাঠিয়ে তার একাধিক অনুসারীর মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠানো হয়।


আরও খবর