আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

পাহারা দিয়ে নির্বাচনী সহিংসতা ঠেকানো যায় না: সিইসি

প্রকাশিত:বুধবার ১০ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ঘরে ঘরে, মহল্লায় মহল্লায় পুলিশি পাহারা দিয়ে নির্বাচনী সহিংসতা ঠেকানো যায় না। এটি ঠেকানোর একমাত্র উপায়, যারা নির্বাচনে অংশ নেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যারা আছেন, তাদের সহনশীলতা এবং আচরণবিধি মেনে চলা।

বুধবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ৮৯তম কমিশন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

নির্বাচনে মৃত্যু ও সহিংসতা সম্পর্কে সিইসি বলেন, আমরা পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছি। যার যার দায়িত্ব সে সে পালন করে যাচ্ছে। বিশেষ করে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যথেষ্ট ভূমিকা রাখছেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অজান্তে এসব ঘটনা ঘটে, তাদের অনুপস্থিতিতে এটা ঘটে যায়। এটা এত বড় একটা নির্বাচন, যেখানে হাজার হাজার, লাখ লাখ লোক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।

তিনি বলেন, আমি প্রথমেই বলেছি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার একমাত্র উপায় হলো যারা ভোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন তাদের সহনশীলতা। সুতরাং এটার দায়দায়িত্ব প্রশাসনের অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অথবা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া যায় না। এরাই দায়ী এ কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, অনেক ঘটনা একেবারে এলাকাভিত্তিক ঘটেছে। কাজী বংশ, খান বংশ, চৌধুরী বংশ, তালুকদার বংশ এরকম হয়। রাস্তার এপার ওপার এরকম হয়। এছাড়া দলীয় কোন্দলে হয়, পূর্বশত্রুতার কারণে হয়। কতগুলো ঘটনার বিশ্লেষণ করে দেখেছি তারা প্রায় প্রত্যেকেই বলেছেন স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ও পূর্বশত্রুতার জেরে ঘটনাগুলো ঘটেছে। এসবের দায়দায়িত্ব এখন কাকে দেবো। আমার তো মনে হয় যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তাদের যদি সহনশীল ভূমিকা থাকে তাহলে আমাদের এত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকের দরকার হয় না। আমাদের এত তৎপরতার দরকার হয় না।

সিইসি বলেন, এজাতীয় ঘটনা পাহারা দিয়ে ঠেকানো যায় না। বাস্তবতা হলো এটাই। এটা আপনাদের বুঝতে হবে। ঘরে ঘরে, মহল্লায় মহল্লায় পুলিশি পাহারা দিয়ে এ জাতীয় সহিংসতা ঠেকানো যায় না।


আরও খবর



আলুর কেজি ৭০ টাকা স্বাভাবিক মনে করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রান্নায় ব্যবহৃত বহুল প্রচলিত এই উপকরণটি বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশে উৎপাদিত এই পণ্যটির চড়া দাম নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে আসছেন সাধারণ ক্রেতারা। তবে, আলুর এ দামকে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে তিনি এ মতামত জানান।

বাজারে আলুর দাম ৭০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি। এটাকে স্বাভাবিক মনে করেন কি না? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজারে আলু-পেঁয়াজ পর্যাপ্ত আছে। এটাকে স্বাভাবিক বলে মনে করি। দামের যৌক্তিকতার বিষয়টি আমার ইয়ে না। আমি দেখব, সেটি বার বার বলার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, যেকোনও প্রাইস নির্ভর করে বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। আমরা যদি সরবরাহ করতে পারি, তাহলে দাম কমে যাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত বাজারে আলু ও পেঁয়াজ কম দামে সরবরাহ না থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বাজারে যে মূল্য আছে, সে মূল্যটাকে আমাকে মূল্য হিসেবে দেখতে হবে। আমি চাইলেই কাউকে এমন কোনো আইন করে বলতে পারব না যে, পেঁয়াজের দাম এতো। অন্তত আমি পারব না। সেটি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলতে পারবে।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমার কাছে কৃষি উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার মেকানিজম জানা নেই। আমার জানা আছে যদি দাম বেড়ে যায়... তাহলে আমদানি করে কম দামে বাজারে সরবরাহ করলে দাম কমে যাবে।

সাবান ও গুড়া সাবানের দাম নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাবান নিয়ে এর আগে কেউ প্রশ্ন করেনি। এটা নিয়ে কোনও কিছু করণীয় আছে কি না সেটি দেখব। আপনার বিষয়টি আমি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। অনেক বিষয় আছে, সেগুলো আমাদের কি না সেটি দেখতে হবে। শিল্পগুলো শিল্প মন্ত্রণালয়ের, তাই সাবানের দাম নির্ধানের এখতিয়ার আমাদের আছে কি না সেটি দেখে আপনাদের জানাব।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দিন মাহতাব।


আরও খবর



প্রতারণা মামলা: অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৭ সেপ্টেম্বর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় আলোচিত চিত্রনায়ক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এদিন ধার্য করেন আদালত।

মামলায় অনন্ত জলিল ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- জাহানারা বেগম, অনন্ত জলিলের কোম্পানিতে বিভিন্ন পদে কর্মরত মো. শরীফ হোসাইন, সাকিবুল ইসলাম, মিলন ও শহিদুল ইসলাম।

গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

আদালতে মামলার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার আর্জিতে বাদী উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর আসামিরা পলো কম্পোজিট কোম্পানির নামে বাদীর কাছে গার্মেন্টস সম্পর্কিত কিছু কাজের জন্য অর্ডার দেন। এরপর বাদী কাজ শুরু করে কাজের বিপরীতে প্রতিশ্রুত টাকা চাইলে আসামিরা কাজ চালিয়ে যেতে বলেন এবং এলসির মাধ্যমে টাকা দেবেন বলে জানান। পরবর্তীসময়ে তারা আরও বেশ কিছু কাজের অর্ডার দেন।

এ বছরের মার্চ পর্যন্ত বাদী সবগুলো কাজ আসামিদের বুঝিয়ে দেন। এরপর গত ১৫ মার্চ টাকা পরিশোধের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকে আসামিরা বাদীর একটি এলসি করেন। পরে বাদী টাকার জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করলে এলসির কাগজপত্রে ত্রুটির জন্য টাকা উঠাতে ব্যর্থ হন।

আর্জিতে আরও বলা হয়, বাদী চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করলেও অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত কোনো টাকা পরিশোধ করেনি, যার পরিমাণ প্রায় ২৯ হাজার ২০০ ডলার।

নিউজ ট্যাগ: অনন্ত জলিল

আরও খবর



চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র অভিযানে ৬১ হাজার টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামে ফিটনেস, রুট পারমিটবিহীন অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। অভিযানে পাঁচটি গাড়িকে ৬১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিট দীর্ঘদিন হালনাগাদ না করায় তিনটি ডাম্পার ট্রাককে ডাম্পিং করা হয়।

শনিবার (২২ জুন) সকালে নগরীর হালিশহর থানার নয়াবাজার বিশ্বরোড এলাকায় এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআরটিএ ভ্রাম্যমাণ আদালত-১২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাতুল তামান্না।

এসময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চট্টমেট্রো সার্কেল-২ এর মোটরযান পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যানের নির্দেশে সারাদেশে অবৈধ ও ডকুমেন্ট হালনাগাদ না করার যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ হালিশহর নয়াবাজার বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঁচটি গাড়িকে ৬১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তাছাড়াও ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিটসহ সবধরনের ডকুমেন্ট দীর্ঘদিন হালনাগাদ না করায় তিনটি ডাম্পার ট্রাককে (চট্ট মেট্রো-ট-১১-৯১৫১, চট্ট মেট্রো-শ-১১-১৪৮৭, চট্ট মেট্রো-শ-১১-১৫৭৬) ডাম্পিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ অভিযানে সহযোগিতা করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ও ট্রাফিক পুলিশ।


আরও খবর



বাগেরহাটে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটে পৃথক বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ১ জন, মারা গেছে ১ টি মহিষ ও ৩টি গরু।

বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলা ডেমা ইউনিয়নের পিসি ডেমা ও হেদায়েতপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ডেমা ইউনিয়নের পিসি ডেমা গ্রামের আমিন হকের ছেলে মোঃ শরিফুল হক (২০) ও হেদায়েতপুর গ্রামের কাওছার হোসেনের ছেলে শেখ সেলিম (৩৫)।

স্থানীয়রা জানান, শরিফুল ইসলাম পঞ্চমালা মাঠে গরু চড়াতে ছিলেন। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় পিসি ডেমা গ্রামের লিয়াকত হাওলাদারের ছেলে উজ্জল হাওলাদার (২৮) আহত হয়। বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। এই সময় তিনটি গরু ও একটি মহিষ মারা যায়।

অপর দিকে হেদায়েতপুর মাঠে গরু আসতে গিয়ে মৃত্যু হয় শখ সেলিমের।

বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, বাগেরহাটের ডেমা ইউনিয়নে বজ্রপাতে শরিফুল হক ও সেলিম শেখ নামের দুইজনের মৃত্যু হয়েছে এবং উজ্জল হাওলাদার নামে আরেকজন আহত হয়েছন। আহতকে স্থানীয়রা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।


আরও খবর



ইজিবাইকে ওড়না পেঁচিয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় ইজিবাইকে ওড়না পেঁচিয়ে রুহি আক্তার নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) উপজেলার হায়াতকান্দা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রুহি উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের উলাইল গ্রামের রুহুল বেপারীর মেয়ে। সে সরকারি দোহার নবাবগঞ্জ কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।

জানা যায়, নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রাইভেট শেষ করে বাড়িতে ফেরার পথে হায়াতকান্দা নামক স্থানে ইজিবাইকের সিটের নিচে তার ওড়না পেঁচিয়ে গেলে সে রাস্তায় ছিটকে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


আরও খবর